কুতুবদিয়া উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Robot: Automated text replacement (-'''''তথ্যসূত্র''''' +'''তথ্যসূত্র''')) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১২ নং লাইন: | ১২ নং লাইন: | ||
| colspan="9" | উপজেলা | | colspan="9" | উপজেলা | ||
|- | |- | ||
| rowspan="2" | পৌরসভা || rowspan="2" | ইউনিয়ন || rowspan="2" | মৌজা || rowspan="2" | গ্রাম || colspan="2" | জনসংখ্যা || rowspan="2" | ঘনত্ব(প্রতি বর্গ কিমি) || colspan="2" | শিক্ষার হার (%) | | rowspan="2" | পৌরসভা || rowspan="2" | ইউনিয়ন || rowspan="2" | মৌজা || rowspan="2" | গ্রাম || colspan="2" | জনসংখ্যা || rowspan="2" | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) || colspan="2" | শিক্ষার হার (%) | ||
|- | |- | ||
| শহর || গ্রাম || শহর || গ্রাম | | শহর || গ্রাম || শহর || গ্রাম | ||
|- | |- | ||
| - || ৬ || ৯ || ৩০ || ২২০২৪ || ৮৫১৯৭ || ৪৯৪ || ৩৮.০২ || ২৫.৮০ | | - || ৬ || ৯ || ৩০ || ২২০২৪ || ৮৫১৯৭ || ৪৯৪ || ৩৮.০২ || ২৫.৮০ | ||
২৩ নং লাইন: | ২২ নং লাইন: | ||
{| class="table table-bordered table-hover" | {| class="table table-bordered table-hover" | ||
|- | |- | ||
| উপজেলা শহর | | colspan="9" | উপজেলা শহর | ||
|- | |- | ||
| আয়তন (বর্গ কিমি) || মৌজা || লোকসংখ্যা || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) || শিক্ষার হার (%) | | আয়তন (বর্গ কিমি) || মৌজা || লোকসংখ্যা || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) || শিক্ষার হার (%) | ||
২৯ নং লাইন: | ২৮ নং লাইন: | ||
| ৯.৯৬ || ১ || ২২০২৪ || ২২১১ || ৩৮.০২ | | ৯.৯৬ || ১ || ২২০২৪ || ২২১১ || ৩৮.০২ | ||
|} | |} | ||
{| class="table table-bordered table-hover" | {| class="table table-bordered table-hover" | ||
|- | |- | ||
| ইউনিয়ন | | colspan="9" | ইউনিয়ন | ||
|- | |- | ||
| rowspan="2" | ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড || rowspan="2" | আয়তন (একর) || colspan="2" | লোকসংখ্যা || rowspan="2" | শিক্ষার হার (%) | | rowspan="2" | ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড || rowspan="2" | আয়তন (একর) || colspan="2" | লোকসংখ্যা || rowspan="2" | শিক্ষার হার (%) | ||
৬৪ নং লাইন: | ৬২ নং লাইন: | ||
''শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান'' গড় হার ২৮.৪%; পুরুষ ৩২.৭%, মহিলা ২৩.৭%। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: কুতুবদিয়া হাইস্কুল (১৯৩৮), ধুরুং হাইস্কুল (১৯৪৮)। | ''শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান'' গড় হার ২৮.৪%; পুরুষ ৩২.৭%, মহিলা ২৩.৭%। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: কুতুবদিয়া হাইস্কুল (১৯৩৮), ধুরুং হাইস্কুল (১৯৪৮)। | ||
[[Image:KutubdiaUpazila.jpg|thumb|right|400px]] | [[Image:KutubdiaUpazila.jpg|thumb|right|400px]] | ||
''পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী'' দৈনিক দর্পন (১৯৮৬), বালিচর (১৯৮৩), কুতুবদিয়া বার্তা (১৯৯৩)। | ''পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী'' দৈনিক দর্পন (১৯৮৬), বালিচর (১৯৮৩), কুতুবদিয়া বার্তা (১৯৯৩)। | ||
''সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান'' লাইব্রেরি ১, প্রেসক্লাব ১, ক্রীড়া সমিতি ১। | ''সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান'' লাইব্রেরি ১, প্রেসক্লাব ১, ক্রীড়া সমিতি ১। | ||
পর্যটন | ''পর্যটন কেন্দ্র'' কুতুবদিয়া বাতিঘর। | ||
''জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস'' কৃষি ৬৩.২৭%, অকৃষি শ্রমিক ৬.২৩%, ব্যবসা ১৩.১৩%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ১.৩১%, চাকরি ৪.৪৭%, নির্মাণ ০.৬৯%, ধর্মীয় সেবা ০.২৭%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.২৩% এবং অন্যান্য ১০.৪%। | ''জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস'' কৃষি ৬৩.২৭%, অকৃষি শ্রমিক ৬.২৩%, ব্যবসা ১৩.১৩%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ১.৩১%, চাকরি ৪.৪৭%, নির্মাণ ০.৬৯%, ধর্মীয় সেবা ০.২৭%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.২৩% এবং অন্যান্য ১০.৪%। | ||
''কৃষিভূমির মালিকানা'' ভূমিমালিক ৪৪.০২%, ভূমিহীন ৫৫.৯৮%। শহরে ৪৩.৯০% এবং গ্রামে ৪৪.০৫% পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে। | ''কৃষিভূমির মালিকানা'' ভূমিমালিক ৪৪.০২%, ভূমিহীন ৫৫.৯৮%। শহরে ৪৩.৯০% এবং গ্রামে ৪৪.০৫% পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে। | ||
''প্রধান কৃষি ফসল'' ধান, আলু, সুপারি। | ''প্রধান কৃষি ফসল'' ধান, আলু, সুপারি। | ||
''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি'' কাউন। | ''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি'' কাউন। | ||
''প্রধান ফল- | ''প্রধান ফল-ফলাদি'' আম, কলা, পেঁপে, কুল, তরমুজ, নারিকেল। | ||
''মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার'' চিংড়ি প্রকল্প। | ''মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার'' চিংড়ি প্রকল্প। | ||
''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন'' ঘোড়া ও গরুর গাড়ি, পাল্কি। | ''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন'' ঘোড়া ও গরুর গাড়ি, পাল্কি। | ||
''শিল্প ও কলকারখানা'' রাইসমিল, স’মিল, সল্টমিল, আইস ফ্যাক্টরি। | ''শিল্প ও কলকারখানা'' রাইসমিল, স’মিল, সল্টমিল, আইস ফ্যাক্টরি। | ||
''কুটিরশিল্প'' স্বর্ণশিল্প, লৌহশিল্প, বাঁশের কাজ, ওয়েল্ডিং ফ্যাক্টরি। | ''কুটিরশিল্প'' স্বর্ণশিল্প, লৌহশিল্প, বাঁশের কাজ, ওয়েল্ডিং ফ্যাক্টরি। | ||
''হাটবাজার ও মেলা'' হাটবাজার ১২। বড়ধোপ বাজার ও ধুরুং বাজার উল্লেখযোগ্য। | ''হাটবাজার ও মেলা'' হাটবাজার ১২। বড়ধোপ বাজার ও ধুরুং বাজার উল্লেখযোগ্য। | ||
''প্রধান রপ্তানিদ্রব্য'' মাছ, লবণ। | ''প্রধান রপ্তানিদ্রব্য'' মাছ, লবণ। | ||
৯৬ নং লাইন: | ৯৫ নং লাইন: | ||
''বিদ্যুৎ ব্যবহার'' এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ২.৯৬% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। | ''বিদ্যুৎ ব্যবহার'' এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ২.৯৬% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। | ||
প্রাকৃতিক | ''প্রাকৃতিক সম্পদ'' প্রাকৃতিক গ্যাস, গন্ধক, চুনাপাথর, কালোবালি। | ||
''পানীয়জলের উৎস'' নলকূপ ৯১.০৭%, পুকুর ৪.১৮%, ট্যাপ ১.৮৬% এবং অন্যান্য ২.৮৯%। | ''পানীয়জলের উৎস'' নলকূপ ৯১.০৭%, পুকুর ৪.১৮%, ট্যাপ ১.৮৬% এবং অন্যান্য ২.৮৯%। | ||
''স্যানিটেশন ব্যবস্থা'' এ উপজেলার ৩৫.৫৮% (গ্রামে ৩০.৮২% এবং শহরে ৫৪%) পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৫৩.৬৫% (গ্রামে ৫৮.৮০% এবং শহরে ৩৩.৭০%) পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ১০.৭৮% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই। | ''স্যানিটেশন ব্যবস্থা'' এ উপজেলার ৩৫.৫৮% (গ্রামে ৩০.৮২% এবং শহরে ৫৪%) পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৫৩.৬৫% (গ্রামে ৫৮.৮০% এবং শহরে ৩৩.৭০%) পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ১০.৭৮% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই। | ||
''স্বাস্থ্যকেন্দ্র'' উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ৪, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৬। | ''স্বাস্থ্যকেন্দ্র'' উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ৪, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৬। | ||
''প্রাকৃতিক দুর্যোগ'' ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে কুতুবদিয়া প্রাকৃতিক দুর্যোগ-প্রবণ এলাকা। ১৫৬৯ সালের জলোচ্ছ্বাস, ১৭৬২ সালের ভূমিকম্প, ১৭৯৫ সালের ঘূর্ণিঝড়, ১৮৭২ সালের মহাপ্রলয়, ১৮৯৭ সালের জলোচ্ছ্বাস (মগীর তুফান), ১৯০৫ সালের টর্ণেডো, ১৯৬০ ও ১৯৭০ সালের জলোচ্ছ্বাসে এ এলাকার বেশ সংখ্যক মানুষ ও গবাদিপশুর প্রাণহানি ঘটে এবং ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে কুতুবদিয়া উপজেলার প্রায় ১০,০০০ মানুষের প্রাণহানি ঘটে। একসময় এ উপজেলার একটি বিরাট অংশ সাগর বক্ষে বিলীন হয়ে যায়। | ''প্রাকৃতিক দুর্যোগ'' ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে কুতুবদিয়া প্রাকৃতিক দুর্যোগ-প্রবণ এলাকা। ১৫৬৯ সালের জলোচ্ছ্বাস, ১৭৬২ সালের ভূমিকম্প, ১৭৯৫ সালের ঘূর্ণিঝড়, ১৮৭২ সালের মহাপ্রলয়, ১৮৯৭ সালের জলোচ্ছ্বাস (মগীর তুফান), ১৯০৫ সালের টর্ণেডো, ১৯৬০ ও ১৯৭০ সালের জলোচ্ছ্বাসে এ এলাকার বেশ সংখ্যক মানুষ ও গবাদিপশুর প্রাণহানি ঘটে এবং ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে কুতুবদিয়া উপজেলার প্রায় ১০,০০০ মানুষের প্রাণহানি ঘটে। একসময় এ উপজেলার একটি বিরাট অংশ সাগর বক্ষে বিলীন হয়ে যায়। | ||
''এনজিও'' ব্র্যাক। [মোঃ ওয়াজেদ আলী কুতুবী] | ''এনজিও'' ব্র্যাক। [মোঃ ওয়াজেদ আলী কুতুবী] | ||
'''তথ্যসূত্র''' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; কুতুবদিয়া উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭। | '''তথ্যসূত্র''' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; কুতুবদিয়া উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭। | ||
[[en:Kutubdia Upazila]] | [[en:Kutubdia Upazila]] |
১০:২৭, ১৮ আগস্ট ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
কুতুবদিয়া উপজেলা (কক্সবাজার জেলা) আয়তন: ২১৫.৮ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২১°৪৩´ থেকে ২১°৫৬´ উত্তর অক্ষাংশ থেকে ৯১°৫০´ থেকে ৯১°৫৪´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তর, পশ্চিম ও দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, পূর্বে কুতুবদিয়া চ্যানেল, বাঁশখালী, পেকুয়া এবং মহেশখালী উপজেলা।
জনসংখ্যা ১০৭২২১; পুরুষ ৫৫৮৪৮, মহিলা ৫১৩৭৩। মুসলিম ৯৯৭১৪, হিন্দু ৭৪৬০, বৌদ্ধ ১০, খ্রিস্টান ২৪ এবং অন্যান্য ১৩।
জলাশয় বঙ্গোপসাগর ও কুতুবদিয়া চ্যানেল উল্লেখযোগ্য।
প্রশাসন কুতুবদিয়া থানা গঠিত হয় ১৯১৭ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৩ সালে।
উপজেলা | ||||||||
পৌরসভা | ইউনিয়ন | মৌজা | গ্রাম | জনসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | ||
শহর | গ্রাম | শহর | গ্রাম | |||||
- | ৬ | ৯ | ৩০ | ২২০২৪ | ৮৫১৯৭ | ৪৯৪ | ৩৮.০২ | ২৫.৮০ |
উপজেলা শহর | ||||||||
আয়তন (বর্গ কিমি) | মৌজা | লোকসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | ||||
৯.৯৬ | ১ | ২২০২৪ | ২২১১ | ৩৮.০২ |
ইউনিয়ন | ||||||||
ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড | আয়তন (একর) | লোকসংখ্যা | শিক্ষার হার (%) | |||||
পুরুষ | মহিলা | |||||||
আলী আকবর ডেইল ১৩ | ৪৫৪৬ | ১০৬৫২ | ৯৪৯১ | ২২.৬১ | ||||
উত্তর ধুরুং ৮১ | ৪৮১৬ | ১১৭৯২ | ১০৬৭২ | ২১.৯৯ | ||||
কৈয়ার বিল ৫৪ | ১৫৮৫ | ৫৮০২ | ৫৬০৩ | ২৫.৬৯ | ||||
দক্ষিণ ধুরুং ৪০ | ২৪৯৮ | ৭৪৩২ | ৭১৭৯ | ২৭.৩৭ | ||||
বড়ধোপ ২৭ | ২৪৭০ | ১১৩৯৫ | ১০৬২৯ | ৩৮.০২ | ||||
লেমশীখালী ৬৭ | ৩৯৯৭ | ৮৭৭৫ | ৭৭৯৯ | ৩৩.৬৮ |
সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ কুতুবদিয়া বাতিঘর (দক্ষিণ ধুরুং), কালারমার মসজিদ, কুতুব আউলিয়ার মাযার।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন স্মৃতিস্তম্ভ ১ (ঘাটকুল পাড়া)।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এক হাতিয়া ফকিরের মসজিদ, কালারমার মসজিদ, মহারাজা কাজীর মসজিদ, কুতুব আউলিয়ার মাযার উল্লেখযোগ্য ।
শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ২৮.৪%; পুরুষ ৩২.৭%, মহিলা ২৩.৭%। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: কুতুবদিয়া হাইস্কুল (১৯৩৮), ধুরুং হাইস্কুল (১৯৪৮)।
পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী দৈনিক দর্পন (১৯৮৬), বালিচর (১৯৮৩), কুতুবদিয়া বার্তা (১৯৯৩)।
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান লাইব্রেরি ১, প্রেসক্লাব ১, ক্রীড়া সমিতি ১।
পর্যটন কেন্দ্র কুতুবদিয়া বাতিঘর।
জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৬৩.২৭%, অকৃষি শ্রমিক ৬.২৩%, ব্যবসা ১৩.১৩%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ১.৩১%, চাকরি ৪.৪৭%, নির্মাণ ০.৬৯%, ধর্মীয় সেবা ০.২৭%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.২৩% এবং অন্যান্য ১০.৪%।
কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৪৪.০২%, ভূমিহীন ৫৫.৯৮%। শহরে ৪৩.৯০% এবং গ্রামে ৪৪.০৫% পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে।
প্রধান কৃষি ফসল ধান, আলু, সুপারি।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি কাউন।
প্রধান ফল-ফলাদি আম, কলা, পেঁপে, কুল, তরমুজ, নারিকেল।
মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার চিংড়ি প্রকল্প।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন ঘোড়া ও গরুর গাড়ি, পাল্কি।
শিল্প ও কলকারখানা রাইসমিল, স’মিল, সল্টমিল, আইস ফ্যাক্টরি।
কুটিরশিল্প স্বর্ণশিল্প, লৌহশিল্প, বাঁশের কাজ, ওয়েল্ডিং ফ্যাক্টরি।
হাটবাজার ও মেলা হাটবাজার ১২। বড়ধোপ বাজার ও ধুরুং বাজার উল্লেখযোগ্য।
প্রধান রপ্তানিদ্রব্য মাছ, লবণ।
বিদ্যুৎ ব্যবহার এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ২.৯৬% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
প্রাকৃতিক সম্পদ প্রাকৃতিক গ্যাস, গন্ধক, চুনাপাথর, কালোবালি।
পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৯১.০৭%, পুকুর ৪.১৮%, ট্যাপ ১.৮৬% এবং অন্যান্য ২.৮৯%।
স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ উপজেলার ৩৫.৫৮% (গ্রামে ৩০.৮২% এবং শহরে ৫৪%) পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৫৩.৬৫% (গ্রামে ৫৮.৮০% এবং শহরে ৩৩.৭০%) পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ১০.৭৮% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ৪, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৬।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে কুতুবদিয়া প্রাকৃতিক দুর্যোগ-প্রবণ এলাকা। ১৫৬৯ সালের জলোচ্ছ্বাস, ১৭৬২ সালের ভূমিকম্প, ১৭৯৫ সালের ঘূর্ণিঝড়, ১৮৭২ সালের মহাপ্রলয়, ১৮৯৭ সালের জলোচ্ছ্বাস (মগীর তুফান), ১৯০৫ সালের টর্ণেডো, ১৯৬০ ও ১৯৭০ সালের জলোচ্ছ্বাসে এ এলাকার বেশ সংখ্যক মানুষ ও গবাদিপশুর প্রাণহানি ঘটে এবং ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে কুতুবদিয়া উপজেলার প্রায় ১০,০০০ মানুষের প্রাণহানি ঘটে। একসময় এ উপজেলার একটি বিরাট অংশ সাগর বক্ষে বিলীন হয়ে যায়।
এনজিও ব্র্যাক। [মোঃ ওয়াজেদ আলী কুতুবী]
তথ্যসূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; কুতুবদিয়া উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।