বটিয়াঘাটা উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Robot: Automated text replacement (-'''''তথ্যসূত্র''''' +'''তথ্যসূত্র''')) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Category:বাংলাপিডিয়া]] | [[Category:বাংলাপিডিয়া]] | ||
'''বটিয়াঘাটা উপজেলা''' (খুলনা জেলা) | '''বটিয়াঘাটা উপজেলা''' (খুলনা জেলা) আয়তন: ২৪৮.৩২ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২২°৩৪´ থেকে ২২°৪৬´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°২৪´ থেকে ৮৯°৩৭´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে কোতোয়ালী ও সোনাডাঙ্গা থানা এবং ডুমুরিয়া উপজেলা, দক্ষিণে দাকোপ, পাইকগাছা ও রামপাল উপজেলা, পূর্বে রামপাল, ফকিরহাট ও রূপসা উপজেলা, পশ্চিমে ডুমুরিয়া এবং পাইকগাছা উপজেলা। | ||
''জনসংখ্যা'' ১৪০৫৭৪; পুরুষ ৭২৭১৭, মহিলা ৬৭৮৫৭। মুসলিম ৭৯৩০১, হিন্দু ৬০৮৯৪, বৌদ্ধ ২৮৫, খ্রিস্টান ৯ এবং অন্যান্য ৮৫। | ''জনসংখ্যা'' ১৪০৫৭৪; পুরুষ ৭২৭১৭, মহিলা ৬৭৮৫৭। মুসলিম ৭৯৩০১, হিন্দু ৬০৮৯৪, বৌদ্ধ ২৮৫, খ্রিস্টান ৯ এবং অন্যান্য ৮৫। | ||
১২ নং লাইন: | ১২ নং লাইন: | ||
| colspan="9" | উপজেলা | | colspan="9" | উপজেলা | ||
|- | |- | ||
| rowspan="2" | পৌরসভা || rowspan="2" | ইউনিয়ন || rowspan="2" | মৌজা || rowspan="2" | গ্রাম || colspan="2" | জনসংখ্যা || rowspan="2" | ঘনত্ব(প্রতি বর্গ কিমি) || colspan="2" | শিক্ষার হার (%) | | rowspan="2" | পৌরসভা || rowspan="2" | ইউনিয়ন || rowspan="2" | মৌজা || rowspan="2" | গ্রাম || colspan="2" | জনসংখ্যা || rowspan="2" | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) || colspan="2" | শিক্ষার হার (%) | ||
|- | |- | ||
| শহর || গ্রাম || শহর || গ্রাম | | শহর || গ্রাম || শহর || গ্রাম | ||
|- | |- | ||
| - || ৭ || ১৩২ || ১৭৬ || ৭১৯৭ || ১৩৩৩৭৭ || ৫৬৬ || ৬২.৪০ || ৫২.৪৫ | | - || ৭ || ১৩২ || ১৭৬ || ৭১৯৭ || ১৩৩৩৭৭ || ৫৬৬ || ৬২.৪০ || ৫২.৪৫ | ||
|} | |} | ||
{| class="table table-bordered table-hover" | {| class="table table-bordered table-hover" | ||
|- | |- | ||
|পৌরসভা | | colspan="9" | পৌরসভা | ||
|- | |- | ||
| আয়তন (বর্গ কিমি) || মৌজা || লোকসংখ্যা || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) || শিক্ষার হার (%) | | আয়তন (বর্গ কিমি) || মৌজা || লোকসংখ্যা || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) || শিক্ষার হার (%) | ||
|- | |- | ||
| ৮.৩০ || ২ || ৭১৯৭ || ৮৬৭ || ৬২.৪০ | | ৮.৩০ || ২ || ৭১৯৭ || ৮৬৭ || ৬২.৪০ | ||
|} | |} | ||
{| class="table table-bordered table-hover" | {| class="table table-bordered table-hover" | ||
|- | |- | ||
| ইউনিয়ন | | colspan="9" | ইউনিয়ন | ||
|- | |- | ||
| rowspan="2" | ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড || rowspan="2" | আয়তন (একর) || colspan="2" | লোকসংখ্যা || rowspan="2" | শিক্ষার হার (%) | | rowspan="2" | ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড || rowspan="2" | আয়তন (একর) || colspan="2" | লোকসংখ্যা || rowspan="2" | শিক্ষার হার (%) | ||
৪৩ নং লাইন: | ৩৫ নং লাইন: | ||
|- | |- | ||
| আমিরপুর ১১ || ৫১৭৬ || ৭৩০৬ || ৬৭২৯ || ৪৮.৬৭ | | আমিরপুর ১১ || ৫১৭৬ || ৭৩০৬ || ৬৭২৯ || ৪৮.৬৭ | ||
|- | |- | ||
| গঙ্গারামপুর ৫৯ || ৯২৭৩ || ৮৬৬৫ || ৮৪০০ || ৫৬.৮৭ | | গঙ্গারামপুর ৫৯ || ৯২৭৩ || ৮৬৬৫ || ৮৪০০ || ৫৬.৮৭ | ||
|- | |- | ||
| জলমা ৭১ || ১৩০১১ || ১৭৭৫২ || ১৬২৫৯ || ৫৩.৩৫ | | জলমা ৭১ || ১৩০১১ || ১৭৭৫২ || ১৬২৫৯ || ৫৩.৩৫ | ||
|- | |- | ||
| বটিয়াঘাটা ৩৫ || ৮৫৩৪ || ৯৯২৭ || ৯০২৫ || ৬১.৭০ | | বটিয়াঘাটা ৩৫ || ৮৫৩৪ || ৯৯২৭ || ৯০২৫ || ৬১.৭০ | ||
|- | |- | ||
| বালিয়াডাঙ্গা ২৩ || ৭৫৫৫ || ৮১৩৪ || ৭৫৩০ || ৫০.২৫ | | বালিয়াডাঙ্গা ২৩ || ৭৫৫৫ || ৮১৩৪ || ৭৫৩০ || ৫০.২৫ | ||
|- | |- | ||
| ভান্ডারকোট ৪৭ || ৬৯৬০ || ৭৯০৭ || ৭৩৪২ || ৫৬.৭১ | | ভান্ডারকোট ৪৭ || ৬৯৬০ || ৭৯০৭ || ৭৩৪২ || ৫৬.৭১ | ||
|- | |- | ||
| সুরখালী ৮৩ || ১০৯৮৪ || ১৩০২৬ || ১২৫৭২ || ৪৪.৭২ | | সুরখালী ৮৩ || ১০৯৮৪ || ১৩০২৬ || ১২৫৭২ || ৪৪.৭২ | ||
৬৫ নং লাইন: | ৫১ নং লাইন: | ||
''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। | ''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। | ||
[[Image:BatiaghataUpazila.jpg|thumb|right]] | |||
''মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি'' ১৯৭১ সালে উপজেলা সদরের কাছে বাদামতলী গ্রামে পাকবাহিনী ৩ জন গ্রামবাসিকে হত্যা করে। পাকবাহিনী জলসা হাইস্কুলে অবস্থিত মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্প আক্রমণ করলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে স্থানীয় এক ব্যক্তি নিহত হন। ২৯ নভেম্বর বারোআড়িয়া বাজারে মুক্তিযোদ্ধা এবং রাজাকারদের সম্মুখ লড়াইয়ে ২ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ১০ ডিসেম্বর [[আমিন, বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ রুহুল|বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন]] মংলা বন্দর থেকে খুলনা আসার পথে পাকবাহিনীর বিমান হামলায় উপজেলার মাথাভাঙ্গা গ্রামের নিকটে কাজিবাছা নদীতে শহীদ হন। | ''মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি'' ১৯৭১ সালে উপজেলা সদরের কাছে বাদামতলী গ্রামে পাকবাহিনী ৩ জন গ্রামবাসিকে হত্যা করে। পাকবাহিনী জলসা হাইস্কুলে অবস্থিত মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্প আক্রমণ করলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে স্থানীয় এক ব্যক্তি নিহত হন। ২৯ নভেম্বর বারোআড়িয়া বাজারে মুক্তিযোদ্ধা এবং রাজাকারদের সম্মুখ লড়াইয়ে ২ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ১০ ডিসেম্বর [[আমিন, বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ রুহুল|বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন]] মংলা বন্দর থেকে খুলনা আসার পথে পাকবাহিনীর বিমান হামলায় উপজেলার মাথাভাঙ্গা গ্রামের নিকটে কাজিবাছা নদীতে শহীদ হন। | ||
৭০ নং লাইন: | ৫৭ নং লাইন: | ||
''ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান'' মসজিদ ১২৩, মন্দির ৮৪, গির্জা ১, প্যাগাডো ১। | ''ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান'' মসজিদ ১২৩, মন্দির ৮৪, গির্জা ১, প্যাগাডো ১। | ||
''শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান'' গড় হার ৫৩.১৮%; পুরুষ ৫৮.৮৪%, মহিলা ৪৭.২১%। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৯১), বটিয়াঘাটা কলেজ (১৯৭৩), শহীদ আবুল কাসেম কলেজ (১৯৯৫), বয়ারভাঙ্গা বিশ্বম্বর মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৪৫), চক্রাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৫৭), বটিয়াঘাটা হেড কোয়ার্টার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯৭০), ফুলবাড়ি সিনিয়র মাদ্রাসা (১৯৩৭)। | ''শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান'' গড় হার ৫৩.১৮%; পুরুষ ৫৮.৮৪%, মহিলা ৪৭.২১%। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৯১), বটিয়াঘাটা কলেজ (১৯৭৩), শহীদ আবুল কাসেম কলেজ (১৯৯৫), বয়ারভাঙ্গা বিশ্বম্বর মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৪৫), চক্রাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৫৭), বটিয়াঘাটা হেড কোয়ার্টার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯৭০), ফুলবাড়ি সিনিয়র মাদ্রাসা (১৯৩৭)। | ||
৮৭ নং লাইন: | ৭২ নং লাইন: | ||
''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি'' পাট। | ''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি'' পাট। | ||
''প্রধান ফল- | ''প্রধান ফল-ফলাদি'' আম, নারিকেল, সুপারি। | ||
''মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার'' মৎস্য ১০০০ (চিংড়ি ঘেরসহ), গবাদিপশু ১৮৫, হাঁস-মুরগি ৮৫। | ''মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার'' মৎস্য ১০০০ (চিংড়ি ঘেরসহ), গবাদিপশু ১৮৫, হাঁস-মুরগি ৮৫। | ||
৯৭ নং লাইন: | ৮২ নং লাইন: | ||
''শিল্প ও কলকারখানা'' ধানকল, বরফকল, করাতকল, ইটভাটা, বিড়ি ফ্যাক্টরি, জুতা তৈরির কারখানা। | ''শিল্প ও কলকারখানা'' ধানকল, বরফকল, করাতকল, ইটভাটা, বিড়ি ফ্যাক্টরি, জুতা তৈরির কারখানা। | ||
''কুটিরশিল্প'' স্বর্ণশিল্প, তাঁতশিল্প, লৌহশিল্প, মৃৎশিল্প, বাঁশ ও বেতের কাজ। | ''কুটিরশিল্প'' স্বর্ণশিল্প, তাঁতশিল্প, লৌহশিল্প, মৃৎশিল্প, বাঁশ ও বেতের কাজ। | ||
''হাটবাজার ও মেলা'' হাটবাজার ৫০। হাটবাড়ি হাট, বারোআড়িয়া বাজার, কুটির হাট, কৈয়া বাজার, বাইনতলা বাজার, জয়পুর বাজার, সাদাল বাজার, কাতিয়ানাংলা বাজার উল্লেখযোগ্য। | ''হাটবাজার ও মেলা'' হাটবাজার ৫০। হাটবাড়ি হাট, বারোআড়িয়া বাজার, কুটির হাট, কৈয়া বাজার, বাইনতলা বাজার, জয়পুর বাজার, সাদাল বাজার, কাতিয়ানাংলা বাজার উল্লেখযোগ্য। | ||
''প্রধান রপ্তানিদ্রব্য'' | ''প্রধান রপ্তানিদ্রব্য'' গলদা ও বাগদা চিংড়ি। | ||
''বিদ্যুৎ ব্যবহার'' এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৯.৮৩% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। | ''বিদ্যুৎ ব্যবহার'' এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৯.৮৩% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। | ||
''পানীয়জলের উৎস'' নলকূপ ৯০.৭%, পুকুর ৩.৪৮%, ট্যাপ ৪.০৯% এবং অন্যান্য ১.৭৩%। এ উপজেলার অগভীর নলকূপের পানিতে আর্সেনিকের উপস্থিতি প্রমাণিত হয়েছে। | ''পানীয়জলের উৎস'' নলকূপ ৯০.৭%, পুকুর ৩.৪৮%, ট্যাপ ৪.০৯% এবং অন্যান্য ১.৭৩%। এ উপজেলার অগভীর নলকূপের পানিতে আর্সেনিকের উপস্থিতি প্রমাণিত হয়েছে। | ||
১১৩ নং লাইন: | ৯৮ নং লাইন: | ||
''এনজিও'' ব্র্যাক, সিএসএস, ওয়ার্ল্ড ভিশন। [শাহ সিদ্দিক] | ''এনজিও'' ব্র্যাক, সিএসএস, ওয়ার্ল্ড ভিশন। [শাহ সিদ্দিক] | ||
'''তথ্যসূত্র''' | '''তথ্যসূত্র''' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; বটিয়াঘাটা উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭। | ||
[[en:Batiaghata Upazila]] | [[en:Batiaghata Upazila]] |
০৯:২২, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
বটিয়াঘাটা উপজেলা (খুলনা জেলা) আয়তন: ২৪৮.৩২ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২২°৩৪´ থেকে ২২°৪৬´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°২৪´ থেকে ৮৯°৩৭´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে কোতোয়ালী ও সোনাডাঙ্গা থানা এবং ডুমুরিয়া উপজেলা, দক্ষিণে দাকোপ, পাইকগাছা ও রামপাল উপজেলা, পূর্বে রামপাল, ফকিরহাট ও রূপসা উপজেলা, পশ্চিমে ডুমুরিয়া এবং পাইকগাছা উপজেলা।
জনসংখ্যা ১৪০৫৭৪; পুরুষ ৭২৭১৭, মহিলা ৬৭৮৫৭। মুসলিম ৭৯৩০১, হিন্দু ৬০৮৯৪, বৌদ্ধ ২৮৫, খ্রিস্টান ৯ এবং অন্যান্য ৮৫।
জলাশয় প্রধান নদী: কাজিবাছা, পশুর, রূপসা, মোংলা, ভদ্রা, সালটা।
প্রশাসন বটিয়াঘাটা থানা গঠিত হয় ১৮৯২ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৪ সালে।
উপজেলা | ||||||||
পৌরসভা | ইউনিয়ন | মৌজা | গ্রাম | জনসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | ||
শহর | গ্রাম | শহর | গ্রাম | |||||
- | ৭ | ১৩২ | ১৭৬ | ৭১৯৭ | ১৩৩৩৭৭ | ৫৬৬ | ৬২.৪০ | ৫২.৪৫ |
পৌরসভা | ||||||||
আয়তন (বর্গ কিমি) | মৌজা | লোকসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | ||||
৮.৩০ | ২ | ৭১৯৭ | ৮৬৭ | ৬২.৪০ |
ইউনিয়ন | ||||||||
ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড | আয়তন (একর) | লোকসংখ্যা | শিক্ষার হার (%) | |||||
পুরুষ | মহিলা | |||||||
আমিরপুর ১১ | ৫১৭৬ | ৭৩০৬ | ৬৭২৯ | ৪৮.৬৭ | ||||
গঙ্গারামপুর ৫৯ | ৯২৭৩ | ৮৬৬৫ | ৮৪০০ | ৫৬.৮৭ | ||||
জলমা ৭১ | ১৩০১১ | ১৭৭৫২ | ১৬২৫৯ | ৫৩.৩৫ | ||||
বটিয়াঘাটা ৩৫ | ৮৫৩৪ | ৯৯২৭ | ৯০২৫ | ৬১.৭০ | ||||
বালিয়াডাঙ্গা ২৩ | ৭৫৫৫ | ৮১৩৪ | ৭৫৩০ | ৫০.২৫ | ||||
ভান্ডারকোট ৪৭ | ৬৯৬০ | ৭৯০৭ | ৭৩৪২ | ৫৬.৭১ | ||||
সুরখালী ৮৩ | ১০৯৮৪ | ১৩০২৬ | ১২৫৭২ | ৪৪.৭২ |
সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি ১৯৭১ সালে উপজেলা সদরের কাছে বাদামতলী গ্রামে পাকবাহিনী ৩ জন গ্রামবাসিকে হত্যা করে। পাকবাহিনী জলসা হাইস্কুলে অবস্থিত মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্প আক্রমণ করলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে স্থানীয় এক ব্যক্তি নিহত হন। ২৯ নভেম্বর বারোআড়িয়া বাজারে মুক্তিযোদ্ধা এবং রাজাকারদের সম্মুখ লড়াইয়ে ২ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ১০ ডিসেম্বর বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন মংলা বন্দর থেকে খুলনা আসার পথে পাকবাহিনীর বিমান হামলায় উপজেলার মাথাভাঙ্গা গ্রামের নিকটে কাজিবাছা নদীতে শহীদ হন।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন বধ্যভূমি ১ (গল্লামারী); স্মৃতিসৌধ ১ (৭১ এর স্মৃতিসৌধ)।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ১২৩, মন্দির ৮৪, গির্জা ১, প্যাগাডো ১।
শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৫৩.১৮%; পুরুষ ৫৮.৮৪%, মহিলা ৪৭.২১%। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৯১), বটিয়াঘাটা কলেজ (১৯৭৩), শহীদ আবুল কাসেম কলেজ (১৯৯৫), বয়ারভাঙ্গা বিশ্বম্বর মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৪৫), চক্রাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৫৭), বটিয়াঘাটা হেড কোয়ার্টার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯৭০), ফুলবাড়ি সিনিয়র মাদ্রাসা (১৯৩৭)।
পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী মাসিক: উপজেলা দর্পণ (অবলুপ্ত), অনিয়মিত: রশ্মি, অন্বেষা।
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান লাইব্রেরি ২, ক্লাব ২০, মহিলা সংগঠন ১।
জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৫৭.৪৫%, অকৃষি শ্রমিক ৮.৭২%, ব্যবসা ১৩.২১%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ৪.৬৩%, চাকরি ৬.৪৫%, নির্মাণ ১.৬৯%, ধর্মীয় সেবা ০.২২%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.১৬% এবং অন্যান্য ৭.৪৭%।
কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৫২.৪৬%, ভূমিহীন ৪৭.৫৪%। শহরে ৬২.১৯% এবং গ্রামে ৫১.৯২% পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে।
প্রধান কৃষি ফসল ধান, তৈলবীজ, শাকসবজি।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি পাট।
প্রধান ফল-ফলাদি আম, নারিকেল, সুপারি।
মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার মৎস্য ১০০০ (চিংড়ি ঘেরসহ), গবাদিপশু ১৮৫, হাঁস-মুরগি ৮৫।
যোগাযোগ বিশেষত্ব পাকারাস্তা ১৯৯ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ২৯৬ কিমি, কাঁচারাস্তা ২৯৬ কিমি; নৌপথ ১৮৯ নটিক্যাল মাইল।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি, ঘোড়া ও গরুর গাড়ি।
শিল্প ও কলকারখানা ধানকল, বরফকল, করাতকল, ইটভাটা, বিড়ি ফ্যাক্টরি, জুতা তৈরির কারখানা।
কুটিরশিল্প স্বর্ণশিল্প, তাঁতশিল্প, লৌহশিল্প, মৃৎশিল্প, বাঁশ ও বেতের কাজ।
হাটবাজার ও মেলা হাটবাজার ৫০। হাটবাড়ি হাট, বারোআড়িয়া বাজার, কুটির হাট, কৈয়া বাজার, বাইনতলা বাজার, জয়পুর বাজার, সাদাল বাজার, কাতিয়ানাংলা বাজার উল্লেখযোগ্য।
প্রধান রপ্তানিদ্রব্য গলদা ও বাগদা চিংড়ি।
বিদ্যুৎ ব্যবহার এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৯.৮৩% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৯০.৭%, পুকুর ৩.৪৮%, ট্যাপ ৪.০৯% এবং অন্যান্য ১.৭৩%। এ উপজেলার অগভীর নলকূপের পানিতে আর্সেনিকের উপস্থিতি প্রমাণিত হয়েছে।
স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ উপজেলার ৫২.৩৭% (শহরে ৮৫.৭৩% এবং গ্রামে ৫০.৫২%) পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৪২.৩৩% (শহরে ১০.১৫% এবং গ্রামে ৪৪.১২%) পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ৫.২৯% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র হাসপাতাল ১, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ২, পরিবার পরিকল্পনা ক্লিনিক ৬, পশু হাসপাতাল ১।
এনজিও ব্র্যাক, সিএসএস, ওয়ার্ল্ড ভিশন। [শাহ সিদ্দিক]
তথ্যসূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; বটিয়াঘাটা উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।