খান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Category:বাংলাপিডিয়া]] | [[Category:বাংলাপিডিয়া]] | ||
'''খান''' মুগল বা প্রাক-মুগল যুগে মুসলিম রাষ্ট্রে উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাকে প্রদত্ত মর্যাদাপূর্ণ উপাধি। আমলাতান্ত্রিক মনসবদারি ব্যবস্থা মূলত ছিল তুর্ক-মোঙ্গল কর্তৃক প্রবর্তিত ব্যবস্থা। মনসবদারী ব্যবস্থায় শতাংশের হিসাব প্রবর্তন করেন প্রাথমিক যুগের মুসলিম শাসকগণ, যারা তাদের সেনাবাহিনীকে শতাংশের হিসাবে সংগঠিত করতেন। তুর্কি বা দিল্লি সালতানাতে শতাংশ ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন। সুলতান নাসিরুদ্দীন মাহমুদ বুগরা খান কর্তৃক তাঁর পুত্র মুইজউদ্দীন কায়কোবাদকে (দিল্লির সুলতান, ১২৮৭-১২৯০) যে উপদেশ দেন তা থেকে একজন ‘খান’-এর অবস্থান সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। [[বুগরা খান|বুগরা খান]] তাঁর পুত্রের নিকট সামরিক সংগঠনের নিম্নোক্ত বর্ণনা দেন; একজন [[সর-ই-খইল| | '''খান''' মুগল বা প্রাক-মুগল যুগে মুসলিম রাষ্ট্রে উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাকে প্রদত্ত মর্যাদাপূর্ণ উপাধি। আমলাতান্ত্রিক মনসবদারি ব্যবস্থা মূলত ছিল তুর্ক-মোঙ্গল কর্তৃক প্রবর্তিত ব্যবস্থা। মনসবদারী ব্যবস্থায় শতাংশের হিসাব প্রবর্তন করেন প্রাথমিক যুগের মুসলিম শাসকগণ, যারা তাদের সেনাবাহিনীকে শতাংশের হিসাবে সংগঠিত করতেন। তুর্কি বা দিল্লি সালতানাতে শতাংশ ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন। সুলতান নাসিরুদ্দীন মাহমুদ বুগরা খান কর্তৃক তাঁর পুত্র মুইজউদ্দীন কায়কোবাদকে (দিল্লির সুলতান, ১২৮৭-১২৯০) যে উপদেশ দেন তা থেকে একজন ‘খান’-এর অবস্থান সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। [[বুগরা খান|বুগরা খান]] তাঁর পুত্রের নিকট সামরিক সংগঠনের নিম্নোক্ত বর্ণনা দেন; একজন [[সর-ই-খইল|সর-ই-খইল]] এর অধীনে দশ জন অশ্বারোহী থাকে, একজন সিপাহ শালার দশ জন সর-ই-খইলকে পরিচালনা করেন, একজন [[আমীর|আমীর]] এর কর্তৃত্ব থাকে দশজন সিপাহ সালারের উপর, দশজন আমীরের উপর কর্তৃত্বকারী হচ্ছেন একজন [[মালিক|মালিক]] এবং একজন খানের অধীনস্থ বাহিনীতে কমপক্ষে দশজন মালিকের বাহিনী থাকে। সুতরাং একজন খান এক লক্ষ অশ্বারোহীর বাহিনীর নেতৃত্বে থাকেন। | ||
বাংলার মুসলিম সুলতানদের শিলালিপিতে খান, খাকান /মালিকের মতো উপাধিগুলির নিম্নরূপ শ্রেণি বিভাগ রয়েছে: খান, খান-উল-মুয়াজ্জম, খান-উল-আযম, খান-উল-আযম-উল-মুয়াজ্জম ইত্যাদি, এবং খাকান, খাকান-উল-মুয়াজ্জম, খাকান-উল-আযম, খাকান-উল-আযম-উল-মুয়াজ্জম ইত্যাদি। [আবদুল করিম] | বাংলার মুসলিম সুলতানদের শিলালিপিতে খান, খাকান /মালিকের মতো উপাধিগুলির নিম্নরূপ শ্রেণি বিভাগ রয়েছে: খান, খান-উল-মুয়াজ্জম, খান-উল-আযম, খান-উল-আযম-উল-মুয়াজ্জম ইত্যাদি, এবং খাকান, খাকান-উল-মুয়াজ্জম, খাকান-উল-আযম, খাকান-উল-আযম-উল-মুয়াজ্জম ইত্যাদি। [আবদুল করিম] | ||
[[en:Khan]] | [[en:Khan]] |
০৫:২১, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
খান মুগল বা প্রাক-মুগল যুগে মুসলিম রাষ্ট্রে উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাকে প্রদত্ত মর্যাদাপূর্ণ উপাধি। আমলাতান্ত্রিক মনসবদারি ব্যবস্থা মূলত ছিল তুর্ক-মোঙ্গল কর্তৃক প্রবর্তিত ব্যবস্থা। মনসবদারী ব্যবস্থায় শতাংশের হিসাব প্রবর্তন করেন প্রাথমিক যুগের মুসলিম শাসকগণ, যারা তাদের সেনাবাহিনীকে শতাংশের হিসাবে সংগঠিত করতেন। তুর্কি বা দিল্লি সালতানাতে শতাংশ ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন। সুলতান নাসিরুদ্দীন মাহমুদ বুগরা খান কর্তৃক তাঁর পুত্র মুইজউদ্দীন কায়কোবাদকে (দিল্লির সুলতান, ১২৮৭-১২৯০) যে উপদেশ দেন তা থেকে একজন ‘খান’-এর অবস্থান সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। বুগরা খান তাঁর পুত্রের নিকট সামরিক সংগঠনের নিম্নোক্ত বর্ণনা দেন; একজন সর-ই-খইল এর অধীনে দশ জন অশ্বারোহী থাকে, একজন সিপাহ শালার দশ জন সর-ই-খইলকে পরিচালনা করেন, একজন আমীর এর কর্তৃত্ব থাকে দশজন সিপাহ সালারের উপর, দশজন আমীরের উপর কর্তৃত্বকারী হচ্ছেন একজন মালিক এবং একজন খানের অধীনস্থ বাহিনীতে কমপক্ষে দশজন মালিকের বাহিনী থাকে। সুতরাং একজন খান এক লক্ষ অশ্বারোহীর বাহিনীর নেতৃত্বে থাকেন।
বাংলার মুসলিম সুলতানদের শিলালিপিতে খান, খাকান /মালিকের মতো উপাধিগুলির নিম্নরূপ শ্রেণি বিভাগ রয়েছে: খান, খান-উল-মুয়াজ্জম, খান-উল-আযম, খান-উল-আযম-উল-মুয়াজ্জম ইত্যাদি, এবং খাকান, খাকান-উল-মুয়াজ্জম, খাকান-উল-আযম, খাকান-উল-আযম-উল-মুয়াজ্জম ইত্যাদি। [আবদুল করিম]