চিকা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Category:বাংলাপিডিয়া]] | [[Category:বাংলাপিডিয়া]] | ||
'''চিকা''' (Shrew) Insectivora বর্গের Sorcidae গোত্রের ইঁদুরসদৃশ স্তন্যপায়ী প্রাণী। এরা ছুঁচো বা গন্ধমুষিক নামেও পরিচিত। বাংলাদেশে দু প্রজাতির চিকা আছে, ধূসর গন্ধমূষিক/Grey Musk Shrew (Suncus murinus) এবং বামন-চিকা/Pygmy Shrew (Suncus etruscus)। উল্লিখিত প্রথম চিকাটি শহর, গ্রাম ও বনাঞ্চলসহ দেশের সর্বত্র পাওয়া যায়। দ্বিতীয়টি দুর্লভ, অবশ্য ইদানিং দেখাই যায় না। | '''চিকা''' (Shrew) Insectivora বর্গের Sorcidae গোত্রের ইঁদুরসদৃশ স্তন্যপায়ী প্রাণী। এরা ছুঁচো বা গন্ধমুষিক নামেও পরিচিত। বাংলাদেশে দু প্রজাতির চিকা আছে, ধূসর গন্ধমূষিক/Grey Musk Shrew (''Suncus murinus'') এবং বামন-চিকা/Pygmy Shrew (''Suncus etruscus'')। উল্লিখিত প্রথম চিকাটি শহর, গ্রাম ও বনাঞ্চলসহ দেশের সর্বত্র পাওয়া যায়। দ্বিতীয়টি দুর্লভ, অবশ্য ইদানিং দেখাই যায় না। | ||
[[Image:Shrew.jpg|thumb|400px|right|চিকা]] | |||
দু প্রজাতির চিকারই চোখ ছোট এবং কান গোলাকৃতি। ধূসর গন্ধমূষিকের শরীর ঘন লোমে ভরা এবং লোম ইঁদুরের লোমের মতো, এর তুন্ডটি প্রকট, ক্রমে সরু হয়ে নিচের ঠোঁট ছাড়িয়ে বেরিয়ে থাকে। এ চিকার দু জোড়া পা ও লেজ লোমে ঢাকা। ত্বকের রং গোলাপি আভাযুক্ত যা তুন্ড, কান, পা ও লেজে সুস্পষ্ট। মাথা থেকে লেজের গোড়া পর্যন্ত দৈর্ঘ্য ১৫ সেমি, লেজের দৈর্ঘ্য ৮ সেমি। | দু প্রজাতির চিকারই চোখ ছোট এবং কান গোলাকৃতি। ধূসর গন্ধমূষিকের শরীর ঘন লোমে ভরা এবং লোম ইঁদুরের লোমের মতো, এর তুন্ডটি প্রকট, ক্রমে সরু হয়ে নিচের ঠোঁট ছাড়িয়ে বেরিয়ে থাকে। এ চিকার দু জোড়া পা ও লেজ লোমে ঢাকা। ত্বকের রং গোলাপি আভাযুক্ত যা তুন্ড, কান, পা ও লেজে সুস্পষ্ট। মাথা থেকে লেজের গোড়া পর্যন্ত দৈর্ঘ্য ১৫ সেমি, লেজের দৈর্ঘ্য ৮ সেমি। | ||
দেহের দুই পাশে অবস্থিত দুটি গ্রন্থিতে গন্ধ উৎপন্ন হয়। রাতে চিকার তীক্ষ্ণ ও কর্কশ চিঁ-চিঁ ডাক শোনা যায়। স্থলভাগের স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে আকারে বামন চিকাই ক্ষুদ্রতম। মাথা থেকে লেজের গোড়া পর্যন্ত দৈর্ঘ্য ৪.৮ সেমি এবং লেজের দৈর্ঘ্য ৩ সেমি। ওজন মাত্র ২.৫ গ্রাম। চিকা মূলত পতঙ্গভুক, তবে সর্বভুকও হতে পারে। | দেহের দুই পাশে অবস্থিত দুটি গ্রন্থিতে গন্ধ উৎপন্ন হয়। রাতে চিকার তীক্ষ্ণ ও কর্কশ চিঁ-চিঁ ডাক শোনা যায়। স্থলভাগের স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে আকারে বামন চিকাই ক্ষুদ্রতম। মাথা থেকে লেজের গোড়া পর্যন্ত দৈর্ঘ্য ৪.৮ সেমি এবং লেজের দৈর্ঘ্য ৩ সেমি। ওজন মাত্র ২.৫ গ্রাম। চিকা মূলত পতঙ্গভুক, তবে সর্বভুকও হতে পারে। [আলী রেজা খান] | ||
[আলী রেজা খান] | |||
[[en:Shrew]] | [[en:Shrew]] |
০৯:২৯, ১২ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
চিকা (Shrew) Insectivora বর্গের Sorcidae গোত্রের ইঁদুরসদৃশ স্তন্যপায়ী প্রাণী। এরা ছুঁচো বা গন্ধমুষিক নামেও পরিচিত। বাংলাদেশে দু প্রজাতির চিকা আছে, ধূসর গন্ধমূষিক/Grey Musk Shrew (Suncus murinus) এবং বামন-চিকা/Pygmy Shrew (Suncus etruscus)। উল্লিখিত প্রথম চিকাটি শহর, গ্রাম ও বনাঞ্চলসহ দেশের সর্বত্র পাওয়া যায়। দ্বিতীয়টি দুর্লভ, অবশ্য ইদানিং দেখাই যায় না।
দু প্রজাতির চিকারই চোখ ছোট এবং কান গোলাকৃতি। ধূসর গন্ধমূষিকের শরীর ঘন লোমে ভরা এবং লোম ইঁদুরের লোমের মতো, এর তুন্ডটি প্রকট, ক্রমে সরু হয়ে নিচের ঠোঁট ছাড়িয়ে বেরিয়ে থাকে। এ চিকার দু জোড়া পা ও লেজ লোমে ঢাকা। ত্বকের রং গোলাপি আভাযুক্ত যা তুন্ড, কান, পা ও লেজে সুস্পষ্ট। মাথা থেকে লেজের গোড়া পর্যন্ত দৈর্ঘ্য ১৫ সেমি, লেজের দৈর্ঘ্য ৮ সেমি।
দেহের দুই পাশে অবস্থিত দুটি গ্রন্থিতে গন্ধ উৎপন্ন হয়। রাতে চিকার তীক্ষ্ণ ও কর্কশ চিঁ-চিঁ ডাক শোনা যায়। স্থলভাগের স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে আকারে বামন চিকাই ক্ষুদ্রতম। মাথা থেকে লেজের গোড়া পর্যন্ত দৈর্ঘ্য ৪.৮ সেমি এবং লেজের দৈর্ঘ্য ৩ সেমি। ওজন মাত্র ২.৫ গ্রাম। চিকা মূলত পতঙ্গভুক, তবে সর্বভুকও হতে পারে। [আলী রেজা খান]