খান, লিয়াকত আলী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Category:বাংলাপিডিয়া]] | [[Category:বাংলাপিডিয়া]] | ||
[[[[Image:KhanLiaquatAli.jpg|thumb|400px|right|লিয়াকত আলী খান]] | |||
'''খান, লিয়াকত আলী''' (১৮৯৬-১৯৫১) পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। লিয়াকত আলী খান ১৮৯৬ সালে পূর্ব পাঞ্জাবের কার্নালে জন্মগ্রহণ করেন। আলীগড় কলেজ হতে আই.এ পাস (১৯১৯) করার পর অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি হতে তিনি বি.এ ডিগ্রী অর্জন করেন এবং ১৯২২ সালে লন্ডনের ইনার টেম্পল হতে ব্যারিষ্টার হন। ১৯২৪ সালে তিনি মুসলিম লীগে যোগ দেন। ১৯৩৬ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত তিনি অল ইন্ডিয়া মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৪৭ সালের ৩ জুন ভারত বিভক্তির সিদ্ধান্তের পর তাঁর ওপর নব সৃষ্ট পাকিস্তানের প্রাতিষ্ঠানিক ও প্রশাসনিক অবকাঠোমো প্রণয়নের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। তিনি পূর্ববঙ্গ প্রদেশ থেকে পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন এবং ১৯৪৭ সালের আগস্ট মাসে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী নিযুক্ত হন। | '''খান, লিয়াকত আলী''' (১৮৯৬-১৯৫১) পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। লিয়াকত আলী খান ১৮৯৬ সালে পূর্ব পাঞ্জাবের কার্নালে জন্মগ্রহণ করেন। আলীগড় কলেজ হতে আই.এ পাস (১৯১৯) করার পর অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি হতে তিনি বি.এ ডিগ্রী অর্জন করেন এবং ১৯২২ সালে লন্ডনের ইনার টেম্পল হতে ব্যারিষ্টার হন। ১৯২৪ সালে তিনি মুসলিম লীগে যোগ দেন। ১৯৩৬ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত তিনি অল ইন্ডিয়া মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৪৭ সালের ৩ জুন ভারত বিভক্তির সিদ্ধান্তের পর তাঁর ওপর নব সৃষ্ট পাকিস্তানের প্রাতিষ্ঠানিক ও প্রশাসনিক অবকাঠোমো প্রণয়নের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। তিনি পূর্ববঙ্গ প্রদেশ থেকে পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন এবং ১৯৪৭ সালের আগস্ট মাসে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী নিযুক্ত হন। | ||
১৯৫০ সালে লিয়াকত আলী খান পাকিস্তানের মৌলিক নীতির ওপর একটি রিপোর্ট তৈরি করেন। এ রিপোর্ট পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ সংবিধানের রূপরেখা প্রণয়নে গ্রহণ করা হয়। কিন্তু এই রিপোর্টটি পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের স্বার্থবিরোধী বলে গণ্য হয়। | ১৯৫০ সালে লিয়াকত আলী খান পাকিস্তানের মৌলিক নীতির ওপর একটি রিপোর্ট তৈরি করেন। এ রিপোর্ট পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ সংবিধানের রূপরেখা প্রণয়নে গ্রহণ করা হয়। কিন্তু এই রিপোর্টটি পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের স্বার্থবিরোধী বলে গণ্য হয়। | ||
তাঁর রাজনৈতিক কর্মকান্ডের অন্যতম অর্জন হলো ভারত ও পাকিস্তানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার জন্য ১৯৫০ সালের ৮ এপ্রিল ভারতের সাথে সম্পাদিত চুক্তি (লিয়াকত-নেহেরু চুক্তি)। ১৯৫১ সালের ১৬ অক্টোবর রাওয়ালাপিন্ডিতে এক জনসভায় বক্তৃতা দানের সময় এক আততায়ীর গুলিতে তিনি নিহত হন। তাঁর অনুসারীরা তাঁকে ‘কায়েদে-ই-মিল্লাত’ (জাতির নেতা) খেতাবে ভূষিত করেন। | তাঁর রাজনৈতিক কর্মকান্ডের অন্যতম অর্জন হলো ভারত ও পাকিস্তানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার জন্য ১৯৫০ সালের ৮ এপ্রিল ভারতের সাথে সম্পাদিত চুক্তি (লিয়াকত-নেহেরু চুক্তি)। ১৯৫১ সালের ১৬ অক্টোবর রাওয়ালাপিন্ডিতে এক জনসভায় বক্তৃতা দানের সময় এক আততায়ীর গুলিতে তিনি নিহত হন। তাঁর অনুসারীরা তাঁকে ‘কায়েদে-ই-মিল্লাত’ (জাতির নেতা) খেতাবে ভূষিত করেন। [হেলাল উদ্দিন আহমেদ] | ||
[ | |||
[[en:Khan, Liaquat Ali]] | [[en:Khan, Liaquat Ali]] |
০৯:৪৫, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
[[
খান, লিয়াকত আলী (১৮৯৬-১৯৫১) পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। লিয়াকত আলী খান ১৮৯৬ সালে পূর্ব পাঞ্জাবের কার্নালে জন্মগ্রহণ করেন। আলীগড় কলেজ হতে আই.এ পাস (১৯১৯) করার পর অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি হতে তিনি বি.এ ডিগ্রী অর্জন করেন এবং ১৯২২ সালে লন্ডনের ইনার টেম্পল হতে ব্যারিষ্টার হন। ১৯২৪ সালে তিনি মুসলিম লীগে যোগ দেন। ১৯৩৬ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত তিনি অল ইন্ডিয়া মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৪৭ সালের ৩ জুন ভারত বিভক্তির সিদ্ধান্তের পর তাঁর ওপর নব সৃষ্ট পাকিস্তানের প্রাতিষ্ঠানিক ও প্রশাসনিক অবকাঠোমো প্রণয়নের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। তিনি পূর্ববঙ্গ প্রদেশ থেকে পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন এবং ১৯৪৭ সালের আগস্ট মাসে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী নিযুক্ত হন।
১৯৫০ সালে লিয়াকত আলী খান পাকিস্তানের মৌলিক নীতির ওপর একটি রিপোর্ট তৈরি করেন। এ রিপোর্ট পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ সংবিধানের রূপরেখা প্রণয়নে গ্রহণ করা হয়। কিন্তু এই রিপোর্টটি পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের স্বার্থবিরোধী বলে গণ্য হয়।
তাঁর রাজনৈতিক কর্মকান্ডের অন্যতম অর্জন হলো ভারত ও পাকিস্তানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার জন্য ১৯৫০ সালের ৮ এপ্রিল ভারতের সাথে সম্পাদিত চুক্তি (লিয়াকত-নেহেরু চুক্তি)। ১৯৫১ সালের ১৬ অক্টোবর রাওয়ালাপিন্ডিতে এক জনসভায় বক্তৃতা দানের সময় এক আততায়ীর গুলিতে তিনি নিহত হন। তাঁর অনুসারীরা তাঁকে ‘কায়েদে-ই-মিল্লাত’ (জাতির নেতা) খেতাবে ভূষিত করেন। [হেলাল উদ্দিন আহমেদ]