জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (fix: image tag) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
৪ নং লাইন: | ৪ নং লাইন: | ||
১৯৬০ এর দশকে পাকিস্তান সরকার পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তানে একই ধরনের দু’টি আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৬৪ সালের জুন মাসে পূর্ব পাকিস্তান শিক্ষা বিভাগ ঢাকার কাছে একটি আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রকল্প গ্রহণ করে। | ১৯৬০ এর দশকে পাকিস্তান সরকার পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তানে একই ধরনের দু’টি আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৬৪ সালের জুন মাসে পূর্ব পাকিস্তান শিক্ষা বিভাগ ঢাকার কাছে একটি আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রকল্প গ্রহণ করে। | ||
এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মূল লক্ষ্য ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর ক্রমবর্ধমান চাপ কমানো। ১৯৬৫ সালের জুনে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ এ প্রকল্পটি অনুমোদন করে। এই প্রকল্পের উপর ভিত্তি করে গাজীপুর জেলার সালনা এলাকায় প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ১৯৬৭ সালে সাভারে সরকারি দুগ্ধ খামারের কাছ থেকে ৭৫০ একর জমি বরাদ্দ নেওয়া হয়। বিশ শতকের আশির দশকের প্রথামার্ধে ক্যাম্পাসের দক্ষিণ পাশ থেকে ৫০ একর জায়গা বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রকে দিয়ে দেওয়া | [[Image:JahangirnagarUniversity.jpg|thumb|right|400px|ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়]] | ||
এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মূল লক্ষ্য ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর ক্রমবর্ধমান চাপ কমানো। ১৯৬৫ সালের জুনে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ এ প্রকল্পটি অনুমোদন করে। এই প্রকল্পের উপর ভিত্তি করে গাজীপুর জেলার সালনা এলাকায় প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ১৯৬৭ সালে সাভারে সরকারি দুগ্ধ খামারের কাছ থেকে ৭৫০ একর জমি বরাদ্দ নেওয়া হয়। বিশ শতকের আশির দশকের প্রথামার্ধে ক্যাম্পাসের দক্ষিণ পাশ থেকে ৫০ একর জায়গা বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রকে দিয়ে দেওয়া হয়। | |||
১৯৭০ সালের এপ্রিল মাসে ‘জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ ১৯৭০’-এর আওতায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম শুরু হয় এবং অধ্যাপক সুরত আলী খানকে প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়। ১৯৭০ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর পাকিস্তান কেন্দ্রীয় কর্ম কমিশনের সদস্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক মফিজউদ্দীন আহমেদকে উপাচার্য নিযুক্ত করা হয়। একটি বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ৫টি অনুষদ যথা কলা ও মানবিক, সামাজিক বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, মৌলিক বিজ্ঞান ও ফলিত বিজ্ঞান নিয়ে এর কার্যক্রম শুরু করার সিদ্ধান্ত থাকলেও পরে শুধু সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধীন ৪টি বিভাগ নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। বিভাগগুলি হলো অর্থনীতি, ভূগোল, পরিসংখ্যান এবং গণিত। বাংলা ও ইংরেজি অগুরুত্বপূর্ণ থেকে যায়। শুরুতে ৪টি বিভাগে ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ছিল ১৫০ এবং শিক্ষকশিক্ষিকার সংখ্যা ছিল ২১। অধ্যাপক মালিক খসরু চৌধুরী ছিলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের প্রথম ডিন। রসায়ন এবং পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ২ জন অধ্যাপককে দায়িত্ব দেওয়া হয় নতুন বিভাগ খোলার জন্য। ৪টি বিভাগে ১৫০ জন ছাত্রছাত্রী নিয়ে স্নাতক শ্রেণীতে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৭১ সালের ৪ জানুয়ারি প্রথম ক্লাস শুরু হলেও ১৯৭১ সালের ১২ জানুয়ারি এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর রিয়ার অ্যাডমিরাল এস.এম আহসান। ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়টি একটি প্রকল্প আকারে পরিচালিত হয়। সে বছর জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ ১৯৭০ সংশোধন করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাশ হয়। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টি ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট, ১৯৭৩’ দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। | ১৯৭০ সালের এপ্রিল মাসে ‘জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ ১৯৭০’-এর আওতায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম শুরু হয় এবং অধ্যাপক সুরত আলী খানকে প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়। ১৯৭০ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর পাকিস্তান কেন্দ্রীয় কর্ম কমিশনের সদস্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক মফিজউদ্দীন আহমেদকে উপাচার্য নিযুক্ত করা হয়। একটি বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ৫টি অনুষদ যথা কলা ও মানবিক, সামাজিক বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, মৌলিক বিজ্ঞান ও ফলিত বিজ্ঞান নিয়ে এর কার্যক্রম শুরু করার সিদ্ধান্ত থাকলেও পরে শুধু সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধীন ৪টি বিভাগ নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। বিভাগগুলি হলো অর্থনীতি, ভূগোল, পরিসংখ্যান এবং গণিত। বাংলা ও ইংরেজি অগুরুত্বপূর্ণ থেকে যায়। শুরুতে ৪টি বিভাগে ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ছিল ১৫০ এবং শিক্ষকশিক্ষিকার সংখ্যা ছিল ২১। অধ্যাপক মালিক খসরু চৌধুরী ছিলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের প্রথম ডিন। রসায়ন এবং পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ২ জন অধ্যাপককে দায়িত্ব দেওয়া হয় নতুন বিভাগ খোলার জন্য। ৪টি বিভাগে ১৫০ জন ছাত্রছাত্রী নিয়ে স্নাতক শ্রেণীতে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৭১ সালের ৪ জানুয়ারি প্রথম ক্লাস শুরু হলেও ১৯৭১ সালের ১২ জানুয়ারি এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর রিয়ার অ্যাডমিরাল এস.এম আহসান। ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়টি একটি প্রকল্প আকারে পরিচালিত হয়। সে বছর জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ ১৯৭০ সংশোধন করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাশ হয়। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টি ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট, ১৯৭৩’ দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। | ||
[[Image:JahangirnagarUniversity2.jpg|thumb|left|400px|শহীদ মিনার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়]] | |||
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫টি অনুষদ রয়েছে: ম্যাথমেটিক্যাল অ্যান্ড ফিজিক্যাল সাইন্স, কলা ও মানবিক, সামাজিক বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, ব্যাবসায় শিক্ষা। এই ৫টি অনুষদের অধীনে ৩০টি বিভাগ রয়েছে। এসব বিভাগে শিক্ষার্থীরা স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করতে পারে। ইনস্টিটিউট অব রিমোট সেনসিং (আইআরএস), ইনস্টিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি (আইআইটি) এবং ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) নামে ৩টি ইনস্টিটিউট রয়েছে। | বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫টি অনুষদ রয়েছে: ম্যাথমেটিক্যাল অ্যান্ড ফিজিক্যাল সাইন্স, কলা ও মানবিক, সামাজিক বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, ব্যাবসায় শিক্ষা। এই ৫টি অনুষদের অধীনে ৩০টি বিভাগ রয়েছে। এসব বিভাগে শিক্ষার্থীরা স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করতে পারে। ইনস্টিটিউট অব রিমোট সেনসিং (আইআরএস), ইনস্টিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি (আইআইটি) এবং ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) নামে ৩টি ইনস্টিটিউট রয়েছে। | ||
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সব বিভাগেই গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের গবেষণালব্ধ থিসিস জমা দিতে হয়। স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভের পর শিক্ষার্থীরা এম.ফিল ও পিএইচ.ডি গবেষণা করতে পারে। অনুষদগুলি আলাদা আলাদা জার্নাল প্রকাশ করে। বিজ্ঞান অনুষদ থেকে জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভারসিটি জার্নাল অব সাইন্স, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ থেকে সোস্যাল সাইন্স রিভিউ, বায়োলজিক্যাল সাইন্স থেকে বাংলাদেশ জার্নাল অব লাইফ সাইন্স এবং কলা অনুষদ থেকে জাহাঙ্গীরনগর রিভিউ পার্ট | বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সব বিভাগেই গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের গবেষণালব্ধ থিসিস জমা দিতে হয়। স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভের পর শিক্ষার্থীরা এম.ফিল ও পিএইচ.ডি গবেষণা করতে পারে। অনুষদগুলি আলাদা আলাদা জার্নাল প্রকাশ করে। বিজ্ঞান অনুষদ থেকে জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভারসিটি জার্নাল অব সাইন্স, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ থেকে সোস্যাল সাইন্স রিভিউ, বায়োলজিক্যাল সাইন্স থেকে বাংলাদেশ জার্নাল অব লাইফ সাইন্স এবং কলা অনুষদ থেকে জাহাঙ্গীরনগর রিভিউ পার্ট-৩। বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয়ভাবে জাহাঙ্গীরনগর রিভিউ নামে একটি জার্নাল বের করে। | ||
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রয়েছে কয়েকটি স্বচ্ছ পানির লেক। শীতের মৌসুমে প্রচুর অতিথি পাখি এখানে আসে। অতিথি পাখি দেখতে অনেক পর্যটক এখানে আসেন। ক্যাম্পাসের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। বিশ্ববিদ্যালয়টি সম্পূর্ণ আবাসিক; প্রত্যেক ছাত্রকে কোন না কোন হলে আবাসিকের ব্যবস্থা করা হয়। | বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রয়েছে কয়েকটি স্বচ্ছ পানির লেক। শীতের মৌসুমে প্রচুর অতিথি পাখি এখানে আসে। অতিথি পাখি দেখতে অনেক পর্যটক এখানে আসেন। ক্যাম্পাসের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। বিশ্ববিদ্যালয়টি সম্পূর্ণ আবাসিক; প্রত্যেক ছাত্রকে কোন না কোন হলে আবাসিকের ব্যবস্থা করা হয়। | ||
সিন্ডিকেট সদস্য দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিচালিত। সিনেট হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক সংস্থা। কোন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত সিনেট গ্রহণ করে। অর্থকমিটি বার্ষিক বাজেট তৈরি করার পর সিনেট যাচাই-বাছাই করে তা অনুমোদন করে। ভাইস-চ্যান্সেলর নিয়োগের জন্য সিনেট তিন সদস্যের একটি প্যানেল তৈরি করে। এই প্যানেল থেকে চ্যান্সেলর চার বছরের জন্য একজন ভাইস-চ্যান্সেলর নিয়োগ দেন। প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর এবং রেজিস্টারও নিয়োগ দেন চ্যান্সেলর। নিয়মতান্ত্রিকভাবে চ্যান্সেলর হন রাষ্ট্রপতি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক এবং একাডেমিক প্রধান হলেন ভাইস-চ্যান্সেলর। ট্রেজারার বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক আর্থিক তহবিল দেখভাল করেন। একাডেমিক কাউন্সিল, অ্যাডভ্যান্স স্টাডিজ বোর্ড, অনুষদ এবং কোর্স সংক্রান্ত কমিটি একাডেমিক ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। বিভিন্ন অনুষদের ডিন এক বা দুই বছরের জন্য নির্বাচিত হন। তবে ডিন হওয়ার জন্য কমপক্ষে সহযোগী অধ্যাপক হতে হয়। বিভাগের সিনিয়র শিক্ষকদের মধ্য থেকে চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। বিভাগীয় চেয়ারম্যানদের কার্যকালের মেয়াদ তিন বছর। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক প্রধান হলেন রেজিস্ট্রার। | সিন্ডিকেট সদস্য দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিচালিত। সিনেট হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক সংস্থা। কোন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত সিনেট গ্রহণ করে। অর্থকমিটি বার্ষিক বাজেট তৈরি করার পর সিনেট যাচাই-বাছাই করে তা অনুমোদন করে। ভাইস-চ্যান্সেলর নিয়োগের জন্য সিনেট তিন সদস্যের একটি প্যানেল তৈরি করে। এই প্যানেল থেকে চ্যান্সেলর চার বছরের জন্য একজন ভাইস-চ্যান্সেলর নিয়োগ দেন। প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর এবং রেজিস্টারও নিয়োগ দেন চ্যান্সেলর। নিয়মতান্ত্রিকভাবে চ্যান্সেলর হন রাষ্ট্রপতি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক এবং একাডেমিক প্রধান হলেন ভাইস-চ্যান্সেলর। ট্রেজারার বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক আর্থিক তহবিল দেখভাল করেন। একাডেমিক কাউন্সিল, অ্যাডভ্যান্স স্টাডিজ বোর্ড, অনুষদ এবং কোর্স সংক্রান্ত কমিটি একাডেমিক ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। বিভিন্ন অনুষদের ডিন এক বা দুই বছরের জন্য নির্বাচিত হন। তবে ডিন হওয়ার জন্য কমপক্ষে সহযোগী অধ্যাপক হতে হয়। বিভাগের সিনিয়র শিক্ষকদের মধ্য থেকে চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। বিভাগীয় চেয়ারম্যানদের কার্যকালের মেয়াদ তিন বছর। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক প্রধান হলেন রেজিস্ট্রার। | ||
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার খুবই সমৃদ্ধ। গ্রন্থাগারটিতে প্রায় ১ লাখ বই আছে। গ্রন্থাগারে রয়েছে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা। বিশ্ববিদ্যালয়ে ১টি কেন্দ্রীয় মসজিদ, ১টি জিমনাসিয়াম, ১টি সুইমিংপুল এবং ১টি ক্যাফেটেরিয়া এবং ছাত্রছাত্রীদের চিকিৎসার জন্য ১টি মেডিকেল সেন্টার রয়েছে। ক্যাম্পাসের বাইরের ছাত্রছাত্রীদের যাতায়াতের জন্য রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরিবহণ ব্যবস্থা। নতুন কলা ভবনের সম্মুখে নির্মিত ৭১ ফুট উচ্চতাসম্পন্ন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু শহীদ মিনার। বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে একটি উন্মুক্ত মঞ্চ যেখানে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড পরিচালিত হয়। ছাত্র-শিক্ষকদের মিলনায়তন হিসেবে রয়েছে একটি ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র। ৩০টিরও বেশি সাংস্কৃতিক সংগঠন তাদের কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দানের জন্য রয়েছে স্টুডেন্টস সেন্টার। বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে ২টি নামকরা ভাস্কর্য। কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে রয়েছে ‘সংসপ্তক’ এবং সামাজিক বিজ্ঞান ভবনের সামনে রয়েছে ‘অমর একুশে’। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের জন্য রয়েছে ১২টি আবাসিক হল। এর মধ্যে ৭টি ছাত্রদের এবং ৫টি ছাত্রীদের। বর্তমানে (২০১০) বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ১২,৩৪০, শিক্ষকশিক্ষিকার সংখ্যা ৫৭০ এবং কর্মকর্তাকর্মচারীর সংখ্যা ১৫৫৫। [মেসবাহ-উস-সালেহীন] | [[Image:JahangirnagarUniversity3.jpg|thumb|left|400px|প্রীতিলতা হল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়]] | ||
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার খুবই সমৃদ্ধ। গ্রন্থাগারটিতে প্রায় ১ লাখ বই আছে। গ্রন্থাগারে রয়েছে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা। বিশ্ববিদ্যালয়ে ১টি কেন্দ্রীয় মসজিদ, ১টি জিমনাসিয়াম, ১টি সুইমিংপুল এবং ১টি ক্যাফেটেরিয়া এবং ছাত্রছাত্রীদের চিকিৎসার জন্য ১টি মেডিকেল সেন্টার রয়েছে। ক্যাম্পাসের বাইরের ছাত্রছাত্রীদের যাতায়াতের জন্য রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরিবহণ ব্যবস্থা। নতুন কলা ভবনের সম্মুখে নির্মিত ৭১ ফুট উচ্চতাসম্পন্ন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু শহীদ মিনার। বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে একটি উন্মুক্ত মঞ্চ যেখানে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড পরিচালিত হয়। ছাত্র-শিক্ষকদের মিলনায়তন হিসেবে রয়েছে একটি ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র। ৩০টিরও বেশি সাংস্কৃতিক সংগঠন তাদের কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দানের জন্য রয়েছে স্টুডেন্টস সেন্টার। বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে ২টি নামকরা ভাস্কর্য। কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে রয়েছে ‘সংসপ্তক’ এবং সামাজিক বিজ্ঞান ভবনের সামনে রয়েছে ‘অমর একুশে’। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের জন্য রয়েছে ১২টি আবাসিক হল। এর মধ্যে ৭টি ছাত্রদের এবং ৫টি ছাত্রীদের। বর্তমানে (২০১০) বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ১২,৩৪০, শিক্ষকশিক্ষিকার সংখ্যা ৫৭০ এবং কর্মকর্তাকর্মচারীর সংখ্যা ১৫৫৫। [মেসবাহ-উস-সালেহীন] | |||
[[en:Jahangirnagar University]] | [[en:Jahangirnagar University]] |
০৪:২৬, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। রাজধানী ঢাকা থেকে ৩২ কিমি দূরে সাভারে এশিয়ান হাইওয়ের (ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক) পশ্চিম পার্শ্বে ৬৯৭.৫৬ একর ভূমির উপর এটি প্রতিষ্ঠিত।
১৯৬০ এর দশকে পাকিস্তান সরকার পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তানে একই ধরনের দু’টি আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৬৪ সালের জুন মাসে পূর্ব পাকিস্তান শিক্ষা বিভাগ ঢাকার কাছে একটি আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রকল্প গ্রহণ করে।
এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মূল লক্ষ্য ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর ক্রমবর্ধমান চাপ কমানো। ১৯৬৫ সালের জুনে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ এ প্রকল্পটি অনুমোদন করে। এই প্রকল্পের উপর ভিত্তি করে গাজীপুর জেলার সালনা এলাকায় প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ১৯৬৭ সালে সাভারে সরকারি দুগ্ধ খামারের কাছ থেকে ৭৫০ একর জমি বরাদ্দ নেওয়া হয়। বিশ শতকের আশির দশকের প্রথামার্ধে ক্যাম্পাসের দক্ষিণ পাশ থেকে ৫০ একর জায়গা বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রকে দিয়ে দেওয়া হয়।
১৯৭০ সালের এপ্রিল মাসে ‘জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ ১৯৭০’-এর আওতায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম শুরু হয় এবং অধ্যাপক সুরত আলী খানকে প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়। ১৯৭০ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর পাকিস্তান কেন্দ্রীয় কর্ম কমিশনের সদস্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক মফিজউদ্দীন আহমেদকে উপাচার্য নিযুক্ত করা হয়। একটি বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ৫টি অনুষদ যথা কলা ও মানবিক, সামাজিক বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, মৌলিক বিজ্ঞান ও ফলিত বিজ্ঞান নিয়ে এর কার্যক্রম শুরু করার সিদ্ধান্ত থাকলেও পরে শুধু সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধীন ৪টি বিভাগ নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। বিভাগগুলি হলো অর্থনীতি, ভূগোল, পরিসংখ্যান এবং গণিত। বাংলা ও ইংরেজি অগুরুত্বপূর্ণ থেকে যায়। শুরুতে ৪টি বিভাগে ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ছিল ১৫০ এবং শিক্ষকশিক্ষিকার সংখ্যা ছিল ২১। অধ্যাপক মালিক খসরু চৌধুরী ছিলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের প্রথম ডিন। রসায়ন এবং পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ২ জন অধ্যাপককে দায়িত্ব দেওয়া হয় নতুন বিভাগ খোলার জন্য। ৪টি বিভাগে ১৫০ জন ছাত্রছাত্রী নিয়ে স্নাতক শ্রেণীতে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৭১ সালের ৪ জানুয়ারি প্রথম ক্লাস শুরু হলেও ১৯৭১ সালের ১২ জানুয়ারি এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর রিয়ার অ্যাডমিরাল এস.এম আহসান। ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়টি একটি প্রকল্প আকারে পরিচালিত হয়। সে বছর জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ ১৯৭০ সংশোধন করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাশ হয়। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টি ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট, ১৯৭৩’ দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫টি অনুষদ রয়েছে: ম্যাথমেটিক্যাল অ্যান্ড ফিজিক্যাল সাইন্স, কলা ও মানবিক, সামাজিক বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, ব্যাবসায় শিক্ষা। এই ৫টি অনুষদের অধীনে ৩০টি বিভাগ রয়েছে। এসব বিভাগে শিক্ষার্থীরা স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করতে পারে। ইনস্টিটিউট অব রিমোট সেনসিং (আইআরএস), ইনস্টিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি (আইআইটি) এবং ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) নামে ৩টি ইনস্টিটিউট রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সব বিভাগেই গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের গবেষণালব্ধ থিসিস জমা দিতে হয়। স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভের পর শিক্ষার্থীরা এম.ফিল ও পিএইচ.ডি গবেষণা করতে পারে। অনুষদগুলি আলাদা আলাদা জার্নাল প্রকাশ করে। বিজ্ঞান অনুষদ থেকে জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভারসিটি জার্নাল অব সাইন্স, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ থেকে সোস্যাল সাইন্স রিভিউ, বায়োলজিক্যাল সাইন্স থেকে বাংলাদেশ জার্নাল অব লাইফ সাইন্স এবং কলা অনুষদ থেকে জাহাঙ্গীরনগর রিভিউ পার্ট-৩। বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয়ভাবে জাহাঙ্গীরনগর রিভিউ নামে একটি জার্নাল বের করে।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রয়েছে কয়েকটি স্বচ্ছ পানির লেক। শীতের মৌসুমে প্রচুর অতিথি পাখি এখানে আসে। অতিথি পাখি দেখতে অনেক পর্যটক এখানে আসেন। ক্যাম্পাসের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। বিশ্ববিদ্যালয়টি সম্পূর্ণ আবাসিক; প্রত্যেক ছাত্রকে কোন না কোন হলে আবাসিকের ব্যবস্থা করা হয়।
সিন্ডিকেট সদস্য দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিচালিত। সিনেট হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক সংস্থা। কোন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত সিনেট গ্রহণ করে। অর্থকমিটি বার্ষিক বাজেট তৈরি করার পর সিনেট যাচাই-বাছাই করে তা অনুমোদন করে। ভাইস-চ্যান্সেলর নিয়োগের জন্য সিনেট তিন সদস্যের একটি প্যানেল তৈরি করে। এই প্যানেল থেকে চ্যান্সেলর চার বছরের জন্য একজন ভাইস-চ্যান্সেলর নিয়োগ দেন। প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর এবং রেজিস্টারও নিয়োগ দেন চ্যান্সেলর। নিয়মতান্ত্রিকভাবে চ্যান্সেলর হন রাষ্ট্রপতি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক এবং একাডেমিক প্রধান হলেন ভাইস-চ্যান্সেলর। ট্রেজারার বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক আর্থিক তহবিল দেখভাল করেন। একাডেমিক কাউন্সিল, অ্যাডভ্যান্স স্টাডিজ বোর্ড, অনুষদ এবং কোর্স সংক্রান্ত কমিটি একাডেমিক ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। বিভিন্ন অনুষদের ডিন এক বা দুই বছরের জন্য নির্বাচিত হন। তবে ডিন হওয়ার জন্য কমপক্ষে সহযোগী অধ্যাপক হতে হয়। বিভাগের সিনিয়র শিক্ষকদের মধ্য থেকে চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। বিভাগীয় চেয়ারম্যানদের কার্যকালের মেয়াদ তিন বছর। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক প্রধান হলেন রেজিস্ট্রার।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার খুবই সমৃদ্ধ। গ্রন্থাগারটিতে প্রায় ১ লাখ বই আছে। গ্রন্থাগারে রয়েছে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা। বিশ্ববিদ্যালয়ে ১টি কেন্দ্রীয় মসজিদ, ১টি জিমনাসিয়াম, ১টি সুইমিংপুল এবং ১টি ক্যাফেটেরিয়া এবং ছাত্রছাত্রীদের চিকিৎসার জন্য ১টি মেডিকেল সেন্টার রয়েছে। ক্যাম্পাসের বাইরের ছাত্রছাত্রীদের যাতায়াতের জন্য রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরিবহণ ব্যবস্থা। নতুন কলা ভবনের সম্মুখে নির্মিত ৭১ ফুট উচ্চতাসম্পন্ন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু শহীদ মিনার। বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে একটি উন্মুক্ত মঞ্চ যেখানে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড পরিচালিত হয়। ছাত্র-শিক্ষকদের মিলনায়তন হিসেবে রয়েছে একটি ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র। ৩০টিরও বেশি সাংস্কৃতিক সংগঠন তাদের কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দানের জন্য রয়েছে স্টুডেন্টস সেন্টার। বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে ২টি নামকরা ভাস্কর্য। কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে রয়েছে ‘সংসপ্তক’ এবং সামাজিক বিজ্ঞান ভবনের সামনে রয়েছে ‘অমর একুশে’। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের জন্য রয়েছে ১২টি আবাসিক হল। এর মধ্যে ৭টি ছাত্রদের এবং ৫টি ছাত্রীদের। বর্তমানে (২০১০) বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ১২,৩৪০, শিক্ষকশিক্ষিকার সংখ্যা ৫৭০ এবং কর্মকর্তাকর্মচারীর সংখ্যা ১৫৫৫। [মেসবাহ-উস-সালেহীন]