খান, আবদুস সালাম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Category:বাংলাপিডিয়া]] | [[Category:বাংলাপিডিয়া]] | ||
[[Image:KhanAbdusSalam.jpg|right|thumbnail|300px|আবদুস সালাম খান]] | |||
'''খান, আবদুস সালাম''' (১৯০৬-১৯৭২) আইনজীবী, রাজনীতিক ও লেখক। আবদুস সালাম খান ১৯০৬ সালে ফরিদপুর শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস গোপালগঞ্জ জেলার বেজড়া গ্রাম। তিনি কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ১৯২৯ সালে ইংরেজিতে বি.এ (সম্মান), ১৯৩০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এম.এ ও ১৯৩১ সালে আইনে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। | '''খান, আবদুস সালাম''' (১৯০৬-১৯৭২) আইনজীবী, রাজনীতিক ও লেখক। আবদুস সালাম খান ১৯০৬ সালে ফরিদপুর শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস গোপালগঞ্জ জেলার বেজড়া গ্রাম। তিনি কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ১৯২৯ সালে ইংরেজিতে বি.এ (সম্মান), ১৯৩০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এম.এ ও ১৯৩১ সালে আইনে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। | ||
০৬:০০, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
খান, আবদুস সালাম (১৯০৬-১৯৭২) আইনজীবী, রাজনীতিক ও লেখক। আবদুস সালাম খান ১৯০৬ সালে ফরিদপুর শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস গোপালগঞ্জ জেলার বেজড়া গ্রাম। তিনি কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ১৯২৯ সালে ইংরেজিতে বি.এ (সম্মান), ১৯৩০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এম.এ ও ১৯৩১ সালে আইনে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।
আবদুস সালাম খান আইনজীবী হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি মুসলিম লীগে যোগ দেন ও পাকিস্তান আন্দোলনে অংশ নেন। পরে মুসলিম লীগ সরকারের গণবিরোধী নীতির প্রতিবাদে মুসলিম লীগ ত্যাগ করেন। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়ামী মুসলিম লীগের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৫৩-৫৫ সালে আওয়ামী মুসলিম লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৪ সালের প্রাদেশিক নির্বাচনে তিনি গোপালগঞ্জ মহকুমা থেকে যুক্তফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে পূর্ববঙ্গ আইনসভার সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি আওয়ামী মুসলিম লীগের নাম পরিবর্তন করে আওয়ামী লীগ রাখার প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন এবং আওয়ামী মুসলিম লীগ নামে দলের একটি অংশের নেতৃত্ব দেন। তিনি ১৯৫৫ থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত দলের এ অংশের সভাপতি ছিলেন। তিনি ১৯৫৫ সালের ৭ জুন যুক্তফ্রন্ট সরকারের পূর্ত ও যোগাযোগ মন্ত্রী নিযুক্ত হন। তাঁর মন্ত্রিত্বকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের স্থান নির্বাচন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ১৯৫৬ সালের ১১ জুলাই তিনি যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন।
১৯৬০ সালে আইউব সরকার কর্তৃক আবদুস সালাম খানের উপর এবডো (Electoral Bodies Disqualification Order) প্রয়োগ করা হয়। ১৯৬৪ সালের জানুয়ারিতে আওয়ামী লীগ পুনরুজ্জীবিত হয় এবং মার্চে তিনি দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মনোনীত হন। ১৯৬৬ সালের ১৯ মার্চ ঢাকায় হোটেল ইডেনে আওয়ামী লীগের কাউন্সিল সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ছয়দফা কর্মসূচি উত্থাপন করেন এবং তা আওয়ামী লীগের কর্মসূচি হিসেবে গৃহীত হয়। আবদুস সালাম খান এ কাউন্সিল সভার উদ্বোধন করেন। ১৯৬৬ সালে তিনি ঢাকা হাইকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬৭ সালে তিনি পি.ডি.এম পন্থি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ১৯৬৮ সালে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামী পক্ষের প্রধান কৌঁসুলি ছিলেন সালাম খান। তিনি ১৯৬৯ সালের গণ আন্দোলনে অংশ নেন এবং আইয়ুব খান কর্তৃক আহুত গোলটেবিল বৈঠকে যোগ দেন। ১৯৬৯ সালে নূরুল আমীনের নেতৃত্বে পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টি গঠিত হলে তিনি এর প্রাদেশিক শাখার সভাপতি হন। ১৯৭০ সালে জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে পিডিপি-র প্রার্থী হিসেবে তিনি ফরিদপুর-২ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নিকট পরাজিত হন।
আবদুস সালাম খান শিখা, সওগাত প্রভৃতি পত্রিকায় নিয়মিত প্রবন্ধ লিখতেন। মৃত্যুর কয়েক দিন পর প্রকাশিত তাঁর লেখা Parliamentary Democracy in Bangladesh শীর্ষক প্রবন্ধে তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞার পরিচয় মেলে। তিনি বেহতামগড় নামে একটি উপন্যাস রচনা করেন। ১৯৭২ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি তাঁর মৃত্যু হয়। [এ.এস.এম এনায়েত করিম]