গাবতলী উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Robot: Automated text replacement (-'''''তথ্যসূত্র''''' +'''তথ্যসূত্র'''))
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
'''গাবতলী উপজেলা''' (বগুড়া জেলা)  আয়তন: ২৩৯.৬০ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৪°৪৬´ থেকে ২৫°০১´ উত্তর অক্ষাংশ এবং  ৮৯°২২´ থেকে ৮৯°৩৩´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে শিবগঞ্জ (বগুড়া) ও সোনাতলা উপজেলা, দক্ষিণে ধুনট উপজেলা, পূর্বে সারিয়াকান্দি উপজেলা, পশ্চিমে বগুড়া সদর ও শাহজাহানপুর উপজেলা।
'''গাবতলী উপজেলা''' ([[বগুড়া জেলা|বগুড়া জেলা]])  আয়তন: ২৩৯.৬০ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৪°৪৬´ থেকে ২৫°০১´ উত্তর অক্ষাংশ এবং  ৮৯°২২´ থেকে ৮৯°৩৩´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে শিবগঞ্জ (বগুড়া) ও সোনাতলা উপজেলা, দক্ষিণে ধুনট উপজেলা, পূর্বে সারিয়াকান্দি উপজেলা, পশ্চিমে বগুড়া সদর ও শাহজাহানপুর উপজেলা।


''জনসংখ্যা'' ২৯০১৯০; পুরুষ ১৪৮৭২৭, মহিলা ১৪১৪৬৩। মুসলিম ২৭১৬৩৩, হিন্দু ১৮৫০৮, বৌদ্ধ ১৬ এবং অন্যান্য ৩১।
''জনসংখ্যা'' ২৯০১৯০; পুরুষ ১৪৮৭২৭, মহিলা ১৪১৪৬৩। মুসলিম ২৭১৬৩৩, হিন্দু ১৮৫০৮, বৌদ্ধ ১৬ এবং অন্যান্য ৩১।
১২ নং লাইন: ১২ নং লাইন:
| colspan="9" | উপজেলা
| colspan="9" | উপজেলা
|-
|-
! rowspan="2" | পৌরসভা  || rowspan="2" | ইউনিয়ন  || rowspan="2" | মৌজা  || rowspan="2" | গ্রাম  || colspan="2" | জনসংখ্যা || rowspan="2" | ঘনত্ব(প্রতি বর্গ কিমি)  || colspan="2" | শিক্ষার হার (%)
| rowspan="2" | পৌরসভা  || rowspan="2" | ইউনিয়ন  || rowspan="2" | মৌজা  || rowspan="2" | গ্রাম  || colspan="2" | জনসংখ্যা || rowspan="2" | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি)  || colspan="2" | শিক্ষার হার (%)
|-
|-
| শহর  || গ্রাম || শহর  || গ্রাম
| শহর  || গ্রাম || শহর  || গ্রাম
|-
|-
| -  || ১১  || ১০৬  || ২১৪  || ৩১৪৩  || ২৮৭০৪৭  || ১২১১  || ৬৭.৭  || ৩৯.৪
| -  || ১১  || ১০৬  || ২১৪  || ৩১৪৩  || ২৮৭০৪৭  || ১২১১  || ৬৭.৭  || ৩৯.৪
|}
|}
{| class="table table-bordered table-hover"
{| class="table table-bordered table-hover"
|-
|-
৩০ নং লাইন: ২৫ নং লাইন:
|-
|-
| ১.২১  || ১  || ৩১৪৩  || ২৫৯৮  || ৬৭.১৭
| ১.২১  || ১  || ৩১৪৩  || ২৫৯৮  || ৬৭.১৭
|}
|}
{| class="table table-bordered table-hover"
{| class="table table-bordered table-hover"
|-
|-
| ইউনিয়ন
| colspan="9" | ইউনিয়ন
|-  
|-  
| rowspan="2" | ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড  || rowspan="2" | আয়তন (একর)  || colspan="2" | লোকসংখ্যা  || rowspan="2" | শিক্ষার হার (%)
| rowspan="2" | ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড  || rowspan="2" | আয়তন (একর)  || colspan="2" | লোকসংখ্যা  || rowspan="2" | শিক্ষার হার (%)
৪২ নং লাইন: ৩৫ নং লাইন:
|-  
|-  
| কাগইল ৪৭  || ৮০১৭  || ১০৩১৭  || ৯৫৬৬  || ৪২.৪৪
| কাগইল ৪৭  || ৮০১৭  || ১০৩১৭  || ৯৫৬৬  || ৪২.৪৪
|-
|-
| গাবতলী ৩৩  || ৫১০০  || ১৪২৮৮  || ১৩৬৬১  || ৪৯.৪৭
| গাবতলী ৩৩  || ৫১০০  || ১৪২৮৮  || ১৩৬৬১  || ৪৯.৪৭
|-
|-
| দক্ষিণপাড়া ১৭  || ৪২৬৩ || ৮১৬৫  || ৭৯৭২  || ৩৬.৬১
| দক্ষিণপাড়া ১৭  || ৪২৬৩ || ৮১৬৫  || ৭৯৭২  || ৩৬.৬১
|-
|-
| দুর্গাহাটা ২৭  || ৬৬৬১  || ১৫৯৭১  || ১৫৫৯০  || ৩৫.৮৩
| দুর্গাহাটা ২৭  || ৬৬৬১  || ১৫৯৭১  || ১৫৫৯০  || ৩৫.৮৩
|-
|-
| নসিপুর ৬৭  || ৪৩৪৯  || ৯৮৪৫  || ৯৫১৭  || ৩৭.৬৭
| নসিপুর ৬৭  || ৪৩৪৯  || ৯৮৪৫  || ৯৫১৭  || ৩৭.৬৭
|-
|-
| নরুয়ামালা ৬১  || ৪৯৮৩  || ১৩৪৬২  || ১২৮১৮  || ৪১.১২
| নরুয়ামালা ৬১  || ৪৯৮৩  || ১৩৪৬২  || ১২৮১৮  || ৪১.১২
|-
|-
| নেপালতলী ৭৪  || ৭৫৫২  || ২০০৩৭  || ১৮৮৮০  || ৪২.০৯
| নেপালতলী ৭৪  || ৭৫৫২  || ২০০৩৭  || ১৮৮৮০  || ৪২.০৯
|-
|-
| বালিয়াদীঘি ৬  || ৫৪০২  || ১১৪০২  || ১০৯৮৪  || ৩২.৬০
| বালিয়াদীঘি ৬  || ৫৪০২  || ১১৪০২  || ১০৯৮৪  || ৩২.৬০
|-
|-
| মহিষাবন ৫৪  || ৫৭৮৪  || ১৫২৩৭  || ১৪১৪৫  || ৩৭.৬৯
| মহিষাবন ৫৪  || ৫৭৮৪  || ১৫২৩৭  || ১৪১৪৫  || ৩৭.৬৯
|-
|-
| রামেশ্বরপুর ৮১  || ৪৩২৪  || ১৩১৬৩  || ১২৪৫৫  || ৩৬.৯৪
| রামেশ্বরপুর ৮১  || ৪৩২৪  || ১৩১৬৩  || ১২৪৫৫  || ৩৬.৯৪
|-
|-
| সোনারাই ৮৮  || ৭০৩৬  || ১৬৮৪০  || ১৫৮৭৫  || ৪০.৫৮
| সোনারাই ৮৮  || ৭০৩৬  || ১৬৮৪০  || ১৫৮৭৫  || ৪০.৫৮
৭৫ নং লাইন: ৫৮ নং লাইন:
''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।


''প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ'' কালীমন্দির ও মহাশ্মশান (১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দ, আমতলী গ্রাম), মাদার শাহ গাজীর মসজিদ ও মাযার (বাগবাড়ি গ্রাম)।
''প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ'' কালীমন্দির ও মহাশ্মশান (১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দ, আমতলী গ্রাম), মাদার শাহ গাজীর মসজিদ ও মাযার (বাগবাড়ি গ্রাম)।
 
''ঐতিহাসিক ঘটনাবলি'' ওহাবী-আন্দোলন ও খেলাফত-আন্দোলনে এ উপজেলার জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল। ১৯৭১ সালের ২৩ এপ্রিল পাকবাহিনী স্থানীয় বিহারি ও রাজাকারদের সহযোগিতায় নিরীহ লোকদের নির্মমভাবে হত্যা করে। সেসময় তারা গাবতলীতে একটি মিলিটারি ক্যাম্প স্থাপন করে। ১৫ নভেম্বর বালিয়াদীঘি ইউনিয়নের দাড়িপাড়া গ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পাকবাহিনীর লড়াইয়ে ১ জন মুক্তিযোদ্ধা গ্রুপ কমান্ডার শহীদ হন। ২৫ নভেম্বর জয়ভোগা গ্রামের রেলব্রীজের দখল নিয়ে পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে কিছুসংখ্যক নিরীহ লোক মারা যায়। ১৩ ডিসেম্বর পাকসেনারা পালিয়ে যাওয়ার সময় ২ জন নিরীহ লোককে হত্যা করলে মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে তাদের সম্মুখ লড়াইয়ে ১ জন পাকসেনা নিহত হয়। ১৬ ডিসেম্বর ক্ষুদ্রপেরী গ্রামের জঙ্গলে ৪ জন পাকসেনা আত্মগোপন করলে তাদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের বন্দুকযুদ্ধে ১ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন এবং পাকসেনারা নিহত হয়।


[[Image:GabtoliUpazila.jpg|thumb|400px|right|গাবতলী উপজেলা]]
[[Image:GabtoliUpazila.jpg|thumb|400px|right]]
''ঐতিহাসিক ঘটনাবলি''  ওহাবী-আন্দোলন ও খেলাফত-আন্দোলনে এ উপজেলার জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল। ১৯৭১ সালের ২৩ এপ্রিল পাকবাহিনী স্থানীয় বিহারি ও রাজাকারদের সহযোগিতায় নিরীহ লোকদের নির্মমভাবে হত্যা করে। সেসময় তারা গাবতলীতে একটি মিলিটারি ক্যাম্প স্থাপন করে। ১৫ নভেম্বর বালিয়াদীঘি ইউনিয়নের দাড়িপাড়া গ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পাকবাহিনীর লড়াইয়ে ১ জন মুক্তিযোদ্ধা গ্রুপ কমান্ডার শহীদ হন। ২৫ নভেম্বর জয়ভোগা গ্রামের রেলব্রীজের দখল নিয়ে পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে কিছুসংখ্যক নিরীহ লোক মারা যায়। ১৩ ডিসেম্বর পাকসেনারা পালিয়ে যাওয়ার সময় ২ জন নিরীহ লোককে হত্যা করলে মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে তাদের সম্মুখ লড়াইয়ে ১ জন পাকসেনা নিহত হয়। ১৬ ডিসেম্বর ক্ষুদ্রপেরী গ্রামের জঙ্গলে ৪ জন পাকসেনা আত্মগোপন করলে তাদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের বন্দুকযুদ্ধে ১ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন এবং পাকসেনারা নিহত হয়।


''ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান'' মসজিদ ৪৫৫, মন্দির ২১।
''ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান'' মসজিদ ৪৫৫, মন্দির ২১।


''শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান'' গড় হার ৩৯.৭%; পুরুষ ৪৩.৪%, মহিলা ৩৫.৮%। কলেজ ৯, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩৯, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩৭৯, কমিউনিটি স্কুল ২, মাদ্রাসা ৩০। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: কাগইল করুণাকান্ত উচ্চবিদ্যালয়, সোন্দাবাড়ি দারুল হাদীস রহমানীয়া মাদ্রাসা (১৭০০)।
''শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান'' গড় হার ৩৯.৭%; পুরুষ ৪৩.৪%, মহিলা ৩৫.৮%। কলেজ ৯, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩৯, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩৭৯, কমিউনিটি স্কুল ২, মাদ্রাসা ৩০। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: কাগইল করুণাকান্ত উচ্চবিদ্যালয়, সোন্দাবাড়ি দারুল হাদীস রহমানীয়া মাদ্রাসা (১৭০০)।


''পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী'' শিল্প-সাহিত্য পত্রিকা ‘বৃত্ত‘ ও সাহিত্য পত্রিকা ‘দোঅাঁশ’।
''পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী'' শিল্প-সাহিত্য পত্রিকা ‘বৃত্ত‘ ও সাহিত্য পত্রিকা ‘দোঅাঁশ’।


''সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান'' ক্লাব ১৬, থিয়েটার ১, সিনেমা হল ২, মহিলা সংগঠন ২, খেলার মাঠ ৩৮।
''সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান'' ক্লাব ১৬, থিয়েটার ১, সিনেমা হল ২, মহিলা সংগঠন ২, খেলার মাঠ ৩৮।


''বিনোদনকেন্দ্র'' তরফমেরু গ্রামের  দৃষ্টিনন্দন পার্ক।
''বিনোদনকেন্দ্র'' তরফমেরু গ্রামের  দৃষ্টিনন্দন পার্ক।


''জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস'' কৃষি ৬৩.২৭%, অকৃষি শ্রমিক ২.৪০%, শিল্প ০.৯৯%, ব্যবসা ১৩.৬৬%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ৫.৪০%, চাকরি ৫.০৭%, নির্মাণ ১.৬৫%, ধর্মীয় সেবা ০.১৫%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.৭১% এবং অন্যান্য ৬.৭০%।
''জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস'' কৃষি ৬৩.২৭%, অকৃষি শ্রমিক ২.৪০%, শিল্প ০.৯৯%, ব্যবসা ১৩.৬৬%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ৫.৪০%, চাকরি ৫.০৭%, নির্মাণ ১.৬৫%, ধর্মীয় সেবা ০.১৫%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.৭১% এবং অন্যান্য ৬.৭০%।


''কৃষিভূমির মালিকানা'' ভূমিমালিক ৫৮.১৫%, ভূমিহীন ৪১.৮৫%। শহরে ৫৭.৪৭% এবং গ্রামে ৫৮.১৬% পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে।
''কৃষিভূমির মালিকানা'' ভূমিমালিক ৫৮.১৫%, ভূমিহীন ৪১.৮৫%। শহরে ৫৭.৪৭% এবং গ্রামে ৫৮.১৬% পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে।


''প্রধান কৃষি ফসল'' ধান, গম, পাট, আলু, ইক্ষু, সরিষা, শাকসবজি।
''প্রধান কৃষি ফসল'' ধান, গম, পাট, আলু, ইক্ষু, সরিষা, শাকসবজি।


''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি'' বোনা আমন ও আউশ ধান, মিষ্টি আলু, তিল, কাউন।
''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি'' বোনা আমন ও আউশ ধান, মিষ্টি আলু, তিল, কাউন।


''প্রধান ফল-ফলাদিব'' আম, কাঁঠাল, লিচু, কলা, পেঁপে, পেয়ারা।
''প্রধান ফল-ফলাদি'' আম, কাঁঠাল, লিচু, কলা, পেঁপে, পেয়ারা।


মৎস্য, গবাদিপশু ও  হাঁস-মুরগির খামার  এ উপজেলায় মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার রয়েছে।
''মৎস্য, গবাদিপশু ও  হাঁস-মুরগির খামার''  এ উপজেলায় মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার রয়েছে।


''যোগাযোগ বিশেষত্ব'' পাকারাস্তা ১২৫ কিমি, কাঁচারাস্তা ৩৫৮ কিমি; রেলপথ ১২ কিমি, রেলস্টেশন ২।
''যোগাযোগ বিশেষত্ব'' পাকারাস্তা ১২৫ কিমি, কাঁচারাস্তা ৩৫৮ কিমি; রেলপথ ১২ কিমি, রেলস্টেশন ২।


''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন'' পাল্কি, ঘোড়া ও গরুর গাড়ি।
''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন'' পাল্কি, ঘোড়া ও গরুর গাড়ি।


''শিল্প ও কলকারখানা'' খাদ্য ও পানীয় শিল্প, বরফকল।
''শিল্প ও কলকারখানা'' খাদ্য ও পানীয় শিল্প, বরফকল।


''কুটিরশিল্প'' স্বর্ণশিল্প, লৌহশিল্প, তাঁতশিল্প, মৃৎশিল্প, সূচিশিল্প, বাঁশের কাজ, কাঠের কাজ, রেশমগুটি উৎপাদন কেন্দ্র।
''কুটিরশিল্প'' স্বর্ণশিল্প, লৌহশিল্প, তাঁতশিল্প, মৃৎশিল্প, সূচিশিল্প, বাঁশের কাজ, কাঠের কাজ, রেশমগুটি উৎপাদন কেন্দ্র।


''হাটবাজার ও মেলা'' হাটবাজার ২৫। নরুয়ামালা হাট, তরণী হাট, সুখানপুকুর হাট, পীরগাছা হাট, বাইগুনী হাট, পেরীর হাট, ডাকুমারা হাট এবং গোলাবাড়ি বাজার ও পোড়াদহ মেলা উল্লেখযোগ্য।
''হাটবাজার ও মেলা'' হাটবাজার ২৫। নরুয়ামালা হাট, তরণী হাট, সুখানপুকুর হাট, পীরগাছা হাট, বাইগুনী হাট, পেরীর হাট, ডাকুমারা হাট এবং গোলাবাড়ি বাজার ও পোড়াদহ মেলা উল্লেখযোগ্য।


''প্রধান রপ্তানিদ্রব্য''   কলা, পাট, আলু, শাকসবজি।
''প্রধান রপ্তানিদ্রব্য''  কলা, পাট, আলু, শাকসবজি।


''বিদ্যুৎ ব্যবহার'' এ উপজেলার সবক’টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ১৫.৩২% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
''বিদ্যুৎ ব্যবহার'' এ উপজেলার সবক’টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ১৫.৩২% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।


প্রাকৃতিক সম্পদ  এ উপজেলার তল্লাতলায় তেল খনির সন্ধান পাওয়া গেছে।
''প্রাকৃতিক সম্পদ''  এ উপজেলার তল্লাতলায় তেল খনির সন্ধান পাওয়া গেছে।


''পানীয়জলের উৎস'' নলকূপ ৯৩.৬৪%, ট্যাপ ০.৩৩%, পুকুর ০.১৮% এবং অন্যান্য ৫.৮৫%। এ উপজেলার অগভীর নলকূপের পানিতে আর্সেনিকের উপস্থিতি প্রমাণিত হয়েছে।
''পানীয়জলের উৎস'' নলকূপ ৯৩.৬৪%, ট্যাপ ০.৩৩%, পুকুর ০.১৮% এবং অন্যান্য ৫.৮৫%। এ উপজেলার অগভীর নলকূপের পানিতে আর্সেনিকের উপস্থিতি প্রমাণিত হয়েছে।


স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ উপজেলার ২৪.৬৮% (গ্রামে ২৪.৩৬% ও শহরে ৫৫.৮৮%) পরিবার স্বাস্থ্যকর  এবং ৩৭.২৬% (গ্রামে ৩৭.২৭% ও শহরে ৩৬.৫৭%) পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন  ব্যবহার করে। ৩৮.০৬% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।
''স্যানিটেশন ব্যবস্থা''  এ উপজেলার ২৪.৬৮% (গ্রামে ২৪.৩৬% ও শহরে ৫৫.৮৮%) পরিবার স্বাস্থ্যকর  এবং ৩৭.২৬% (গ্রামে ৩৭.২৭% ও শহরে ৩৬.৫৭%) পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন  ব্যবহার করে। ৩৮.০৬% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।


''স্বাস্থ্যকেন্দ্র'' উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ১, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৮, স্বাস্থ্য উপকেন্দ্র ৬।
''স্বাস্থ্যকেন্দ্র'' উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ১, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৮, স্বাস্থ্য উপকেন্দ্র ৬।


''এনজিও'' ব্র্যাক, আশা, ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘ।  [সরকার আব্দুল হাই]
''এনজিও'' ব্র্যাক, আশা, ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘ।  [সরকার আব্দুল হাই]


'''তথ্যসূত্র'''   আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; গাবতলী উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন  ২০০৭।
'''তথ্যসূত্র'''  আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; গাবতলী উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন  ২০০৭।


[[en:Gabtali Upazila]]
[[en:Gabtali Upazila]]

০৯:৪০, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

গাবতলী উপজেলা (বগুড়া জেলা)  আয়তন: ২৩৯.৬০ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৪°৪৬´ থেকে ২৫°০১´ উত্তর অক্ষাংশ এবং  ৮৯°২২´ থেকে ৮৯°৩৩´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে শিবগঞ্জ (বগুড়া) ও সোনাতলা উপজেলা, দক্ষিণে ধুনট উপজেলা, পূর্বে সারিয়াকান্দি উপজেলা, পশ্চিমে বগুড়া সদর ও শাহজাহানপুর উপজেলা।

জনসংখ্যা ২৯০১৯০; পুরুষ ১৪৮৭২৭, মহিলা ১৪১৪৬৩। মুসলিম ২৭১৬৩৩, হিন্দু ১৮৫০৮, বৌদ্ধ ১৬ এবং অন্যান্য ৩১।

জলাশয় প্রধান নদী: ইছামতি, বাঙ্গালী ও সুখদহ। কাটলাহার বিল, ডুমার বিল, চরার বিল ও উনচুকি বিল উল্লেখযোগ্য।

প্রশাসন থানা গাঠিত হয় ১৯১৪ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৩ সালে।

উপজেলা
পৌরসভা ইউনিয়ন মৌজা গ্রাম জনসংখ্যা ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
শহর গ্রাম শহর গ্রাম
- ১১ ১০৬ ২১৪ ৩১৪৩ ২৮৭০৪৭ ১২১১ ৬৭.৭ ৩৯.৪
উপজেলা শহর
আয়তন (বর্গ কিমি) মৌজা লোকসংখ্যা ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
১.২১ ৩১৪৩ ২৫৯৮ ৬৭.১৭
ইউনিয়ন
ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড আয়তন (একর) লোকসংখ্যা শিক্ষার হার (%)
পুরুষ মহিলা
কাগইল ৪৭ ৮০১৭ ১০৩১৭ ৯৫৬৬ ৪২.৪৪
গাবতলী ৩৩ ৫১০০ ১৪২৮৮ ১৩৬৬১ ৪৯.৪৭
দক্ষিণপাড়া ১৭ ৪২৬৩ ৮১৬৫ ৭৯৭২ ৩৬.৬১
দুর্গাহাটা ২৭ ৬৬৬১ ১৫৯৭১ ১৫৫৯০ ৩৫.৮৩
নসিপুর ৬৭ ৪৩৪৯ ৯৮৪৫ ৯৫১৭ ৩৭.৬৭
নরুয়ামালা ৬১ ৪৯৮৩ ১৩৪৬২ ১২৮১৮ ৪১.১২
নেপালতলী ৭৪ ৭৫৫২ ২০০৩৭ ১৮৮৮০ ৪২.০৯
বালিয়াদীঘি ৬ ৫৪০২ ১১৪০২ ১০৯৮৪ ৩২.৬০
মহিষাবন ৫৪ ৫৭৮৪ ১৫২৩৭ ১৪১৪৫ ৩৭.৬৯
রামেশ্বরপুর ৮১ ৪৩২৪ ১৩১৬৩ ১২৪৫৫ ৩৬.৯৪
সোনারাই ৮৮ ৭০৩৬ ১৬৮৪০ ১৫৮৭৫ ৪০.৫৮

সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।

প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ কালীমন্দির ও মহাশ্মশান (১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দ, আমতলী গ্রাম), মাদার শাহ গাজীর মসজিদ ও মাযার (বাগবাড়ি গ্রাম)।

ঐতিহাসিক ঘটনাবলি ওহাবী-আন্দোলন ও খেলাফত-আন্দোলনে এ উপজেলার জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল। ১৯৭১ সালের ২৩ এপ্রিল পাকবাহিনী স্থানীয় বিহারি ও রাজাকারদের সহযোগিতায় নিরীহ লোকদের নির্মমভাবে হত্যা করে। সেসময় তারা গাবতলীতে একটি মিলিটারি ক্যাম্প স্থাপন করে। ১৫ নভেম্বর বালিয়াদীঘি ইউনিয়নের দাড়িপাড়া গ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পাকবাহিনীর লড়াইয়ে ১ জন মুক্তিযোদ্ধা গ্রুপ কমান্ডার শহীদ হন। ২৫ নভেম্বর জয়ভোগা গ্রামের রেলব্রীজের দখল নিয়ে পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে কিছুসংখ্যক নিরীহ লোক মারা যায়। ১৩ ডিসেম্বর পাকসেনারা পালিয়ে যাওয়ার সময় ২ জন নিরীহ লোককে হত্যা করলে মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে তাদের সম্মুখ লড়াইয়ে ১ জন পাকসেনা নিহত হয়। ১৬ ডিসেম্বর ক্ষুদ্রপেরী গ্রামের জঙ্গলে ৪ জন পাকসেনা আত্মগোপন করলে তাদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের বন্দুকযুদ্ধে ১ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন এবং পাকসেনারা নিহত হয়।

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ৪৫৫, মন্দির ২১।

শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৩৯.৭%; পুরুষ ৪৩.৪%, মহিলা ৩৫.৮%। কলেজ ৯, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩৯, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩৭৯, কমিউনিটি স্কুল ২, মাদ্রাসা ৩০। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: কাগইল করুণাকান্ত উচ্চবিদ্যালয়, সোন্দাবাড়ি দারুল হাদীস রহমানীয়া মাদ্রাসা (১৭০০)।

পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী শিল্প-সাহিত্য পত্রিকা ‘বৃত্ত‘ ও সাহিত্য পত্রিকা ‘দোঅাঁশ’।

সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ক্লাব ১৬, থিয়েটার ১, সিনেমা হল ২, মহিলা সংগঠন ২, খেলার মাঠ ৩৮।

বিনোদনকেন্দ্র তরফমেরু গ্রামের  দৃষ্টিনন্দন পার্ক।

জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৬৩.২৭%, অকৃষি শ্রমিক ২.৪০%, শিল্প ০.৯৯%, ব্যবসা ১৩.৬৬%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ৫.৪০%, চাকরি ৫.০৭%, নির্মাণ ১.৬৫%, ধর্মীয় সেবা ০.১৫%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.৭১% এবং অন্যান্য ৬.৭০%।

কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৫৮.১৫%, ভূমিহীন ৪১.৮৫%। শহরে ৫৭.৪৭% এবং গ্রামে ৫৮.১৬% পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে।

প্রধান কৃষি ফসল ধান, গম, পাট, আলু, ইক্ষু, সরিষা, শাকসবজি।

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি বোনা আমন ও আউশ ধান, মিষ্টি আলু, তিল, কাউন।

প্রধান ফল-ফলাদি আম, কাঁঠাল, লিচু, কলা, পেঁপে, পেয়ারা।

মৎস্য, গবাদিপশু ও  হাঁস-মুরগির খামার  এ উপজেলায় মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার রয়েছে।

যোগাযোগ বিশেষত্ব পাকারাস্তা ১২৫ কিমি, কাঁচারাস্তা ৩৫৮ কিমি; রেলপথ ১২ কিমি, রেলস্টেশন ২।

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি, ঘোড়া ও গরুর গাড়ি।

শিল্প ও কলকারখানা খাদ্য ও পানীয় শিল্প, বরফকল।

কুটিরশিল্প স্বর্ণশিল্প, লৌহশিল্প, তাঁতশিল্প, মৃৎশিল্প, সূচিশিল্প, বাঁশের কাজ, কাঠের কাজ, রেশমগুটি উৎপাদন কেন্দ্র।

হাটবাজার ও মেলা হাটবাজার ২৫। নরুয়ামালা হাট, তরণী হাট, সুখানপুকুর হাট, পীরগাছা হাট, বাইগুনী হাট, পেরীর হাট, ডাকুমারা হাট এবং গোলাবাড়ি বাজার ও পোড়াদহ মেলা উল্লেখযোগ্য।

প্রধান রপ্তানিদ্রব্য  কলা, পাট, আলু, শাকসবজি।

বিদ্যুৎ ব্যবহার এ উপজেলার সবক’টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ১৫.৩২% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।

প্রাকৃতিক সম্পদ  এ উপজেলার তল্লাতলায় তেল খনির সন্ধান পাওয়া গেছে।

পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৯৩.৬৪%, ট্যাপ ০.৩৩%, পুকুর ০.১৮% এবং অন্যান্য ৫.৮৫%। এ উপজেলার অগভীর নলকূপের পানিতে আর্সেনিকের উপস্থিতি প্রমাণিত হয়েছে।

স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ উপজেলার ২৪.৬৮% (গ্রামে ২৪.৩৬% ও শহরে ৫৫.৮৮%) পরিবার স্বাস্থ্যকর  এবং ৩৭.২৬% (গ্রামে ৩৭.২৭% ও শহরে ৩৬.৫৭%) পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন  ব্যবহার করে। ৩৮.০৬% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।

স্বাস্থ্যকেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ১, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৮, স্বাস্থ্য উপকেন্দ্র ৬।

এনজিও ব্র্যাক, আশা, ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘ।  [সরকার আব্দুল হাই]

তথ্যসূত্র  আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; গাবতলী উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন  ২০০৭।