ঘিওর উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Robot: Automated text replacement (-'''''তথ্যসূত্র''''' +'''তথ্যসূত্র'''))
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
২ নং লাইন: ২ নং লাইন:
'''ঘিওর উপজেলা''' ([[মানিকগঞ্জ জেলা|মানিকগঞ্জ জেলা]])  আয়তন: ১৪৫.৯৫ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৩°৪৭´ থেকে ২৩°৫৭´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°৪৯´ থেকে ৮৯°৫৯´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে দৌলতপুর (মানিকগঞ্জ) উপজেলা, দক্ষিণে শিবালয় ও হরিরামপুর উপজেলা, পূর্বে মানিকগঞ্জ সদর ও সাটুরিয়া উপজেলা, পশ্চিমে শিবালয় ও দৌলতপুর উপজেলা।
'''ঘিওর উপজেলা''' ([[মানিকগঞ্জ জেলা|মানিকগঞ্জ জেলা]])  আয়তন: ১৪৫.৯৫ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৩°৪৭´ থেকে ২৩°৫৭´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°৪৯´ থেকে ৮৯°৫৯´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে দৌলতপুর (মানিকগঞ্জ) উপজেলা, দক্ষিণে শিবালয় ও হরিরামপুর উপজেলা, পূর্বে মানিকগঞ্জ সদর ও সাটুরিয়া উপজেলা, পশ্চিমে শিবালয় ও দৌলতপুর উপজেলা।


''জনসংখ্যা'' ১৩৮৪৭৯; পুরুষ ৬৯১৭১, মহিলা ৬৯৩০৮। মুসলিম ১১৯৪০৩, হিন্দু ১৯০৪২, বৌদ্ধ ২১ এবং অন্যান্য ১৩।
''জনসংখ্যা'' ১৩৮৪৭৯; পুরুষ ৬৯১৭১, মহিলা ৬৯৩০৮। মুসলিম ১১৯৪০৩, হিন্দু ১৯০৪২, বৌদ্ধ ২১ এবং অন্যান্য ১৩।


''জলাশয়'' প্রধান নদী: পুরাতন ধলেশ্বরী, কালীগঙ্গা, ইছামতি ও গাঙডুবি।
''জলাশয়'' প্রধান নদী: পুরাতন ধলেশ্বরী, কালীগঙ্গা, ইছামতি ও গাঙডুবি।


''প্রশাসন'' থানা গঠিত হয় ১৯১৯ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৩ সালে।
''প্রশাসন'' থানা গঠিত হয় ১৯১৯ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৩ সালে।


{| class="table table-bordered table-hover"
{| class="table table-bordered table-hover"
১২ নং লাইন: ১২ নং লাইন:
| colspan="9" | উপজেলা
| colspan="9" | উপজেলা
|-
|-
! rowspan="2" | পৌরসভা  || rowspan="2" | ইউনিয়ন  || rowspan="2" | মৌজা  || rowspan="2" | গ্রাম  || colspan="2" | জনসংখ্যা || rowspan="2" | ঘনত্ব(প্রতি বর্গ কিমি)  || colspan="2" | শিক্ষার হার (%)
| rowspan="2" | পৌরসভা  || rowspan="2" | ইউনিয়ন  || rowspan="2" | মৌজা  || rowspan="2" | গ্রাম  || colspan="2" | জনসংখ্যা || rowspan="2" | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি)  || colspan="2" | শিক্ষার হার (%)
|-
|-
| শহর  || গ্রাম || শহর  || গ্রাম
| শহর  || গ্রাম || শহর  || গ্রাম
|-
|-
| -  || ৭  || ১৭০  || ১৮৬  || ৬৪০৫  || ১৩২০৭৪  || ৯৪৯  || ৭০.৮৫  || ৪৮.৬১
| -  || ৭  || ১৭০  || ১৮৬  || ৬৪০৫  || ১৩২০৭৪  || ৯৪৯  || ৭০.৮৫  || ৪৮.৬১
|}
|}


{| class="table table-bordered table-hover"
{| class="table table-bordered table-hover"
|-
|-
| উপজেলা শহর
| colspan="9" | উপজেলা শহর
|-
|-
| আয়তন (বর্গ কিমি)  || মৌজা  || লোকসংখ্যা  || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি)  || শিক্ষার হার (%)
| আয়তন (বর্গ কিমি)  || মৌজা  || লোকসংখ্যা  || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি)  || শিক্ষার হার (%)
|-
|-
| ৪.২৪  || ২  || ৬৪০৫  || ১৫১১  || ৭০.৮৫
| ৪.২৪  || ২  || ৬৪০৫  || ১৫১১  || ৭০.৮৫
|}
|}
{| class="table table-bordered table-hover"
{| class="table table-bordered table-hover"
|-
|-
| ইউনিয়ন
| colspan="9" | ইউনিয়ন
|-  
|-  
| rowspan="2" | ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড  || rowspan="2" | আয়তন (একর)  || colspan="2" | লোকসংখ্যা  || rowspan="2" | শিক্ষার হার (%)
| rowspan="2" | ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড  || rowspan="2" | আয়তন (একর)  || colspan="2" | লোকসংখ্যা  || rowspan="2" | শিক্ষার হার (%)
৪২ নং লাইন: ৩৬ নং লাইন:
|-  
|-  
| ঘিওর  || ৪৬৪৯  || ১১৭০৭  || ১১৩৬১  || ৫৯.৫৪
| ঘিওর  || ৪৬৪৯  || ১১৭০৭  || ১১৩৬১  || ৫৯.৫৪
|-
|-
| নলি  || ৪৯৭৬  || ৭৩৬৬  || ৭৫০২  || ৪৬.৫২
| নলি  || ৪৯৭৬  || ৭৩৬৬  || ৭৫০২  || ৪৬.৫২
|-
|-
| পয়লা  || ৫১৭০  || ৯৮৬৯  || ৯৮৪০  || ৪৫.৮৭
| পয়লা  || ৫১৭০  || ৯৮৬৯  || ৯৮৪০  || ৪৫.৮৭
|-
|-
| বড়টিয়া  || ৫১৩৭  || ১০০৪৮  || ১০১০৬  || ৪৮.৬৯
| বড়টিয়া  || ৫১৩৭  || ১০০৪৮  || ১০১০৬  || ৪৮.৬৯
|-
|-
| বানিয়াজুড়ি  || ৪৮৯৩  || ১১৪০৮  || ১১৬৯৮  || ৫৭.৩৭
| বানিয়াজুড়ি  || ৪৮৯৩  || ১১৪০৮  || ১১৬৯৮  || ৫৭.৩৭
|-
|-
| বালিয়াখোড়া  || ৫৭৬৮  || ৯৮৬২  || ৯৮৮৭  || ৪৭.৯২
| বালিয়াখোড়া  || ৫৭৬৮  || ৯৮৬২  || ৯৮৮৭  || ৪৭.৯২
|-
|-
| সিংজুড়ি  || ৫১৩৬  || ৮৯১১  || ৮৯১৪  || ৩৬.১৭
| সিংজুড়ি  || ৫১৩৬  || ৮৯১১  || ৮৯১৪  || ৩৬.১৭
|}
|}
''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
 
''প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ'' শ্রীবাড়ী বড়টিয়া গ্রামের নীলকুঠি, পাঁচথুবির বৌদ্ধবিহার।
 
''মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি'' ১৯৭১ সালের ২২ নভেম্বর এ উপজেলার তেরশ্রী গ্রামে স্থানীয় রাজাকারদের সহযোগিতায় পাকসেনারা ৪৩ জন নিরীহ লোককে হত্যা করে।


''মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন'' স্মৃতিফলক ১, স্মৃতিস্তম্ভ ১।
''প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ'' শ্রীবাড়ী বড়টিয়া গ্রামের নীলকুঠি, পাঁচথুবির বৌদ্ধবিহার।


''ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান'' মসজিদ ১১৮, মন্দির ৬৪, মাযার ১।
[[Image:GhiorUpazila.jpg|thumb|right|400px]]
''মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি'' ১৯৭১ সালের ২২ নভেম্বর এ উপজেলার তেরশ্রী গ্রামে স্থানীয় রাজাকারদের সহযোগিতায় পাকসেনারা ৪৩ জন নিরীহ লোককে হত্যা করে।


''শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান'' গড় হার ৪৯.৬৬%; পুরুষ ৫৪.৩২%, মহিলা ৪৫.০৫%। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: ঘিওর ডিএন হাইস্কুল (১৯২৯), তেরশ্রী কেএন হাইস্কুল (১৯২২), বানিয়াজুড়ি উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৪৫), সিংজুড়ি উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৬৬)।
''মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন'' স্মৃতিফলক ১, স্মৃতিস্তম্ভ ১।


''সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান'' ক্লাব ৮৩, লাইব্রেরি ২, সিনেমা হল ১, নাট্যদল ২, যাত্রাপার্টি ১।
''ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান'' মসজিদ ১১৮, মন্দির ৬৪, মাযার ১।


''শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান''  গড় হার ৪৯.৬৬%; পুরুষ ৫৪.৩২%, মহিলা ৪৫.০৫%। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: ঘিওর ডিএন হাইস্কুল (১৯২৯), তেরশ্রী কেএন হাইস্কুল (১৯২২), বানিয়াজুড়ি উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৪৫), সিংজুড়ি উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৬৬)।


[[Image:GhiorUpazila.jpg|thumb|right|ঘিওর উপজেলা]]
''সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান''  ক্লাব ৮৩, লাইব্রেরি ২, সিনেমা হল ১, নাট্যদল ২, যাত্রাপার্টি ১।


''জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস'' কৃষি ৫৪.০৩%, অকৃষি শ্রমিক ৩.০১%, শিল্প ১.৮৬%, ব্যবসা ১৬.২৪%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ৩.৮৪%, চাকরি ১১.৯৪%, নির্মাণ ২.১৬%, ধর্মীয় সেবা ০.৩৪%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ১.০৪% এবং অন্যান্য ৫.৫৪%।
''জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস'' কৃষি ৫৪.০৩%, অকৃষি শ্রমিক ৩.০১%, শিল্প ১.৮৬%, ব্যবসা ১৬.২৪%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ৩.৮৪%, চাকরি ১১.৯৪%, নির্মাণ ২.১৬%, ধর্মীয় সেবা ০.৩৪%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ১.০৪% এবং অন্যান্য ৫.৫৪%।


''কৃষিভূমির মালিকানা'' ভূমিমালিক ৫৯.০৬%, ভূমিহীন ৪০.৯৪%। শহরে ৭০.১৭% এবং গ্রামে ৫৮.৫৪% পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে।
''কৃষিভূমির মালিকানা'' ভূমিমালিক ৫৯.০৬%, ভূমিহীন ৪০.৯৪%। শহরে ৭০.১৭% এবং গ্রামে ৫৮.৫৪% পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে।


''প্রধান কৃষি ফসল'' ধান, গম, সরিষা, আলু, পিঁয়াজ, রসুন, মরিচ, শাকসবজি।
''প্রধান কৃষি ফসল'' ধান, গম, সরিষা, আলু, পিঁয়াজ, রসুন, মরিচ, শাকসবজি।


''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি'' কাউন, তিসি, তিল, পায়রা, নীল।
''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি'' কাউন, তিসি, তিল, পায়রা, নীল।


''প্রধান ফল-ফলাদিব''  লেবু, আম, কাঁঠাল, পেঁপে, কলা, পেয়ারা, কামরাঙা।
''প্রধান ফল-ফলাদি''  লেবু, আম, কাঁঠাল, পেঁপে, কলা, পেয়ারা, কামরাঙা।


''মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার'' গবাদিপশু ১৫, হাঁস-মুরগি ২৫০।
''মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার'' গবাদিপশু ১৫, হাঁস-মুরগি ২৫০।


''যোগাযোগ বিশেষত্ব'' পাকারাস্তা ৩৪.৩৭ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ১.৪০কিমি, কাঁচারাস্তা ২৩৬.৮৬ কিমি, ব্রিজ ৪৭, কালভার্ট ৪২।
''যোগাযোগ বিশেষত্ব'' পাকারাস্তা ৩৪.৩৭ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ১.৪০কিমি, কাঁচারাস্তা ২৩৬.৮৬ কিমি, ব্রিজ ৪৭, কালভার্ট ৪২।


''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন'' পাল্কি, গরু ও মহিষের গাড়ী।
''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন'' পাল্কি, গরু ও মহিষের গাড়ী।


''শিল্প ও কলকারখানা'' আটা কল, পার্টিকেল বোর্ড, বিড়ি ফ্যাক্টরি ইত্যাদি।
''শিল্প ও কলকারখানা'' আটা কল, পার্টিকেল বোর্ড, বিড়ি ফ্যাক্টরি ইত্যাদি।


''কুটিরশিল্প'' স্বর্ণশিল্প, বাঁশশিল্প, বেতশিল্প, লৌহশিল্প, মৃৎশিল্প, তাঁতশিল্প, কাঠের কাজ, সেলাই কাজ প্রভৃতি।
''কুটিরশিল্প'' স্বর্ণশিল্প, বাঁশশিল্প, বেতশিল্প, লৌহশিল্প, মৃৎশিল্প, তাঁতশিল্প, কাঠের কাজ, সেলাই কাজ প্রভৃতি।


''হাটবাজার ও মেলা'' হাটবাজার ২৪, মেলা ১১। ঘিওর হাট, ঘিওর রথমেলা, নারচীর দোলের মেলা, পুকুরিয়ার নিমাই চাঁদের মেলা উল্লেখযোগ্য।
''হাটবাজার ও মেলা'' হাটবাজার ২৪, মেলা ১১। ঘিওর হাট, ঘিওর রথমেলা, নারচীর দোলের মেলা, পুকুরিয়ার নিমাই চাঁদের মেলা উল্লেখযোগ্য।


''প্রধান রপ্তানিদ্রব্য''   পিঁয়াজ, রসুন, মরিচ, শাকসবজি।
''প্রধান রপ্তানিদ্রব্য'' পিঁয়াজ, রসুন, মরিচ, শাকসবজি।


''বিদ্যুৎ ব্যবহার'' এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ২৮.৪০% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
''বিদ্যুৎ ব্যবহার'' এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ২৮.৪০% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।


''পানীয়জলের উৎস'' নলকূপ ৯৫.১৯%, ট্যাপ ১.০৭%, পুকুর ০.৩১% এবং অন্যান্য ৩.৪৩%।
''পানীয়জলের উৎস'' নলকূপ ৯৫.১৯%, ট্যাপ ১.০৭%, পুকুর ০.৩১% এবং অন্যান্য ৩.৪৩%।


''স্যানিটেশন ব্যবস্থা'' এ উপজেলার ৪৮.০০% (গ্রামে ৪৬.৪১% ও শহরে ৮১.৬৪%) পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৪৮.০৬% (গ্রামে ৪৯.৪৯% ও শহরে ১৭.৮৪%) পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ৩.৯৪% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।
''স্যানিটেশন ব্যবস্থা'' এ উপজেলার ৪৮.০০% (গ্রামে ৪৬.৪১% ও শহরে ৮১.৬৪%) পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৪৮.০৬% (গ্রামে ৪৯.৪৯% ও শহরে ১৭.৮৪%) পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ৩.৯৪% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।


''স্বাস্থ্যকেন্দ্র'' উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ৮, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৬, ক্লিনিক ৪, পশু চিকিৎসালয় ১।
''স্বাস্থ্যকেন্দ্র'' উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ৮, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৬, ক্লিনিক ৪, পশু চিকিৎসালয় ১।


''এনজিও'' ব্র্যাক, প্রশিকা, আশা।  [মধুসূদন সাহা]
''এনজিও'' ব্র্যাক, প্রশিকা, আশা।  [মধুসূদন সাহা]


'''তথ্যসূত্র'''   আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; ঘিওর উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।
'''তথ্যসূত্র''' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; ঘিওর উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।


[[en:Ghior Upazila]]
[[en:Ghior Upazila]]

১০:০৪, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

ঘিওর উপজেলা (মানিকগঞ্জ জেলা)  আয়তন: ১৪৫.৯৫ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৩°৪৭´ থেকে ২৩°৫৭´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°৪৯´ থেকে ৮৯°৫৯´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে দৌলতপুর (মানিকগঞ্জ) উপজেলা, দক্ষিণে শিবালয় ও হরিরামপুর উপজেলা, পূর্বে মানিকগঞ্জ সদর ও সাটুরিয়া উপজেলা, পশ্চিমে শিবালয় ও দৌলতপুর উপজেলা।

জনসংখ্যা ১৩৮৪৭৯; পুরুষ ৬৯১৭১, মহিলা ৬৯৩০৮। মুসলিম ১১৯৪০৩, হিন্দু ১৯০৪২, বৌদ্ধ ২১ এবং অন্যান্য ১৩।

জলাশয় প্রধান নদী: পুরাতন ধলেশ্বরী, কালীগঙ্গা, ইছামতি ও গাঙডুবি।

প্রশাসন থানা গঠিত হয় ১৯১৯ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৩ সালে।

উপজেলা
পৌরসভা ইউনিয়ন মৌজা গ্রাম জনসংখ্যা ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
শহর গ্রাম শহর গ্রাম
- ১৭০ ১৮৬ ৬৪০৫ ১৩২০৭৪ ৯৪৯ ৭০.৮৫ ৪৮.৬১
উপজেলা শহর
আয়তন (বর্গ কিমি) মৌজা লোকসংখ্যা ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
৪.২৪ ৬৪০৫ ১৫১১ ৭০.৮৫
ইউনিয়ন
ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড আয়তন (একর) লোকসংখ্যা শিক্ষার হার (%)
পুরুষ মহিলা
ঘিওর ৪৬৪৯ ১১৭০৭ ১১৩৬১ ৫৯.৫৪
নলি ৪৯৭৬ ৭৩৬৬ ৭৫০২ ৪৬.৫২
পয়লা ৫১৭০ ৯৮৬৯ ৯৮৪০ ৪৫.৮৭
বড়টিয়া ৫১৩৭ ১০০৪৮ ১০১০৬ ৪৮.৬৯
বানিয়াজুড়ি ৪৮৯৩ ১১৪০৮ ১১৬৯৮ ৫৭.৩৭
বালিয়াখোড়া ৫৭৬৮ ৯৮৬২ ৯৮৮৭ ৪৭.৯২
সিংজুড়ি ৫১৩৬ ৮৯১১ ৮৯১৪ ৩৬.১৭

সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।

প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ শ্রীবাড়ী বড়টিয়া গ্রামের নীলকুঠি, পাঁচথুবির বৌদ্ধবিহার।

মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি ১৯৭১ সালের ২২ নভেম্বর এ উপজেলার তেরশ্রী গ্রামে স্থানীয় রাজাকারদের সহযোগিতায় পাকসেনারা ৪৩ জন নিরীহ লোককে হত্যা করে।

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন স্মৃতিফলক ১, স্মৃতিস্তম্ভ ১।

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ১১৮, মন্দির ৬৪, মাযার ১।

শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৪৯.৬৬%; পুরুষ ৫৪.৩২%, মহিলা ৪৫.০৫%। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: ঘিওর ডিএন হাইস্কুল (১৯২৯), তেরশ্রী কেএন হাইস্কুল (১৯২২), বানিয়াজুড়ি উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৪৫), সিংজুড়ি উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৬৬)।

সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ক্লাব ৮৩, লাইব্রেরি ২, সিনেমা হল ১, নাট্যদল ২, যাত্রাপার্টি ১।

জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৫৪.০৩%, অকৃষি শ্রমিক ৩.০১%, শিল্প ১.৮৬%, ব্যবসা ১৬.২৪%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ৩.৮৪%, চাকরি ১১.৯৪%, নির্মাণ ২.১৬%, ধর্মীয় সেবা ০.৩৪%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ১.০৪% এবং অন্যান্য ৫.৫৪%।

কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৫৯.০৬%, ভূমিহীন ৪০.৯৪%। শহরে ৭০.১৭% এবং গ্রামে ৫৮.৫৪% পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে।

প্রধান কৃষি ফসল ধান, গম, সরিষা, আলু, পিঁয়াজ, রসুন, মরিচ, শাকসবজি।

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি কাউন, তিসি, তিল, পায়রা, নীল।

প্রধান ফল-ফলাদি  লেবু, আম, কাঁঠাল, পেঁপে, কলা, পেয়ারা, কামরাঙা।

মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার গবাদিপশু ১৫, হাঁস-মুরগি ২৫০।

যোগাযোগ বিশেষত্ব পাকারাস্তা ৩৪.৩৭ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ১.৪০কিমি, কাঁচারাস্তা ২৩৬.৮৬ কিমি, ব্রিজ ৪৭, কালভার্ট ৪২।

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি, গরু ও মহিষের গাড়ী।

শিল্প ও কলকারখানা আটা কল, পার্টিকেল বোর্ড, বিড়ি ফ্যাক্টরি ইত্যাদি।

কুটিরশিল্প স্বর্ণশিল্প, বাঁশশিল্প, বেতশিল্প, লৌহশিল্প, মৃৎশিল্প, তাঁতশিল্প, কাঠের কাজ, সেলাই কাজ প্রভৃতি।

হাটবাজার ও মেলা হাটবাজার ২৪, মেলা ১১। ঘিওর হাট, ঘিওর রথমেলা, নারচীর দোলের মেলা, পুকুরিয়ার নিমাই চাঁদের মেলা উল্লেখযোগ্য।

প্রধান রপ্তানিদ্রব্য পিঁয়াজ, রসুন, মরিচ, শাকসবজি।

বিদ্যুৎ ব্যবহার এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ২৮.৪০% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।

পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৯৫.১৯%, ট্যাপ ১.০৭%, পুকুর ০.৩১% এবং অন্যান্য ৩.৪৩%।

স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ উপজেলার ৪৮.০০% (গ্রামে ৪৬.৪১% ও শহরে ৮১.৬৪%) পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৪৮.০৬% (গ্রামে ৪৯.৪৯% ও শহরে ১৭.৮৪%) পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ৩.৯৪% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।

স্বাস্থ্যকেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ৮, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৬, ক্লিনিক ৪, পশু চিকিৎসালয় ১।

এনজিও ব্র্যাক, প্রশিকা, আশা।  [মধুসূদন সাহা]

তথ্যসূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; ঘিওর উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।