বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Category:বাংলাপিডিয়া]] | [[Category:বাংলাপিডিয়া]] | ||
'''বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি''' ১৯৫৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে প্রতিষ্ঠিত এবং বর্তমানে বাংলাদেশের ডায়াবেটিস রোগীদের সামগ্রিক কল্যাণে নিবেদিত সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধিত একটি সামাজিক, অলাভজনক ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। | '''বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি''' ১৯৫৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে প্রতিষ্ঠিত এবং বর্তমানে বাংলাদেশের ডায়াবেটিস রোগীদের সামগ্রিক কল্যাণে নিবেদিত সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধিত একটি সামাজিক, অলাভজনক ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। জাতীয় অধ্যাপক ডা. [[ইব্রাহিম, মোহাম্মদ|মোহাম্মদ ইব্রাহিম]]সহ কয়েকজন বিশিষ্ট সমাজসেবক, প্রবীণ চিকিৎসক, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা ও বিভিন্ন পেশার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উদ্যোগে প্রাথমিকভাবে ১৯৫৭ সালে সেগুনবাগিচায় প্রায় ৩৮০ বর্গফুট জায়গায় ডায়াবেটিক রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার লক্ষ্যে ডায়াবেটিক বর্হিবিভাগ (আউটডোর) খোলা হয়। পরবর্তীকালে এটাই শাহবাগ এলাকায় [[বারডেম|বারডেম]] (বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন ইন ডায়াবেটিস, এন্ডোক্রাইন এন্ড মেটাবলিক ডিজঅর্ডার্স) নামে দেশের গুরুত্বপূর্ণ রোগীদের চিকিৎসা-গবেষণা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। ১৯৮৯ সালে ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিমের স্মৃতির উদ্দেশ্যে শাহবাগস্থ ডায়াবেটিস কমপ্লেক্সের নামকরণ করা হয় ‘ইব্রাহিম মেমোরিয়াল ডায়াবেটিস সেন্টার’। | ||
বারডেমে রেজিস্টার্ড ডায়াবেটিক রোগীদের চিকিৎসা ও নির্ধারিত কয়েকটি পরীক্ষা বিনামূল্যে করা হয়। ‘ক্রস ফিনান্সিং’ পদ্ধতির মাধ্যমে অর্থাৎ অন্যান্য রোগীদের চিকিৎসা ও ডায়াগনস্টিক সেবা দেয়ার মাধ্যমে অর্জিত আয় ডায়াবেটিক রোগীদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা ব্যয় করা হয়। বর্তমানে বারডেমে প্রায় ৩.৫ লক্ষ রেজিস্টার্ড ডায়াবেটিক সমিতি বারডেম ছাড়াও এর আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এর কর্মকান্ড সম্প্রসারণ করেছে। সমিতির অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে- ন্যাশনাল হেলথকেয়ার নেটওয়ার্ক (এনএইচএন), হেলথ কেয়ার ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (এইচসিডিপি) জুরাইনে অবস্থিত রিহ্যাবিলিটেশন এন্ড ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টার (আরভিটিসি) ও ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটাল এন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট। এছাড়াও, সমিতির রয়েছে ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজ নামে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রয়েছে ৫ বছরের এমবিবিএস কোর্স। বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি অধিভুক্ত ফরিদপুর ডায়াবেটিক সমিতিও একটি মেডিকেল কলেজ এবং একটি নার্সিং ট্রেনিং ইনস্টিটিউট স্থাপিত করেছে। | বারডেমে রেজিস্টার্ড ডায়াবেটিক রোগীদের চিকিৎসা ও নির্ধারিত কয়েকটি পরীক্ষা বিনামূল্যে করা হয়। ‘ক্রস ফিনান্সিং’ পদ্ধতির মাধ্যমে অর্থাৎ অন্যান্য রোগীদের চিকিৎসা ও ডায়াগনস্টিক সেবা দেয়ার মাধ্যমে অর্জিত আয় ডায়াবেটিক রোগীদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা ব্যয় করা হয়। বর্তমানে বারডেমে প্রায় ৩.৫ লক্ষ রেজিস্টার্ড ডায়াবেটিক সমিতি বারডেম ছাড়াও এর আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এর কর্মকান্ড সম্প্রসারণ করেছে। সমিতির অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে- ন্যাশনাল হেলথকেয়ার নেটওয়ার্ক (এনএইচএন), হেলথ কেয়ার ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (এইচসিডিপি) জুরাইনে অবস্থিত রিহ্যাবিলিটেশন এন্ড ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টার (আরভিটিসি) ও ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটাল এন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট। এছাড়াও, সমিতির রয়েছে ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজ নামে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রয়েছে ৫ বছরের এমবিবিএস কোর্স। বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি অধিভুক্ত ফরিদপুর ডায়াবেটিক সমিতিও একটি মেডিকেল কলেজ এবং একটি নার্সিং ট্রেনিং ইনস্টিটিউট স্থাপিত করেছে। | ||
৬ নং লাইন: | ৬ নং লাইন: | ||
ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিস ফেডারেশনের (IDF) অন্যতম সদস্য বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি বর্তমানে বারডেম এবং এনএইচএন ও এইচসিডিপি-এর ২৩টি কেন্দ্র ছাড়াও বিভিন্ন জেলায় স্থানীয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত ৫৫টি অধিভুক্ত সমিতির মাধ্যমে ডায়াবেটিস সেবা দিচ্ছে। সমিতির কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য রয়েছে ৩২ সদস্য বিশিষ্ট ন্যাশনাল কাউন্সিল বা জাতীয় পরিষদ। সমিতির আজীবন সদস্য ও অধিভুক্ত সমিতির প্রতিনিধিদের মধ্য থেকে ২৪ (১৮+৬) জন সদস্য সরাসরি নির্বাচিত হন। দেশের বিভিন্ন শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ছাড়াও বিভিন্ন পেশাজীবী ও সমাজসেবকদের মধ্য থেকে ৫ জন সমিতির সভাপতি কর্তৃক সদস্য মনোনীত হন। এছাড়াও সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের (যুগ্ম-সচিব পর্যায়ের নিচে নয়) ৩ জন কর্মকর্তা সরকার কর্তৃক মনোনীত সদস্য হিসেবে ন্যাশনাল কাউন্সিলে থাকেন। | ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিস ফেডারেশনের (IDF) অন্যতম সদস্য বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি বর্তমানে বারডেম এবং এনএইচএন ও এইচসিডিপি-এর ২৩টি কেন্দ্র ছাড়াও বিভিন্ন জেলায় স্থানীয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত ৫৫টি অধিভুক্ত সমিতির মাধ্যমে ডায়াবেটিস সেবা দিচ্ছে। সমিতির কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য রয়েছে ৩২ সদস্য বিশিষ্ট ন্যাশনাল কাউন্সিল বা জাতীয় পরিষদ। সমিতির আজীবন সদস্য ও অধিভুক্ত সমিতির প্রতিনিধিদের মধ্য থেকে ২৪ (১৮+৬) জন সদস্য সরাসরি নির্বাচিত হন। দেশের বিভিন্ন শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ছাড়াও বিভিন্ন পেশাজীবী ও সমাজসেবকদের মধ্য থেকে ৫ জন সমিতির সভাপতি কর্তৃক সদস্য মনোনীত হন। এছাড়াও সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের (যুগ্ম-সচিব পর্যায়ের নিচে নয়) ৩ জন কর্মকর্তা সরকার কর্তৃক মনোনীত সদস্য হিসেবে ন্যাশনাল কাউন্সিলে থাকেন। | ||
এ ছাড়াও সমিতি মিরপুরের দারুস সালামে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব হেলথ সায়েন্সেস’ (বিআইএইচএস) নামে পৃথক একটি ইনস্টিটিউট সম্প্রতি প্রতিষ্ঠা করেছে। বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি ২৮ ফেব্রুয়ারি ডায়াবেটিস সচেতনতা, ৬ সেপ্টেম্বর ডায়াবেটিস সেবা ও ১৪ নভেম্বর বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উদযাপন করে। | এ ছাড়াও সমিতি মিরপুরের দারুস সালামে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব হেলথ সায়েন্সেস’ (বিআইএইচএস) নামে পৃথক একটি ইনস্টিটিউট সম্প্রতি প্রতিষ্ঠা করেছে। বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি ২৮ ফেব্রুয়ারি ডায়াবেটিস সচেতনতা, ৬ সেপ্টেম্বর ডায়াবেটিস সেবা ও ১৪ নভেম্বর বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উদযাপন করে। [বিপিন রায় ও এম.কে.আই কাইয়ুম চৌধুরী] | ||
''আরও দেখুন'' [[বারডেম|বারডেম]]। | |||
''আরও দেখুন'' | |||
[[ | |||
[[en:Diabetic Association of Bangladesh]] | [[en:Diabetic Association of Bangladesh]] |
০৬:৪৮, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি ১৯৫৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে প্রতিষ্ঠিত এবং বর্তমানে বাংলাদেশের ডায়াবেটিস রোগীদের সামগ্রিক কল্যাণে নিবেদিত সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধিত একটি সামাজিক, অলাভজনক ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। জাতীয় অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিমসহ কয়েকজন বিশিষ্ট সমাজসেবক, প্রবীণ চিকিৎসক, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা ও বিভিন্ন পেশার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উদ্যোগে প্রাথমিকভাবে ১৯৫৭ সালে সেগুনবাগিচায় প্রায় ৩৮০ বর্গফুট জায়গায় ডায়াবেটিক রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার লক্ষ্যে ডায়াবেটিক বর্হিবিভাগ (আউটডোর) খোলা হয়। পরবর্তীকালে এটাই শাহবাগ এলাকায় বারডেম (বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন ইন ডায়াবেটিস, এন্ডোক্রাইন এন্ড মেটাবলিক ডিজঅর্ডার্স) নামে দেশের গুরুত্বপূর্ণ রোগীদের চিকিৎসা-গবেষণা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। ১৯৮৯ সালে ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিমের স্মৃতির উদ্দেশ্যে শাহবাগস্থ ডায়াবেটিস কমপ্লেক্সের নামকরণ করা হয় ‘ইব্রাহিম মেমোরিয়াল ডায়াবেটিস সেন্টার’।
বারডেমে রেজিস্টার্ড ডায়াবেটিক রোগীদের চিকিৎসা ও নির্ধারিত কয়েকটি পরীক্ষা বিনামূল্যে করা হয়। ‘ক্রস ফিনান্সিং’ পদ্ধতির মাধ্যমে অর্থাৎ অন্যান্য রোগীদের চিকিৎসা ও ডায়াগনস্টিক সেবা দেয়ার মাধ্যমে অর্জিত আয় ডায়াবেটিক রোগীদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা ব্যয় করা হয়। বর্তমানে বারডেমে প্রায় ৩.৫ লক্ষ রেজিস্টার্ড ডায়াবেটিক সমিতি বারডেম ছাড়াও এর আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এর কর্মকান্ড সম্প্রসারণ করেছে। সমিতির অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে- ন্যাশনাল হেলথকেয়ার নেটওয়ার্ক (এনএইচএন), হেলথ কেয়ার ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (এইচসিডিপি) জুরাইনে অবস্থিত রিহ্যাবিলিটেশন এন্ড ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টার (আরভিটিসি) ও ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটাল এন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট। এছাড়াও, সমিতির রয়েছে ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজ নামে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রয়েছে ৫ বছরের এমবিবিএস কোর্স। বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি অধিভুক্ত ফরিদপুর ডায়াবেটিক সমিতিও একটি মেডিকেল কলেজ এবং একটি নার্সিং ট্রেনিং ইনস্টিটিউট স্থাপিত করেছে।
ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিস ফেডারেশনের (IDF) অন্যতম সদস্য বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি বর্তমানে বারডেম এবং এনএইচএন ও এইচসিডিপি-এর ২৩টি কেন্দ্র ছাড়াও বিভিন্ন জেলায় স্থানীয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত ৫৫টি অধিভুক্ত সমিতির মাধ্যমে ডায়াবেটিস সেবা দিচ্ছে। সমিতির কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য রয়েছে ৩২ সদস্য বিশিষ্ট ন্যাশনাল কাউন্সিল বা জাতীয় পরিষদ। সমিতির আজীবন সদস্য ও অধিভুক্ত সমিতির প্রতিনিধিদের মধ্য থেকে ২৪ (১৮+৬) জন সদস্য সরাসরি নির্বাচিত হন। দেশের বিভিন্ন শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ছাড়াও বিভিন্ন পেশাজীবী ও সমাজসেবকদের মধ্য থেকে ৫ জন সমিতির সভাপতি কর্তৃক সদস্য মনোনীত হন। এছাড়াও সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের (যুগ্ম-সচিব পর্যায়ের নিচে নয়) ৩ জন কর্মকর্তা সরকার কর্তৃক মনোনীত সদস্য হিসেবে ন্যাশনাল কাউন্সিলে থাকেন।
এ ছাড়াও সমিতি মিরপুরের দারুস সালামে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব হেলথ সায়েন্সেস’ (বিআইএইচএস) নামে পৃথক একটি ইনস্টিটিউট সম্প্রতি প্রতিষ্ঠা করেছে। বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি ২৮ ফেব্রুয়ারি ডায়াবেটিস সচেতনতা, ৬ সেপ্টেম্বর ডায়াবেটিস সেবা ও ১৪ নভেম্বর বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উদযাপন করে। [বিপিন রায় ও এম.কে.আই কাইয়ুম চৌধুরী]
আরও দেখুন বারডেম।