গোলাপগঞ্জ উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Robot: Automated text replacement (-'''''তথ্যসূত্র''''' +'''তথ্যসূত্র'''))
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১২ নং লাইন: ১২ নং লাইন:
| colspan="9" | উপজেলা
| colspan="9" | উপজেলা
|-
|-
! rowspan="2" | পৌরসভা  || rowspan="2" | ইউনিয়ন  || rowspan="2" | মৌজা  || rowspan="2" | গ্রাম  || colspan="2" | জনসংখ্যা || rowspan="2" | ঘনত্ব(প্রতি বর্গ কিমি)  || colspan="2" | শিক্ষার হার (%)
| rowspan="2" | পৌরসভা  || rowspan="2" | ইউনিয়ন  || rowspan="2" | মৌজা  || rowspan="2" | গ্রাম  || colspan="2" | জনসংখ্যা || rowspan="2" | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি)  || colspan="2" | শিক্ষার হার (%)
|-
|-
| শহর  || গ্রাম || শহর  || গ্রাম
| শহর  || গ্রাম || শহর  || গ্রাম
|-
|-
| ১  || ১১  || ১০৮  || ২৫৬  || ১৮০৬০  || ২৪৫৮৯৩  || ৯৪৮  || ৫৪.৬৮  || ৪৭.৭৭
| ১  || ১১  || ১০৮  || ২৫৬  || ১৮০৬০  || ২৪৫৮৯৩  || ৯৪৮  || ৫৪.৬৮  || ৪৭.৭৭
|}
|}
{| class="table table-bordered table-hover"
{| class="table table-bordered table-hover"
|-
|-
| উপজেলা শহর
| colspan="9" | উপজেলা শহর
|-
|-
| আয়তন (বর্গ কিমি)  || মৌজা  || লোকসংখ্যা  || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি)  || শিক্ষার হার (%)
| আয়তন (বর্গ কিমি)  || মৌজা  || লোকসংখ্যা  || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি)  || শিক্ষার হার (%)
|-
|-
| ১১.১৪  || ৪  || ১৮০৬০  || ১৬২১  || ৫৪.৬৮
| ১১.১৪  || ৪  || ১৮০৬০  || ১৬২১  || ৫৪.৬৮
|}
|}
{| class="table table-bordered table-hover"
{| class="table table-bordered table-hover"
|-
|-
| ইউনিয়ন
| colspan="9" | ইউনিয়ন
|-  
|-  
| rowspan="2" | ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড  || rowspan="2" | আয়তন (একর)  || colspan="2" | লোকসংখ্যা  || rowspan="2" | শিক্ষার হার (%)
| rowspan="2" | ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড  || rowspan="2" | আয়তন (একর)  || colspan="2" | লোকসংখ্যা  || rowspan="2" | শিক্ষার হার (%)
৪২ নং লাইন: ৩৫ নং লাইন:
|-  
|-  
| আমুরা ০৬  || ৫০১০  || ৭৯১১  || ৭৮৯২  || ৪৯.০৮
| আমুরা ০৬  || ৫০১০  || ৭৯১১  || ৭৮৯২  || ৪৯.০৮
|-
|-
| উত্তর বাদেপাশা ৭৭  || ৫৪২৮  || ৯১০৭  || ৯৪৬৬  || ৪৪.৫০
| উত্তর বাদেপাশা ৭৭  || ৫৪২৮  || ৯১০৭  || ৯৪৬৬  || ৪৪.৫০
|-
|-
| গোলাপগঞ্জ ৫১  || ৫৫৬১  || ১৫৬৪১  || ১৫৩৫০  || ৫৭.২৭
| গোলাপগঞ্জ ৫১  || ৫৫৬১  || ১৫৬৪১  || ১৫৩৫০  || ৫৭.২৭
|-
|-
| ঢাকা দক্ষিণ ২৫  || ৯০৭৯  || ১৪২৯২  || ১৪১৬৭  || ৫০.৪৩
| ঢাকা দক্ষিণ ২৫  || ৯০৭৯  || ১৪২৯২  || ১৪১৬৭  || ৫০.৪৩
|-
|-
| ফুলবাড়ী ৪৩  || ৫২৪৬  || ১৪৮৩০  || ১৪২২৬  || ৪৮.৯৫
| ফুলবাড়ী ৪৩  || ৫২৪৬  || ১৪৮৩০  || ১৪২২৬  || ৪৮.৯৫
|-
|-
| বাঘা ০৮  || ৯৭৭০  || ১৪১৫০  || ১৪২৭২  || ৩৭.১৭
| বাঘা ০৮  || ৯৭৭০  || ১৪১৫০  || ১৪২৭২  || ৩৭.১৭
|-
|-
| বুধবারী বাজার ২০  || ২৮০৭  || ৭৮৬৮  || ৮১৯১  || ৫০.১৮
| বুধবারী বাজার ২০  || ২৮০৭  || ৭৮৬৮  || ৮১৯১  || ৫০.১৮
|-
|-
| ভাদেশ্বর ১৭  || ৮১৩১  || ১৫৫৬২  || ১৫৬৬৩  || ৫১.৮৫
| ভাদেশ্বর ১৭  || ৮১৩১  || ১৫৫৬২  || ১৫৬৬৩  || ৫১.৮৫
|-
|-
| লক্ষণাবন্দ ৬৯  || ৬৮৪১  || ১২৭৩৫  || ১২৫৫৬  || ৪৬.২৪
| লক্ষণাবন্দ ৬৯  || ৬৮৪১  || ১২৭৩৫  || ১২৫৫৬  || ৪৬.২৪
|-
|-
| লক্ষীপাশা ৬০  || ৪৭০৬  || ১০৫৬৮  || ১০৪৪২  || ৫৩.৬৩
| লক্ষীপাশা ৬০  || ৪৭০৬  || ১০৫৬৮  || ১০৪৪২  || ৫৩.৬৩
|-
|-
| শরীফগঞ্জ ৩৬  || ৪৯১৩  || ৯৫২৫  || ৯৫৩৯  || ৩৬.৬৮
| শরীফগঞ্জ ৩৬  || ৪৯১৩  || ৯৫২৫  || ৯৫৩৯  || ৩৬.৬৮
|}
|}
''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
 
''প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ'' হযরত বাহাউদ্দিন(র) মাজার, শ্রীচৈতন্যদেবের বাড়ি ও মন্দির, কৈলাশটিলা ও দেওয়ানের পুল।
 
''ঐতিহাসিক ঘটনাবলি'' ঐতিহাসিক নানকার বিদ্রোহের অংশ হিসেবে এখানে রণিকেলী বিদ্রোহ ও ভাদেশ্বর বিদ্রোহ সংঘটিত হয়।


''মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন'' গণকবর ১ (সুন্দিশাইল), স্মৃতিস্তম্ভ ১ (উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার)।
[[Image:GolapganjUpazila(Sylhet).jpg|thumb|400px|right]]
''প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ'' হযরত বাহাউদ্দিন() মাজার, শ্রীচৈতন্যদেবের বাড়ি ও মন্দির, কৈলাশটিলা ও দেওয়ানের পুল।


''ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান'' মসজিদ ৪৪৫, মন্দির ৩, গির্জা ১, মাযার ৯। উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান: ভাদেশ্বর মোকাম বাজার জামে মসজিদ।
''ঐতিহাসিক ঘটনাবলি'' ঐতিহাসিক নানকার বিদ্রোহের অংশ হিসেবে এখানে রণিকেলী বিদ্রোহ ও ভাদেশ্বর বিদ্রোহ সংঘটিত হয়।


[[Image:GolapganjUpazila(Sylhet).jpg|thumb|400px|right|গোলাপগঞ্জ উপজেলা]]
''মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন''  গণকবর ১ (সুন্দিশাইল), স্মৃতিস্তম্ভ ১ (উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার)।


শিক্ষার হার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান  গড় হার ৪৮.২৪%; পুরুষ ৫০.৮৯%, মহিলা ৪৫.৬৪%। কলেজ ৩, কারিগরি কলেজ ১, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩৩, প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৬০, কমিউনিটি বিদ্যালয় ১৫, কিন্ডার গার্টেন ৬০, মাদ্রাসা ১৯। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: ঢাকা দক্ষিণ ডিগ্রী কলেজ, ভাদেশ্বর মহিলা ডিগ্রী কলেজ, ঢাকা দক্ষিণ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ (১৮৯৮), ভাদেশ্বর নাছির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় (১৯১৯), এমসি একাডেমী (১৯৩৪), ফুলবাড়ীয়া মাদ্রাসা (১৮৮২)।
''ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান''  মসজিদ ৪৪৫, মন্দির ৩, গির্জা ১, মাযার ৯। উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান: ভাদেশ্বর মোকাম বাজার জামে মসজিদ।


পত্র-পত্রিকা  সাময়িকি  সাপ্তাহিক পোলাপ, সোনার সিলেট।
''শিক্ষার হার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান''  গড় হার ৪৮.২৪%; পুরুষ ৫০.৮৯%, মহিলা ৪৫.৬৪%। কলেজ ৩, কারিগরি কলেজ ১, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩৩, প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৬০, কমিউনিটি বিদ্যালয় ১৫, কিন্ডার গার্টেন ৬০, মাদ্রাসা ১৯। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: ঢাকা দক্ষিণ ডিগ্রী কলেজ, ভাদেশ্বর মহিলা ডিগ্রী কলেজ, ঢাকা দক্ষিণ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ (১৮৯৮), ভাদেশ্বর নাছির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় (১৯১৯), এমসি একাডেমী (১৯৩৪), ফুলবাড়ীয়া মাদ্রাসা (১৮৮২)।


''সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান'' লাইব্রেরি ৫, সংগীত একাডেমি ৫, কমিউনিটি সেন্টার ১২, খেলার মাঠ ১০।
''পত্র-পত্রিকা  ও সাময়িকি''  সাপ্তাহিক পোলাপ, সোনার সিলেট।


''দর্শনীয় স্থান'' বাংলাদেশ স্কাউট সিলেট অঞ্চল, পেট্রোবাংলা, কৈলাশ টিলা, শ্রীচৈতন্যদেবের জন্মস্থান।
''সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান'' লাইব্রেরি ৫, সংগীত একাডেমি ৫, কমিউনিটি সেন্টার ১২, খেলার মাঠ ১০।


''জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস'' কৃষি ৩৪.০৫%, অকৃষি শ্রমিক ৬.০৩%, শিল্প ০.৯৪%, ব্যবসা ১৪.৬৪%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ৪.০১%, চাকরি ৬.১৬%, নির্মাণ ২.৮৮%, ধর্মীয় সেবা ০.৫৮%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ১৮.৩৪% এবং অন্যান্য ১২.৩৭%।
''দর্শনীয় স্থান'' বাংলাদেশ স্কাউট সিলেট অঞ্চল, পেট্রোবাংলা, কৈলাশ টিলা, শ্রীচৈতন্যদেবের জন্মস্থান।


''কৃষিভূমির মালিকানা'' ভূমিমালিক ৪২.৭৬%, ভূমিহীন ৫৭.২৪%। শহরে ২৭.৯৮% এবং গ্রামে ৪৩.৯১% পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে।
''জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস'' কৃষি ৩৪.০৫%, অকৃষি শ্রমিক ৬.০৩%, শিল্প ০.৯৪%, ব্যবসা ১৪.৬৪%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ৪.০১%, চাকরি ৬.১৬%, নির্মাণ ২.৮৮%, ধর্মীয় সেবা ০.৫৮%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ১৮.৩৪% এবং অন্যান্য ১২.৩৭%


''প্রধান কৃষি ফসল'' ধান, কচু, সুপারি, বরবটি, মিষ্টি কুমড়া, মরিচ।
''কৃষিভূমির মালিকানা'' ভূমিমালিক ৪২.৭৬%, ভূমিহীন ৫৭.২৪%। শহরে ২৭.৯৮% এবং গ্রামে ৪৩.৯১% পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে।


''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি'' সরিষা, তিল, তিসি।
''প্রধান কৃষি ফসল'' ধান, কচু, সুপারি, বরবটি, মিষ্টি কুমড়া, মরিচ।


''প্রধান ফল-ফলাদিব'' কাঁঠাল, আম, লিচু, কলা, লটকন, পেয়ারা, লেবু, বাতাবিলেবু, নারিকেল।
''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি'' সরিষা, তিল, তিসি।


''মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার'' গবাদি পশু ৪০, হাঁস-মুরগি ৭০।
''প্রধান ফল-ফলাদি'' কাঁঠাল, আম, লিচু, কলা, লটকন, পেয়ারা, লেবু, বাতাবিলেবু, নারিকেল।


''যোগাযোগ বিশেষত্ব'' পাকারাস্তা ৩০০ কিমি, আধাপাকারাস্তা ২০০ কিমি, কাঁচারাস্তা ৫০০ কিমি;  নৌপথ ২০ নটিক্যাল মাইল; কালভার্ট ৩০০, ব্রিজ ৭০, সেতু ১৪।
''মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার'' গবাদি পশু ৪০, হাঁস-মুরগি ৭০।


''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন'' পাল্কি, গরুর গাড়ি।
''যোগাযোগ বিশেষত্ব'' পাকারাস্তা ৩০০ কিমি, আধাপাকারাস্তা ২০০ কিমি, কাঁচারাস্তা ৫০০ কিমি;  নৌপথ ২০ নটিক্যাল মাইল; কালভার্ট ৩০০, ব্রিজ ৭০, সেতু ১৪।


''শিল্প ও কলকারখানা'' এলপি গ্যাস প্লান্ট।
''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন'' পাল্কি, গরুর গাড়ি।


''কুটিরশিল্প'' আইসক্রিম ফ্যাক্টরি, বেকারি, পলিথিন ব্যাগ কারখানা।
''শিল্প ও কলকারখানা'' এলপি গ্যাস প্লান্ট।


''হাটবাজার ও মেলা'' হাটবাজার ৩০, মেলা ১। গোলাপগঞ্জ, ঢাকা দক্ষিণ, ভাদেশ্বর ও মোকাম বাজার এবং চৈত্র সংক্রান্তি মেলা উল্লেখযোগ্য।
''কুটিরশিল্প'' আইসক্রিম ফ্যাক্টরি, বেকারি, পলিথিন ব্যাগ কারখানা।


''প্রধান রপ্তানিদ্রব্য''   প্রাকৃতিক গ্যাস, বরবটি, মিষ্টি কুমড়া, মরিচ।
''হাটবাজার ও মেলা'' হাটবাজার ৩০, মেলা ১। গোলাপগঞ্জ, ঢাকা দক্ষিণ, ভাদেশ্বর ও মোকাম বাজার এবং চৈত্র সংক্রান্তি মেলা উল্লেখযোগ্য।


''বিদ্যুৎ ব্যবহার'' এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পল্লিলবিদ্যুতায়ন কর্মসুচির আওতাধীন। তবে ৪৬.২০% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
''প্রধান রপ্তানিদ্রব্য''  প্রাকৃতিক গ্যাস, বরবটি, মিষ্টি কুমড়া, মরিচ।


প্রাকৃতিক সম্পদ  গ্যাসক্ষেত্র  ৪।
''বিদ্যুৎ ব্যবহার''  এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পল্লিলবিদ্যুতায়ন কর্মসুচির আওতাধীন। তবে ৪৬.২০% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।


''পানীয়জলের উৎস'' নলকূপ ৮৩.০১%, ট্যাপ ২.০৫%, পুকুর ৮.৪৫% এবং অন্যান্য ৬.৪৯%। এ উপজেলার ১০.০৩% অগভীর নলকূপের পানিতে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিকের উপস্থিতি প্রমাণিত হয়েছে।
''প্রাকৃতিক সম্পদ''  গ্যাসক্ষেত্র  ৪।


''স্যানিটেশন ব্যবস্থা'' এ উপজেলার ৪৮.৭৪% (শহরে ৫৭.৭৮% এবং গ্রামে ৪৮.০৩%) পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৪৫.৪৬% (শহরে ৩৭.৮০% এবং গ্রামে ৪৬.০৬%) পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ৫.৮১% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।
''পানীয়জলের উৎস'' নলকূপ ৮৩.০১%, ট্যাপ ২.০৫%, পুকুর ৮.৪৫% এবং অন্যান্য ৬.৪৯%। এ উপজেলার ১০.০৩% অগভীর নলকূপের পানিতে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিকের উপস্থিতি প্রমাণিত হয়েছে।


''স্বাস্থ্যকেন্দ্র'' উপজেলা স্বাস্থকেন্দ্র ১, ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র ১১, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র , কমিউনিটি ক্লিনিক ১১, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র ১, ডায়গনস্টিক সেন্টার ৩, পশু চিকিৎসা কেন্দ্র ১।
''স্যানিটেশন ব্যবস্থা'' এ উপজেলার ৪৮.৭৪% (শহরে ৫৭.৭৮% এবং গ্রামে ৪৮.০৩%) পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৪৫.৪৬% (শহরে ৩৭.৮০% এবং গ্রামে ৪৬.০৬%) পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। .৮১% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।


''এনজিও'' ব্র্যাক, সীমান্তিক প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
''স্বাস্থ্যকেন্দ্র'' উপজেলা স্বাস্থকেন্দ্র ১, ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র ১১, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৫, কমিউনিটি ক্লিনিক ১১, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র ১, ডায়গনস্টিক সেন্টার ৩, পশু চিকিৎসা কেন্দ্র ১।


[আজিজুল পারভেজ]
''এনজিও''  ব্র্যাক, সীমান্তিক প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।  [আজিজুল পারভেজ]


'''তথ্যসূত্র'''   আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; গোলাপগঞ্জ উপজেলার মাঠ পর্যায়ের প্রতিবেদন ২০১০।
'''তথ্যসূত্র''' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; গোলাপগঞ্জ উপজেলার মাঠ পর্যায়ের প্রতিবেদন ২০১০।


[[en:Golabganj Upazila]]
[[en:Golabganj Upazila]]

০৮:৩৬, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

গোলাপগঞ্জ উপজেলা (সিলেট জেলা)  আয়তন: ২৭৮.৩৪ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৪°৪১´ থেকে ২৪°৫৫´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°৫৫´ থেকে ৯২°০৬´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে সিলেট সদর, জৈন্তাপুর ও কানাইঘাট উপজেলা, দক্ষিণে ফেঞ্চুগঞ্জ ও বড়লেখা উপজেলা, পূর্বে বিয়ানীবাজার ও বড়লেখা উপজেলা, পশ্চিমে সিলেট সদর উপজেলা।

জনসংখ্যা ২৬৩৯৫৩; পুরুষ ১৩২১৮৯, মহিলা ১৩১৭৬৪। মুসলিম ২৫২১৬৭, হিন্দু ১১৭২৫, বৌদ্ধ ২১ এবং অন্যান্য ৪০। এ উপজেলায় মণিপুরী, ত্রিপুরা প্রভৃতি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে।

জলাশয় সুরমা, কুশিয়ারা ও সোনাই নদী এবং সিংগারি, বাঘা, ফাটামাটি, পারইয়া ও সোনাডুবি বিল উল্লেখযোগ্য।

প্রশাসন গোলাপগঞ্জ থানা গঠিত হয় ১৯২২ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৩ সালে।

উপজেলা
পৌরসভা ইউনিয়ন মৌজা গ্রাম জনসংখ্যা ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
শহর গ্রাম শহর গ্রাম
১১ ১০৮ ২৫৬ ১৮০৬০ ২৪৫৮৯৩ ৯৪৮ ৫৪.৬৮ ৪৭.৭৭
উপজেলা শহর
আয়তন (বর্গ কিমি) মৌজা লোকসংখ্যা ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
১১.১৪ ১৮০৬০ ১৬২১ ৫৪.৬৮
ইউনিয়ন
ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড আয়তন (একর) লোকসংখ্যা শিক্ষার হার (%)
পুরুষ মহিলা
আমুরা ০৬ ৫০১০ ৭৯১১ ৭৮৯২ ৪৯.০৮
উত্তর বাদেপাশা ৭৭ ৫৪২৮ ৯১০৭ ৯৪৬৬ ৪৪.৫০
গোলাপগঞ্জ ৫১ ৫৫৬১ ১৫৬৪১ ১৫৩৫০ ৫৭.২৭
ঢাকা দক্ষিণ ২৫ ৯০৭৯ ১৪২৯২ ১৪১৬৭ ৫০.৪৩
ফুলবাড়ী ৪৩ ৫২৪৬ ১৪৮৩০ ১৪২২৬ ৪৮.৯৫
বাঘা ০৮ ৯৭৭০ ১৪১৫০ ১৪২৭২ ৩৭.১৭
বুধবারী বাজার ২০ ২৮০৭ ৭৮৬৮ ৮১৯১ ৫০.১৮
ভাদেশ্বর ১৭ ৮১৩১ ১৫৫৬২ ১৫৬৬৩ ৫১.৮৫
লক্ষণাবন্দ ৬৯ ৬৮৪১ ১২৭৩৫ ১২৫৫৬ ৪৬.২৪
লক্ষীপাশা ৬০ ৪৭০৬ ১০৫৬৮ ১০৪৪২ ৫৩.৬৩
শরীফগঞ্জ ৩৬ ৪৯১৩ ৯৫২৫ ৯৫৩৯ ৩৬.৬৮

সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।

প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ হযরত বাহাউদ্দিন(র) মাজার, শ্রীচৈতন্যদেবের বাড়ি ও মন্দির, কৈলাশটিলা ও দেওয়ানের পুল।

ঐতিহাসিক ঘটনাবলি ঐতিহাসিক নানকার বিদ্রোহের অংশ হিসেবে এখানে রণিকেলী বিদ্রোহ ও ভাদেশ্বর বিদ্রোহ সংঘটিত হয়।

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন গণকবর ১ (সুন্দিশাইল), স্মৃতিস্তম্ভ ১ (উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার)।

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ৪৪৫, মন্দির ৩, গির্জা ১, মাযার ৯। উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান: ভাদেশ্বর মোকাম বাজার জামে মসজিদ।

শিক্ষার হার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান  গড় হার ৪৮.২৪%; পুরুষ ৫০.৮৯%, মহিলা ৪৫.৬৪%। কলেজ ৩, কারিগরি কলেজ ১, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩৩, প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৬০, কমিউনিটি বিদ্যালয় ১৫, কিন্ডার গার্টেন ৬০, মাদ্রাসা ১৯। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: ঢাকা দক্ষিণ ডিগ্রী কলেজ, ভাদেশ্বর মহিলা ডিগ্রী কলেজ, ঢাকা দক্ষিণ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ (১৮৯৮), ভাদেশ্বর নাছির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় (১৯১৯), এমসি একাডেমী (১৯৩৪), ফুলবাড়ীয়া মাদ্রাসা (১৮৮২)।

পত্র-পত্রিকা  ও সাময়িকি  সাপ্তাহিক পোলাপ, সোনার সিলেট।

সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান লাইব্রেরি ৫, সংগীত একাডেমি ৫, কমিউনিটি সেন্টার ১২, খেলার মাঠ ১০।

দর্শনীয় স্থান বাংলাদেশ স্কাউট সিলেট অঞ্চল, পেট্রোবাংলা, কৈলাশ টিলা, শ্রীচৈতন্যদেবের জন্মস্থান।

জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৩৪.০৫%, অকৃষি শ্রমিক ৬.০৩%, শিল্প ০.৯৪%, ব্যবসা ১৪.৬৪%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ৪.০১%, চাকরি ৬.১৬%, নির্মাণ ২.৮৮%, ধর্মীয় সেবা ০.৫৮%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ১৮.৩৪% এবং অন্যান্য ১২.৩৭%।

কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৪২.৭৬%, ভূমিহীন ৫৭.২৪%। শহরে ২৭.৯৮% এবং গ্রামে ৪৩.৯১% পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে।

প্রধান কৃষি ফসল ধান, কচু, সুপারি, বরবটি, মিষ্টি কুমড়া, মরিচ।

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি সরিষা, তিল, তিসি।

প্রধান ফল-ফলাদি কাঁঠাল, আম, লিচু, কলা, লটকন, পেয়ারা, লেবু, বাতাবিলেবু, নারিকেল।

মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার গবাদি পশু ৪০, হাঁস-মুরগি ৭০।

যোগাযোগ বিশেষত্ব পাকারাস্তা ৩০০ কিমি, আধাপাকারাস্তা ২০০ কিমি, কাঁচারাস্তা ৫০০ কিমি;  নৌপথ ২০ নটিক্যাল মাইল; কালভার্ট ৩০০, ব্রিজ ৭০, সেতু ১৪।

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি, গরুর গাড়ি।

শিল্প ও কলকারখানা এলপি গ্যাস প্লান্ট।

কুটিরশিল্প আইসক্রিম ফ্যাক্টরি, বেকারি, পলিথিন ব্যাগ কারখানা।

হাটবাজার ও মেলা হাটবাজার ৩০, মেলা ১। গোলাপগঞ্জ, ঢাকা দক্ষিণ, ভাদেশ্বর ও মোকাম বাজার এবং চৈত্র সংক্রান্তি মেলা উল্লেখযোগ্য।

প্রধান রপ্তানিদ্রব্য  প্রাকৃতিক গ্যাস, বরবটি, মিষ্টি কুমড়া, মরিচ।

বিদ্যুৎ ব্যবহার এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পল্লিলবিদ্যুতায়ন কর্মসুচির আওতাধীন। তবে ৪৬.২০% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।

প্রাকৃতিক সম্পদ  গ্যাসক্ষেত্র  ৪।

পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৮৩.০১%, ট্যাপ ২.০৫%, পুকুর ৮.৪৫% এবং অন্যান্য ৬.৪৯%। এ উপজেলার ১০.০৩% অগভীর নলকূপের পানিতে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিকের উপস্থিতি প্রমাণিত হয়েছে।

স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ উপজেলার ৪৮.৭৪% (শহরে ৫৭.৭৮% এবং গ্রামে ৪৮.০৩%) পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৪৫.৪৬% (শহরে ৩৭.৮০% এবং গ্রামে ৪৬.০৬%) পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ৫.৮১% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।

স্বাস্থ্যকেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থকেন্দ্র ১, ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র ১১, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৫, কমিউনিটি ক্লিনিক ১১, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র ১, ডায়গনস্টিক সেন্টার ৩, পশু চিকিৎসা কেন্দ্র ১।

এনজিও ব্র্যাক, সীমান্তিক প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। [আজিজুল পারভেজ]

তথ্যসূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; গোলাপগঞ্জ উপজেলার মাঠ পর্যায়ের প্রতিবেদন ২০১০।