কাউখালী উপজেলা (রাঙ্গামাটি): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Category:বাংলাপিডিয়া]] | [[Category:বাংলাপিডিয়া]] | ||
'''কাউখালী উপজেলা''' (রাঙ্গামাটি জেলা) আয়তন: ৩৩৯.২৯ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২২°২৯´ থেকে ২২°৪৪´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°৫৬´ থেকে ৯২°০৮´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে লক্ষ্মীছড়ি ও নানিয়ারচর উপজেলা, দক্ষিণে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ও কাপ্তাই উপজেলা, পূর্বে রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা, পশ্চিমে রাউজান ও ফটিকছড়ি উপজেলা। | '''কাউখালী উপজেলা''' ([[রাঙ্গামাটি জেলা|রাঙ্গামাটি জেলা]]) আয়তন: ৩৩৯.২৯ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২২°২৯´ থেকে ২২°৪৪´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°৫৬´ থেকে ৯২°০৮´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে লক্ষ্মীছড়ি ও নানিয়ারচর উপজেলা, দক্ষিণে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ও কাপ্তাই উপজেলা, পূর্বে রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা, পশ্চিমে রাউজান ও ফটিকছড়ি উপজেলা। | ||
''জনসংখ্যা'' ৪৮২৪০; পুরুষ ২৫৫৮৮, মহিলা ২২৬৫২। মুসলিম ১৭২০৪, হিন্দু ১৬০৮, বৌদ্ধ ২০৫, খ্রিস্টান ২৯১৯৯ এবং অন্যান্য ২৪। এ উপজেলায় চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গা প্রভৃতি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বসবাস আছে। | ''জনসংখ্যা'' ৪৮২৪০; পুরুষ ২৫৫৮৮, মহিলা ২২৬৫২। মুসলিম ১৭২০৪, হিন্দু ১৬০৮, বৌদ্ধ ২০৫, খ্রিস্টান ২৯১৯৯ এবং অন্যান্য ২৪। এ উপজেলায় চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গা প্রভৃতি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বসবাস আছে। | ||
৪৫ নং লাইন: | ৪৫ নং লাইন: | ||
''মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি'' ১৯৭১ সালের ৯ ডিসেম্বর কাউখালী উপজেলার অন্তর্গত বেতবুনিয়া ও বালুখালীতে পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখ লড়াইয়ে ২ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ১১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা বেতবুনিয়াস্থ চট্টগ্রাম রাঙ্গামাটি সড়কে কালভার্টের উপর পাকবাহিনীর জীপ গাড়িতে আক্রমন চালায়। এতে গাড়ির ড্রাইভারসহ ২ জন পাক অফিসারের মৃত্যু ঘটে। | ''মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি'' ১৯৭১ সালের ৯ ডিসেম্বর কাউখালী উপজেলার অন্তর্গত বেতবুনিয়া ও বালুখালীতে পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখ লড়াইয়ে ২ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ১১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা বেতবুনিয়াস্থ চট্টগ্রাম রাঙ্গামাটি সড়কে কালভার্টের উপর পাকবাহিনীর জীপ গাড়িতে আক্রমন চালায়। এতে গাড়ির ড্রাইভারসহ ২ জন পাক অফিসারের মৃত্যু ঘটে। | ||
[[Image:KawkhaliUpazilaRangamati.jpg|thumb|400px|right]] | |||
''মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন'' মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ১ (ঘাগড়া)। | ''মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন'' মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ১ (ঘাগড়া)। | ||
''শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান'' গড় হার ৩৮.৯%; পুরুষ ৪৬.৭%, মহিলা ৩০.০%। মহাবিদ্যালয় ২, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১২, কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৫৬, কেজি স্কুল ২, মাদ্রাসা ৩। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: কাউখালী মহাবিদ্যালয় (১৯৯৯), ঘাগড়া মহাবিদ্যালয় (২০০১)। | ''শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান'' গড় হার ৩৮.৯%; পুরুষ ৪৬.৭%, মহিলা ৩০.০%। মহাবিদ্যালয় ২, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১২, কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৫৬, কেজি স্কুল ২, মাদ্রাসা ৩। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: কাউখালী মহাবিদ্যালয় (১৯৯৯), ঘাগড়া মহাবিদ্যালয় (২০০১)। |
০৫:৫৬, ৬ আগস্ট ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
কাউখালী উপজেলা (রাঙ্গামাটি জেলা) আয়তন: ৩৩৯.২৯ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২২°২৯´ থেকে ২২°৪৪´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°৫৬´ থেকে ৯২°০৮´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে লক্ষ্মীছড়ি ও নানিয়ারচর উপজেলা, দক্ষিণে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ও কাপ্তাই উপজেলা, পূর্বে রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা, পশ্চিমে রাউজান ও ফটিকছড়ি উপজেলা।
জনসংখ্যা ৪৮২৪০; পুরুষ ২৫৫৮৮, মহিলা ২২৬৫২। মুসলিম ১৭২০৪, হিন্দু ১৬০৮, বৌদ্ধ ২০৫, খ্রিস্টান ২৯১৯৯ এবং অন্যান্য ২৪। এ উপজেলায় চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গা প্রভৃতি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বসবাস আছে।
প্রশাসন থানা গঠিত হয় ১৯৭৬ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৫ সালে।
উপজেলা | ||||||||
পৌরসভা | ইউনিয়ন | মৌজা | গ্রাম | জনসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | ||
শহর | গ্রাম | শহর | গ্রাম | |||||
- | ৪ | ১০ | ১৬২ | ৮৫৫১ | ৩৯৬৮৯ | ১৪২ | ৪০.৯ | ৩৮.৫ |
উপজেলা শহর | ||||||||
আয়তন (বর্গ কিমি) | মৌজা | লোকসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | ||||
৬২.১৬ | ১ | ৮৫৫১ | ১৩৮ | ৪০.৯ |
ইউনিয়ন | ||||||||
ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড | আয়তন (একর) | লোকসংখ্যা | শিক্ষার হার (%) | |||||
পুরুষ | মহিলা | |||||||
কলমপতি ৭৬ | ১৪৭২০ | ৬০৫৩ | ৫৮২৮ | ৩১.৬৬ | ||||
ঘাগড়া ৫৭ | ৩০০৮০ | ১০৪০০ | ৮৭৭৬ | ৪২.৪২ | ||||
ফটিকছড়ি ৩৮ | ১৯২০০ | ২২১৫ | ২১৪০ | ১৭.৭৮ | ||||
বেতবুনিয়া ১৯ | ১৯৮৪০ | ৬৯২০ | ৫৯০৮ | ৪৬.৯৪ |
সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি ১৯৭১ সালের ৯ ডিসেম্বর কাউখালী উপজেলার অন্তর্গত বেতবুনিয়া ও বালুখালীতে পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখ লড়াইয়ে ২ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ১১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা বেতবুনিয়াস্থ চট্টগ্রাম রাঙ্গামাটি সড়কে কালভার্টের উপর পাকবাহিনীর জীপ গাড়িতে আক্রমন চালায়। এতে গাড়ির ড্রাইভারসহ ২ জন পাক অফিসারের মৃত্যু ঘটে।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ১ (ঘাগড়া)।
শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৩৮.৯%; পুরুষ ৪৬.৭%, মহিলা ৩০.০%। মহাবিদ্যালয় ২, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১২, কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৫৬, কেজি স্কুল ২, মাদ্রাসা ৩। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: কাউখালী মহাবিদ্যালয় (১৯৯৯), ঘাগড়া মহাবিদ্যালয় (২০০১)।
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান লাইব্রেরি ১।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ৩২, মন্দির ৪।
গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র, পুলিশ স্পেশাল ট্রেনিং স্কুল, চাকমা রাজবাড়ি, হ্যালিপ্যাড, কাউখালী ঝুলন্ত ব্রিজ।
জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৬৩.৪২%, অকৃষি শ্রমিক ৮.২৭%, ব্যবসা ৯.৮৯%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ৩.২০%, চাকরি ৯.৮৩%, নির্মাণ ০.৩৩%, ধমীয় সেবা ০.৩২, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ১.৩৯% এবং অন্যান্য ৩.৩৫%।
কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৫০.৮৫%, ভূমিহীন ৪৯.১৫%।
কুটিরশিল্প স্বর্ণশিল্প, লৌহশিল্প, তাঁতশিল্প, বাঁশের কাজ, বেতের কাজ।
প্রধান কৃষি ফসল ধান, আদা, হলুদ, তিল, তুলা, শাকসবজি।
প্রধান ফল-ফলাদি কাঁঠাল, কলা, আনারস।
হাটবাজার ও মেলা কাউখালী বাজার ও ঘাগড়া বাজার উল্লেখযোগ্য।
প্রধান রপ্তানিদ্রব্য তিল, তুলা, আদা, হলুদ, কাঁঠাল, বাঁশ ও বেত শিল্প।
বিদ্যুৎ ব্যবহার এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ১৭.৭৪% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৪৬.৯৫%, পুকুর ৬.৯৮%, ট্যাপ ১.৯০% এবং অন্যান্য ৪৪.১৭%।
স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ উপজেলার ১৭.৭৩% পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৬০.৬০% পরিবার অস্বাস্থাকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ২১.৬৭% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।
যোগাযোগ বিশেষত্ব পাকারাস্তা ৭৩ কিমি, কাঁচারাস্তা ১৯৭ কিমি।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১, হাসপাতাল ১, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ২, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ১।
এনজিও আশা, প্রশিকা। [আতিকুর রহমান]
তথ্যসূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; কাউখালী উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।