জেনারেল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Category:Banglapedia]] | [[Category:Banglapedia]] | ||
'''জেনারেল হাসপাতাল | [[Image:GeneralHospitalChittagong.jpg|thumb|200px|জেনারেল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম]] | ||
'''জেনারেল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম''' ১৮৪০ সালে প্রকৃতপক্ষে একটি ডিসপেনসারি হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে। পরে উন্নয়নের মাধ্যমে চট্টগ্রাম মহানগরের আন্দরকিল্লা মৌজার রঙমহল পাহাড় শীর্ষে প্রতিষ্ঠিত হয় জেনারেল হাসপাতাল। প্রাচীন আরাকানি দুর্গের অবস্থানস্থল হিসেবে এই পাহাড় ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ১৬৬৬ খ্রিস্টাব্দে চট্টগ্রাম বিজয়ী মুগল নৌবাহিনীর আক্রমণে দুর্গটি পুড়ে ধ্বংস হয়। ১৯০৪ সালের ২০ জুলাই রঙমহল পাহাড়ে একটি শিমূল গাছের তলায় পাওয়া যায় ধ্যানী বুদ্ধের ভাস্কর্য। পাথরের ভাস্কর্যটি বর্তমানে চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারে সংরক্ষিত আছে। পাহাড়ের উত্তর মাথায় হাসপাতাল ভবনের নতুন সংযোজিত অংশের পাশে ২.২৪ মিটার প্রশস্ত প্রাচীন দেয়ালের ধবংসাবশেষ পাওয়া গিয়েছে। মূল হাসপাতাল ভবনটি দ্বিতল, এর উত্তর ফ্যাসাদের মাঝ বরাবর অর্ধ-অষ্টালক একটি গম্বুজের ভেতর আছে ঘোরানো সিঁড়ি। এখানে ছিল বায়ান্ন জন রোগীর আবাসিক চিকিৎসা ব্যবস্থা-চল্লিশ জন পুরুষ এবং বার জন মহিলা। উপনিবেশিক শাসনের সময়ে নির্মিত হাসপাতাল ভবনটি বর্তমানে সংরক্ষণ করা হয়েছে এবং শহরের বৈশিষ্ট্যপূর্ণ স্থাপত্য হিসেবে টিকে আছে। [শামসুল হোসাইন] | |||
[[en:General Hospital, Chittagong]] | [[en:General Hospital, Chittagong]] |
০৮:১৯, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
জেনারেল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম ১৮৪০ সালে প্রকৃতপক্ষে একটি ডিসপেনসারি হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে। পরে উন্নয়নের মাধ্যমে চট্টগ্রাম মহানগরের আন্দরকিল্লা মৌজার রঙমহল পাহাড় শীর্ষে প্রতিষ্ঠিত হয় জেনারেল হাসপাতাল। প্রাচীন আরাকানি দুর্গের অবস্থানস্থল হিসেবে এই পাহাড় ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ১৬৬৬ খ্রিস্টাব্দে চট্টগ্রাম বিজয়ী মুগল নৌবাহিনীর আক্রমণে দুর্গটি পুড়ে ধ্বংস হয়। ১৯০৪ সালের ২০ জুলাই রঙমহল পাহাড়ে একটি শিমূল গাছের তলায় পাওয়া যায় ধ্যানী বুদ্ধের ভাস্কর্য। পাথরের ভাস্কর্যটি বর্তমানে চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারে সংরক্ষিত আছে। পাহাড়ের উত্তর মাথায় হাসপাতাল ভবনের নতুন সংযোজিত অংশের পাশে ২.২৪ মিটার প্রশস্ত প্রাচীন দেয়ালের ধবংসাবশেষ পাওয়া গিয়েছে। মূল হাসপাতাল ভবনটি দ্বিতল, এর উত্তর ফ্যাসাদের মাঝ বরাবর অর্ধ-অষ্টালক একটি গম্বুজের ভেতর আছে ঘোরানো সিঁড়ি। এখানে ছিল বায়ান্ন জন রোগীর আবাসিক চিকিৎসা ব্যবস্থা-চল্লিশ জন পুরুষ এবং বার জন মহিলা। উপনিবেশিক শাসনের সময়ে নির্মিত হাসপাতাল ভবনটি বর্তমানে সংরক্ষণ করা হয়েছে এবং শহরের বৈশিষ্ট্যপূর্ণ স্থাপত্য হিসেবে টিকে আছে। [শামসুল হোসাইন]