খাস্তগীর বালিকা বিদ্যালয়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
৪ নং লাইন: | ৪ নং লাইন: | ||
খাস্তগীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় চট্টগ্রামে নারীশিক্ষা বিস্তারে বিরাট অবদান রেখেছে। বিশ শতকের চট্টগ্রামের উচ্চ শিক্ষিত মহিলাদের অধিকাংশই এ বিদ্যালয়ের ছাত্রী। উপমহাদেশের বীরকন্যা [[ওয়াদ্দেদার, প্রীতিলতা|প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার]], অগ্নিকন্যা [[দত্ত, কল্পনা|কল্পনা দত্ত]], বাংলা সাহিত্যে স্বনামখ্যাত বিদূষী লেখিকা মৈত্রেয়ী দেবী, অধ্যাপিকা শিপ্রা দত্ত, ভারতের বিশিষ্ট বিজ্ঞানী শোভনা ধর, শিক্ষাব্রতী প্রণতি সেন-সহ অনেক কৃতবিদ্য মহিলা এ বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলেন। বিদ্যালয়ের প্রাতঃকালীন ও দিবা বিভাগে মোট ছাত্রীর সংখ্যা ২,২০০ জন। শিক্ষক সংখ্যা বর্তমানে ৫৩ জন। প্রতি বছর বোর্ডের মেধা তালিকায় এ বিদ্যালয়ের ৩/৪ জন ছাত্রীর নাম থাকে। বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে বইয়ের প্রায় ১২ হাজার। অতীতে ছাত্রীদের আবাসিক সুবিধা ছিল। এনাম কমিটির রিপোর্টে আবাসিক সুবিধা বাতিল করা হয়েছে। [সাদাত উল্লাহ খান] | খাস্তগীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় চট্টগ্রামে নারীশিক্ষা বিস্তারে বিরাট অবদান রেখেছে। বিশ শতকের চট্টগ্রামের উচ্চ শিক্ষিত মহিলাদের অধিকাংশই এ বিদ্যালয়ের ছাত্রী। উপমহাদেশের বীরকন্যা [[ওয়াদ্দেদার, প্রীতিলতা|প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার]], অগ্নিকন্যা [[দত্ত, কল্পনা|কল্পনা দত্ত]], বাংলা সাহিত্যে স্বনামখ্যাত বিদূষী লেখিকা মৈত্রেয়ী দেবী, অধ্যাপিকা শিপ্রা দত্ত, ভারতের বিশিষ্ট বিজ্ঞানী শোভনা ধর, শিক্ষাব্রতী প্রণতি সেন-সহ অনেক কৃতবিদ্য মহিলা এ বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলেন। বিদ্যালয়ের প্রাতঃকালীন ও দিবা বিভাগে মোট ছাত্রীর সংখ্যা ২,২০০ জন। শিক্ষক সংখ্যা বর্তমানে ৫৩ জন। প্রতি বছর বোর্ডের মেধা তালিকায় এ বিদ্যালয়ের ৩/৪ জন ছাত্রীর নাম থাকে। বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে বইয়ের প্রায় ১২ হাজার। অতীতে ছাত্রীদের আবাসিক সুবিধা ছিল। এনাম কমিটির রিপোর্টে আবাসিক সুবিধা বাতিল করা হয়েছে। [সাদাত উল্লাহ খান] | ||
[[ | [[en:Khastgir Girls’ School]] |
১০:৫২, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
খাস্তগীর বালিকা বিদ্যালয় ১৮৭৮ সালে চট্টগ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি চট্টগ্রামের প্রথম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। উনিশ শতকের ব্রাহ্ম আন্দোলনের অন্যতম নেতা নারী শিক্ষানুরাগী অন্নদাচরণ খাস্তগীর ১৮৭৮ সালে বর্তমান জামাল খান সড়কে একটি ভার্নাকুলার মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। অন্নদাচরণের জামাতা চট্টগ্রামের সামাজিক আন্দোলনের পথিকৃৎ যাত্রামোহন সেন শ্বশুরের স্মৃতি রক্ষার্থে খাস্তগীর মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে ইংরেজি উচ্চ বিদ্যালয়ে উন্নীত করার জন্য বিস্তীর্ণ জমিতে একটি বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ করান। ১৯০৭ সালে তিনি বিদ্যালয়টিকে জমি ও ভবন দান করেন এবং বিদ্যালয়টির নাম দেওয়া হয় অন্নদাচরণ খাস্তগীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। ওই বছরই বিদ্যালয়টি সরকারিকরণ করা হয়।
খাস্তগীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় চট্টগ্রামে নারীশিক্ষা বিস্তারে বিরাট অবদান রেখেছে। বিশ শতকের চট্টগ্রামের উচ্চ শিক্ষিত মহিলাদের অধিকাংশই এ বিদ্যালয়ের ছাত্রী। উপমহাদেশের বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, অগ্নিকন্যা কল্পনা দত্ত, বাংলা সাহিত্যে স্বনামখ্যাত বিদূষী লেখিকা মৈত্রেয়ী দেবী, অধ্যাপিকা শিপ্রা দত্ত, ভারতের বিশিষ্ট বিজ্ঞানী শোভনা ধর, শিক্ষাব্রতী প্রণতি সেন-সহ অনেক কৃতবিদ্য মহিলা এ বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলেন। বিদ্যালয়ের প্রাতঃকালীন ও দিবা বিভাগে মোট ছাত্রীর সংখ্যা ২,২০০ জন। শিক্ষক সংখ্যা বর্তমানে ৫৩ জন। প্রতি বছর বোর্ডের মেধা তালিকায় এ বিদ্যালয়ের ৩/৪ জন ছাত্রীর নাম থাকে। বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে বইয়ের প্রায় ১২ হাজার। অতীতে ছাত্রীদের আবাসিক সুবিধা ছিল। এনাম কমিটির রিপোর্টে আবাসিক সুবিধা বাতিল করা হয়েছে। [সাদাত উল্লাহ খান]