কার্পমাছ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৪ নং লাইন: ৪ নং লাইন:
|-
|-
| স্থানীয় নাম  || ইংরেজি নাম  || বৈজ্ঞানিকনাম || আকার || বিস্তার
| স্থানীয় নাম  || ইংরেজি নাম  || বৈজ্ঞানিকনাম || আকার || বিস্তার
|-
|-
| বাটা/ভাঙা বাটা  || Bata Labeo || ''Labeo bata'' || প্রায় ৩০ সেমি || ব্যাপক
| বাটা/ভাঙা বাটা  || Bata Labeo || ''Labeo bata'' || প্রায় ৩০ সেমি || ব্যাপক
|-
|-
| কালিবাউস, কলিয়া বাউস || BlackRohu/Kalbasu || ''Labeo calbasu'' || প্রায় ৪০ সেমি  || ব্যাপক
| কালিবাউস, কলিয়া বাউস || BlackRohu/Kalbasu || ''Labeo calbasu'' || প্রায় ৪০ সেমি  || ব্যাপক
|-
|-
| কাতলা, কাতল || Katla || ''Catla catla''  || ৩৮-৪৬ সেমি || ব্যাপক
| কাতলা, কাতল || Katla || ''Catla catla''  || ৩৮-৪৬ সেমি || ব্যাপক
|-
|-
| জারুয়া, উত্তি || Chaguni || ''Chagunius chagunio'' || প্রায় ৩০ সেমি || উত্তর-পূর্ব
| জারুয়া, উত্তি || Chaguni || ''Chagunius chagunio'' || প্রায় ৩০ সেমি || উত্তর-পূর্ব
|-
|-
| গনিয়া,কুরচি, ঘনিয়া, ঘইন্যা || Kuria Labeo || ''Labeo gonius'' || প্রায় ৬০ সেমি || ব্যাপক
| গনিয়া,কুরচি, ঘনিয়া, ঘইন্যা || Kuria Labeo || ''Labeo gonius'' || প্রায় ৬০ সেমি || ব্যাপক
|-
|-
| মৃগেল/মিরকা || Mrigal  || ''Cirrhinus mrigala'' || ৫০-৮০ সেমি || ব্যাপক
| মৃগেল/মিরকা || Mrigal  || ''Cirrhinus mrigala'' || ৫০-৮০ সেমি || ব্যাপক
|-
|-
| নান্দিনা, নান্দিল, নানিন্দ || Nandi Labeo || ''Labeo nandina'' || প্রায় ৭০ সেমি || উত্তর-পূর্ব, মধ্যাঞ্চল
| নান্দিনা, নান্দিল, নানিন্দ || Nandi Labeo || ''Labeo nandina'' || প্রায় ৭০ সেমি || উত্তর-পূর্ব, মধ্যাঞ্চল
|-
|-
| ঘোড়ামুইখা, ঘোড়ামাছ, লঙ্গুরুই  || Pangusia Labeo || ''Labeo  pangusia'' || প্রায় ৩৫ সেমি || দক্ষিণ-পূর্ব, উত্তর-পূর্ব
| ঘোড়ামুইখা, ঘোড়ামাছ, লঙ্গুরুই  || Pangusia Labeo || ''Labeo  pangusia'' || প্রায় ৩৫ সেমি || দক্ষিণ-পূর্ব, উত্তর-পূর্ব
|-
|-
| রাইক, টাটকিনি, বাটা, লাচো, ভাগলা || Reba Carp || ''Cirrhinus reba'' || ৩০-৩৫ সেমি || ব্যাপক
| রাইক, টাটকিনি, বাটা, লাচো, ভাগলা || Reba Carp || ''Cirrhinus reba'' || ৩০-৩৫ সেমি || ব্যাপক
|-
|-
| রুই, রোহিত, রউ || Rohu || ''Labeo rohita'' || প্রায় ৯০ সেমি  || ব্যাপক
| রুই, রোহিত, রউ || Rohu || ''Labeo rohita'' || প্রায় ৯০ সেমি  || ব্যাপক
|-
|-
| মহাশোল, মহাল,  || Tor Mahseer || ''Tor tor''  || প্রায় ৬০ সেমি || উত্তর-পূর্ব মধ্যাঞ্চল, দক্ষিণ-পূর্ব
| মহাশোল, মহাল,  || Tor Mahseer || ''Tor tor''  || প্রায় ৬০ সেমি || উত্তর-পূর্ব মধ্যাঞ্চল, দক্ষিণ-পূর্ব
|}
|}


প্রকৃত কার্প, ''Cyprinus carpio'' এশিয়া ও ইউরোপের নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের মাছ। এদের তিন জাতের মধ্যে বাংলাদেশে দুটির চাষে বিশেষ সাফল্য অর্জিত হয়েছে। এগুলি Cyprinus carpio var. communis, (Scale Carp/Common Carp, ১৯৬০ সালে চীন থেকে প্রবর্তিত) এবং Cyprinus carpio var. specularis (Mirror Carp, ১৯৭৯ সালে নেপাল থেকে প্রবর্তিত)।  [বাহারুল হক]
প্রকৃত কার্প, ''Cyprinus carpio'' এশিয়া ও ইউরোপের নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের মাছ। এদের তিন জাতের মধ্যে বাংলাদেশে দুটির চাষে বিশেষ সাফল্য অর্জিত হয়েছে। এগুলি Cyprinus carpio var. communis, (Scale Carp/Common Carp, ১৯৬০ সালে চীন থেকে প্রবর্তিত) এবং Cyprinus carpio var. specularis (Mirror Carp, ১৯৭৯ সালে নেপাল থেকে প্রবর্তিত)।  [বাহারুল হক]  


<gallery>
[[Image:Carp1.jpg|thumb|400px|রুই, ''Labeo rohita'' (বাম)            মৃগেল, ''Cirrhinus mrigala'' (ডান)]]
Image:Carp1.jpg|400px||রুই, ''Labeo rohita''
[[Image:Carp2.jpg|thumb|400px| কাতলা ''Catla catla'' (বাম)                কালিবাউস ''Labeo calbasu'' (ডান)]]
Image:Carp2.jpg|400pxpx| মৃগেল, ''Cirrhinus mrigala''
</gallery>


মোটামাথা কার্প (Bighead Carp) Cypriniformes বর্গের Cyprinidae গোত্রভুক্ত  [[বিদেশী মাছ|বিদেশী মাছ]], Aristichthyes nobilis। ১৯৮১ সালে নেপাল থেকে আনা হয়। বাংলাদেশের অন্যান্য কার্পের তুলনায় এর মাথা মোটা। গ্রীষ্মকালে ও প্লাবনের সময় এ মাছ ডিম ছাড়ে।
''মোটামাথা কার্প'' (Bighead Carp) Cypriniformes বর্গের Cyprinidae গোত্রভুক্ত  [[বিদেশী মাছ|বিদেশী মাছ]], Aristichthyes nobilis। ১৯৮১ সালে নেপাল থেকে আনা হয়। বাংলাদেশের অন্যান্য কার্পের তুলনায় এর মাথা মোটা। গ্রীষ্মকালে ও প্লাবনের সময় এ মাছ ডিম ছাড়ে।


এ মাছের পেট গোলগাল এবং দেহের রং কিছুটা কালচে বা হলদেটে, তাতে কালো রঙের বিচিত্র দাগ। মাছটি দ্রুত বাড়ে এবং তিন বছরের মধ্যে ৫ কেজি পর্যন্ত হয়। এ কার্প মিশ্রচাষে কাতলার প্রতিদ্বন্দ্বী। এরা প্লাঙ্কটন ছাড়াও পচনশীল জৈব পদার্থ খায়।
এ মাছের পেট গোলগাল এবং দেহের রং কিছুটা কালচে বা হলদেটে, তাতে কালো রঙের বিচিত্র দাগ। মাছটি দ্রুত বাড়ে এবং তিন বছরের মধ্যে ৫ কেজি পর্যন্ত হয়। এ কার্প মিশ্রচাষে কাতলার প্রতিদ্বন্দ্বী। এরা প্লাঙ্কটন ছাড়াও পচনশীল জৈব পদার্থ খায়।

০৫:৪৩, ১২ আগস্ট ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

কার্পমাছ (Carp)  Cyprinidae গোত্রের স্বাদুপানির  মাছ। বাংলাদেশের স্বাদুপানিতে সহজলভ্য কার্প মাছের একটি তালিকা নিচে দেওয়া হলো।

স্থানীয় নাম  ইংরেজি নাম বৈজ্ঞানিকনাম আকার বিস্তার
বাটা/ভাঙা বাটা  Bata Labeo Labeo bata প্রায় ৩০ সেমি ব্যাপক
কালিবাউস, কলিয়া বাউস BlackRohu/Kalbasu Labeo calbasu প্রায় ৪০ সেমি ব্যাপক
কাতলা, কাতল Katla Catla catla  ৩৮-৪৬ সেমি ব্যাপক
জারুয়া, উত্তি Chaguni Chagunius chagunio প্রায় ৩০ সেমি উত্তর-পূর্ব
গনিয়া,কুরচি, ঘনিয়া, ঘইন্যা Kuria Labeo Labeo gonius প্রায় ৬০ সেমি ব্যাপক
মৃগেল/মিরকা Mrigal  Cirrhinus mrigala ৫০-৮০ সেমি ব্যাপক
নান্দিনা, নান্দিল, নানিন্দ Nandi Labeo Labeo nandina প্রায় ৭০ সেমি উত্তর-পূর্ব, মধ্যাঞ্চল
ঘোড়ামুইখা, ঘোড়ামাছ, লঙ্গুরুই  Pangusia Labeo Labeo  pangusia প্রায় ৩৫ সেমি দক্ষিণ-পূর্ব, উত্তর-পূর্ব
রাইক, টাটকিনি, বাটা, লাচো, ভাগলা Reba Carp Cirrhinus reba ৩০-৩৫ সেমি ব্যাপক
রুই, রোহিত, রউ Rohu Labeo rohita প্রায় ৯০ সেমি  ব্যাপক
মহাশোল, মহাল, Tor Mahseer Tor tor  প্রায় ৬০ সেমি উত্তর-পূর্ব মধ্যাঞ্চল, দক্ষিণ-পূর্ব

প্রকৃত কার্প, Cyprinus carpio এশিয়া ও ইউরোপের নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের মাছ। এদের তিন জাতের মধ্যে বাংলাদেশে দুটির চাষে বিশেষ সাফল্য অর্জিত হয়েছে। এগুলি Cyprinus carpio var. communis, (Scale Carp/Common Carp, ১৯৬০ সালে চীন থেকে প্রবর্তিত) এবং Cyprinus carpio var. specularis (Mirror Carp, ১৯৭৯ সালে নেপাল থেকে প্রবর্তিত)।  [বাহারুল হক]

রুই, Labeo rohita (বাম) মৃগেল, Cirrhinus mrigala (ডান)
কাতলা Catla catla (বাম) কালিবাউস Labeo calbasu (ডান)

মোটামাথা কার্প (Bighead Carp) Cypriniformes বর্গের Cyprinidae গোত্রভুক্ত  বিদেশী মাছ, Aristichthyes nobilis। ১৯৮১ সালে নেপাল থেকে আনা হয়। বাংলাদেশের অন্যান্য কার্পের তুলনায় এর মাথা মোটা। গ্রীষ্মকালে ও প্লাবনের সময় এ মাছ ডিম ছাড়ে।

এ মাছের পেট গোলগাল এবং দেহের রং কিছুটা কালচে বা হলদেটে, তাতে কালো রঙের বিচিত্র দাগ। মাছটি দ্রুত বাড়ে এবং তিন বছরের মধ্যে ৫ কেজি পর্যন্ত হয়। এ কার্প মিশ্রচাষে কাতলার প্রতিদ্বন্দ্বী। এরা প্লাঙ্কটন ছাড়াও পচনশীল জৈব পদার্থ খায়।

বাংলাদেশে এ মাছের প্রজননকাল মার্চ থেকে জুন। ২৫°-৩০° সে তাপমাত্রায় রেণু ছাড়তে ১৮-২০ ঘণ্টা সময় লাগে। এরা বদ্ধজলাশয়ে প্রজনন করে না। এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে মাছের ওজন ১.২৫-২.৫ কেজি হয়।  [মোঃ আনিসুল ইসলাম]

আরও দেখুন বিদেশী মাছ