নাজমুদ্দৌলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:Banglapedia]]
[[Category:Banglapedia]]
'''নাজমুদ্দৌলা '''''' '''নবাব [[মীরজাফর আলী খান|মীরজাফর]] এর দ্বিতীয় পুত্র এবং মীর ফালুরি নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি ছিলেন মুন্নী বেগমের গর্ভজাত। মীরজাফর অসুস্থতার সময়ে মীরনের পুত্র মীর সাইদুরের পরিবর্তে তাকে বাংলার মসনদের জন্য মনোনীত করেন। ইংরেজগণ তাঁর এ মনোনয়ন গ্রহণ করেন এবং ১৭৬৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি মীরজাফরের মৃত্যুর পর তাঁর নাবালক পুত্র মীর ফালুরিকে নাজমুদ্দৌলা উপাধি প্রদান করে মুর্শিদাবাদের মসনদে বসান। নাবালক নওয়াবের পক্ষে নিয়াবত পরিচালনার জন্য নায়েব- দীউয়ান সৈয়দ মুহম্মদ রেজা খানকে [[নায়েব নাজিম|নায়েব নাজিম]] নিযুক্ত করা হয়।  
'''নাজমুদ্দৌলা''' নবাব [[মীরজাফর আলী খান|মীরজাফর]] এর দ্বিতীয় পুত্র এবং মীর ফালুরি নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি ছিলেন মুন্নী বেগমের গর্ভজাত। মীরজাফর অসুস্থতার সময়ে মীরনের পুত্র মীর সাইদুরের পরিবর্তে তাকে বাংলার মসনদের জন্য মনোনীত করেন। ইংরেজগণ তাঁর এ মনোনয়ন গ্রহণ করেন এবং ১৭৬৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি মীরজাফরের মৃত্যুর পর তাঁর নাবালক পুত্র মীর ফালুরিকে নাজমুদ্দৌলা উপাধি প্রদান করে মুর্শিদাবাদের মসনদে বসান। নাবালক নওয়াবের পক্ষে নিয়াবত পরিচালনার জন্য নায়েব- দীউয়ান সৈয়দ মুহম্মদ রেজা খানকে [[নায়েব নাজিম|নায়েব নাজিম]] নিযুক্ত করা হয়।  


দরবার এর প্রভাবশালী সদস্য মহারাজা [[নন্দকুমার, মহারাজা|নন্দকুমার]] এবং রেজা খানের মধ্যকার সম্পর্ক ছিল বৈরী। নন্দকুমার সব সময়ই নাবালক নওয়াবকে নায়েব নাজিম রেজা খানের বিপক্ষে প্ররোচিত করতেন। এ কারণে রেজা খানের সাথে তাঁর কখনোই সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে নি। কিন্তু নাবালক নওয়াবের এ বৈরিতা নায়েব নাজিমের প্রাধান্যের উপর কোন প্রভাবই ফেলতে পারে নি। কারণ, তখন নাবালক নওয়াব বাংলার কার্যত প্রকৃত শাসক [[ফোর্ট উইলিয়ম|ফোর্ট উইলিয়ম]] এর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অকুণ্ঠ সমর্থন লাভ করছিলেন। নাজমুদ্দৌলা ১৭৬৬ সালের ৮ মে আকস্মিকভাবে মারা যান। অনেকের সন্দেহ যে, নাবালক নওয়াবের মৃত্যু হয়তো স্বাভাবিক ছিল না। তাঁর মৃত্যুর পর ভ্রাতা সাইফুদ্দৌলা (নাজাবত আলী খান) নাবালক নওয়াবের স্থলাভিষিক্ত হন। [সিরাজুল ইসলাম]
দরবার এর প্রভাবশালী সদস্য মহারাজা [[নন্দকুমার, মহারাজা|নন্দকুমার]] এবং রেজা খানের মধ্যকার সম্পর্ক ছিল বৈরী। নন্দকুমার সব সময়ই নাবালক নওয়াবকে নায়েব নাজিম রেজা খানের বিপক্ষে প্ররোচিত করতেন। এ কারণে রেজা খানের সাথে তাঁর কখনোই সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে নি। কিন্তু নাবালক নওয়াবের এ বৈরিতা নায়েব নাজিমের প্রাধান্যের উপর কোন প্রভাবই ফেলতে পারে নি। কারণ, তখন নাবালক নওয়াব বাংলার কার্যত প্রকৃত শাসক [[ফোর্ট উইলিয়ম|ফোর্ট উইলিয়ম]] এর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অকুণ্ঠ সমর্থন লাভ করছিলেন। নাজমুদ্দৌলা ১৭৬৬ সালের ৮ মে আকস্মিকভাবে মারা যান। অনেকের সন্দেহ যে, নাবালক নওয়াবের মৃত্যু হয়তো স্বাভাবিক ছিল না। তাঁর মৃত্যুর পর ভ্রাতা সাইফুদ্দৌলা (নাজাবত আলী খান) নাবালক নওয়াবের স্থলাভিষিক্ত হন। [সিরাজুল ইসলাম]
[[en:Nazmuddaula]]
[[en:Nazmuddaula]]


[[en:Nazmuddaula]]
[[en:Nazmuddaula]]

১০:০২, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

নাজমুদ্দৌলা নবাব মীরজাফর এর দ্বিতীয় পুত্র এবং মীর ফালুরি নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি ছিলেন মুন্নী বেগমের গর্ভজাত। মীরজাফর অসুস্থতার সময়ে মীরনের পুত্র মীর সাইদুরের পরিবর্তে তাকে বাংলার মসনদের জন্য মনোনীত করেন। ইংরেজগণ তাঁর এ মনোনয়ন গ্রহণ করেন এবং ১৭৬৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি মীরজাফরের মৃত্যুর পর তাঁর নাবালক পুত্র মীর ফালুরিকে নাজমুদ্দৌলা উপাধি প্রদান করে মুর্শিদাবাদের মসনদে বসান। নাবালক নওয়াবের পক্ষে নিয়াবত পরিচালনার জন্য নায়েব- দীউয়ান সৈয়দ মুহম্মদ রেজা খানকে নায়েব নাজিম নিযুক্ত করা হয়।

দরবার এর প্রভাবশালী সদস্য মহারাজা নন্দকুমার এবং রেজা খানের মধ্যকার সম্পর্ক ছিল বৈরী। নন্দকুমার সব সময়ই নাবালক নওয়াবকে নায়েব নাজিম রেজা খানের বিপক্ষে প্ররোচিত করতেন। এ কারণে রেজা খানের সাথে তাঁর কখনোই সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে নি। কিন্তু নাবালক নওয়াবের এ বৈরিতা নায়েব নাজিমের প্রাধান্যের উপর কোন প্রভাবই ফেলতে পারে নি। কারণ, তখন নাবালক নওয়াব বাংলার কার্যত প্রকৃত শাসক ফোর্ট উইলিয়ম এর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অকুণ্ঠ সমর্থন লাভ করছিলেন। নাজমুদ্দৌলা ১৭৬৬ সালের ৮ মে আকস্মিকভাবে মারা যান। অনেকের সন্দেহ যে, নাবালক নওয়াবের মৃত্যু হয়তো স্বাভাবিক ছিল না। তাঁর মৃত্যুর পর ভ্রাতা সাইফুদ্দৌলা (নাজাবত আলী খান) নাবালক নওয়াবের স্থলাভিষিক্ত হন। [সিরাজুল ইসলাম]