হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং কর্পোরেশন লিমিটেড: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (cleanup) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
৩ নং লাইন: | ৩ নং লাইন: | ||
'''হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং কর্পোরেশন লিমিটেড''' বেসরকারি খাতের বাণিজ্যিক ব্যাংক। বিশ্বের স্থানীয় ব্যাংক হিসেবে সমধিক পরিচিত। হংকং এন্ড সাংহাই ব্যাংকিং কর্পোরেশন লিমিটেড ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম তাদের শাখা খোলে। এইচএসবিসি ব্যাংকের অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট (ওবিইউ) লাইসেন্স থাকায় ব্যাংকটি যোগ্য কাস্টমারকে বিদেশি মুদ্রায়ও অর্থায়ন করতে পারে। এছাড়া ঢাকা, চট্টগ্রাম, আদমজী, মংলা ও কুমিল্লা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে ব্যাংকটির কার্যক্রম রয়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে ব্যাংকটির সর্বমোট ১১ টি শাখা, ২৯ টি এটিএম বুথ এবং ৭ টি কাস্টমার সার্ভিস সেন্টার চালু রয়েছে। ব্যাংকটি পূর্ণাঙ্গ ব্যক্তি ব্যাংকিং সার্ভিস ছাড়াও চলতি ও সঞ্চয়ী হিসাব, ব্যক্তি ঋণ, মেয়াদি জমা, ট্রাভেলস চেক এবং অন্তর্গামী ও বহির্গামী রেমিট্যান্স সেবাও প্রদান করে থাকে। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ব্যাংকটির প্রশাসনিক ও পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে। তাঁকে সহায়তা করেন ২০৬ জন কর্মকর্তা এবং ৬২৪ জন কর্মচারী। | '''হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং কর্পোরেশন লিমিটেড''' বেসরকারি খাতের বাণিজ্যিক ব্যাংক। বিশ্বের স্থানীয় ব্যাংক হিসেবে সমধিক পরিচিত। হংকং এন্ড সাংহাই ব্যাংকিং কর্পোরেশন লিমিটেড ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম তাদের শাখা খোলে। এইচএসবিসি ব্যাংকের অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট (ওবিইউ) লাইসেন্স থাকায় ব্যাংকটি যোগ্য কাস্টমারকে বিদেশি মুদ্রায়ও অর্থায়ন করতে পারে। এছাড়া ঢাকা, চট্টগ্রাম, আদমজী, মংলা ও কুমিল্লা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে ব্যাংকটির কার্যক্রম রয়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে ব্যাংকটির সর্বমোট ১১ টি শাখা, ২৯ টি এটিএম বুথ এবং ৭ টি কাস্টমার সার্ভিস সেন্টার চালু রয়েছে। ব্যাংকটি পূর্ণাঙ্গ ব্যক্তি ব্যাংকিং সার্ভিস ছাড়াও চলতি ও সঞ্চয়ী হিসাব, ব্যক্তি ঋণ, মেয়াদি জমা, ট্রাভেলস চেক এবং অন্তর্গামী ও বহির্গামী রেমিট্যান্স সেবাও প্রদান করে থাকে। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ব্যাংকটির প্রশাসনিক ও পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে। তাঁকে সহায়তা করেন ২০৬ জন কর্মকর্তা এবং ৬২৪ জন কর্মচারী। | ||
মৌল তথ্য ও পরিসংখ্যান (মিলিয়ন টাকায়)। | |||
{| class="table table-bordered table-hover" | |||
|- | |||
| বিবরণ || ২০০৪ || ২০০৫ || ২০০৬ || ২০০৭ || ২০০৮ || ২০০৯ | |||
|- | |||
|অনুমোদিত মূলধন || - || - || - || - || - || - | |||
|- | |||
|পরিশোধিত মূলধন || ১১৮৮ || ২৪৮১ || ২৫৮১ || ২৫৬৫ || ২৫৭৮ || ২৫৯০ | |||
|- | |||
|রিজার্ভ || ৭৩৫ || ১৭১৭ || ২৬২৭ || ৪৫৯৯ || ৫৫৪১ || ৬৯৩৮ | |||
|- | |||
|আমানত || ১৯৯১৮ || ২৪৮২৫ || ৩৩৩৫৭ || ৪৪৮৫৯ || ৫১৭৯৩ || ৫৬৫৪৩ | |||
|- | |||
|ক) তলবি আমানত || ৪৪১২ || ৫৯৪০ || ৭৭৪৭ || ১৫৭৬১ || ৯৭৪২ || ১৬১৪১ | |||
|- | |||
|খ) মেয়াদি আমানত || ১৫৫০৬ || ১৮৮৮৫ || ২৫৬১০ || ২৯০৯৮ || ৪২০৫১ || ৪০৪০২ | |||
|- | |||
|ঋণ ও অগ্রিম || ১৫৬১৯ || ২৫৮৯৮ || ৩১৭০৪ || ৪১২০৯ || ৫০১৬৬ || ৪৬৬৮২ | |||
|- | |||
|বিনিয়োগ || ১৫৪৬ || ২৪০৭ || ৩৭৮২ || ২৪৬০ || ১০৩৪২ || ১৮৩৯০ | |||
|- | |||
|মোট পরিসম্পদ || ২৪৭৮৭ || ৩৭২৭৬ || ৪৮৮০৬ || ৭১৩৫৫ || ৮১০৩৯ || ৮৬৭২৪ | |||
|- | |||
|মোট আয় || ১৬২৩ || ২৬৩২ || ৩৬৭৩ || ৪৭৭০ || ৫৮৫৯ || ৬১১৮ | |||
|- | |||
|মোট ব্যয় || ১০৯২ || ৬৯৯ || ৭৮৮ || ৯৮৬ || ১২৭৭ || ১৩৯৭ | |||
|- | |||
|বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবসা পরিচালনা || ৭৪২৮১ || ১২১৫৫৪ || ১৬৪৭৩২ || ২১৯৩৫৩ || ২৬০০০২ || ২৭০৪২১ | |||
|- | |||
|ক) রপ্তানি || ২৭৩৯৮ || ৪১৩৮৫ || ৬০৬৯২ || ৭৩৮৪৯ || ৮৫৭৪০ || ৯৪৪৬০ | |||
|- | |||
|খ) আমদানি || ৩০৫৬২ || ৪৬৫৯৮ || ৫৯৯৭২ || ৭৫৩৯৮ || ৯২২৪০ || ৯৫৮৩০ | |||
|- | |||
|গ) রেমিট্যান্স || ১৬৩২১ || ৩৩৫৭১ || ৪৪০৬৮ || ৭০১০৬ || ৮২০২২ || ৮০১৩১ | |||
|- | |||
|মোট জনশক্তি (সংখ্যায়) || ৪০৩ || ৪৬৭ || ৬০৭ || ৭১৭ || ৮৩০ || ৮৩০ | |||
|- | |||
|ক) কর্মকর্তা || ৬১ || ৬০ || ৬৭ || ৭৪ || ১৫৭ || ২০৬ | |||
|- | |||
|খ) কর্মচারী || ৩৪২ || ৪০৭ || ৫৪০ || ৬৪৩ || ৬৭৩ || ৬২৪ | |||
|- | |||
|বিদেশী প্রতিষঙ্গী ব্যাংক (সংখ্যায়) || - || - || - || - || - || - | |||
|- | |||
|শাখা (সংখ্যায়) || ৫ || ৫ || ৭ || ৮ || ৯ || ১০ | |||
|- | |||
|ক) দেশে || ৫ || ৫ || ৭ || ৮ || ৯ || ১০ | |||
|- | |||
|খ) বিদেশে || - || - || - || - || - || - | |||
|- | |||
|কৃষিখাতে | |||
|- | |||
|ক) ঋণ বিতরণ || - || - || - || - || ১১১৩ || ১৩৪৫ | |||
|- | |||
|খ) আদায় || - || - || - || - || ৫৫০ || ১৫৩০ | |||
|- | |||
|শিল্প খাতে | |||
|- | |||
|ক) ঋণ বিতরণ || ৮০১২ || ৮৯৯১ || ৯৪৬৮ || ১৮২২৫ || ২৫৩২০ || ৩০১৩ | |||
|- | |||
|খ) আদায় || ৮৩০৭ || ৮০৭৮ || ৬৮৬৯ || ১৫৬৩৩ || ২৬৩৫৪ || ৪৩১২ | |||
|- | |||
|খাতভিত্তিক ঋণের স্থিতি | |||
|- | |||
|ক) কৃষি ও মৎস্য || - || - || - || - || ৫৬৩ || ৩৭৮ | |||
|- | |||
|খ) শিল্প || ৩৮৯৯ || ৫৬২৮ || ৭৬১৮ || ৯৮৩৭ || ৮৮০৪ || ৭৫০৪ | |||
|- | |||
|গ) ব্যবসাবাণিজ্য || ১৯৬৫ || ১৯৭০ || ২৮৬০ || ৫৮৭১ || ৪৩৮০ || ৪১০২ | |||
|- | |||
|ঘ) দারিদ্র্য বিমোচন | |||
|} | |||
''উৎস'' ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সরকার, ''ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কার্যাবলী'', ২০০৪-০৫ থেকে ২০০৯-১০। | |||
এইচএসবিসি বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, কর্পোরেট ও ব্যক্তিখাতের সাথে আর্থিক লেনদেন, সেবা ও ব্যবসায় সম্পৃক্ত। ব্যাংকটির ট্রেজারি ও পুঁজি বাজারের ব্যবসায় বিশ্বজোড়া খ্যাতি রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে শুরু করে বড় বড় কর্পোরেশন ও কোম্পানি, আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ এইচএসবিসির মাধ্যমে পুঁজিবাজারে অংশ নিয়ে থাকে। এইচএসবিসি অর্থায়ন, সম্পদ ব্যবস্থাপনা, ইকুইটি সিকিউরিটিজ, বেসরকারি ব্যাংকিং, ট্রাস্টি, প্রাইভেট ইকুইটি, ট্রেজারি ও পুঁজিবাজারে অংশগ্রহণ সম্পর্কে উপদেশক ও তত্ত্বাবধায়কের ভূমিকা পালন করে থাকে। ইসলামী আর্থিক সেবা কার্যক্রম পরিচালনার উদ্দেশ্যে এইচএসবিসি ১৯৯৮ সালে আমানাহ কর্মসূচি হাতে নেয়। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে এই কার্যক্রমের কেন্দ্রীয় দপ্তর ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, সউদি আরব, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, সিঙ্গাপুর এবং ব্রুনাইতে আঞ্চলিক কার্যক্রম রয়েছে। এইচএসবিসি বাংলাদেশ কার্যালয়ে আমানাহ চলতি হিসাব ও আমদানি অর্থায়ন পর্যায়ে কর্মসূচি চালু আছে। | এইচএসবিসি বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, কর্পোরেট ও ব্যক্তিখাতের সাথে আর্থিক লেনদেন, সেবা ও ব্যবসায় সম্পৃক্ত। ব্যাংকটির ট্রেজারি ও পুঁজি বাজারের ব্যবসায় বিশ্বজোড়া খ্যাতি রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে শুরু করে বড় বড় কর্পোরেশন ও কোম্পানি, আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ এইচএসবিসির মাধ্যমে পুঁজিবাজারে অংশ নিয়ে থাকে। এইচএসবিসি অর্থায়ন, সম্পদ ব্যবস্থাপনা, ইকুইটি সিকিউরিটিজ, বেসরকারি ব্যাংকিং, ট্রাস্টি, প্রাইভেট ইকুইটি, ট্রেজারি ও পুঁজিবাজারে অংশগ্রহণ সম্পর্কে উপদেশক ও তত্ত্বাবধায়কের ভূমিকা পালন করে থাকে। ইসলামী আর্থিক সেবা কার্যক্রম পরিচালনার উদ্দেশ্যে এইচএসবিসি ১৯৯৮ সালে আমানাহ কর্মসূচি হাতে নেয়। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে এই কার্যক্রমের কেন্দ্রীয় দপ্তর ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, সউদি আরব, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, সিঙ্গাপুর এবং ব্রুনাইতে আঞ্চলিক কার্যক্রম রয়েছে। এইচএসবিসি বাংলাদেশ কার্যালয়ে আমানাহ চলতি হিসাব ও আমদানি অর্থায়ন পর্যায়ে কর্মসূচি চালু আছে। | ||
এইচএসবিসি বাংলাদেশের স্থানীয় সংস্কৃতি ও মানব সম্পদ উন্নয়নে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে থাকে। সামাজিক দায়বদ্ধতার আওতায় এইচএসবিসি বাংলাদেশের প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষা, অক্ষম ও দুর্দশাগ্রস্থদের সহায়তা, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং বাংলা সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বিকাশ কার্যক্রমে সরাসরি সহায়তা করে থাকে। উদীয়মান তরুণ লেখক ও কবিদের জন্য পুরস্কারসহ তরুণ শিল্পোদ্যোক্তা পুরস্কার প্রবর্তন, প্রথম আলো পত্রিকার সাথে দেশব্যাপী যৌথভাবে বাংলা ভাষা ভিত্তিক প্রতিযোগতা মূলক অনুষ্ঠান, অন্ধ বা দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য চাকুরির ব্যবস্থা ও চক্ষুশিবির পরিচালনা এইচএসবিসি ব্যাংকের উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম। [মোহাম্মদ আবদুল মজিদ] | এইচএসবিসি বাংলাদেশের স্থানীয় সংস্কৃতি ও মানব সম্পদ উন্নয়নে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে থাকে। সামাজিক দায়বদ্ধতার আওতায় এইচএসবিসি বাংলাদেশের প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষা, অক্ষম ও দুর্দশাগ্রস্থদের সহায়তা, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং বাংলা সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বিকাশ কার্যক্রমে সরাসরি সহায়তা করে থাকে। উদীয়মান তরুণ লেখক ও কবিদের জন্য পুরস্কারসহ তরুণ শিল্পোদ্যোক্তা পুরস্কার প্রবর্তন, প্রথম আলো পত্রিকার সাথে দেশব্যাপী যৌথভাবে বাংলা ভাষা ভিত্তিক প্রতিযোগতা মূলক অনুষ্ঠান, অন্ধ বা দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য চাকুরির ব্যবস্থা ও চক্ষুশিবির পরিচালনা এইচএসবিসি ব্যাংকের উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম। [মোহাম্মদ আবদুল মজিদ] |
০৭:১৫, ১ জুলাই ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং কর্পোরেশন লিমিটেড বেসরকারি খাতের বাণিজ্যিক ব্যাংক। বিশ্বের স্থানীয় ব্যাংক হিসেবে সমধিক পরিচিত। হংকং এন্ড সাংহাই ব্যাংকিং কর্পোরেশন লিমিটেড ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম তাদের শাখা খোলে। এইচএসবিসি ব্যাংকের অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট (ওবিইউ) লাইসেন্স থাকায় ব্যাংকটি যোগ্য কাস্টমারকে বিদেশি মুদ্রায়ও অর্থায়ন করতে পারে। এছাড়া ঢাকা, চট্টগ্রাম, আদমজী, মংলা ও কুমিল্লা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে ব্যাংকটির কার্যক্রম রয়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে ব্যাংকটির সর্বমোট ১১ টি শাখা, ২৯ টি এটিএম বুথ এবং ৭ টি কাস্টমার সার্ভিস সেন্টার চালু রয়েছে। ব্যাংকটি পূর্ণাঙ্গ ব্যক্তি ব্যাংকিং সার্ভিস ছাড়াও চলতি ও সঞ্চয়ী হিসাব, ব্যক্তি ঋণ, মেয়াদি জমা, ট্রাভেলস চেক এবং অন্তর্গামী ও বহির্গামী রেমিট্যান্স সেবাও প্রদান করে থাকে। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ব্যাংকটির প্রশাসনিক ও পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে। তাঁকে সহায়তা করেন ২০৬ জন কর্মকর্তা এবং ৬২৪ জন কর্মচারী।
মৌল তথ্য ও পরিসংখ্যান (মিলিয়ন টাকায়)।
বিবরণ | ২০০৪ | ২০০৫ | ২০০৬ | ২০০৭ | ২০০৮ | ২০০৯ |
অনুমোদিত মূলধন | - | - | - | - | - | - |
পরিশোধিত মূলধন | ১১৮৮ | ২৪৮১ | ২৫৮১ | ২৫৬৫ | ২৫৭৮ | ২৫৯০ |
রিজার্ভ | ৭৩৫ | ১৭১৭ | ২৬২৭ | ৪৫৯৯ | ৫৫৪১ | ৬৯৩৮ |
আমানত | ১৯৯১৮ | ২৪৮২৫ | ৩৩৩৫৭ | ৪৪৮৫৯ | ৫১৭৯৩ | ৫৬৫৪৩ |
ক) তলবি আমানত | ৪৪১২ | ৫৯৪০ | ৭৭৪৭ | ১৫৭৬১ | ৯৭৪২ | ১৬১৪১ |
খ) মেয়াদি আমানত | ১৫৫০৬ | ১৮৮৮৫ | ২৫৬১০ | ২৯০৯৮ | ৪২০৫১ | ৪০৪০২ |
ঋণ ও অগ্রিম | ১৫৬১৯ | ২৫৮৯৮ | ৩১৭০৪ | ৪১২০৯ | ৫০১৬৬ | ৪৬৬৮২ |
বিনিয়োগ | ১৫৪৬ | ২৪০৭ | ৩৭৮২ | ২৪৬০ | ১০৩৪২ | ১৮৩৯০ |
মোট পরিসম্পদ | ২৪৭৮৭ | ৩৭২৭৬ | ৪৮৮০৬ | ৭১৩৫৫ | ৮১০৩৯ | ৮৬৭২৪ |
মোট আয় | ১৬২৩ | ২৬৩২ | ৩৬৭৩ | ৪৭৭০ | ৫৮৫৯ | ৬১১৮ |
মোট ব্যয় | ১০৯২ | ৬৯৯ | ৭৮৮ | ৯৮৬ | ১২৭৭ | ১৩৯৭ |
বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবসা পরিচালনা | ৭৪২৮১ | ১২১৫৫৪ | ১৬৪৭৩২ | ২১৯৩৫৩ | ২৬০০০২ | ২৭০৪২১ |
ক) রপ্তানি | ২৭৩৯৮ | ৪১৩৮৫ | ৬০৬৯২ | ৭৩৮৪৯ | ৮৫৭৪০ | ৯৪৪৬০ |
খ) আমদানি | ৩০৫৬২ | ৪৬৫৯৮ | ৫৯৯৭২ | ৭৫৩৯৮ | ৯২২৪০ | ৯৫৮৩০ |
গ) রেমিট্যান্স | ১৬৩২১ | ৩৩৫৭১ | ৪৪০৬৮ | ৭০১০৬ | ৮২০২২ | ৮০১৩১ |
মোট জনশক্তি (সংখ্যায়) | ৪০৩ | ৪৬৭ | ৬০৭ | ৭১৭ | ৮৩০ | ৮৩০ |
ক) কর্মকর্তা | ৬১ | ৬০ | ৬৭ | ৭৪ | ১৫৭ | ২০৬ |
খ) কর্মচারী | ৩৪২ | ৪০৭ | ৫৪০ | ৬৪৩ | ৬৭৩ | ৬২৪ |
বিদেশী প্রতিষঙ্গী ব্যাংক (সংখ্যায়) | - | - | - | - | - | - |
শাখা (সংখ্যায়) | ৫ | ৫ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ |
ক) দেশে | ৫ | ৫ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ |
খ) বিদেশে | - | - | - | - | - | - |
কৃষিখাতে | ||||||
ক) ঋণ বিতরণ | - | - | - | - | ১১১৩ | ১৩৪৫ |
খ) আদায় | - | - | - | - | ৫৫০ | ১৫৩০ |
শিল্প খাতে | ||||||
ক) ঋণ বিতরণ | ৮০১২ | ৮৯৯১ | ৯৪৬৮ | ১৮২২৫ | ২৫৩২০ | ৩০১৩ |
খ) আদায় | ৮৩০৭ | ৮০৭৮ | ৬৮৬৯ | ১৫৬৩৩ | ২৬৩৫৪ | ৪৩১২ |
খাতভিত্তিক ঋণের স্থিতি | ||||||
ক) কৃষি ও মৎস্য | - | - | - | - | ৫৬৩ | ৩৭৮ |
খ) শিল্প | ৩৮৯৯ | ৫৬২৮ | ৭৬১৮ | ৯৮৩৭ | ৮৮০৪ | ৭৫০৪ |
গ) ব্যবসাবাণিজ্য | ১৯৬৫ | ১৯৭০ | ২৮৬০ | ৫৮৭১ | ৪৩৮০ | ৪১০২ |
ঘ) দারিদ্র্য বিমোচন |
উৎস ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সরকার, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কার্যাবলী, ২০০৪-০৫ থেকে ২০০৯-১০।
এইচএসবিসি বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, কর্পোরেট ও ব্যক্তিখাতের সাথে আর্থিক লেনদেন, সেবা ও ব্যবসায় সম্পৃক্ত। ব্যাংকটির ট্রেজারি ও পুঁজি বাজারের ব্যবসায় বিশ্বজোড়া খ্যাতি রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে শুরু করে বড় বড় কর্পোরেশন ও কোম্পানি, আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ এইচএসবিসির মাধ্যমে পুঁজিবাজারে অংশ নিয়ে থাকে। এইচএসবিসি অর্থায়ন, সম্পদ ব্যবস্থাপনা, ইকুইটি সিকিউরিটিজ, বেসরকারি ব্যাংকিং, ট্রাস্টি, প্রাইভেট ইকুইটি, ট্রেজারি ও পুঁজিবাজারে অংশগ্রহণ সম্পর্কে উপদেশক ও তত্ত্বাবধায়কের ভূমিকা পালন করে থাকে। ইসলামী আর্থিক সেবা কার্যক্রম পরিচালনার উদ্দেশ্যে এইচএসবিসি ১৯৯৮ সালে আমানাহ কর্মসূচি হাতে নেয়। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে এই কার্যক্রমের কেন্দ্রীয় দপ্তর ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, সউদি আরব, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, সিঙ্গাপুর এবং ব্রুনাইতে আঞ্চলিক কার্যক্রম রয়েছে। এইচএসবিসি বাংলাদেশ কার্যালয়ে আমানাহ চলতি হিসাব ও আমদানি অর্থায়ন পর্যায়ে কর্মসূচি চালু আছে।
এইচএসবিসি বাংলাদেশের স্থানীয় সংস্কৃতি ও মানব সম্পদ উন্নয়নে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে থাকে। সামাজিক দায়বদ্ধতার আওতায় এইচএসবিসি বাংলাদেশের প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষা, অক্ষম ও দুর্দশাগ্রস্থদের সহায়তা, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং বাংলা সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বিকাশ কার্যক্রমে সরাসরি সহায়তা করে থাকে। উদীয়মান তরুণ লেখক ও কবিদের জন্য পুরস্কারসহ তরুণ শিল্পোদ্যোক্তা পুরস্কার প্রবর্তন, প্রথম আলো পত্রিকার সাথে দেশব্যাপী যৌথভাবে বাংলা ভাষা ভিত্তিক প্রতিযোগতা মূলক অনুষ্ঠান, অন্ধ বা দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য চাকুরির ব্যবস্থা ও চক্ষুশিবির পরিচালনা এইচএসবিসি ব্যাংকের উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম। [মোহাম্মদ আবদুল মজিদ]