দেবী, হেমন্তকুমারী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:Banglapedia]]
[[Category:Banglapedia]]
'''দেবী'''''', ''''''হেমন্তকুমারী '''(১৮৬৯-১৯৪২)  রাজশাহী জেলার পুঠিয়া রাজপরিবারের পাঁচআনি জমিদারির শেষ মহারানী। বর্তমান মানিকগঞ্জ জেলার ধুল্লা গ্রামের এক মধ্যবিত্ত পরিবারে তাঁর জন্ম। পুঠিয়া রাজপরিবারের পাঁচআনি জমিদার যতীন্দ্র নারায়ণের সঙ্গে ১৮৮০ সালে তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের তিন বছর পর মাত্র চৌদ্দ বছর বয়সে তিনি বিধবা হন।  
'''দেবী, হেমন্তকুমারী''' (১৮৬৯-১৯৪২)  রাজশাহী জেলার পুঠিয়া রাজপরিবারের পাঁচআনি জমিদারির শেষ মহারানী। বর্তমান মানিকগঞ্জ জেলার ধুল্লা গ্রামের এক মধ্যবিত্ত পরিবারে তাঁর জন্ম। পুঠিয়া রাজপরিবারের পাঁচআনি জমিদার যতীন্দ্র নারায়ণের সঙ্গে ১৮৮০ সালে তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের তিন বছর পর মাত্র চৌদ্দ বছর বয়সে তিনি বিধবা হন।  


১৮৮৭ সালে তিনি নিজেই জমিদারি পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং অল্প সময়ের মধ্যে একজন যোগ্য প্রশাসক হিসেবে স্বীয় দক্ষতার প্রমাণ দেন। তাঁর ব্যবস্থাপনায় জমিদারির আয় দ্রুত বৃদ্ধি পায়। তিনি জ্ঞানচর্চা ও কল্যাণমূলক কাজের পৃষ্ঠপোষকরূপে প্রভূত খ্যাতি অর্জন করেন। তাঁর স্মরণীয় অবদান হিসেবে রাজশাহী শহরে অবস্থিত মহারানী হেমন্তকুমারী বোর্ডিং, মহারানী হেমন্তকুমারী সংস্কৃত কলেজ এবং মহারানী হেমন্তকুমারী ওয়াটার ওয়ার্কস-এর কথা উল্লেখ করা যায়। তাঁর জনহিতকর কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ সরকার ১৯০১ সালে তাঁকে রানী এবং ১৯২৭ সালে মহারানী উপাধিতে ভূষিত করেন।  [কাজী মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান]
১৮৮৭ সালে তিনি নিজেই জমিদারি পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং অল্প সময়ের মধ্যে একজন যোগ্য প্রশাসক হিসেবে স্বীয় দক্ষতার প্রমাণ দেন। তাঁর ব্যবস্থাপনায় জমিদারির আয় দ্রুত বৃদ্ধি পায়। তিনি জ্ঞানচর্চা ও কল্যাণমূলক কাজের পৃষ্ঠপোষকরূপে প্রভূত খ্যাতি অর্জন করেন। তাঁর স্মরণীয় অবদান হিসেবে রাজশাহী শহরে অবস্থিত মহারানী হেমন্তকুমারী বোর্ডিং, মহারানী হেমন্তকুমারী সংস্কৃত কলেজ এবং মহারানী হেমন্তকুমারী ওয়াটার ওয়ার্কস-এর কথা উল্লেখ করা যায়। তাঁর জনহিতকর কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ সরকার ১৯০১ সালে তাঁকে রানী এবং ১৯২৭ সালে মহারানী উপাধিতে ভূষিত করেন।  [কাজী মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান]

১৪:৫৪, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

দেবী, হেমন্তকুমারী (১৮৬৯-১৯৪২)  রাজশাহী জেলার পুঠিয়া রাজপরিবারের পাঁচআনি জমিদারির শেষ মহারানী। বর্তমান মানিকগঞ্জ জেলার ধুল্লা গ্রামের এক মধ্যবিত্ত পরিবারে তাঁর জন্ম। পুঠিয়া রাজপরিবারের পাঁচআনি জমিদার যতীন্দ্র নারায়ণের সঙ্গে ১৮৮০ সালে তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের তিন বছর পর মাত্র চৌদ্দ বছর বয়সে তিনি বিধবা হন।

১৮৮৭ সালে তিনি নিজেই জমিদারি পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং অল্প সময়ের মধ্যে একজন যোগ্য প্রশাসক হিসেবে স্বীয় দক্ষতার প্রমাণ দেন। তাঁর ব্যবস্থাপনায় জমিদারির আয় দ্রুত বৃদ্ধি পায়। তিনি জ্ঞানচর্চা ও কল্যাণমূলক কাজের পৃষ্ঠপোষকরূপে প্রভূত খ্যাতি অর্জন করেন। তাঁর স্মরণীয় অবদান হিসেবে রাজশাহী শহরে অবস্থিত মহারানী হেমন্তকুমারী বোর্ডিং, মহারানী হেমন্তকুমারী সংস্কৃত কলেজ এবং মহারানী হেমন্তকুমারী ওয়াটার ওয়ার্কস-এর কথা উল্লেখ করা যায়। তাঁর জনহিতকর কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ সরকার ১৯০১ সালে তাঁকে রানী এবং ১৯২৭ সালে মহারানী উপাধিতে ভূষিত করেন।  [কাজী মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান]