চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
২ নং লাইন: | ২ নং লাইন: | ||
'''চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর''' প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৩ সালের ১৪ জুন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ কর্তৃক হস্তান্তরিত ছোট একটি সংগ্রহ নিয়ে। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানের সংগ্রহ বর্ধিত ও সমৃদ্ধ হয়ে বাংলাদেশের হাজার হাজার বছরের ইতিহাস ধারণ করছে। সম্প্রতি চট্টগ্রাম মহানগরের নাসিরাবাদ পাহাড়ে প্রাপ্ত টার্সিয়ারি যুগের একটি মাছের জীবাশ্ম এই সংগ্রহশালার সর্বপ্রাচীন নিদর্শন; এছাড়াও রয়েছে কাঠের জীবাশ্ম; [[ময়নামতী|ময়নামতী]], [[মহাস্থান|মহাস্থান]] ও পাহাড়পুরের প্রত্নক্ষেত্রে উৎখননকৃত শিল্পবস্ত্ত; প্রাচীন ও মধ্যযুগের মুদ্রা, [[শিলালিপি|শিলালিপি]], পান্ডুলিপি, [[ভাস্কর্য|ভাস্কর্য]], টেরাকোটা, অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র, পোষাক-পরিচ্ছদ, ধাতুর শিল্পকর্ম, চীনামাটির বাসন-কোসন, গাত্রালঙ্কার, অন্যান্য ক্ষুদ্র ও লোকশিল্প। এই জাদুঘরে আছে বাংলাদেশের আধুনিক শিল্পকলার নিদর্শনও। স্বাধীন বাংলা বেতারের দলিলপত্র; দেশ-বিদেশ থেকে সংগৃহীত উল্লেলখযোগ্য মুক্তিযুদ্ধের পোস্টার, প্যাম্পলেট, সংবাদপত্রের কর্তনী, নানা প্রকাশনা ও প্রশাসনিক দলিলপত্র রয়েছে জাদুঘরের আর্কাইভে। | '''চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর''' প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৩ সালের ১৪ জুন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ কর্তৃক হস্তান্তরিত ছোট একটি সংগ্রহ নিয়ে। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানের সংগ্রহ বর্ধিত ও সমৃদ্ধ হয়ে বাংলাদেশের হাজার হাজার বছরের ইতিহাস ধারণ করছে। সম্প্রতি চট্টগ্রাম মহানগরের নাসিরাবাদ পাহাড়ে প্রাপ্ত টার্সিয়ারি যুগের একটি মাছের জীবাশ্ম এই সংগ্রহশালার সর্বপ্রাচীন নিদর্শন; এছাড়াও রয়েছে কাঠের জীবাশ্ম; [[ময়নামতী|ময়নামতী]], [[মহাস্থান|মহাস্থান]] ও পাহাড়পুরের প্রত্নক্ষেত্রে উৎখননকৃত শিল্পবস্ত্ত; প্রাচীন ও মধ্যযুগের মুদ্রা, [[শিলালিপি|শিলালিপি]], পান্ডুলিপি, [[ভাস্কর্য|ভাস্কর্য]], টেরাকোটা, অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র, পোষাক-পরিচ্ছদ, ধাতুর শিল্পকর্ম, চীনামাটির বাসন-কোসন, গাত্রালঙ্কার, অন্যান্য ক্ষুদ্র ও লোকশিল্প। এই জাদুঘরে আছে বাংলাদেশের আধুনিক শিল্পকলার নিদর্শনও। স্বাধীন বাংলা বেতারের দলিলপত্র; দেশ-বিদেশ থেকে সংগৃহীত উল্লেলখযোগ্য মুক্তিযুদ্ধের পোস্টার, প্যাম্পলেট, সংবাদপত্রের কর্তনী, নানা প্রকাশনা ও প্রশাসনিক দলিলপত্র রয়েছে জাদুঘরের আর্কাইভে। | ||
[[Image:ChittagongUniversityMuseum.jpg|thumbnail|300px|right|চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর]] | |||
মূর্তিতত্ত্ব, লেখতত্ত্ব, মুদ্রাতত্ত্ব, [[স্থাপত্যশিল্প|স্থাপত্য]], ক্ষুদ্র ও লোকশিল্প এবং অন্যান্য সাংস্কৃতিক সম্পদ সম্পর্কে গবেষণায় সহায়তার জন্য জাদুঘরের ‘আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ কোষ গ্রন্থাগার’-এ রয়েছে সংশ্লিলষ্ট পুস্তক ও সাময়িকীর সংগ্রহ। একটি গবেষণা সম্পদ কেন্দ্র এবং একটি সংরক্ষণ গবেষণাগার স্থাপনের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। | মূর্তিতত্ত্ব, লেখতত্ত্ব, মুদ্রাতত্ত্ব, [[স্থাপত্যশিল্প|স্থাপত্য]], ক্ষুদ্র ও লোকশিল্প এবং অন্যান্য সাংস্কৃতিক সম্পদ সম্পর্কে গবেষণায় সহায়তার জন্য জাদুঘরের ‘আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ কোষ গ্রন্থাগার’-এ রয়েছে সংশ্লিলষ্ট পুস্তক ও সাময়িকীর সংগ্রহ। একটি গবেষণা সম্পদ কেন্দ্র এবং একটি সংরক্ষণ গবেষণাগার স্থাপনের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। | ||
জাদুঘর ভবনের দোতলায় বাছাইকৃত সংগ্রহের শ্রেণিবিন্যস্ত প্রদর্শনী সাজানো হয়েছে চারটি গ্যালারিতে। রিজার্ভ সংগ্রহ রাখার জন্য নির্দিষ্ট কক্ষে অস্থায়ীভাবে প্রদর্শন করা হচ্ছে আধুনিক শিল্পকলার নিদর্শন। | জাদুঘর ভবনের দোতলায় বাছাইকৃত সংগ্রহের শ্রেণিবিন্যস্ত প্রদর্শনী সাজানো হয়েছে চারটি গ্যালারিতে। রিজার্ভ সংগ্রহ রাখার জন্য নির্দিষ্ট কক্ষে অস্থায়ীভাবে প্রদর্শন করা হচ্ছে আধুনিক শিল্পকলার নিদর্শন। | ||
ইতোমধ্যে এই প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক স্বার্থ সংশ্লিলষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষ প্রদর্শনী এবং সেমিনারের আয়োজন হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘরে। প্রকাশিত হয়েছে মুদ্রার ও প্রদর্শনীর মানসম্মত সুবিন্যস্ত তালিকা এবং বক্তৃতার বিবরণী। এই জাদুঘরে সংগৃহীত পাথরের ভাস্কর্যের একটি বিবরণমূলক পঞ্জিও প্রকাশের অপেক্ষায় ছাপাখানায় আছে। জাদুঘর ভবনের আশেপাশে সুবিন্যস্তভাবে গাছ রোপন এবং মৌসুমী ফুলের বেড স্থাপন করে এর আবহকে উন্নত করা হয়েছে একটি পার্কে, এর মধ্যে আছে দর্শক-গ্যালারিসহ একটি উন্মুক্ত মঞ্চ। | ইতোমধ্যে এই প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক স্বার্থ সংশ্লিলষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষ প্রদর্শনী এবং সেমিনারের আয়োজন হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘরে। প্রকাশিত হয়েছে মুদ্রার ও প্রদর্শনীর মানসম্মত সুবিন্যস্ত তালিকা এবং বক্তৃতার বিবরণী। এই জাদুঘরে সংগৃহীত পাথরের ভাস্কর্যের একটি বিবরণমূলক পঞ্জিও প্রকাশের অপেক্ষায় ছাপাখানায় আছে। জাদুঘর ভবনের আশেপাশে সুবিন্যস্তভাবে গাছ রোপন এবং মৌসুমী ফুলের বেড স্থাপন করে এর আবহকে উন্নত করা হয়েছে একটি পার্কে, এর মধ্যে আছে দর্শক-গ্যালারিসহ একটি উন্মুক্ত মঞ্চ। [শামসুল হোসাইন] | ||
[শামসুল হোসাইন] | |||
[[en:Chittagong University Museum]] | [[en:Chittagong University Museum]] |
০৬:৩৩, ১২ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৩ সালের ১৪ জুন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ কর্তৃক হস্তান্তরিত ছোট একটি সংগ্রহ নিয়ে। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানের সংগ্রহ বর্ধিত ও সমৃদ্ধ হয়ে বাংলাদেশের হাজার হাজার বছরের ইতিহাস ধারণ করছে। সম্প্রতি চট্টগ্রাম মহানগরের নাসিরাবাদ পাহাড়ে প্রাপ্ত টার্সিয়ারি যুগের একটি মাছের জীবাশ্ম এই সংগ্রহশালার সর্বপ্রাচীন নিদর্শন; এছাড়াও রয়েছে কাঠের জীবাশ্ম; ময়নামতী, মহাস্থান ও পাহাড়পুরের প্রত্নক্ষেত্রে উৎখননকৃত শিল্পবস্ত্ত; প্রাচীন ও মধ্যযুগের মুদ্রা, শিলালিপি, পান্ডুলিপি, ভাস্কর্য, টেরাকোটা, অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র, পোষাক-পরিচ্ছদ, ধাতুর শিল্পকর্ম, চীনামাটির বাসন-কোসন, গাত্রালঙ্কার, অন্যান্য ক্ষুদ্র ও লোকশিল্প। এই জাদুঘরে আছে বাংলাদেশের আধুনিক শিল্পকলার নিদর্শনও। স্বাধীন বাংলা বেতারের দলিলপত্র; দেশ-বিদেশ থেকে সংগৃহীত উল্লেলখযোগ্য মুক্তিযুদ্ধের পোস্টার, প্যাম্পলেট, সংবাদপত্রের কর্তনী, নানা প্রকাশনা ও প্রশাসনিক দলিলপত্র রয়েছে জাদুঘরের আর্কাইভে।
মূর্তিতত্ত্ব, লেখতত্ত্ব, মুদ্রাতত্ত্ব, স্থাপত্য, ক্ষুদ্র ও লোকশিল্প এবং অন্যান্য সাংস্কৃতিক সম্পদ সম্পর্কে গবেষণায় সহায়তার জন্য জাদুঘরের ‘আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ কোষ গ্রন্থাগার’-এ রয়েছে সংশ্লিলষ্ট পুস্তক ও সাময়িকীর সংগ্রহ। একটি গবেষণা সম্পদ কেন্দ্র এবং একটি সংরক্ষণ গবেষণাগার স্থাপনের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।
জাদুঘর ভবনের দোতলায় বাছাইকৃত সংগ্রহের শ্রেণিবিন্যস্ত প্রদর্শনী সাজানো হয়েছে চারটি গ্যালারিতে। রিজার্ভ সংগ্রহ রাখার জন্য নির্দিষ্ট কক্ষে অস্থায়ীভাবে প্রদর্শন করা হচ্ছে আধুনিক শিল্পকলার নিদর্শন।
ইতোমধ্যে এই প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক স্বার্থ সংশ্লিলষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষ প্রদর্শনী এবং সেমিনারের আয়োজন হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘরে। প্রকাশিত হয়েছে মুদ্রার ও প্রদর্শনীর মানসম্মত সুবিন্যস্ত তালিকা এবং বক্তৃতার বিবরণী। এই জাদুঘরে সংগৃহীত পাথরের ভাস্কর্যের একটি বিবরণমূলক পঞ্জিও প্রকাশের অপেক্ষায় ছাপাখানায় আছে। জাদুঘর ভবনের আশেপাশে সুবিন্যস্তভাবে গাছ রোপন এবং মৌসুমী ফুলের বেড স্থাপন করে এর আবহকে উন্নত করা হয়েছে একটি পার্কে, এর মধ্যে আছে দর্শক-গ্যালারিসহ একটি উন্মুক্ত মঞ্চ। [শামসুল হোসাইন]