খান, লে. জেনারেল সাহেবজাদা ইয়াকুব: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
'''খান, লে''''''. ''''''জেনারেল সাহেবজাদা ইয়াকুব''' (১৯২০- ?)  পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর, কূটনীতিক। তিনি ১৯২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর ভারতের যুক্ত প্রদেশের (বর্তমান উত্তর প্রদেশ) রামপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি দেরাদুনে বিখ্যাত প্রিন্স অব ওয়েলস রয়্যাল ইন্ডিয়ান মিলিটারী কলেজে লেখাপড়া করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীতে যোগ দেন। ভারত বিভাগের পর তিনি পাকিস্তানে চলে আসেন এবং সৈন্যবাহিনীতে দ্রুত পদোন্নতি লাভ করেন। লে. জেনারেল পদে পদোন্নতি পাওয়ার পর তাঁকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) নিয়োগ করা হয়।
[[Image:KhanSahibzadaYaqub.jpg|thumb|right|সাহেবজাদা ইয়াকুব খান]]
'''খান, লে. জেনারেল সাহেবজাদা ইয়াকুব''' (১৯২০- ?)  পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর, কূটনীতিক। তিনি ১৯২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর ভারতের যুক্ত প্রদেশের (বর্তমান উত্তর প্রদেশ) রামপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি দেরাদুনে বিখ্যাত প্রিন্স অব ওয়েলস রয়্যাল ইন্ডিয়ান মিলিটারী কলেজে লেখাপড়া করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীতে যোগ দেন। ভারত বিভাগের পর তিনি পাকিস্তানে চলে আসেন এবং সৈন্যবাহিনীতে দ্রুত পদোন্নতি লাভ করেন। লে. জেনারেল পদে পদোন্নতি পাওয়ার পর তাঁকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) নিয়োগ করা হয়।


অতঃপর ১৯৬৯ সালের ২৩ আগস্ট তাঁকে পূর্ব পাকিস্তানের (জোন বি) সামরিক আইন প্রশাসক এবং  একই সাথে ১৯৭১ সালের ১ মার্চ পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর নিয়োগ করা হয়। তিনি ১৯৭১ সালের ১০ মার্চ ঢাকা ত্যাগ করেন।
অতঃপর ১৯৬৯ সালের ২৩ আগস্ট তাঁকে পূর্ব পাকিস্তানের (জোন বি) সামরিক আইন প্রশাসক এবং  একই সাথে ১৯৭১ সালের ১ মার্চ পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর নিয়োগ করা হয়। তিনি ১৯৭১ সালের ১০ মার্চ ঢাকা ত্যাগ করেন।


সৈন্যবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণের পর জেনারেল ইয়াকুব খানকে ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েট ইউনিয়নে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত (১৯৭২-১৯৮২) নিয়োগ করা হয়। ১৯৮২ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত সময়কালে তিনি প্রথমে প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা এবং পরবর্তী সাতটি সরকারের আমলে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ইয়াকুব খান ১৯৯২ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘ সেক্রেটারি জেনারেলের পশ্চিম সাহারা বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ছিলেন। তিনি আগা খান ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান ছিলেন।  [আবু জাফর]
সৈন্যবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণের পর জেনারেল ইয়াকুব খানকে ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েট ইউনিয়নে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত (১৯৭২-১৯৮২) নিয়োগ করা হয়। ১৯৮২ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত সময়কালে তিনি প্রথমে প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা এবং পরবর্তী সাতটি সরকারের আমলে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ইয়াকুব খান ১৯৯২ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘ সেক্রেটারি জেনারেলের পশ্চিম সাহারা বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ছিলেন। তিনি আগা খান ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান ছিলেন।  [আবু জাফর]
[[Image:KhanSahibzadaYaqub.jpg|thumb|right|সাহেবজাদা ইয়াকুব খান]]


[[en:Khan, Lt General Sahibzada Yaqub]]
[[en:Khan, Lt General Sahibzada Yaqub]]

০৯:৫৭, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

সাহেবজাদা ইয়াকুব খান

খান, লে. জেনারেল সাহেবজাদা ইয়াকুব (১৯২০- ?)  পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর, কূটনীতিক। তিনি ১৯২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর ভারতের যুক্ত প্রদেশের (বর্তমান উত্তর প্রদেশ) রামপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি দেরাদুনে বিখ্যাত প্রিন্স অব ওয়েলস রয়্যাল ইন্ডিয়ান মিলিটারী কলেজে লেখাপড়া করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীতে যোগ দেন। ভারত বিভাগের পর তিনি পাকিস্তানে চলে আসেন এবং সৈন্যবাহিনীতে দ্রুত পদোন্নতি লাভ করেন। লে. জেনারেল পদে পদোন্নতি পাওয়ার পর তাঁকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) নিয়োগ করা হয়।

অতঃপর ১৯৬৯ সালের ২৩ আগস্ট তাঁকে পূর্ব পাকিস্তানের (জোন বি) সামরিক আইন প্রশাসক এবং  একই সাথে ১৯৭১ সালের ১ মার্চ পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর নিয়োগ করা হয়। তিনি ১৯৭১ সালের ১০ মার্চ ঢাকা ত্যাগ করেন।

সৈন্যবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণের পর জেনারেল ইয়াকুব খানকে ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েট ইউনিয়নে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত (১৯৭২-১৯৮২) নিয়োগ করা হয়। ১৯৮২ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত সময়কালে তিনি প্রথমে প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা এবং পরবর্তী সাতটি সরকারের আমলে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ইয়াকুব খান ১৯৯২ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘ সেক্রেটারি জেনারেলের পশ্চিম সাহারা বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ছিলেন। তিনি আগা খান ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান ছিলেন।  [আবু জাফর]