কর, ভূবনমোহন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
৫ নং লাইন: | ৫ নং লাইন: | ||
তাঁর সমাজসংস্কারমূলক কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ মহারাজা গিরিজানাথের মাতা মহারানী শ্যামামোহিনী ১৮৬৫ সালে বালুবাড়ী মহল্লায় বাসভবন ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসালয়ের জন্য তাঁকে ১ খন্ড জমি দান করেন। চিকিৎসালয়টি মহারানীর আর্থিক অনুদানে পরিচালিত হতো। বর্তমানে চিকিৎসালয়টি মহর্ষি ভূবনমোহন হোমিওপ্যাথিক দাতব্য ডিসপেনসারি নামে অভিহিত এবং পৌরসভা ও জেলা বোর্ডসহ জনগণের আর্থিক অনুদানে পরিচালিত। [মুহম্মদ মনিরুজ্জামান] | তাঁর সমাজসংস্কারমূলক কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ মহারাজা গিরিজানাথের মাতা মহারানী শ্যামামোহিনী ১৮৬৫ সালে বালুবাড়ী মহল্লায় বাসভবন ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসালয়ের জন্য তাঁকে ১ খন্ড জমি দান করেন। চিকিৎসালয়টি মহারানীর আর্থিক অনুদানে পরিচালিত হতো। বর্তমানে চিকিৎসালয়টি মহর্ষি ভূবনমোহন হোমিওপ্যাথিক দাতব্য ডিসপেনসারি নামে অভিহিত এবং পৌরসভা ও জেলা বোর্ডসহ জনগণের আর্থিক অনুদানে পরিচালিত। [মুহম্মদ মনিরুজ্জামান] | ||
০৫:১০, ৩ আগস্ট ২০১৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
কর, ভূবনমোহন শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, সমাজ সংস্কারক। ভূবনমোহন কর বিদ্যারত্ন রাজশাহী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন (মতান্তরে মুন্সিগঞ্জ জেলা)। তাঁর বাল্যকাল ও শিক্ষা সম্পর্কে তেমন জানা যায়না। ১৮৫৭ সালে দিনাজপুরের জমিদার রাজা তারকনাথ (১৮৪১-১৮৬৫) প্রদত্ত জায়গায় আদর্শ মাতৃভাষা স্কুল (মডেল ভার্নাকিউলার স্কুল) খোলা হয়। স্কুলটি পরে বাংলা স্কুল নামে পরিচিত হয়। ভূবনমোহন কর ছিলেন এ প্রতিষ্ঠানের প্রথম হেড পন্ডিত। তিনি নিজ গৃহে একটি দাতব্য হোমিওপ্যাথিক ডিসপেনসারি চালু করেন। কখন তিনি চাকুরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন তাও জানা যায় না। তিনি ছিলেন চিরকুমার।
ভূবনমোহন ১৮৬০-১৮৭৫ সালের মধ্যে বিধবা বিবাহ, অসবর্ণ বিবাহ ও নারী স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার জন্য দিনাজপুরে ব্রাহ্ম সমাজ প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমান সংস্কৃত মহাবিদ্যালয়ের কাছে গণেশতলায় একটি মাটির ঘরে ব্রাহ্ম সমাজের অফিস ছিল। তাঁর প্রতিষ্ঠিত ব্রাহ্ম সমাজকে প্রতিরোধ করার জন্য সনাতনপন্থী হিন্দুরা উকিল গিরীশ চন্দ্র চক্রবর্তী এবং রাজা তারকনাথের নেতৃত্বে নিত্য ধর্ম বোধিনী সভা নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। ভূবনমোহন ব্রাহ্ম সমাজ আন্দোলনের পাশাপাশি অন্যান্য সমাজসংস্কারমূলক কাজেও আত্ননিয়োগ করেন।
তাঁর সমাজসংস্কারমূলক কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ মহারাজা গিরিজানাথের মাতা মহারানী শ্যামামোহিনী ১৮৬৫ সালে বালুবাড়ী মহল্লায় বাসভবন ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসালয়ের জন্য তাঁকে ১ খন্ড জমি দান করেন। চিকিৎসালয়টি মহারানীর আর্থিক অনুদানে পরিচালিত হতো। বর্তমানে চিকিৎসালয়টি মহর্ষি ভূবনমোহন হোমিওপ্যাথিক দাতব্য ডিসপেনসারি নামে অভিহিত এবং পৌরসভা ও জেলা বোর্ডসহ জনগণের আর্থিক অনুদানে পরিচালিত। [মুহম্মদ মনিরুজ্জামান]