জাকারিয়া, মোহাম্মদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Category:বাংলাপিডিয়া]] | [[Category:বাংলাপিডিয়া]] | ||
[[Image:ZakariaMohammad.jpg|right|thumbnail|300px|মোহাম্মদ জাকারিয়া]] | |||
'''জাকারিয়া, মোহাম্মদ '''(১৯২৩-১৯৯৩) অভিনেতা, প্রযোজক। পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলায় তাঁর জন্ম। তিনি সিউড়ি বেণীমাধব ইনস্টিটিউশন থেকে ম্যাট্রিক পাস করে হেতমপুর কলেজে ইন্টারমিডিয়েট পড়ার সময় রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানি অফিসে সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন। | '''জাকারিয়া, মোহাম্মদ '''(১৯২৩-১৯৯৩) অভিনেতা, প্রযোজক। পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলায় তাঁর জন্ম। তিনি সিউড়ি বেণীমাধব ইনস্টিটিউশন থেকে ম্যাট্রিক পাস করে হেতমপুর কলেজে ইন্টারমিডিয়েট পড়ার সময় রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানি অফিসে সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন। | ||
০৪:১৯, ৭ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
জাকারিয়া, মোহাম্মদ (১৯২৩-১৯৯৩) অভিনেতা, প্রযোজক। পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলায় তাঁর জন্ম। তিনি সিউড়ি বেণীমাধব ইনস্টিটিউশন থেকে ম্যাট্রিক পাস করে হেতমপুর কলেজে ইন্টারমিডিয়েট পড়ার সময় রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানি অফিসে সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন।
অভিনয়শিল্পের প্রতি মোহাম্মদ জাকারিয়ার ছিল সহজাত আকর্ষণ। তিনি কলকাতার ভারতীয় গণনাট্য সংঘ প্রযোজিত বিজন ভট্টাচার্যের নবান্ন (১৯৪৪) নাটকে প্রথম অভিনয় করেন। পরে বহুরূপী, থিয়েটার সেন্টার, লোকনাট্যম প্রভৃতি নাট্যগোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত থেকে বিভিন্ন নাটকে অভিনয় করে তিনি সুনাম অর্জন করেন। ওই সময় মুসলিম পরিবারের সন্তানদের ক্ষেত্রে সচরাচর এরূপটি দেখা যেত না। তাঁর অভিনীত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য নাটক হলো: উলুখাগড়া (১৯৫০), ছেঁড়া তার (১৯৫২), দশচক্র (১৯৫২), ধর্মঘট (১৯৫৩), রক্তকরবী (১৯৫৪), ডাকঘর (১৯৫৭), অঘটন আজো ঘটে (১৯৬১), এক পেয়ালা কফি (১৯৬২), সাইকোথেরাপি প্রভৃতি।
১৯৬৪ সালে মোহাম্মদ জাকারিয়া কলকাতা থেকে ঢাকায় এসে চিত্র পরিচালক জহির রায়হানের বাহানা (১৯৬৫) ও বেহুলা (১৯৬৬) এবং সৈয়দ মোহাম্মদ পারভেজের বেগানা (১৯৬৬) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।
তিনি ১৯৬৬ সালে পাকিস্তান টেলিভিশনের ঢাকা কেন্দ্রের প্রযোজক হিসেবে যোগদান করেন। ঢাকার মঞ্চ, বেতার ও টিভি নাটকে তাঁর অভিনয়-প্রতিভার আরও বিকাশ ঘটে। এখানে তাঁর প্রথম মঞ্চাভিনয় থিয়েটার নাট্যগোষ্ঠী প্রযোজিত মুনীর চৌধুরীর কবর (১৯৭২) নাটকে। তিনি ওই সংগঠনের অন্যতম উদ্যোক্তা ও সহসভাপতি ছিলেন। পরবর্তীকালে মঞ্চে ও টিভিতে তাঁর অভিনীত নাটকের সংখ্যা অনেক। সুবচন নির্বাসনে (১৯৭৪), পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায় (১৯৭৬) এবং দুই বোন (১৯৭৮) নাটকে যথাক্রমে ‘বাবা’, ‘পীরসাহেব’ ও ‘মথুরদা’ চরিত্রে অভিনয় করে তিনি দর্শকদের প্রশংসা অর্জন করেন। তিনি নাটকের অনুবাদ ও নাট্যবিষয়ক মননশীল প্রবন্ধ রচনা করেও খ্যাতি অর্জন করেন।
চল্লিশের দশক থেকে আশির দশক পর্যন্ত নাট্যাভিনয়ের ক্ষেত্রে মোহাম্মদ জাকারিয়া একটি পরিশীলিত ধারার সৃষ্টি করেন। সাহিত্য-সংস্কৃতিতে বিশেষ অবদানের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাঁকে পুরস্কৃত ও সংবর্ধিত করে, যথা: জাতীয় নাট্যোৎসব পুরস্কার (নয়াদিল্লি ১৯৫৪), বাংলাদেশ সরকারের একুশে পদক (১৯৮১), কাজী মাহবুবউল্লাহ জেবুন্নেসা ট্রাস্ট পদক (১৯৮৩), বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৭৮), বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি পুরস্কার (১৯৮৫), সিকোয়েন্স এওয়ার্ড অব মেরিট (১৯৮০), ঢাকা থিয়েটার-এর গুণীজন সংবর্ধনা (১৯৮১), লোকনাট্য দলের সংবর্ধনা (১৯৯১) এবং সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট পদক (১৯৯২)। থিয়েটার নাট্যগোষ্ঠী তাঁর স্মরণে ১৯৯৭ সালে ‘মোহাম্মদ জাকারিয়া স্মৃতিপদক’ প্রবর্তন করে। [অনুপম হায়াৎ]