জকিগঞ্জ উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
২০ নং লাইন: | ২০ নং লাইন: | ||
{| class="table table-bordered table-hover" | {| class="table table-bordered table-hover" | ||
|- | |- | ||
|পৌরসভা | | colspan="9" | পৌরসভা | ||
|- | |- | ||
| আয়তন(বর্গ কিমি) || ওয়ার্ড || মহল্লা || লোকসংখ্যা || ঘনত্ব(প্রতি বর্গ কিমি) || শিক্ষার হার (%) | | আয়তন(বর্গ কিমি) || ওয়ার্ড || মহল্লা || লোকসংখ্যা || ঘনত্ব(প্রতি বর্গ কিমি) || শিক্ষার হার (%) |
১০:৪১, ২৭ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
জকিগঞ্জ উপজেলা (সিলেট জেলা) আয়তন: ২৮৭.৩৩ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৪°৫১´ থেকে ২৫°০০´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯২°১৩´ থেকে ৯২°৩০´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে কানাইঘাট উপজেলা ও ভারতের মেঘালয় রাজ্য, পূর্ব ও দক্ষিণে ভারতের আসাম রাজ্য, পশ্চিমে বিয়ানীবাজার উপজেলা।
জনসংখ্যা ১৯৮৩৯৯; পুরুষ ৯৯৮২২, মহিলা ৯৮৫৭৭। মুসলিম ১৭৭৮৪২, হিন্দু ২০৫১৩, খ্রিস্টান ১০ এবং অন্যান্য ৩৪।
জলাশয় প্রধান নদী: সুরমা ও কুশিয়ারা। বালাই হাওড় এবং ধানকুরি, ডুবাইল, সিঙ্গইকুড়ি বিল উল্লেখযোগ্য।
প্রশাসন থানা গঠিত হয় ১৯৪৭ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৩ সালে।
উপজেলা | ||||||||
পৌরসভা | ইউনিয়ন | মৌজা | গ্রাম | জনসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | ||
শহর | গ্রাম | শহর | গ্রাম | |||||
১ | ৯ | ১১৯ | ২৭৬ | ১৬৩০৭ | ১৮২০৯২ | ৬৯০ | ৪৮.৭৫ | ৪৪.৯১ |
পৌরসভা | ||||||||
আয়তন(বর্গ কিমি) | ওয়ার্ড | মহল্লা | লোকসংখ্যা | ঘনত্ব(প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | |||
৬.৩৯ | ৯ | ১৭ | ১০৭৬২ | ১৬৮৪ | ৫৩.৪১ |
উপজেলা শহর | ||||||||
আয়তন (বর্গকিমি) | মৌজা | লোকসংখ্যা | ঘনত্ব(প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | ||||
৯.৫৬ | ৩ | ৫৫৪৫ | ৫৮২ | ৩৯.৩৯ |
ইউনিয়ন | ||||||||
ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড | আয়তন (একর) | লোকসংখ্যা | শিক্ষার হার (%) | |||||
পুরুষ | মহিলা | |||||||
কাজলশার ৪৭ | ৯৭০৮ | ১১১১৫ | ১০৯৩২ | ৪১.৯৭ | ||||
কাশকনকপুর ৩৮ | ৪৬১৬ | ৮২৭৪ | ৮৪৩৩ | ৪৫.৬৭ | ||||
খলাছড়া ৫৭ | ৭৬৫৮ | ৯৫৭৪ | ৯২৭৩ | ৩৭.৪৮ | ||||
জকিগঞ্জ ৮৫ | ৫৩৪৯ | ৭১০২ | ৬৭০৪ | ৪৫.৮৬ | ||||
বার ঠাকুরি ১৯ | ৫১১১ | ৯৮৬১ | ৯৮৭৩ | ৪১.২২ | ||||
বারহাল ১৫ | ৪৩৯ | ১৩৯৯৪ | ১৪০৩৮ | ৪২.৯৪ | ||||
বিরাশ্রী ২৮ | ৮২৬৮ | ১০২৫৫ | ৯৯৫৯ | ৫১.৩৪ | ||||
মানিকপুর ৬৬ | ৯৮৮৪ | ১২৯৫৮ | ১২৫৩৭ | ৪৬.২৭ | ||||
সুলতানপুর ৭৬ | ৫৪৮১ | ১১১৫৭ | ১১৫৯৮ | ৪৯.৬৯ |
সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ নবাবী মসজিদ (খিলগ্রাম), সাজিদ বাজার মসজিদ, বারঠাকুরির গায়েবী দিঘি (এখান থেকে প্রায় ৪০০ বছরের পুরাতন শিলালিপি উদ্ধার করা হয়েছে যা বর্তমানে জাতীয় যাদুঘরে সংরক্ষিত আছে)।
মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালে এপ্রিল মাসে পাকবাহিনী জকিগঞ্জে প্রবেশ করে এবং উপজেলায় ব্যাপক অগ্নিসংযোগ, লুণ্ঠন ও গণহত্যা চালায়। ২১ এপ্রিল জকিগঞ্জ হানাদার মুক্ত হয়।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন গণকবর ২ (আটগ্রাম বাজার ও কালীগঞ্জ বাজার)।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ৪৬৩, মন্দির ৭৩, মাযার ৯।
শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৪৫.২২%; পুরুষ ৪৯.৯৭%, মহিলা ৪০.৪৬%। কলেজ ৪, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২৩, প্রাথমিক বিদ্যালয় ১২৭, কমিউনিটি বিদ্যালয় ১৪, কিন্ডার গার্টেন ৪, মাদ্রাসা ৪৭। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: গুরুসদয় উচ্চ বিদ্যালয় (১৮৫৭), বারহাল এহিয়া উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৩৫), ইছামতি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৫৭), ফুলতলী আলীয়া মাদ্রাসা (১৯২০)।
পত্র-পত্রিকা বাঁশরী (ত্রৈমাসিক); অবলুপ্ত: শিশির।
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ক্লাব ৮, প্রেসক্লাব ১, লাইব্রেরি ৩, খেলার মাঠ ১০।
জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৪৬.০৬%, অকৃষি শ্রমিক ৯.০৬%, শিল্প ০.৭৪%, ব্যবসা ১২.৮৪%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ১.৬৪%, চাকরি ৫.৮০%, নির্মাণ ১.৮৪%, ধর্মীয় সেবা ১.১৯%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ৬.৯৩% এবং অন্যান্য ১৩.৯০%।
কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৫১.৩১%, ভূমিহীন ৪৮.৬৯%। শহরে ৪৪.৪১% এবং গ্রামে ৫১.৯৪% পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে।
প্রধান কৃষি ফসল ধান, সয়াবিন, শাকসবজি।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি তিল, সরিষা, মিষ্টি আলু।
প্রধান ফল-ফলাদি আম, কাঁঠাল, কলা, পেঁপে, সুপারি।
মৎস্য, গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগির খামার এ উপজেলায় মৎস্য, গবাদিপশু, হাঁস-মুরগির খামার ও হ্যাচারি রয়েছে।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন গরু ও ঘোড়ার গাড়ি, পাল্কি।
শিল্প ও কলকারখানা ধানকল, ওয়েলডিং কারখানা।
কুটিরশিল্প তাঁতশিল্প, স্বর্ণশিল্প, কাঠের কাজ, সেলাই কাজ।
হাটবাজার জকিগঞ্জ বাজার, কালীগঞ্জ বাজার ও শাহগলী বাজার উল্লেখযোগ্য।
প্রধান রপ্তানিদ্রব্য সুপারি, মাছ।
বিদ্যুৎ ব্যবহার এ উপজেলার সবক’টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসুচির আওতাধীন। তবে ১৭.৫৪% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৩৬.৮৩%, ট্যাপ ১.৬১%, পুকুর ৫৯.৮১% এবং অন্যান্য ১.৭৪%। এ উপজেলার ১৮.১৯% নলকূপের পানিতে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিকের উপস্থিতি প্রমাণিত হয়েছে।
স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ উপজেলার ২৭.৪৪% (শহরে ৫০.৪৪% এবং গ্রামে ২৫.৩৫%) পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৬৮.৬৮% (শহরে ৪৩.৯৩% এবং গ্রামে ৭০.৯৩%) পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ৩.৮৮% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র হাসপাতাল ৪, উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ১, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ১০।
এনজিও ব্র্যাক। [মোঃ আব্দুল হাকিম]
তথ্যসূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; জকিগগঞ্জ উপজেলার মাঠ পর্যায়ের প্রতিবেদন ২০১০।