ক্ষেতলাল উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
৫২ নং লাইন: | ৫২ নং লাইন: | ||
''ঐতিহাসিক ঘটনাবলি'' ১৯৭১ সালের নভেম্বর মাসে এ উপজেলার বারুইল গ্রামে পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখ লড়াই হয়। এ লড়াইয়ে অনেক পাকসেনা হতাহত হয়। ১১ ডিসেম্বর হিন্দা কসবা শাহী জামে মসজিদের পিছনে পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে বেশ সংখ্যক পাকসেনা হতাহত হয়। এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় পাকবাহিনী ৩ জন নিরীহ লোককে নির্মমভাবে হত্যা করে। | ''ঐতিহাসিক ঘটনাবলি'' ১৯৭১ সালের নভেম্বর মাসে এ উপজেলার বারুইল গ্রামে পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখ লড়াই হয়। এ লড়াইয়ে অনেক পাকসেনা হতাহত হয়। ১১ ডিসেম্বর হিন্দা কসবা শাহী জামে মসজিদের পিছনে পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে বেশ সংখ্যক পাকসেনা হতাহত হয়। এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় পাকবাহিনী ৩ জন নিরীহ লোককে নির্মমভাবে হত্যা করে। | ||
[[Image:KhetlalUpazila.jpg|thumb|400px| | [[Image:KhetlalUpazila.jpg|thumb|400px|right]] | ||
''ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান'' মসজিদ ২৭৬, মন্দির ৬, তীর্থস্থান ১। উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান: হিন্দা কসবা শাহী জামে মসজিদ (বারৈল)। | ''ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান'' মসজিদ ২৭৬, মন্দির ৬, তীর্থস্থান ১। উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান: হিন্দা কসবা শাহী জামে মসজিদ (বারৈল)। |
০৯:৫৩, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
ক্ষেতলাল উপজেলা (জয়পুরহাট জেলা) আয়তন: ১৪২.৬০ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৪°৫৬´ থেকে ২৫°০৮´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°০২´ থেকে ৮৯°১২´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে জয়পুরহাট সদর উপজেলা, দক্ষিণে আক্কেলপুর এবং দুপচাঁচিয়া উপজেলা, পূর্বে কালাই এবং শিবগঞ্জ উপজেলা, পশ্চিমে জয়পুরহাট সদর ও আক্কেলপুর উপজেলা।
জনসংখ্যা ১১৫৯১৮; পুরুষ ৫৯২৭৪, মহিলা ৫৬৬৪৪। মুসলিম ১০৫৭২৮, হিন্দু ৯৯৮১, বৌদ্ধ ৬৫, খ্রিস্টান ১৮ এবং অন্যান্য ১২৬। এ উপজেলায় সাঁওতাল, ওঁরাও প্রভৃতি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে।
জলাশয় প্রধান নদী: তুলসীগঙ্গা ও হারাবতী নদী।
প্রশাসন ক্ষেতলাল থানা গঠিত হয় ১৮৪৭ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ৩ জুলাই ১৯৮৩ সালে। ২০১০ সালের ৯ ডিসেম্বর ক্ষেতলাল পৌরসভা ঘোষণা করা হয়।
উপজেলা | ||||||||
পৌরসভা | ইউনিয়ন | মৌজা | গ্রাম | জনসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | ||
শহর | গ্রাম | শহর | গ্রাম | |||||
১ (প্রস্তাবিত) | ৫ | ৮৮ | ১৫৫ | ১১৯০৭ | ১০৪০১১ | ৮১৩ | ৪৫.৮ | ৪৫.০ |
উপজেলা শহর | ||||||||
আয়তন (বর্গ কিমি) | মৌজা | লোকসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | ||||
৯.৪৩ | ১ | ১১৯০৭ | ১২৬৩ | ৪৫.৮১ |
ইউনিয়ন | ||||||||
ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড | আয়তন (একর) | লোকসংখ্যা | শিক্ষার হার (%) | |||||
পুরুষ | মহিলা | |||||||
আলমপুর ০৯ | ৭৩৩৬ | ১১৭৩০ | ১১৪৬৩ | ৪২.৮৬ | ||||
ক্ষেতলাল সদর ৪৭ | ৫৮৩৬ | ১১৮৬৯ | ১১১৪৬ | ৪৭.৮২ | ||||
বড়তারা ১৯ | ৮৬৯৬ | ১৪১১৬ | ১৩৩১০ | ৪৫.৪০ | ||||
বারৈল ২৮ | ৫৬৬৪ | ৯৮০৮ | ৯৭৬২ | ৪৪.৮৮ | ||||
মামুদপুর ৫৭ | ৭৭০৯ | ১১৭৫১ | ১০৯৬৩ | ৪৪.৪৯ |
সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো
ঐতিহাসিক ঘটনাবলি ১৯৭১ সালের নভেম্বর মাসে এ উপজেলার বারুইল গ্রামে পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখ লড়াই হয়। এ লড়াইয়ে অনেক পাকসেনা হতাহত হয়। ১১ ডিসেম্বর হিন্দা কসবা শাহী জামে মসজিদের পিছনে পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে বেশ সংখ্যক পাকসেনা হতাহত হয়। এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় পাকবাহিনী ৩ জন নিরীহ লোককে নির্মমভাবে হত্যা করে।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ২৭৬, মন্দির ৬, তীর্থস্থান ১। উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান: হিন্দা কসবা শাহী জামে মসজিদ (বারৈল)।
শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৪৫.১%; পুরুষ ৫১.৪%, মহিলা ৩৮.৬%। কলেজ ২, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২০, কারিগরি ইন্সস্টিটিউট ২, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৪১, কিন্ডার গার্টেন ২, মাদ্রাসা ১৪। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: ক্ষেতলাল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৪২)।
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ক্লাব ২১, লাইব্রেরি ২, সিনেমা হল ১।
দর্শনীয় স্থান আছরাঙ্গা বিল (ক্ষেতলাল)।
জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৭৭.৬০%, অকৃষি শ্রমিক ১.৩১%, ব্যবসা ৮.২৮%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ৪.৬৮%, চাকরি ৩.০৭%, নির্মাণ ০.৭৯%, ধর্মীয় সেবা ০.১৬%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.২১% এবং অন্যান্য ৩.৯০%।
কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৬৪.৮৫%, ভূমিহীন ৩৫.১৫%। শহরে ৫৭.৬৯% এবং গ্রামে ৬৫.৬৭% পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে।
প্রধান কৃষি ফসল ধান, পাট, গম, আলু, সরিষা।
প্রধান ফল-ফলাদি আম, কাঁঠাল, লিচু, পেঁপে, কলা।
গবাদিপশু, হাঁস-মুরগির খামার হাঁস-মুরগি ৭৯, গবাদিপশু ৭৫।
যোগাযোগ বিশেষত্ব পাকারাস্তা ৭৭ কিমি, অধাপাকা রাস্তা ১৯ কিমি, কাঁচারাস্তা ৯০০.১৫ কিমি; নৌপথ ১২ নটিক্যাল মাইল।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি, ঘোড়া ও গরুর গাড়ি।
শিল্প ও কলকারখানা আইস ফ্যাক্টরি, কোল্ড স্টোরেজ।
কুটিরশিল্প স্বর্ণশিল্প, লৌহশিল্প, কাঠের কাজ প্রভৃতি।
হাটবাজার ও মেলা হাটবাজার ১১, মেলা ২। ইটাখোলা হাট, হোপ হাট, ক্ষেতলাল হাট, বটতলী হাট, পোয়ামারী হাট, ফুলদীঘি হাট, মধুপুকুর হাট ও পাঠানপাড়া হাট এবং সন্ন্যাসতলীর মেলা উল্লেখযোগ্য।
প্রধান রপ্তানিদ্রব্য আলু, ধান।
বিদ্যুৎ ব্যবহার এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ২৯.১৫% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৯৬.৪২%, পুকুর ০.১০, ট্যাপ ০.৪৮% এবং অন্যান্য ৩.০০%।
স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ উপজেলার ২২.৬৭% পরিবার স্বাস্থ্যকর (গ্রামে ২২.৩৩% এবং শহরে ২৫.৬১%) এবং ১৫.১২% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন (গ্রামে ১৪.১৩% এবং শহরে ২৩.৮১%) ব্যবহার করে। ৬২.২১% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ৩, গ্রোথ সেন্টার ৪, কমিউনিটি ক্লিনিক ১৮।
এনজিও ব্র্যাক, আশা, কেয়ার, জয়পুরহাট রুরাল ডেভেলপমেন্ট মুভমেন্ট, গ্রামীণ সেবা সংস্থা, মানব সেবা সংস্থা, সোস্যাল এ্যাডভান্স প্রোগ্রাম। [শাহনাজ পারভীন]
তথ্যসূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; ক্ষেতলাল উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।