ঢাকা ঈদগাহ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (fix: image tag) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
২ নং লাইন: | ২ নং লাইন: | ||
'''ঢাকা ঈদগাহ''' ঈদের নামাজ আদায় করার ঐতিহাসিক স্থান। ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার সাত মসজিদ রোডে অবস্থিত। ঈদগাহের দেয়ালের [[শিলালিপি|শিলালিপি]] অনুযায়ী সুবাহদার শাহ সুজার দীউয়ান মীর আবুল কাসিম কর্তৃক ১৬৪০ খ্রিস্টাব্দে (১০৫০ হি.) এটি নির্মিত। | '''ঢাকা ঈদগাহ''' ঈদের নামাজ আদায় করার ঐতিহাসিক স্থান। ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার সাত মসজিদ রোডে অবস্থিত। ঈদগাহের দেয়ালের [[শিলালিপি|শিলালিপি]] অনুযায়ী সুবাহদার শাহ সুজার দীউয়ান মীর আবুল কাসিম কর্তৃক ১৬৪০ খ্রিস্টাব্দে (১০৫০ হি.) এটি নির্মিত। | ||
[[Image:DhakaEidgah.jpg|thumb|400px|right|ঢাকা ঈদগাহ, ধানমন্ডি]] | |||
ঈদগাহটি আশপাশের ভূমি থেকে প্রায় ১.৮৩ মিটার (৬ ফুট) উঁচু একটি উন্মুক্ত চত্বর। আদি ঈদগাহ চত্বরের পরিমাপ ছিল ৭৪.৬৮ দ্ধ ৪১.৭৬ মিটার। বর্তমানে এখানে রয়েছে প্রায়-আয়তাকার একটি খোলা চত্বর। শুধু পশ্চিম দিকের আদি দেওয়ালটি এখনও টিকে আছে। প্রথম অবস্থায় ঈদগাহের বেষ্টন-প্রাচীরের উচ্চতা ছিল ৪.৫৭ মিটার (১৫ ফুট)। ঈদগাহের পশ্চিম দেয়ালে কেন্দ্রীয় মিহরাব এবং এর দু’পাশে তিনটি করে অপেক্ষাকৃত ছোট মিহরাব আছে। অর্ধ-অষ্টভুজাকৃতির কেন্দ্রীয় মিহরাবে রয়েছে চতুঃকেন্দ্রিক সামান্য ঢালু খিলান। | ঈদগাহটি আশপাশের ভূমি থেকে প্রায় ১.৮৩ মিটার (৬ ফুট) উঁচু একটি উন্মুক্ত চত্বর। আদি ঈদগাহ চত্বরের পরিমাপ ছিল ৭৪.৬৮ দ্ধ ৪১.৭৬ মিটার। বর্তমানে এখানে রয়েছে প্রায়-আয়তাকার একটি খোলা চত্বর। শুধু পশ্চিম দিকের আদি দেওয়ালটি এখনও টিকে আছে। প্রথম অবস্থায় ঈদগাহের বেষ্টন-প্রাচীরের উচ্চতা ছিল ৪.৫৭ মিটার (১৫ ফুট)। ঈদগাহের পশ্চিম দেয়ালে কেন্দ্রীয় মিহরাব এবং এর দু’পাশে তিনটি করে অপেক্ষাকৃত ছোট মিহরাব আছে। অর্ধ-অষ্টভুজাকৃতির কেন্দ্রীয় মিহরাবে রয়েছে চতুঃকেন্দ্রিক সামান্য ঢালু খিলান। | ||
কেন্দ্রীয় মিহরাবটি ৩.০৫ মিটার উঁচু এবং এর প্রায় ২.৭৪ মিটার উচ্চতা থেকে ক্রান্তিস্তর শুরু হয়েছে। মিহরাবটি ২.২৬ মিটার চওড়া এবং অর্ধ-অষ্টভুজাকৃতি অংশের ১.৩৫ মিটার দেওয়ালের অভ্যন্তরে প্রবিষ্ট। ফলে দেয়ালের প্রশস্ততা মধ্যভাগে স্থূল। পেছন বা রাস্তার দিক থেকে লক্ষ্য করলে এর প্রশস্ততা অনুধাবন করা যায়। সবগুলি মিহরাব দেয়ালে আয়তাকার ফ্রেমের মধ্যে সংস্থাপিত। পার্শ্বের মিহরাবের উচ্চতা ২.৬৭ মিটার এবং প্রশস্ততা ১.৩৭ মিটার। কেন্দ্রীয় মিহরাবের উভয় পার্শ্বে আয়তাকার ফ্রেমের মধ্যে রয়েছে দু’টি নকশা করা বহু খাঁজবিশিষ্ট প্যানেল। কেন্দ্রীয় মিহরাবের উত্তর পার্শ্বে রয়েছে দেয়াল সংলগ্ন তিন ধাপবিশিষ্ট মিম্বর। সম্ভবত এ মিম্বরটি পরবর্তী সময়ে নির্মিত হয়েছিল। ঈদগাহের চার কোণের চারটি অষ্টভুজাকৃতির বুরুজের মধ্যে উত্তর-পশ্চিম কোণের বুরুজটি আদি বলে মনে হয়। ঈদগাহ প্রাচীর ইটের উপরে প্লাস্টার। প্রাচীরের উপরে ‘প্যারাপেট’ অনুভূমিক এবং এতে রয়েছে ‘মারলোন’ নকশা। | কেন্দ্রীয় মিহরাবটি ৩.০৫ মিটার উঁচু এবং এর প্রায় ২.৭৪ মিটার উচ্চতা থেকে ক্রান্তিস্তর শুরু হয়েছে। মিহরাবটি ২.২৬ মিটার চওড়া এবং অর্ধ-অষ্টভুজাকৃতি অংশের ১.৩৫ মিটার দেওয়ালের অভ্যন্তরে প্রবিষ্ট। ফলে দেয়ালের প্রশস্ততা মধ্যভাগে স্থূল। পেছন বা রাস্তার দিক থেকে লক্ষ্য করলে এর প্রশস্ততা অনুধাবন করা যায়। সবগুলি মিহরাব দেয়ালে আয়তাকার ফ্রেমের মধ্যে সংস্থাপিত। পার্শ্বের মিহরাবের উচ্চতা ২.৬৭ মিটার এবং প্রশস্ততা ১.৩৭ মিটার। কেন্দ্রীয় মিহরাবের উভয় পার্শ্বে আয়তাকার ফ্রেমের মধ্যে রয়েছে দু’টি নকশা করা বহু খাঁজবিশিষ্ট প্যানেল। কেন্দ্রীয় মিহরাবের উত্তর পার্শ্বে রয়েছে দেয়াল সংলগ্ন তিন ধাপবিশিষ্ট মিম্বর। সম্ভবত এ মিম্বরটি পরবর্তী সময়ে নির্মিত হয়েছিল। ঈদগাহের চার কোণের চারটি অষ্টভুজাকৃতির বুরুজের মধ্যে উত্তর-পশ্চিম কোণের বুরুজটি আদি বলে মনে হয়। ঈদগাহ প্রাচীর ইটের উপরে প্লাস্টার। প্রাচীরের উপরে ‘প্যারাপেট’ অনুভূমিক এবং এতে রয়েছে ‘মারলোন’ নকশা। | ||
ঢাকা ঈদগাহ ১৯৮১ খ্রিস্টাব্দে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর কর্তৃক সংরক্ষিত ইমারত হিসেবে গৃহীত হয়েছে। প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ কর্তৃক এটির সংস্কার হয়েছে বটে, তবে সংস্কারের সময় এর মূল বৈশিষ্ট্য সংরক্ষণের তেমন কোনো চেষ্টা করা হয় নি। [আয়শা বেগম] | ঢাকা ঈদগাহ ১৯৮১ খ্রিস্টাব্দে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর কর্তৃক সংরক্ষিত ইমারত হিসেবে গৃহীত হয়েছে। প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ কর্তৃক এটির সংস্কার হয়েছে বটে, তবে সংস্কারের সময় এর মূল বৈশিষ্ট্য সংরক্ষণের তেমন কোনো চেষ্টা করা হয় নি। [আয়শা বেগম] | ||
[[en:Idgah, Dhaka]] | [[en:Idgah, Dhaka]] |
০৬:২৮, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
ঢাকা ঈদগাহ ঈদের নামাজ আদায় করার ঐতিহাসিক স্থান। ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার সাত মসজিদ রোডে অবস্থিত। ঈদগাহের দেয়ালের শিলালিপি অনুযায়ী সুবাহদার শাহ সুজার দীউয়ান মীর আবুল কাসিম কর্তৃক ১৬৪০ খ্রিস্টাব্দে (১০৫০ হি.) এটি নির্মিত।
ঈদগাহটি আশপাশের ভূমি থেকে প্রায় ১.৮৩ মিটার (৬ ফুট) উঁচু একটি উন্মুক্ত চত্বর। আদি ঈদগাহ চত্বরের পরিমাপ ছিল ৭৪.৬৮ দ্ধ ৪১.৭৬ মিটার। বর্তমানে এখানে রয়েছে প্রায়-আয়তাকার একটি খোলা চত্বর। শুধু পশ্চিম দিকের আদি দেওয়ালটি এখনও টিকে আছে। প্রথম অবস্থায় ঈদগাহের বেষ্টন-প্রাচীরের উচ্চতা ছিল ৪.৫৭ মিটার (১৫ ফুট)। ঈদগাহের পশ্চিম দেয়ালে কেন্দ্রীয় মিহরাব এবং এর দু’পাশে তিনটি করে অপেক্ষাকৃত ছোট মিহরাব আছে। অর্ধ-অষ্টভুজাকৃতির কেন্দ্রীয় মিহরাবে রয়েছে চতুঃকেন্দ্রিক সামান্য ঢালু খিলান।
কেন্দ্রীয় মিহরাবটি ৩.০৫ মিটার উঁচু এবং এর প্রায় ২.৭৪ মিটার উচ্চতা থেকে ক্রান্তিস্তর শুরু হয়েছে। মিহরাবটি ২.২৬ মিটার চওড়া এবং অর্ধ-অষ্টভুজাকৃতি অংশের ১.৩৫ মিটার দেওয়ালের অভ্যন্তরে প্রবিষ্ট। ফলে দেয়ালের প্রশস্ততা মধ্যভাগে স্থূল। পেছন বা রাস্তার দিক থেকে লক্ষ্য করলে এর প্রশস্ততা অনুধাবন করা যায়। সবগুলি মিহরাব দেয়ালে আয়তাকার ফ্রেমের মধ্যে সংস্থাপিত। পার্শ্বের মিহরাবের উচ্চতা ২.৬৭ মিটার এবং প্রশস্ততা ১.৩৭ মিটার। কেন্দ্রীয় মিহরাবের উভয় পার্শ্বে আয়তাকার ফ্রেমের মধ্যে রয়েছে দু’টি নকশা করা বহু খাঁজবিশিষ্ট প্যানেল। কেন্দ্রীয় মিহরাবের উত্তর পার্শ্বে রয়েছে দেয়াল সংলগ্ন তিন ধাপবিশিষ্ট মিম্বর। সম্ভবত এ মিম্বরটি পরবর্তী সময়ে নির্মিত হয়েছিল। ঈদগাহের চার কোণের চারটি অষ্টভুজাকৃতির বুরুজের মধ্যে উত্তর-পশ্চিম কোণের বুরুজটি আদি বলে মনে হয়। ঈদগাহ প্রাচীর ইটের উপরে প্লাস্টার। প্রাচীরের উপরে ‘প্যারাপেট’ অনুভূমিক এবং এতে রয়েছে ‘মারলোন’ নকশা।
ঢাকা ঈদগাহ ১৯৮১ খ্রিস্টাব্দে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর কর্তৃক সংরক্ষিত ইমারত হিসেবে গৃহীত হয়েছে। প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ কর্তৃক এটির সংস্কার হয়েছে বটে, তবে সংস্কারের সময় এর মূল বৈশিষ্ট্য সংরক্ষণের তেমন কোনো চেষ্টা করা হয় নি। [আয়শা বেগম]