ঘটন, ঋত্বিক কুমার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Image:GhatakRitwikKumar.jpg|thumb|right|ঋত্বিক কুমার ঘটক]]
'''ঘটক, ঋত্বিক কুমার''' (১৯২৫-১৯৭৬)  চলচ্চিত্র নির্মাতা, পরিচালক, অভিনেতা। জন্ম ৪ নভেম্বর ১৯২৫, ঢাকা জেলা। বাবা সুরেশচন্দ্র ঘটক ছিলেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, কবি ও নাট্যকার, মা ইন্দুবালা দেবী। তাঁর পরিবারকে বিভিন্ন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন সময় কলকাতায় অবস্থান করতে হয়েছে, যেমন: ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষ, ১৯৪৬ সালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, ১৯৪৭ সালের বঙ্গভঙ্গ এবং আরো অন্যান্য কারনে। তাঁর বড় ভাই মণিষ ঘটক একজন অধ্যাপক, লেখক। তাছাড়া তিনি দেভাগা আন্দোলনের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। লেখক ও সাংস্কৃতিক কর্মী মহাশ্বেতা দেবী মণিষ ঘটকের মেয়ে। ঋত্বিক ঘটকের ছেলে রীতা বান একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা।
'''ঘটক, ঋত্বিক কুমার''' (১৯২৫-১৯৭৬)  চলচ্চিত্র নির্মাতা, পরিচালক, অভিনেতা। জন্ম ৪ নভেম্বর ১৯২৫, ঢাকা জেলা। বাবা সুরেশচন্দ্র ঘটক ছিলেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, কবি ও নাট্যকার, মা ইন্দুবালা দেবী। তাঁর পরিবারকে বিভিন্ন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন সময় কলকাতায় অবস্থান করতে হয়েছে, যেমন: ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষ, ১৯৪৬ সালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, ১৯৪৭ সালের বঙ্গভঙ্গ এবং আরো অন্যান্য কারনে। তাঁর বড় ভাই মণিষ ঘটক একজন অধ্যাপক, লেখক। তাছাড়া তিনি দেভাগা আন্দোলনের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। লেখক ও সাংস্কৃতিক কর্মী মহাশ্বেতা দেবী মণিষ ঘটকের মেয়ে। ঋত্বিক ঘটকের ছেলে রীতা বান একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা।


ঋত্বিক ঘটকের লেখাপড়া শুরু হয় ময়মনসিংহের মিশন স্কুলে। পরে কলকাতার বালিগঞ্জ স্কুলে তিনি ভর্তি হন। ১৯৫৮ সালে তিনি বাহরামপুর কৃষ্ণনাথ কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশন কোর্স সম্পন্ন করেন। পরে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম.এ ক্লাসে ভর্তি হন। কিন্তু তিনি এম.এ কোর্স সম্পন্ন করেননি, কারন তাঁর মতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সার্টিফিকেট অর্জন করার চেয়ে একজন লেখক হওয়া অনেক বেশি গৌরবের। এ লক্ষকে সামনে রেখে তিনি দেশ, শনিবারের চিঠি, অগ্রণী বিভিন্ন পত্রিকায় লেখালেখির কাজ করেন এবং অল্প সময়ের মধ্যে লেখক হিসেবে সুনাম অর্জন করেন।
ঋত্বিক ঘটকের লেখাপড়া শুরু হয় ময়মনসিংহের মিশন স্কুলে। পরে কলকাতার বালিগঞ্জ স্কুলে তিনি ভর্তি হন। ১৯৫৮ সালে তিনি বাহরামপুর কৃষ্ণনাথ কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশন কোর্স সম্পন্ন করেন। পরে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম.এ ক্লাসে ভর্তি হন। কিন্তু তিনি এম.এ কোর্স সম্পন্ন করেননি, কারন তাঁর মতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সার্টিফিকেট অর্জন করার চেয়ে একজন লেখক হওয়া অনেক বেশি গৌরবের। এ লক্ষকে সামনে রেখে তিনি দেশ, শনিবারের চিঠি, অগ্রণী বিভিন্ন পত্রিকায় লেখালেখির কাজ করেন এবং অল্প সময়ের মধ্যে লেখক হিসেবে সুনাম অর্জন করেন।


[[Image:GhatakRitwikKumar.jpg|thumb|right|
ঋত্বিক কুমার ঘটক]]
ইতোমধ্যেই ঋত্বিক ঘটকের নবান্ন (১৯৪৮) প্রকাশিত হয় এবং এ নাটকটির মাধ্যমে তিনি খ্যাতি লাভ করেন। নাগিনী কন্যার কাহিনী উপন্যাস অবলম্বনে তিনি ১৯৫১ সালে বেদিনী ছবি নির্মাণ করেন। ছবিটিতে তিনি সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেন। একই বছর তিনি Indian peoples theatre Association এ যোগদান করেন। পরের বছর তিনি নাগরিক ছবি নির্মাণ করেন। ১৯৫২ সালে তিনি দলিল নাটক নির্মাণ করেন; নাটকটি Indian peoples theatre Association Exhibition- (মুম্বাই, ১৯৫৩) এ প্রথম পুরস্কার অর্জন করে। ১৯৫৫ সালে তিনি ‘গ্রুপ থিয়েটার’ নামে নাট্যদল গঠন করেন এবং তাঁর সাঁকো নাটকটি মঞ্চস্থ করেন।
ইতোমধ্যেই ঋত্বিক ঘটকের নবান্ন (১৯৪৮) প্রকাশিত হয় এবং এ নাটকটির মাধ্যমে তিনি খ্যাতি লাভ করেন। নাগিনী কন্যার কাহিনী উপন্যাস অবলম্বনে তিনি ১৯৫১ সালে বেদিনী ছবি নির্মাণ করেন। ছবিটিতে তিনি সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেন। একই বছর তিনি Indian peoples theatre Association এ যোগদান করেন। পরের বছর তিনি নাগরিক ছবি নির্মাণ করেন। ১৯৫২ সালে তিনি দলিল নাটক নির্মাণ করেন; নাটকটি Indian peoples theatre Association Exhibition- (মুম্বাই, ১৯৫৩) এ প্রথম পুরস্কার অর্জন করে। ১৯৫৫ সালে তিনি ‘গ্রুপ থিয়েটার’ নামে নাট্যদল গঠন করেন এবং তাঁর সাঁকো নাটকটি মঞ্চস্থ করেন।


১২ নং লাইন: ১১ নং লাইন:
ঋত্বিক ঘটক আটটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন। উল্লেখযোগ্য ছবিগুলো: মেঘে ঢাকা তারা (১৯৬০); ছবিটিতে একটি শরণার্থী পরিবারের সংগ্রামী জীবনকে রূপদান করা হয়েছে। উক্ত ছবিটির কাহিনি- পরিবারের জেষ্ঠ্য মেয়ে দরিদ্রজর্জরিত সংসারের সব দায়িত্ব-কর্তব্য কাধে তুলে নেয়। বাড়ি থেকে পালিয়ে (১৯৫৮) ছবিটিতে একজন পথিক বালকের দৃষ্টিকোণ থেকে কলকাতা শহরকে বর্ণনা করা হয়েছে। তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের প্রতিচ্ছবি কমলগান্ধার (১৯৬১) ছবি। ২০১০ সালে ব্রিটিশ ফিল্ম ইন্সটিটিউট কর্তৃক তাঁর তিতাস একটি নদীর নাম (১৯৭৩) শ্রেষ্ঠ ছবি হিসেবে ১০ম স্থান অধিকার করে। তাঁর শেষ ছবি যুক্তি তক্ক আর গল্প (১৯৭৪), এটি আত্মজীবনীমূলক।
ঋত্বিক ঘটক আটটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন। উল্লেখযোগ্য ছবিগুলো: মেঘে ঢাকা তারা (১৯৬০); ছবিটিতে একটি শরণার্থী পরিবারের সংগ্রামী জীবনকে রূপদান করা হয়েছে। উক্ত ছবিটির কাহিনি- পরিবারের জেষ্ঠ্য মেয়ে দরিদ্রজর্জরিত সংসারের সব দায়িত্ব-কর্তব্য কাধে তুলে নেয়। বাড়ি থেকে পালিয়ে (১৯৫৮) ছবিটিতে একজন পথিক বালকের দৃষ্টিকোণ থেকে কলকাতা শহরকে বর্ণনা করা হয়েছে। তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের প্রতিচ্ছবি কমলগান্ধার (১৯৬১) ছবি। ২০১০ সালে ব্রিটিশ ফিল্ম ইন্সটিটিউট কর্তৃক তাঁর তিতাস একটি নদীর নাম (১৯৭৩) শ্রেষ্ঠ ছবি হিসেবে ১০ম স্থান অধিকার করে। তাঁর শেষ ছবি যুক্তি তক্ক আর গল্প (১৯৭৪), এটি আত্মজীবনীমূলক।


ঋত্বিক ঘটক অসংখ্য স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামান্যচিত্র নির্মাণ করেছেন। সেগুলোর মধ্যে আদিবাসী (১৯৫৪), Places of historic interest in Bihar (1955), Scissors (1962), Fear (1965), Rendezvous (1955), Civil Defence (1965), Scientist of Tomorrow (1967), আমার লেনিন (১৯৭০), পুরুলিয়ার ছৌ (১৯৭০), ইন্দিরা গান্ধি, দূর্বার ঘাটি পদ্মা (১৯৭১)। ছবি পরিচালনা এবং স্ক্রিপ্ট লেখার পাশাপাশি তিনি বেশসংখ্যক নাটক ও ছবিতে অভিনয়ও করেছেন। সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য: চন্দ্রগুপ্ত, অচলায়তন, কালো সায়ার, দলিল, কত ধানে কত চাল (১৯৫২), ইস্পাত (১৯৫৪-৫৫), নেতাজিকে নিয়ে (ঘটক) সেই মেয়ে (ঋত্বিক ঘটক পরিচালিত), পরিত্রাণ, বিসর্জন (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর), নীলদর্পন (দীনবন্ধু মিত্র), বিদ্যাসাগর (বনফুল), মুসাফির রে কি লিয়ে (গোর্কি), মেঘবেথ (শেক্সপিয়ার), হ য ব র ল (সুকুমার রায়)। তাঁর মৃত্যু কলকাতায় ৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৬। [শামীমা আক্তার]
ঋত্বিক ঘটক অসংখ্য স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামান্যচিত্র নির্মাণ করেছেন। সেগুলোর মধ্যে আদিবাসী (১৯৫৪), Places of historic interest in Bihar (1955), Scissors (1962), Fear (1965), Rendezvous (1955), Civil Defence (1965), Scientist of Tomorrow (1967), আমার লেনিন (১৯৭০), পুরুলিয়ার ছৌ (১৯৭০), ইন্দিরা গান্ধি, দূর্বার ঘাটি পদ্মা (১৯৭১)। ছবি পরিচালনা এবং স্ক্রিপ্ট লেখার পাশাপাশি তিনি বেশসংখ্যক নাটক ও ছবিতে অভিনয়ও করেছেন। সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য: চন্দ্রগুপ্ত, অচলায়তন, কালো সায়ার, দলিল, কত ধানে কত চাল (১৯৫২), ইস্পাত (১৯৫৪-৫৫), নেতাজিকে নিয়ে (ঘটক) সেই মেয়ে (ঋত্বিক ঘটক পরিচালিত), পরিত্রাণ, বিসর্জন (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর), নীলদর্পন (দীনবন্ধু মিত্র), বিদ্যাসাগর (বনফুল), মুসাফির রে কি লিয়ে (গোর্কি), মেঘবেথ (শেক্সপিয়ার), হ য ব র ল (সুকুমার রায়)। তাঁর মৃত্যু কলকাতায় ৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৬। [শামীমা আক্তার]


[[en:Ghatak, Ritwik Kumar]]
[[en:Ghatak, Ritwik Kumar]]

০৯:২৬, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

ঋত্বিক কুমার ঘটক

ঘটক, ঋত্বিক কুমার (১৯২৫-১৯৭৬)  চলচ্চিত্র নির্মাতা, পরিচালক, অভিনেতা। জন্ম ৪ নভেম্বর ১৯২৫, ঢাকা জেলা। বাবা সুরেশচন্দ্র ঘটক ছিলেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, কবি ও নাট্যকার, মা ইন্দুবালা দেবী। তাঁর পরিবারকে বিভিন্ন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন সময় কলকাতায় অবস্থান করতে হয়েছে, যেমন: ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষ, ১৯৪৬ সালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, ১৯৪৭ সালের বঙ্গভঙ্গ এবং আরো অন্যান্য কারনে। তাঁর বড় ভাই মণিষ ঘটক একজন অধ্যাপক, লেখক। তাছাড়া তিনি দেভাগা আন্দোলনের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। লেখক ও সাংস্কৃতিক কর্মী মহাশ্বেতা দেবী মণিষ ঘটকের মেয়ে। ঋত্বিক ঘটকের ছেলে রীতা বান একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা।

ঋত্বিক ঘটকের লেখাপড়া শুরু হয় ময়মনসিংহের মিশন স্কুলে। পরে কলকাতার বালিগঞ্জ স্কুলে তিনি ভর্তি হন। ১৯৫৮ সালে তিনি বাহরামপুর কৃষ্ণনাথ কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশন কোর্স সম্পন্ন করেন। পরে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম.এ ক্লাসে ভর্তি হন। কিন্তু তিনি এম.এ কোর্স সম্পন্ন করেননি, কারন তাঁর মতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সার্টিফিকেট অর্জন করার চেয়ে একজন লেখক হওয়া অনেক বেশি গৌরবের। এ লক্ষকে সামনে রেখে তিনি দেশ, শনিবারের চিঠি, অগ্রণী বিভিন্ন পত্রিকায় লেখালেখির কাজ করেন এবং অল্প সময়ের মধ্যে লেখক হিসেবে সুনাম অর্জন করেন।

ইতোমধ্যেই ঋত্বিক ঘটকের নবান্ন (১৯৪৮) প্রকাশিত হয় এবং এ নাটকটির মাধ্যমে তিনি খ্যাতি লাভ করেন। নাগিনী কন্যার কাহিনী উপন্যাস অবলম্বনে তিনি ১৯৫১ সালে বেদিনী ছবি নির্মাণ করেন। ছবিটিতে তিনি সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেন। একই বছর তিনি Indian peoples theatre Association এ যোগদান করেন। পরের বছর তিনি নাগরিক ছবি নির্মাণ করেন। ১৯৫২ সালে তিনি দলিল নাটক নির্মাণ করেন; নাটকটি Indian peoples theatre Association Exhibition- (মুম্বাই, ১৯৫৩) এ প্রথম পুরস্কার অর্জন করে। ১৯৫৫ সালে তিনি ‘গ্রুপ থিয়েটার’ নামে নাট্যদল গঠন করেন এবং তাঁর সাঁকো নাটকটি মঞ্চস্থ করেন।

ঋত্বিক ঘটকের ব্যবসা সফল ছবি অযান্ত্রিক (১৯৫৮), ছবিটি বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী নিয়ে নির্মিত। তাছাড়া তাঁর সবচেয়ে ব্যবসা সফল হিন্দি ছবি মধুমতি (১৯৫৮, বিমল রায় পরিচালিত), এটি ভারতের প্রথম দিকের অন্যতম একটি ছবি। ছবিটি Filmfare কর্তৃক Best Story Award অর্জন করে।

ঋত্বিক ঘটক আটটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন। উল্লেখযোগ্য ছবিগুলো: মেঘে ঢাকা তারা (১৯৬০); ছবিটিতে একটি শরণার্থী পরিবারের সংগ্রামী জীবনকে রূপদান করা হয়েছে। উক্ত ছবিটির কাহিনি- পরিবারের জেষ্ঠ্য মেয়ে দরিদ্রজর্জরিত সংসারের সব দায়িত্ব-কর্তব্য কাধে তুলে নেয়। বাড়ি থেকে পালিয়ে (১৯৫৮) ছবিটিতে একজন পথিক বালকের দৃষ্টিকোণ থেকে কলকাতা শহরকে বর্ণনা করা হয়েছে। তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের প্রতিচ্ছবি কমলগান্ধার (১৯৬১) ছবি। ২০১০ সালে ব্রিটিশ ফিল্ম ইন্সটিটিউট কর্তৃক তাঁর তিতাস একটি নদীর নাম (১৯৭৩) শ্রেষ্ঠ ছবি হিসেবে ১০ম স্থান অধিকার করে। তাঁর শেষ ছবি যুক্তি তক্ক আর গল্প (১৯৭৪), এটি আত্মজীবনীমূলক।

ঋত্বিক ঘটক অসংখ্য স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামান্যচিত্র নির্মাণ করেছেন। সেগুলোর মধ্যে আদিবাসী (১৯৫৪), Places of historic interest in Bihar (1955), Scissors (1962), Fear (1965), Rendezvous (1955), Civil Defence (1965), Scientist of Tomorrow (1967), আমার লেনিন (১৯৭০), পুরুলিয়ার ছৌ (১৯৭০), ইন্দিরা গান্ধি, দূর্বার ঘাটি পদ্মা (১৯৭১)। ছবি পরিচালনা এবং স্ক্রিপ্ট লেখার পাশাপাশি তিনি বেশসংখ্যক নাটক ও ছবিতে অভিনয়ও করেছেন। সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য: চন্দ্রগুপ্ত, অচলায়তন, কালো সায়ার, দলিল, কত ধানে কত চাল (১৯৫২), ইস্পাত (১৯৫৪-৫৫), নেতাজিকে নিয়ে (ঘটক) সেই মেয়ে (ঋত্বিক ঘটক পরিচালিত), পরিত্রাণ, বিসর্জন (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর), নীলদর্পন (দীনবন্ধু মিত্র), বিদ্যাসাগর (বনফুল), মুসাফির রে কি লিয়ে (গোর্কি), মেঘবেথ (শেক্সপিয়ার), হ য ব র ল (সুকুমার রায়)। তাঁর মৃত্যু কলকাতায় ৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৬। [শামীমা আক্তার]