চৌধুরী, খানবাহাদুর আবিদুর রেজা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Image:ChowdhuryAbidurReza.jpg|thumb|400px|right|আবিদুর রেজা চৌধুরী]]
'''চৌধুরী, খানবাহাদুর আবিদুর রেজা''' (১৮৭২-১৯৬১)  রাজনীতিক,  সমাজকর্মী। জন্ম ১৮৭২ সালে চাঁদপুর জেলার রূপসা জমিদার পরিবারে। খান বাহাদুর আবিদুর রেজা চৌধুরীর রাজনৈতিক জীবনের সূচনা হয় ১৯২০ সালে চাঁদপুর লোকাল বোর্ডের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার মাধ্যমে। ১৯৪০ সাল পর্যন্ত তিনি এ পদে পরপর নির্বাচিত হন। এলাকার সার্বিক উন্নয়ন ও জন সচেতনতায় তাঁর ব্যাপক অবদান ছিল।
'''চৌধুরী, খানবাহাদুর আবিদুর রেজা''' (১৮৭২-১৯৬১)  রাজনীতিক,  সমাজকর্মী। জন্ম ১৮৭২ সালে চাঁদপুর জেলার রূপসা জমিদার পরিবারে। খান বাহাদুর আবিদুর রেজা চৌধুরীর রাজনৈতিক জীবনের সূচনা হয় ১৯২০ সালে চাঁদপুর লোকাল বোর্ডের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার মাধ্যমে। ১৯৪০ সাল পর্যন্ত তিনি এ পদে পরপর নির্বাচিত হন। এলাকার সার্বিক উন্নয়ন ও জন সচেতনতায় তাঁর ব্যাপক অবদান ছিল।


৫ নং লাইন: ৬ নং লাইন:


তৎকালে জেলা বোর্ড চেয়ারম্যানদের প্রত্যেকেই ছিলেন প্রথিতযশা রাজনীতিক, যাঁদের মধ্যে বগুড়ার মোহাম্মদ আলী, ময়মনসিংহের নুরুল আমীন, ফরিদপুরের ইউসুফ আলী চৌধুরী (মোহন মিয়া), চট্টগ্রামের ফজলুল কাদের চৌধুরী এবং ঢাকার খাজা শাহাবুদ্দিনের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।  
তৎকালে জেলা বোর্ড চেয়ারম্যানদের প্রত্যেকেই ছিলেন প্রথিতযশা রাজনীতিক, যাঁদের মধ্যে বগুড়ার মোহাম্মদ আলী, ময়মনসিংহের নুরুল আমীন, ফরিদপুরের ইউসুফ আলী চৌধুরী (মোহন মিয়া), চট্টগ্রামের ফজলুল কাদের চৌধুরী এবং ঢাকার খাজা শাহাবুদ্দিনের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।  
[[Image:ChowdhuryAbidurReza.jpg|thumb|right|আবিদুর রেজা চৌধুরী]]


আবিদুর রেজা চৌধুরী ১৯০৬ সালে ঢাকার নবাব বাড়িতে মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার জন্য আহূত সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। তিনি ১৯৩৭ এবং ১৯৪৬ সালে মুসলিম লীগের প্রার্থী হিসাবে বেঙ্গল লেজিসলেটিভ এসেম্বলীর সদস্য নির্বাচিত হন। প্রাদেশিক মুসলিম লীগ ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য হিসেবেও তিনি দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৩৫ থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত কুমিল্লা জেলা মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোর্টের (বর্তমানে সিনেট) সদস্য এবং কুমিল্লা স্কুল বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন।
আবিদুর রেজা চৌধুরী ১৯০৬ সালে ঢাকার নবাব বাড়িতে মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার জন্য আহূত সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। তিনি ১৯৩৭ এবং ১৯৪৬ সালে মুসলিম লীগের প্রার্থী হিসাবে বেঙ্গল লেজিসলেটিভ এসেম্বলীর সদস্য নির্বাচিত হন। প্রাদেশিক মুসলিম লীগ ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য হিসেবেও তিনি দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৩৫ থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত কুমিল্লা জেলা মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোর্টের (বর্তমানে সিনেট) সদস্য এবং কুমিল্লা স্কুল বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন।

০৭:০৬, ২৩ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

আবিদুর রেজা চৌধুরী

চৌধুরী, খানবাহাদুর আবিদুর রেজা (১৮৭২-১৯৬১)  রাজনীতিক,  সমাজকর্মী। জন্ম ১৮৭২ সালে চাঁদপুর জেলার রূপসা জমিদার পরিবারে। খান বাহাদুর আবিদুর রেজা চৌধুরীর রাজনৈতিক জীবনের সূচনা হয় ১৯২০ সালে চাঁদপুর লোকাল বোর্ডের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার মাধ্যমে। ১৯৪০ সাল পর্যন্ত তিনি এ পদে পরপর নির্বাচিত হন। এলাকার সার্বিক উন্নয়ন ও জন সচেতনতায় তাঁর ব্যাপক অবদান ছিল।

আবিদুর রেজা চৌধুরী ১৯৩০ সালে কুমিল্লা (তৎকালীন ত্রিপুরা) জেলা বোর্ডের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এবং ১৯৫৯ সাল পর্যন্ত পরপর কয়েকবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৫৮ সালের ১৬ মে কুমিল্লায় তাঁর চেয়ারম্যানশীপের রজত জয়ন্তী উৎসব পালিত হয়। তিনি দীর্ঘদিন নিখিল বঙ্গ জেলা বোর্ড চেয়ারম্যান এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ছিলেন।

তৎকালে জেলা বোর্ড চেয়ারম্যানদের প্রত্যেকেই ছিলেন প্রথিতযশা রাজনীতিক, যাঁদের মধ্যে বগুড়ার মোহাম্মদ আলী, ময়মনসিংহের নুরুল আমীন, ফরিদপুরের ইউসুফ আলী চৌধুরী (মোহন মিয়া), চট্টগ্রামের ফজলুল কাদের চৌধুরী এবং ঢাকার খাজা শাহাবুদ্দিনের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

আবিদুর রেজা চৌধুরী ১৯০৬ সালে ঢাকার নবাব বাড়িতে মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার জন্য আহূত সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। তিনি ১৯৩৭ এবং ১৯৪৬ সালে মুসলিম লীগের প্রার্থী হিসাবে বেঙ্গল লেজিসলেটিভ এসেম্বলীর সদস্য নির্বাচিত হন। প্রাদেশিক মুসলিম লীগ ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য হিসেবেও তিনি দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৩৫ থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত কুমিল্লা জেলা মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোর্টের (বর্তমানে সিনেট) সদস্য এবং কুমিল্লা স্কুল বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন।

মুসলিম লীগের পক্ষে জনমত গঠনের জন্য ১৯৩৭ সালের জানুয়ারি মাসে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বাংলায় সফর করেন। আবিদুর রেজা চৌধুরীর নেতৃত্বে তৎকালীন সময়ে চল্লিশ সহস্রাধিক লোক তাঁকে কুমিল্লায় অভ্যর্থনা জানায়। জিন্নাহর তৎকালীন বাংলা সফরে কুমিল্লার এই সংবর্ধনা সভাকেই সর্ববৃহৎ সভা বলে জিন্নাহ নিজে মন্তব্য করেন।

ব্রিটিশ সরকার ১৯৩০ সালে আবিদুর রেজা চৌধুরীকে খান বাহাদুর উপাধিতে ভূষিত করেন। ভারতের মুসলমানদের সঙ্গে ব্রিটিশ সরকারের আচরণের প্রতিবাদে আবিদুর রেজা চৌধুরী ১৯৪৬ সালে তাঁর ‘খানবাহাদুর’ পদবী প্রত্যাহার করেন। ১৯৫৪ সালে পাকিস্তান সরকার তাঁকে ‘তমঘায়ে খিদমত’ খেতাবে ভূষিত করে।

আবিদুর রেজা ছিলেন স্বশিক্ষিত। শৈশবে দুর্বল স্বাস্থ্যের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা অর্জন করতে না পারলেও পারিবারিক বলয়ে অর্জিত বিদ্যা এবং পারিবারিক শিক্ষার মাধ্যমে তিনি গভীর জ্ঞানের অধিকারী হন। তাঁর উদ্যোগে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক স্কুল ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয়।

খান বাহাদুর আবিদুর রেজা ছিলেন চিরকুমার। ১৯৬১ সালের ১৬ জানুয়ারি তাঁর মৃত্যু হয়।  [ওয়াজেদ চৌধুরী]