জয়দেব মিশ্র্র: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
২ নং লাইন: | ২ নং লাইন: | ||
'''জয়দেব মিশ্র''' (পনের’শ শতক) নৈয়ায়িক ও [[সংস্কৃত|সংস্কৃত]] পন্ডিত। তাঁর অপর নাম পক্ষধর মিশ্র। তিনি বিহারের মিথিলায় জন্মগ্রহণ করেন। জয়দেবের প্রধান গ্রন্থ মণ্যালোক নব্যন্যায়ের একটি বিখ্যাত টীকাগ্রন্থ। এ গ্রন্থ অবলম্বনে প্রায় দুশ বছর ধরে নব্যন্যায়ের বহু টীকা-টিপ্পনী রচিত হয়েছে। এর প্রভাবে তখন মিথিলাসহ ভারতের বহু প্রদেশে নব্যন্যায়ের একটি পৃথক ও প্রবল সম্প্রদায় গড়ে ওঠে। তাঁর রচিত অন্যান্য গ্রন্থের মধ্যে আলোক (তিন খন্ড), বর্ধমানোপাধ্যায় বিরচিত দ্রব্যপ্রকাশ-এর টীকা, লীলাবতীবিবেক শীর্ষক লীলাবতীপ্রকাশ-এর টীকা, প্রত্যক্ষখন্ড ও অনুমানখন্ড উল্লেখযোগ্য। | '''জয়দেব মিশ্র''' (পনের’শ শতক) নৈয়ায়িক ও [[সংস্কৃত|সংস্কৃত]] পন্ডিত। তাঁর অপর নাম পক্ষধর মিশ্র। তিনি বিহারের মিথিলায় জন্মগ্রহণ করেন। জয়দেবের প্রধান গ্রন্থ মণ্যালোক নব্যন্যায়ের একটি বিখ্যাত টীকাগ্রন্থ। এ গ্রন্থ অবলম্বনে প্রায় দুশ বছর ধরে নব্যন্যায়ের বহু টীকা-টিপ্পনী রচিত হয়েছে। এর প্রভাবে তখন মিথিলাসহ ভারতের বহু প্রদেশে নব্যন্যায়ের একটি পৃথক ও প্রবল সম্প্রদায় গড়ে ওঠে। তাঁর রচিত অন্যান্য গ্রন্থের মধ্যে আলোক (তিন খন্ড), বর্ধমানোপাধ্যায় বিরচিত দ্রব্যপ্রকাশ-এর টীকা, লীলাবতীবিবেক শীর্ষক লীলাবতীপ্রকাশ-এর টীকা, প্রত্যক্ষখন্ড ও অনুমানখন্ড উল্লেখযোগ্য। | ||
প্রবাদ আছে যে, জয়দেব ছিলেন যজ্ঞপতি উপাধ্যায়ের ছাত্র। একবার গুরু-শিষ্যের দুই পক্ষের মধ্যে ন্যায়ের বিতর্কে জয়দেব পক্ষই বিজয়ী হয়। মিথিলার সারস্বত সমাজে জয়দেবের রচনাবলি বিস্ময়কর প্রতিভার সাক্ষ্য বহন করছে। | প্রবাদ আছে যে, জয়দেব ছিলেন যজ্ঞপতি উপাধ্যায়ের ছাত্র। একবার গুরু-শিষ্যের দুই পক্ষের মধ্যে ন্যায়ের বিতর্কে জয়দেব পক্ষই বিজয়ী হয়। মিথিলার সারস্বত সমাজে জয়দেবের রচনাবলি বিস্ময়কর প্রতিভার সাক্ষ্য বহন করছে। [মঞ্জুলা চৌধুরী] | ||
[মঞ্জুলা চৌধুরী] | |||
[[en:Jaydev Mishra]] | [[en:Jaydev Mishra]] |
১০:৫০, ১ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
জয়দেব মিশ্র (পনের’শ শতক) নৈয়ায়িক ও সংস্কৃত পন্ডিত। তাঁর অপর নাম পক্ষধর মিশ্র। তিনি বিহারের মিথিলায় জন্মগ্রহণ করেন। জয়দেবের প্রধান গ্রন্থ মণ্যালোক নব্যন্যায়ের একটি বিখ্যাত টীকাগ্রন্থ। এ গ্রন্থ অবলম্বনে প্রায় দুশ বছর ধরে নব্যন্যায়ের বহু টীকা-টিপ্পনী রচিত হয়েছে। এর প্রভাবে তখন মিথিলাসহ ভারতের বহু প্রদেশে নব্যন্যায়ের একটি পৃথক ও প্রবল সম্প্রদায় গড়ে ওঠে। তাঁর রচিত অন্যান্য গ্রন্থের মধ্যে আলোক (তিন খন্ড), বর্ধমানোপাধ্যায় বিরচিত দ্রব্যপ্রকাশ-এর টীকা, লীলাবতীবিবেক শীর্ষক লীলাবতীপ্রকাশ-এর টীকা, প্রত্যক্ষখন্ড ও অনুমানখন্ড উল্লেখযোগ্য।
প্রবাদ আছে যে, জয়দেব ছিলেন যজ্ঞপতি উপাধ্যায়ের ছাত্র। একবার গুরু-শিষ্যের দুই পক্ষের মধ্যে ন্যায়ের বিতর্কে জয়দেব পক্ষই বিজয়ী হয়। মিথিলার সারস্বত সমাজে জয়দেবের রচনাবলি বিস্ময়কর প্রতিভার সাক্ষ্য বহন করছে। [মঞ্জুলা চৌধুরী]