জুড়ী উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (fix: image tag) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১২ নং লাইন: | ১২ নং লাইন: | ||
| colspan="9" | উপজেলা | | colspan="9" | উপজেলা | ||
|- | |- | ||
| rowspan="2" | পৌরসভা || rowspan="2" | ইউনিয়ন || rowspan="2" | মৌজা || rowspan="2" | গ্রাম || colspan="2" | জনসংখ্যা || rowspan="2" | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) || colspan="2" | শিক্ষার হার (%) | |||
|- | |- | ||
| শহর || গ্রাম || শহর || গ্রাম | | শহর || গ্রাম || শহর || গ্রাম | ||
|- | |- | ||
| - || ৮ || ৯২ || ১৪৪ || - || ১৬৮৪২৩ || ৭০৬ || - || ৩৯.৭৯% | | - || ৮ || ৯২ || ১৪৪ || - || ১৬৮৪২৩ || ৭০৬ || - || ৩৯.৭৯% | ||
|} | |||
{| class="table table-bordered table-hover" | |||
|- | |- | ||
| ইউনিয়ন | | colspan="9" | ইউনিয়ন | ||
|- | |- | ||
| ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড || আয়তন(একর) || লোকসংখ্যা || শিক্ষার হার (%) | | ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড || আয়তন(একর) || লোকসংখ্যা || শিক্ষার হার (%) | ||
|- | |- | ||
| | | পুরুষ || মহিলা || | ||
|- | |- | ||
| গোয়ালবাড়ি ২৯ || ৭৮৩৫ || ১০০৭৮ || ১০০৫৯ || ৩৬.০৯ | | গোয়ালবাড়ি ২৯ || ৭৮৩৫ || ১০০৭৮ || ১০০৫৯ || ৩৬.০৯ | ||
|- | |- | ||
| জায়ফরনগর ৪৭ || ৯৪৮৩ || ১৫৪৬৮ || ১৪৮৩০ || ৪০.৭২ | | জায়ফরনগর ৪৭ || ৯৪৮৩ || ১৫৪৬৮ || ১৪৮৩০ || ৪০.৭২ | ||
|- | |- | ||
| দক্ষিণ দক্ষিণভাগ ৩১ || ৮৩৮৫ || ১৩৪৬৩ || ১৩৩৪৭ || ৪২.৭৮ | | দক্ষিণ দক্ষিণভাগ ৩১ || ৮৩৮৫ || ১৩৪৬৩ || ১৩৩৪৭ || ৪২.৭৮ | ||
|- | |- | ||
| পশ্চিম জুড়ী ৫৫ || ৭৪০৬ || ৯২৪৭ || ৮৮৭৮ || ৪২.৯৪ | | পশ্চিম জুড়ী ৫৫ || ৭৪০৬ || ৯২৪৭ || ৮৮৭৮ || ৪২.৯৪ | ||
|- | |- | ||
| পূর্ব জুড়ী ৬৭ || ৫৬৩৬ || ৭৭১৫ || ৭৭৫০ || ৩৩.৫০ | | পূর্ব জুড়ী ৬৭ || ৫৬৩৬ || ৭৭১৫ || ৭৭৫০ || ৩৩.৫০ | ||
|- | |- | ||
| ফুলতলা ২৩ || ৭৩৬৪ || ৮৮৮৪ || ৮৩৪৪ || ৩৭.৪৮ | | ফুলতলা ২৩ || ৭৩৬৪ || ৮৮৮৪ || ৮৩৪৪ || ৩৭.৪৮ | ||
|- | |- | ||
| সাগরনাল ৮৩ || ৮৩১২ || ১১২৪৮ || ১১০১৩ || ৩৮.৪৩ | | সাগরনাল ৮৩ || ৮৩১২ || ১১২৪৮ || ১১০১৩ || ৩৮.৪৩ | ||
|- | |- | ||
| সুজানগর ৭৭ || ৫১৯০ || ৮৮৪৫ || ৯২৫৪ || ৪৬.৩৮ | | সুজানগর ৭৭ || ৫১৯০ || ৮৮৪৫ || ৯২৫৪ || ৪৬.৩৮ | ||
৫৪ নং লাইন: | ৪৪ নং লাইন: | ||
''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। | ''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। | ||
[[Image:JuriUpazila.jpg|thumb|400px|right]] | |||
''মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি'' ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বর্তমান উপজেলার আওতাধীন এলাকায় শহরে মুক্তিযোদ্ধারা পাকসেনাদের নিয়ন্ত্রনাধীন বিভিন্ন চা কারখানায় হামলা চালায় এবং কালভার্ট ও ব্রিজ ধ্বংস করে দেয়। ২ ও ৩ ডিসেম্বর ফুলতলা, সাগরনাল ও কাপনাপাহাড় এলাকায় যৌথবাহিনীর সঙ্গে পাকবাহিনীর প্রচন্ড লড়াই সংঘটিত হয়। ৪ ডিসেম্বর জুড়ী শত্রুমুক্ত হয়। | ''মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি'' ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বর্তমান উপজেলার আওতাধীন এলাকায় শহরে মুক্তিযোদ্ধারা পাকসেনাদের নিয়ন্ত্রনাধীন বিভিন্ন চা কারখানায় হামলা চালায় এবং কালভার্ট ও ব্রিজ ধ্বংস করে দেয়। ২ ও ৩ ডিসেম্বর ফুলতলা, সাগরনাল ও কাপনাপাহাড় এলাকায় যৌথবাহিনীর সঙ্গে পাকবাহিনীর প্রচন্ড লড়াই সংঘটিত হয়। ৪ ডিসেম্বর জুড়ী শত্রুমুক্ত হয়। | ||
''মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন'' বধ্যভূমি ১ (জুড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের পিছনে জাগধারী পুকুর)। | ''মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন'' বধ্যভূমি ১ (জুড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের পিছনে জাগধারী পুকুর)। | ||
৬৪ নং লাইন: | ৫১ নং লাইন: | ||
''ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান'' মসজিদ ১৭০, মন্দির ৪০, গির্জা ১। | ''ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান'' মসজিদ ১৭০, মন্দির ৪০, গির্জা ১। | ||
শিক্ষার হার | ''শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান'' গড় হার ৩৯.৭৯%; পুরুষ ৪৪.০৬%, মহিলা ৩৫.৫০%। কলেজ ২, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১২, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৭০, ব্র্যাক স্কুল ৪০, কেজি স্কুল ১০, মাদ্রাসা ২০। উল্লেখযোগ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান: তৈয়বুন্নেছা খানম একাডেমি ডিগ্রি কলেজ (১৯৯৪), জুড়ী উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৯৪), নয়াবাজার আহমদিয়া ফাজিল মাদ্রাসা (১৯৫৮)। | ||
''সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান'' লাইব্রেরি ৫, অন্যান্য সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ৫। | ''সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান'' লাইব্রেরি ৫, অন্যান্য সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ৫। | ||
৭০ নং লাইন: | ৫৭ নং লাইন: | ||
''জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস'' কৃষি ৩৯.৪৮%, অকৃষি শ্রমিক ১২.৭৭%, ব্যবসা ১১.৮৫%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ১.৪৮%, চাকরি ৭.৩১%, নির্মাণ ০.৯৪%, ধর্মীয় সেবা ০.৩৩%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ২.০২% এবং অন্যান্য ১৮.৮০%। | ''জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস'' কৃষি ৩৯.৪৮%, অকৃষি শ্রমিক ১২.৭৭%, ব্যবসা ১১.৮৫%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ১.৪৮%, চাকরি ৭.৩১%, নির্মাণ ০.৯৪%, ধর্মীয় সেবা ০.৩৩%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ২.০২% এবং অন্যান্য ১৮.৮০%। | ||
''কৃষিভূমির মালিকানা'' ভূমিমালিক ৩৭.৩৫% এবং ভূমিহীন ৬২.৬৫%। | ''কৃষিভূমির মালিকানা'' ভূমিমালিক ৩৭.৩৫% এবং ভূমিহীন ৬২.৬৫%। | ||
''প্রধান কৃষি ফসল'' ধান, পাট, গম, ডাল, চা। | ''প্রধান কৃষি ফসল'' ধান, পাট, গম, ডাল, চা। | ||
প্রধান ফল''-''ফলাদি আম, কাঁঠাল, আনারস, কলা, কমলালেবু। | প্রধান ফল''-''ফলাদি আম, কাঁঠাল, আনারস, কলা, কমলালেবু। | ||
''যোগাযোগ বিশেষত্ব'' পাকারাস্তা ৫০ কিমি, কাঁচারাস্তা ১০০ কিমি। | ''যোগাযোগ বিশেষত্ব'' পাকারাস্তা ৫০ কিমি, কাঁচারাস্তা ১০০ কিমি। | ||
''শিল্প ও কলকারখানা'' করাতকল, চালকল, চা কারখানা, এ্যালুমিনিয়াম কারখানা, হার্ডবোর্ড কারখানা, হিমাগার প্রভৃতি। | ''শিল্প ও কলকারখানা'' করাতকল, চালকল, চা কারখানা, এ্যালুমিনিয়াম কারখানা, হার্ডবোর্ড কারখানা, হিমাগার প্রভৃতি। | ||
''কুটিরশিল্প'' মৃৎশিল্প, বেতশিল্প, শীতলপাটি শিল্প। | ''কুটিরশিল্প'' মৃৎশিল্প, বেতশিল্প, শীতলপাটি শিল্প। | ||
''হাটবাজার ও মেলা'' হাটবাজার ১৫। | ''হাটবাজার ও মেলা'' হাটবাজার ১৫। | ||
''প্রধান রপ্তানিদ্রব্য'' | ''প্রধান রপ্তানিদ্রব্য'' ধান, চা। | ||
''বিদ্যুৎ ব্যবহার'' এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ১৫.৩৪% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। | ''বিদ্যুৎ ব্যবহার'' এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ১৫.৩৪% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। | ||
''পানীয়জলের উৎস'' নলকূপ ৬৬.২৫%, পুকুর ৫.৭২%, ট্যাপ ১.৫৪% এবং অন্যান্য ২৬.৪৯%। | ''পানীয়জলের উৎস'' নলকূপ ৬৬.২৫%, পুকুর ৫.৭২%, ট্যাপ ১.৫৪% এবং অন্যান্য ২৬.৪৯%। | ||
''স্যানিটেশন ব্যবস্থা'' এ উপজেলার ২৯.২১% পরিবার স্বাস্থ্যকর, ৫৪.৩৭% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে এবং ১৬.৪২% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই। | ''স্যানিটেশন ব্যবস্থা'' এ উপজেলার ২৯.২১% পরিবার স্বাস্থ্যকর, ৫৪.৩৭% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে এবং ১৬.৪২% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই। | ||
খনিজ | ''খনিজ সম্পদ'' এ উপজেলায় ইউরেনিয়াম ও চীনা মাটির সন্ধান পাওয়া গেছে। | ||
''স্বাস্থ্যকেন্দ্র'' ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণকেন্দ্র ৬, হাসপাতাল ১, কমিউনিটি ক্লিনিক ২০। এছাড়া উপজেলার প্রতিটি চা বাগানে চা শ্রমিকদের জন্য নিজস্ব হাসপাতাল রয়েছে। | ''স্বাস্থ্যকেন্দ্র'' ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণকেন্দ্র ৬, হাসপাতাল ১, কমিউনিটি ক্লিনিক ২০। এছাড়া উপজেলার প্রতিটি চা বাগানে চা শ্রমিকদের জন্য নিজস্ব হাসপাতাল রয়েছে। | ||
''এনজিও'' ব্র্যাক, আশা। [মোঃ আব্দুল মান্নান] | ''এনজিও'' ব্র্যাক, আশা। [মোঃ আব্দুল মান্নান] | ||
'''তথ্যসূত্র''' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; জুড়ী উপজলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭। | '''তথ্যসূত্র''' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; জুড়ী উপজলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭। | ||
[[en:Juri Upazila]] | [[en:Juri Upazila]] |
০৬:৫৫, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
জুড়ী উপজেলা (মৌলভীবাজার জেলা) আয়তন: ২৩৮.৪৪ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৪°২২´ থেকে ২৪°৪১´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°০১´ থেকে ৯২°১৩´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে বড়লেখা উপজেলা, দক্ষিণে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য, পূর্বে ত্রিপুরা ও আসাম সীমান্ত, পশ্চিমে কুলাউড়া উপজেলা।
জনসংখ্যা ১৬৮৪২৩; পুরুষ ৮৪৯৪৮, মহিলা ৮৩৪৭৫। মুসলিম ১১৪৭৪৮, হিন্দু ৫২৬৬৭, বৌদ্ধ ৬৩০ এবং অন্যান্য ৩৭৮। এ উপজেলায় খাসিয়া ও মণিপুরী আদিবাসি জনগোষ্ঠী বসবাস করে।
জলাশয় জুড়ী নদী এবং হাকালুকি হাওর উল্লেখযোগ্য। এছাড়া রাগনাছড়া, পুটিছড়া, কাউলীছড়া, কুইয়াছড়া খাল এবং চালতা, তুরল, পিংলা ও গড়কুড়ি বিল উল্লেখযোগ্য।
প্রশাসন ২০০৪ সালের ২৬ আগস্ট জুড়ী উপজেলা গঠিত হয়।
উপজেলা | ||||||||
পৌরসভা | ইউনিয়ন | মৌজা | গ্রাম | জনসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | ||
শহর | গ্রাম | শহর | গ্রাম | |||||
- | ৮ | ৯২ | ১৪৪ | - | ১৬৮৪২৩ | ৭০৬ | - | ৩৯.৭৯% |
ইউনিয়ন | ||||||||
ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড | আয়তন(একর) | লোকসংখ্যা | শিক্ষার হার (%) | |||||
পুরুষ | মহিলা | |||||||
গোয়ালবাড়ি ২৯ | ৭৮৩৫ | ১০০৭৮ | ১০০৫৯ | ৩৬.০৯ | ||||
জায়ফরনগর ৪৭ | ৯৪৮৩ | ১৫৪৬৮ | ১৪৮৩০ | ৪০.৭২ | ||||
দক্ষিণ দক্ষিণভাগ ৩১ | ৮৩৮৫ | ১৩৪৬৩ | ১৩৩৪৭ | ৪২.৭৮ | ||||
পশ্চিম জুড়ী ৫৫ | ৭৪০৬ | ৯২৪৭ | ৮৮৭৮ | ৪২.৯৪ | ||||
পূর্ব জুড়ী ৬৭ | ৫৬৩৬ | ৭৭১৫ | ৭৭৫০ | ৩৩.৫০ | ||||
ফুলতলা ২৩ | ৭৩৬৪ | ৮৮৮৪ | ৮৩৪৪ | ৩৭.৪৮ | ||||
সাগরনাল ৮৩ | ৮৩১২ | ১১২৪৮ | ১১০১৩ | ৩৮.৪৩ | ||||
সুজানগর ৭৭ | ৫১৯০ | ৮৮৪৫ | ৯২৫৪ | ৪৬.৩৮ |
সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বর্তমান উপজেলার আওতাধীন এলাকায় শহরে মুক্তিযোদ্ধারা পাকসেনাদের নিয়ন্ত্রনাধীন বিভিন্ন চা কারখানায় হামলা চালায় এবং কালভার্ট ও ব্রিজ ধ্বংস করে দেয়। ২ ও ৩ ডিসেম্বর ফুলতলা, সাগরনাল ও কাপনাপাহাড় এলাকায় যৌথবাহিনীর সঙ্গে পাকবাহিনীর প্রচন্ড লড়াই সংঘটিত হয়। ৪ ডিসেম্বর জুড়ী শত্রুমুক্ত হয়।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন বধ্যভূমি ১ (জুড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের পিছনে জাগধারী পুকুর)।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ১৭০, মন্দির ৪০, গির্জা ১।
শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৩৯.৭৯%; পুরুষ ৪৪.০৬%, মহিলা ৩৫.৫০%। কলেজ ২, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১২, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৭০, ব্র্যাক স্কুল ৪০, কেজি স্কুল ১০, মাদ্রাসা ২০। উল্লেখযোগ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান: তৈয়বুন্নেছা খানম একাডেমি ডিগ্রি কলেজ (১৯৯৪), জুড়ী উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৯৪), নয়াবাজার আহমদিয়া ফাজিল মাদ্রাসা (১৯৫৮)।
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান লাইব্রেরি ৫, অন্যান্য সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ৫।
জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৩৯.৪৮%, অকৃষি শ্রমিক ১২.৭৭%, ব্যবসা ১১.৮৫%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ১.৪৮%, চাকরি ৭.৩১%, নির্মাণ ০.৯৪%, ধর্মীয় সেবা ০.৩৩%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ২.০২% এবং অন্যান্য ১৮.৮০%।
কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৩৭.৩৫% এবং ভূমিহীন ৬২.৬৫%।
প্রধান কৃষি ফসল ধান, পাট, গম, ডাল, চা।
প্রধান ফল-ফলাদি আম, কাঁঠাল, আনারস, কলা, কমলালেবু।
যোগাযোগ বিশেষত্ব পাকারাস্তা ৫০ কিমি, কাঁচারাস্তা ১০০ কিমি।
শিল্প ও কলকারখানা করাতকল, চালকল, চা কারখানা, এ্যালুমিনিয়াম কারখানা, হার্ডবোর্ড কারখানা, হিমাগার প্রভৃতি।
কুটিরশিল্প মৃৎশিল্প, বেতশিল্প, শীতলপাটি শিল্প।
হাটবাজার ও মেলা হাটবাজার ১৫।
প্রধান রপ্তানিদ্রব্য ধান, চা।
বিদ্যুৎ ব্যবহার এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ১৫.৩৪% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৬৬.২৫%, পুকুর ৫.৭২%, ট্যাপ ১.৫৪% এবং অন্যান্য ২৬.৪৯%।
স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ উপজেলার ২৯.২১% পরিবার স্বাস্থ্যকর, ৫৪.৩৭% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে এবং ১৬.৪২% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।
খনিজ সম্পদ এ উপজেলায় ইউরেনিয়াম ও চীনা মাটির সন্ধান পাওয়া গেছে।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণকেন্দ্র ৬, হাসপাতাল ১, কমিউনিটি ক্লিনিক ২০। এছাড়া উপজেলার প্রতিটি চা বাগানে চা শ্রমিকদের জন্য নিজস্ব হাসপাতাল রয়েছে।
এনজিও ব্র্যাক, আশা। [মোঃ আব্দুল মান্নান]
তথ্যসূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; জুড়ী উপজলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।