ক্ষেতলাল উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Robot: Automated text replacement (-'''''তথ্যসূত্র''''' +'''তথ্যসূত্র'''))
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
'''ক্ষেতলাল উপজেলা''' ([[জয়পুরহাট জেলা|জয়পুরহাট জেলা]]) আয়তন: ১৪২.৬০ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৪°৫৬´ থেকে ২৫°০৮´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°০২´ থেকে ৮৯°১২´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে জয়পুরহাট সদর উপজেলা, দক্ষিণে আক্কেলপুর এবং দুপচাঁচিয়া উপজেলা, পূর্বে কালাই এবং শিবগঞ্জ উপজেলা, পশ্চিমে জয়পুরহাট সদর ও আক্কেলপুর উপজেলা।
'''ক্ষেতলাল উপজেলা''' ([[জয়পুরহাট জেলা|জয়পুরহাট জেলা]]) আয়তন: ১৪২.৬০ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৪°৫৬´ থেকে ২৫°০৮´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°০২´ থেকে ৮৯°১২´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে জয়পুরহাট সদর উপজেলা, দক্ষিণে আক্কেলপুর এবং দুপচাঁচিয়া উপজেলা, পূর্বে কালাই এবং শিবগঞ্জ উপজেলা, পশ্চিমে জয়পুরহাট সদর ও আক্কেলপুর উপজেলা।


''জনসংখ্যা'' ১১৫৯১৮; পুরুষ ৫৯২৭৪, মহিলা ৫৬৬৪৪। মুসলিম ১০৫৭২৮, হিন্দু ৯৯৮১, বৌদ্ধ ৬৫, খ্রিস্টান ১৮ এবং অন্যান্য ১২৬। এ উপজেলায় সাঁওতাল, ওঁরাও প্রভৃতি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে।
''জনসংখ্যা'' ১১৫৯১৮; পুরুষ ৫৯২৭৪, মহিলা ৫৬৬৪৪। মুসলিম ১০৫৭২৮, হিন্দু ৯৯৮১, বৌদ্ধ ৬৫, খ্রিস্টান ১৮ এবং অন্যান্য ১২৬। এ উপজেলায় সাঁওতাল, ওঁরাও প্রভৃতি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে।
১২ নং লাইন: ১২ নং লাইন:
| colspan="9" | উপজেলা
| colspan="9" | উপজেলা
|-
|-
! rowspan="2" | পৌরসভা  || rowspan="2" | ইউনিয়ন  || rowspan="2" | মৌজা  || rowspan="2" | গ্রাম  || colspan="2" | জনসংখ্যা || rowspan="2" | ঘনত্ব(প্রতি বর্গ কিমি)  || colspan="2" | শিক্ষার হার (%)
| rowspan="2" | পৌরসভা  || rowspan="2" | ইউনিয়ন  || rowspan="2" | মৌজা  || rowspan="2" | গ্রাম  || colspan="2" | জনসংখ্যা || rowspan="2" | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি)  || colspan="2" | শিক্ষার হার (%)
|-
|-
| শহর  || গ্রাম || শহর  || গ্রাম
| শহর  || গ্রাম || শহর  || গ্রাম
|-
|-
| ১ (প্রস্তাবিত)  || ৫  || ৮৮  || ১৫৫  || ১১৯০৭  || ১০৪০১১  || ৮১৩  || ৪৫.৮  || ৪৫.০
| ১ (প্রস্তাবিত)  || ৫  || ৮৮  || ১৫৫  || ১১৯০৭  || ১০৪০১১  || ৮১৩  || ৪৫.৮  || ৪৫.০
|}
|}
{| class="table table-bordered table-hover"
{| class="table table-bordered table-hover"
|-
|-
| উপজেলা শহর
| colspan="9"  | উপজেলা শহর
|-
|-
| আয়তন (বর্গ কিমি)  || মৌজা  || লোকসংখ্যা  || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি)  || শিক্ষার হার (%)
| আয়তন (বর্গ কিমি)  || মৌজা  || লোকসংখ্যা  || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি)  || শিক্ষার হার (%)
|-
|-
| ৯.৪৩  || ১  || ১১৯০৭  || ১২৬৩  || ৪৫.৮১
| ৯.৪৩  || ১  || ১১৯০৭  || ১২৬৩  || ৪৫.৮১
|}
|}
{| class="table table-bordered table-hover"
{| class="table table-bordered table-hover"
|-
|-
| ইউনিয়ন
| colspan="9" | ইউনিয়ন
|-  
|-  
| rowspan="2" | ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড  || rowspan="2" | আয়তন (একর)  || colspan="2" | লোকসংখ্যা  || rowspan="2" | শিক্ষার হার (%)
| rowspan="2" | ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড  || rowspan="2" | আয়তন (একর)  || colspan="2" | লোকসংখ্যা  || rowspan="2" | শিক্ষার হার (%)
৫৯ নং লাইন: ৫২ নং লাইন:
''ঐতিহাসিক ঘটনাবলি'' ১৯৭১ সালের নভেম্বর মাসে এ উপজেলার বারুইল গ্রামে পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখ লড়াই হয়। এ লড়াইয়ে  অনেক পাকসেনা হতাহত হয়। ১১ ডিসেম্বর হিন্দা কসবা শাহী জামে মসজিদের পিছনে পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে বেশ সংখ্যক পাকসেনা হতাহত হয়। এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় পাকবাহিনী ৩ জন নিরীহ লোককে নির্মমভাবে হত্যা করে।
''ঐতিহাসিক ঘটনাবলি'' ১৯৭১ সালের নভেম্বর মাসে এ উপজেলার বারুইল গ্রামে পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখ লড়াই হয়। এ লড়াইয়ে  অনেক পাকসেনা হতাহত হয়। ১১ ডিসেম্বর হিন্দা কসবা শাহী জামে মসজিদের পিছনে পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে বেশ সংখ্যক পাকসেনা হতাহত হয়। এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় পাকবাহিনী ৩ জন নিরীহ লোককে নির্মমভাবে হত্যা করে।


[[Image:KhetlalUpazila.jpg|thumb|400px|RIGHT|ক্ষেতলাল উপজেলা]]
[[Image:KhetlalUpazila.jpg|thumb|400px|RIGHT]


''ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান'' মসজিদ ২৭৬, মন্দির ৬, তীর্থস্থান ১। উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান: হিন্দা কসবা শাহী জামে মসজিদ (বারৈল)।
''ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান'' মসজিদ ২৭৬, মন্দির ৬, তীর্থস্থান ১। উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান: হিন্দা কসবা শাহী জামে মসজিদ (বারৈল)।
৭৫ নং লাইন: ৬৮ নং লাইন:
''প্রধান কৃষি ফসল'' ধান, পাট, গম, আলু, সরিষা।
''প্রধান কৃষি ফসল'' ধান, পাট, গম, আলু, সরিষা।


''প্রধান ফল-ফলাদিব'' আম, কাঁঠাল,  লিচু, পেঁপে, কলা।
''প্রধান ফল-ফলাদি'' আম, কাঁঠাল,  লিচু, পেঁপে, কলা।


গবাদিপশু, হাঁস-মুরগির খামার   হাঁস-মুরগি ৭৯, গবাদিপশু ৭৫।
''গবাদিপশু, হাঁস-মুরগির খামার''   হাঁস-মুরগি ৭৯, গবাদিপশু ৭৫।


''যোগাযোগ বিশেষত্ব'' পাকারাস্তা ৭৭ কিমি, অধাপাকা রাস্তা ১৯ কিমি, কাঁচারাস্তা ৯০০.১৫ কিমি; নৌপথ ১২ নটিক্যাল মাইল।
''যোগাযোগ বিশেষত্ব'' পাকারাস্তা ৭৭ কিমি, অধাপাকা রাস্তা ১৯ কিমি, কাঁচারাস্তা ৯০০.১৫ কিমি; নৌপথ ১২ নটিক্যাল মাইল।
৯৩ নং লাইন: ৮৬ নং লাইন:
''বিদ্যুৎ ব্যবহার'' এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ২৯.১৫% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
''বিদ্যুৎ ব্যবহার'' এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ২৯.১৫% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।


''পানীয়জলের উৎস'' নলকূপ ৯৬.৪২%, পুকুর ০.১০, ট্যাপ ০.৪৮% এবং অন্যান্য ৩.০০%।
''পানীয়জলের উৎস'' নলকূপ ৯৬.৪২%, পুকুর ০.১০, ট্যাপ ০.৪৮% এবং অন্যান্য ৩.০০%।


''স্যানিটেশন ব্যবস্থা'' এ উপজেলার ২২.৬৭% পরিবার স্বাস্থ্যকর (গ্রামে ২২.৩৩% এবং শহরে ২৫.৬১%) এবং ১৫.১২% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন (গ্রামে ১৪.১৩% এবং শহরে ২৩.৮১%) ব্যবহার করে। ৬২.২১% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।
''স্যানিটেশন ব্যবস্থা'' এ উপজেলার ২২.৬৭% পরিবার স্বাস্থ্যকর (গ্রামে ২২.৩৩% এবং শহরে ২৫.৬১%) এবং ১৫.১২% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন (গ্রামে ১৪.১৩% এবং শহরে ২৩.৮১%) ব্যবহার করে। ৬২.২১% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।


''স্বাস্থ্যকেন্দ্র'' উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ৩, গ্রোথ সেন্টার ৪, কমিউনিটি ক্লিনিক ১৮।
''স্বাস্থ্যকেন্দ্র'' উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ৩, গ্রোথ সেন্টার ৪, কমিউনিটি ক্লিনিক ১৮।
 
''এনজিও'' ব্র্যাক, আশা, কেয়ার, জয়পুরহাট রুরাল ডেভেলপমেন্ট মুভমেন্ট, গ্রামীণ সেবা সংস্থা, মানব সেবা সংস্থা, সোস্যাল এ্যাডভান্স প্রোগ্রাম।


[শাহনাজ পারভীন]
''এনজিও'' ব্র্যাক, আশা, কেয়ার, জয়পুরহাট রুরাল ডেভেলপমেন্ট মুভমেন্ট, গ্রামীণ সেবা সংস্থা, মানব সেবা সংস্থা, সোস্যাল এ্যাডভান্স প্রোগ্রাম।  [শাহনাজ পারভীন]


'''তথ্যসূত্র'''   আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; ক্ষেতলাল উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।
'''তথ্যসূত্র'''  আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; ক্ষেতলাল উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।


[[en:Khetlal Upazila]]
[[en:Khetlal Upazila]]

০৯:৫২, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

ক্ষেতলাল উপজেলা (জয়পুরহাট জেলা) আয়তন: ১৪২.৬০ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৪°৫৬´ থেকে ২৫°০৮´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°০২´ থেকে ৮৯°১২´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে জয়পুরহাট সদর উপজেলা, দক্ষিণে আক্কেলপুর এবং দুপচাঁচিয়া উপজেলা, পূর্বে কালাই এবং শিবগঞ্জ উপজেলা, পশ্চিমে জয়পুরহাট সদর ও আক্কেলপুর উপজেলা।

জনসংখ্যা ১১৫৯১৮; পুরুষ ৫৯২৭৪, মহিলা ৫৬৬৪৪। মুসলিম ১০৫৭২৮, হিন্দু ৯৯৮১, বৌদ্ধ ৬৫, খ্রিস্টান ১৮ এবং অন্যান্য ১২৬। এ উপজেলায় সাঁওতাল, ওঁরাও প্রভৃতি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে।

জলাশয় প্রধান নদী: তুলসীগঙ্গা ও হারাবতী নদী।

প্রশাসন ক্ষেতলাল থানা গঠিত হয় ১৮৪৭ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয়  ৩ জুলাই ১৯৮৩ সালে। ২০১০ সালের ৯ ডিসেম্বর ক্ষেতলাল পৌরসভা ঘোষণা করা হয়।

উপজেলা
পৌরসভা ইউনিয়ন মৌজা গ্রাম জনসংখ্যা ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
শহর গ্রাম শহর গ্রাম
১ (প্রস্তাবিত) ৮৮ ১৫৫ ১১৯০৭ ১০৪০১১ ৮১৩ ৪৫.৮ ৪৫.০
উপজেলা শহর
আয়তন (বর্গ কিমি) মৌজা লোকসংখ্যা ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
৯.৪৩ ১১৯০৭ ১২৬৩ ৪৫.৮১
ইউনিয়ন
ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড আয়তন (একর) লোকসংখ্যা শিক্ষার হার (%)
পুরুষ মহিলা
আলমপুর ০৯ ৭৩৩৬ ১১৭৩০ ১১৪৬৩ ৪২.৮৬
ক্ষেতলাল সদর ৪৭ ৫৮৩৬ ১১৮৬৯ ১১১৪৬ ৪৭.৮২
বড়তারা ১৯ ৮৬৯৬ ১৪১১৬ ১৩৩১০ ৪৫.৪০
বারৈল ২৮ ৫৬৬৪ ৯৮০৮ ৯৭৬২ ৪৪.৮৮
মামুদপুর ৫৭ ৭৭০৯ ১১৭৫১ ১০৯৬৩ ৪৪.৪৯

সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো

ঐতিহাসিক ঘটনাবলি ১৯৭১ সালের নভেম্বর মাসে এ উপজেলার বারুইল গ্রামে পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখ লড়াই হয়। এ লড়াইয়ে  অনেক পাকসেনা হতাহত হয়। ১১ ডিসেম্বর হিন্দা কসবা শাহী জামে মসজিদের পিছনে পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে বেশ সংখ্যক পাকসেনা হতাহত হয়। এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় পাকবাহিনী ৩ জন নিরীহ লোককে নির্মমভাবে হত্যা করে।

[[Image:KhetlalUpazila.jpg|thumb|400px|RIGHT]

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ২৭৬, মন্দির ৬, তীর্থস্থান ১। উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান: হিন্দা কসবা শাহী জামে মসজিদ (বারৈল)।

শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৪৫.১%; পুরুষ ৫১.৪%, মহিলা ৩৮.৬%। কলেজ ২, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২০, কারিগরি ইন্সস্টিটিউট ২, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৪১, কিন্ডার গার্টেন ২, মাদ্রাসা ১৪। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: ক্ষেতলাল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৪২)।

সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ক্লাব ২১, লাইব্রেরি ২, সিনেমা হল ১।

দর্শনীয় স্থান আছরাঙ্গা বিল (ক্ষেতলাল)।

জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৭৭.৬০%, অকৃষি শ্রমিক ১.৩১%, ব্যবসা ৮.২৮%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ৪.৬৮%, চাকরি ৩.০৭%, নির্মাণ ০.৭৯%, ধর্মীয় সেবা ০.১৬%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.২১% এবং অন্যান্য ৩.৯০%।

কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৬৪.৮৫%, ভূমিহীন ৩৫.১৫%। শহরে ৫৭.৬৯% এবং গ্রামে ৬৫.৬৭% পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে।

প্রধান কৃষি ফসল ধান, পাট, গম, আলু, সরিষা।

প্রধান ফল-ফলাদি আম, কাঁঠাল,  লিচু, পেঁপে, কলা।

গবাদিপশু, হাঁস-মুরগির খামার   হাঁস-মুরগি ৭৯, গবাদিপশু ৭৫।

যোগাযোগ বিশেষত্ব পাকারাস্তা ৭৭ কিমি, অধাপাকা রাস্তা ১৯ কিমি, কাঁচারাস্তা ৯০০.১৫ কিমি; নৌপথ ১২ নটিক্যাল মাইল।

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি, ঘোড়া ও গরুর গাড়ি।

শিল্প ও কলকারখানা আইস ফ্যাক্টরি, কোল্ড স্টোরেজ।

কুটিরশিল্প স্বর্ণশিল্প, লৌহশিল্প, কাঠের কাজ প্রভৃতি।

হাটবাজার ও মেলা হাটবাজার ১১, মেলা ২। ইটাখোলা হাট, হোপ হাট, ক্ষেতলাল হাট, বটতলী হাট, পোয়ামারী হাট, ফুলদীঘি হাট, মধুপুকুর হাট ও পাঠানপাড়া হাট এবং সন্ন্যাসতলীর মেলা উল্লেখযোগ্য।

প্রধান রপ্তানিদ্রব্য   আলু, ধান।

বিদ্যুৎ ব্যবহার এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ২৯.১৫% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।

পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৯৬.৪২%, পুকুর ০.১০, ট্যাপ ০.৪৮% এবং অন্যান্য ৩.০০%।

স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ উপজেলার ২২.৬৭% পরিবার স্বাস্থ্যকর (গ্রামে ২২.৩৩% এবং শহরে ২৫.৬১%) এবং ১৫.১২% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন (গ্রামে ১৪.১৩% এবং শহরে ২৩.৮১%) ব্যবহার করে। ৬২.২১% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।

স্বাস্থ্যকেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ৩, গ্রোথ সেন্টার ৪, কমিউনিটি ক্লিনিক ১৮।

এনজিও ব্র্যাক, আশা, কেয়ার, জয়পুরহাট রুরাল ডেভেলপমেন্ট মুভমেন্ট, গ্রামীণ সেবা সংস্থা, মানব সেবা সংস্থা, সোস্যাল এ্যাডভান্স প্রোগ্রাম। [শাহনাজ পারভীন]

তথ্যসূত্র  আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; ক্ষেতলাল উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।