গণেশ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
৪ নং লাইন: ৪ নং লাইন:


ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণ মতে, শিব-পার্বতীর দ্বাররক্ষক ছিলেন গণেশ। সেখানে পরশুরামের সঙ্গে গণেশের ভীষণ যুদ্ধ হয়। পরশুরামের কুঠারাঘাতে গণেশের একটি দাঁত সমূলে উৎপাটিত হয়; এজন্য গণেশ একদন্ত।
ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণ মতে, শিব-পার্বতীর দ্বাররক্ষক ছিলেন গণেশ। সেখানে পরশুরামের সঙ্গে গণেশের ভীষণ যুদ্ধ হয়। পরশুরামের কুঠারাঘাতে গণেশের একটি দাঁত সমূলে উৎপাটিত হয়; এজন্য গণেশ একদন্ত।


গণেশ মহাভারতের লিপিকর বলে খ্যাত। তাঁর অপর নাম গজানন, লম্বোদর, বিনায়ক, সিদ্ধিদাতা ইত্যাদি। বাংলায় গণেশপূজা সাধারণত আলাদাভাবে হয় না; দুর্গাপূজার সময় অন্যান্য দেবতার সঙ্গে তাঁকেও পূজা দেওয়া হয়। দক্ষিণ ভারতে জাঁকজমক সহকারে গণেশের পূজা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যবসায় সফলতা কামনায় হিন্দু ব্যবসায়ীরা গণেশকে বিশেষভাবে শ্রদ্ধা করে এবং বসতঘরে কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গণেশের মূর্তি বা ছবি রাখে। ব্যবসার সঙ্গে গণেশের এ সম্পর্কের কারণে কারও ব্যবসায় লোকসান হলে তা বোঝাতে গণেশকে নিয়ে একটি বাগ্ধারাও রচিত হয়েছে ‘গণেশ ওল্টানো’।  [পরেশচন্দ্র মন্ডল]
গণেশ মহাভারতের লিপিকর বলে খ্যাত। তাঁর অপর নাম গজানন, লম্বোদর, বিনায়ক, সিদ্ধিদাতা ইত্যাদি। বাংলায় গণেশপূজা সাধারণত আলাদাভাবে হয় না; দুর্গাপূজার সময় অন্যান্য দেবতার সঙ্গে তাঁকেও পূজা দেওয়া হয়। দক্ষিণ ভারতে জাঁকজমক সহকারে গণেশের পূজা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যবসায় সফলতা কামনায় হিন্দু ব্যবসায়ীরা গণেশকে বিশেষভাবে শ্রদ্ধা করে এবং বসতঘরে কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গণেশের মূর্তি বা ছবি রাখে। ব্যবসার সঙ্গে গণেশের এ সম্পর্কের কারণে কারও ব্যবসায় লোকসান হলে তা বোঝাতে গণেশকে নিয়ে একটি বাগ্ধারাও রচিত হয়েছে ‘গণেশ ওল্টানো’।  [পরেশচন্দ্র মন্ডল]


[[en:Ganesh]]
[[en:Ganesh]]

০৯:৩৭, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

গণেশ

গণেশ  হিন্দু দেবতা।  শিব ও পার্বতীর পুত্র গণেশ সিদ্ধিদাতা হিসেবে বিশেষভাবে পূজিত হন। তিনি খর্বাকৃতি, ত্রিনয়ন, চতুর্ভুজ এবং হস্তিমস্তক। শঙ্খ-চক্র-গদা-পদ্মধারী গণেশের বাহন হচ্ছে ইঁদুর। গণেশ মঙ্গল ও সিদ্ধির জনক বলে সব দেবতার আগে পূজিত হন। গণেশের গজানন এবং একদন্ত হওয়ার পেছনে পৌরাণিক কাহিনী বিদ্যমান। বিষ্ণুর বরে পার্বতী পুত্র লাভ করলে নবজাত শিশুকে দেখার জন্য দেবতারা উপস্থিত হন। এমন সময় শনিদেবের দৃষ্টিপাতে গণেশের মস্তক বিলুপ্ত হয়। তখন বিষ্ণুর কৃপায় হস্তিমুন্ড পেয়ে গণেশ বেঁচে ওঠেন। হস্তিমুন্ড গণেশ যাতে অবহেলিত না হয় সেজন্য দেবতারা নিয়ম করেন যে, সর্বাগ্রে গণেশের পূজা দিতে হবে।

ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণ মতে, শিব-পার্বতীর দ্বাররক্ষক ছিলেন গণেশ। সেখানে পরশুরামের সঙ্গে গণেশের ভীষণ যুদ্ধ হয়। পরশুরামের কুঠারাঘাতে গণেশের একটি দাঁত সমূলে উৎপাটিত হয়; এজন্য গণেশ একদন্ত।

গণেশ মহাভারতের লিপিকর বলে খ্যাত। তাঁর অপর নাম গজানন, লম্বোদর, বিনায়ক, সিদ্ধিদাতা ইত্যাদি। বাংলায় গণেশপূজা সাধারণত আলাদাভাবে হয় না; দুর্গাপূজার সময় অন্যান্য দেবতার সঙ্গে তাঁকেও পূজা দেওয়া হয়। দক্ষিণ ভারতে জাঁকজমক সহকারে গণেশের পূজা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যবসায় সফলতা কামনায় হিন্দু ব্যবসায়ীরা গণেশকে বিশেষভাবে শ্রদ্ধা করে এবং বসতঘরে কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গণেশের মূর্তি বা ছবি রাখে। ব্যবসার সঙ্গে গণেশের এ সম্পর্কের কারণে কারও ব্যবসায় লোকসান হলে তা বোঝাতে গণেশকে নিয়ে একটি বাগ্ধারাও রচিত হয়েছে ‘গণেশ ওল্টানো’।  [পরেশচন্দ্র মন্ডল]