চক্রবর্তী, যোগীন্দ্রচন্দ্র: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Category:বাংলাপিডিয়া]] | [[Category:বাংলাপিডিয়া]] | ||
'''চক্রবর্তী, যোগীন্দ্রচন্দ্র''' (১৮৬৫-১৯৪০) আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, সাহিত্যিক। তিনি ১৮৬৫ সালে দিনাজপুর শহরের পূর্ব রাজারামপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা গিরীশচন্দ্র চক্রবর্তী ছিলেন একজন আইনজীবী। যোগীন্দ্রচন্দ্র ১৮৮২ সালে দিনাজপুর জিলা স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে | '''চক্রবর্তী, যোগীন্দ্রচন্দ্র''' (১৮৬৫-১৯৪০) আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, সাহিত্যিক। তিনি ১৮৬৫ সালে দিনাজপুর শহরের পূর্ব রাজারামপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা গিরীশচন্দ্র চক্রবর্তী ছিলেন একজন আইনজীবী। যোগীন্দ্রচন্দ্র ১৮৮২ সালে দিনাজপুর জিলা স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এ, এম.এ ও বি.এল পাস করার পর ১৮৮৯ সালে দিনাজপুর বারে যোগদান করেন। | ||
আইন পেশার পাশাপাশি যোগীন্দ্রচন্দ্র রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলেন। ১৮৯০ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস দলের দিনাজপুর জেলা শাখা গঠিত হলে তিনি এর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি দিনাজপুর মিউনিসিপ্যালিটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন ১৯১৯-১৯২১ সালে; দ্বিতীয়বার ১৯২৮ সালে এবং ১৯৩৯ সাল পর্যন্ত এ পদে বহাল ছিলেন। তিনি জাতীয় কংগ্রেস দিনাজপুর জেলা শাখার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এবং ব্রিটিশবিরোধী সব আন্দোলনেই নেতৃত্ব দেন। ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন, ১৯২১-১৯২২ সালে গান্ধীজির অসহযোগ আন্দোলনে তার ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য। | আইন পেশার পাশাপাশি যোগীন্দ্রচন্দ্র রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলেন। ১৮৯০ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস দলের দিনাজপুর জেলা শাখা গঠিত হলে তিনি এর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি দিনাজপুর মিউনিসিপ্যালিটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন ১৯১৯-১৯২১ সালে; দ্বিতীয়বার ১৯২৮ সালে এবং ১৯৩৯ সাল পর্যন্ত এ পদে বহাল ছিলেন। তিনি জাতীয় কংগ্রেস দিনাজপুর জেলা শাখার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এবং ব্রিটিশবিরোধী সব আন্দোলনেই নেতৃত্ব দেন। ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন, ১৯২১-১৯২২ সালে গান্ধীজির অসহযোগ আন্দোলনে তার ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য। |
০৫:৩৩, ৮ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
চক্রবর্তী, যোগীন্দ্রচন্দ্র (১৮৬৫-১৯৪০) আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, সাহিত্যিক। তিনি ১৮৬৫ সালে দিনাজপুর শহরের পূর্ব রাজারামপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা গিরীশচন্দ্র চক্রবর্তী ছিলেন একজন আইনজীবী। যোগীন্দ্রচন্দ্র ১৮৮২ সালে দিনাজপুর জিলা স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এ, এম.এ ও বি.এল পাস করার পর ১৮৮৯ সালে দিনাজপুর বারে যোগদান করেন।
আইন পেশার পাশাপাশি যোগীন্দ্রচন্দ্র রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলেন। ১৮৯০ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস দলের দিনাজপুর জেলা শাখা গঠিত হলে তিনি এর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি দিনাজপুর মিউনিসিপ্যালিটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন ১৯১৯-১৯২১ সালে; দ্বিতীয়বার ১৯২৮ সালে এবং ১৯৩৯ সাল পর্যন্ত এ পদে বহাল ছিলেন। তিনি জাতীয় কংগ্রেস দিনাজপুর জেলা শাখার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এবং ব্রিটিশবিরোধী সব আন্দোলনেই নেতৃত্ব দেন। ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন, ১৯২১-১৯২২ সালে গান্ধীজির অসহযোগ আন্দোলনে তার ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য।
তিনি দিনাজপুর পত্রিকার (১৮৮৫) সম্পাদনা করেন ১৩০৭ থেকে ১৩১৬ সন পর্যন্ত। সাহিত্য সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষকতাও তাঁর এক বড় কৃতিত্ব। দিনাজপুর সমিতি, মহারাজা গিরিজানাথ স্মৃতিরক্ষা কমিটি (১৯২৪), দিনাজপুর ন্যাশনাল স্কুল প্রতিষ্ঠা কমিটি (১৯৩২), খাজা নাজিমউদ্দিন মুসলিম হল ও লাইব্রেরির কার্যকরী কমিটি প্রভৃতি প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের তিনি অন্যতম সহসভাপতি (১৯৩৫-১৯৪০) ছিলেন। ১৯৪০ সালে তাঁর মৃত্যু হয়। [মুহম্মদ মনিরুজ্জামান]