খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
২ নং লাইন: | ২ নং লাইন: | ||
'''খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়''' (কুয়েট) একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। খুলনা শহর থেকে ১১ কি.মি. দূরে খুলনা-যশোর-ঢাকা মহাসড়কের পশ্চিম পার্শ্বে ফুলবাড়ি গেট নামক স্থানে ১০১ একর জমি নিয়ে প্রতিষ্ঠিত। ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘খুলনা প্রকৌশল কলেজ’ এর পটভূমি। কলেজটি ১৯৮৬ সালে ‘বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (বি.আই.টি)’ নামে সীমিত স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয়। পূর্বেকার বি.আই.টি ২০০৩ সালে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নামে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে। | '''খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়''' (কুয়েট) একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। খুলনা শহর থেকে ১১ কি.মি. দূরে খুলনা-যশোর-ঢাকা মহাসড়কের পশ্চিম পার্শ্বে ফুলবাড়ি গেট নামক স্থানে ১০১ একর জমি নিয়ে প্রতিষ্ঠিত। ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘খুলনা প্রকৌশল কলেজ’ এর পটভূমি। কলেজটি ১৯৮৬ সালে ‘বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (বি.আই.টি)’ নামে সীমিত স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয়। পূর্বেকার বি.আই.টি ২০০৩ সালে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নামে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে। | ||
[[Image:KUET.jpg|thumb|400px|right|খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবন]] | |||
বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩টি অনুষদ রয়েছে: সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং। এ তিনটি অনুষদের অধীন ১৪টি বিভাগ রয়েছে। বিভাগগুলি: সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, আরবান অ্যান্ড রিজিউনাল প্লানিং, রসায়ন, গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, মানবিকবিদ্যা, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, এনার্জি টেকনোলজি ও লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে মেধাক্রম অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা পছন্দের বিষয়ে ভর্তির সুযোগ পায়। | বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩টি অনুষদ রয়েছে: সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং। এ তিনটি অনুষদের অধীন ১৪টি বিভাগ রয়েছে। বিভাগগুলি: সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, আরবান অ্যান্ড রিজিউনাল প্লানিং, রসায়ন, গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, মানবিকবিদ্যা, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, এনার্জি টেকনোলজি ও লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে মেধাক্রম অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা পছন্দের বিষয়ে ভর্তির সুযোগ পায়। | ||
বিভাগগুলিতে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ও এমএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চালু রয়েছে। স্নাতকোত্তর শেষে শিক্ষার্থীরা এম.ফিল ও পিএইচ.ডি ডিগ্রি অর্জন এবং বিভিন্ন গবেষণা কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক গবেষণা তদারকির জন্য ‘কমিটি ফর অ্যাডভ্যান্স স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ (সিএএসআর)’ নামে একটি কমিটি রয়েছে। ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে উচ্চ শিক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হয়। আর এজন্য জাপানের সাগা (Saga) ও ফুকুউ (Fukui) বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সহযোগিতামূলক চুক্তি রয়েছে। প্রতিবছর কিছুসংখ্যাক শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পায়। ইনিস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কম্যুনিকেশন টেকনোলজি (আইআইসিটি)-এর সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয় স্বল্পমেয়াদি কোর্স, ডিপ্লোমা, গবেষণা ও প্রশিক্ষণের আয়োজন করে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কুয়েট বুলেটিন নামে একটি ষান্মাসিক পত্রিকা নিয়মিত প্রকাশিত হয়। | বিভাগগুলিতে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ও এমএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চালু রয়েছে। স্নাতকোত্তর শেষে শিক্ষার্থীরা এম.ফিল ও পিএইচ.ডি ডিগ্রি অর্জন এবং বিভিন্ন গবেষণা কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক গবেষণা তদারকির জন্য ‘কমিটি ফর অ্যাডভ্যান্স স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ (সিএএসআর)’ নামে একটি কমিটি রয়েছে। ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে উচ্চ শিক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হয়। আর এজন্য জাপানের সাগা (Saga) ও ফুকুউ (Fukui) বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সহযোগিতামূলক চুক্তি রয়েছে। প্রতিবছর কিছুসংখ্যাক শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পায়। ইনিস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কম্যুনিকেশন টেকনোলজি (আইআইসিটি)-এর সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয় স্বল্পমেয়াদি কোর্স, ডিপ্লোমা, গবেষণা ও প্রশিক্ষণের আয়োজন করে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কুয়েট বুলেটিন নামে একটি ষান্মাসিক পত্রিকা নিয়মিত প্রকাশিত হয়। | ||
১৪ নং লাইন: | ১১ নং লাইন: | ||
ছাত্রছাত্রীদের সুযোগসুবিধা তদারকির জন্য রয়েছে একটি স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার সেন্টার। একজন পরিচালকের তত্ত্বাবধায়নে এটি পরিচালিত হয়। সহশিক্ষা কার্যক্রম, শারীরিক শিক্ষা, আবাসিক হলগুলির প্রশাসনিক কার্যক্রম, ভর্তিকৃত ছাত্রছাত্রীদের হল বণ্টন, ছাত্রছাত্রীদের চাকুরির উপযোগী করে গড়ে তোলা এবং বিভিন্ন বিভাগের অ্যালামনি অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করার কাজ স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার সেন্টার করে থাকে। | ছাত্রছাত্রীদের সুযোগসুবিধা তদারকির জন্য রয়েছে একটি স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার সেন্টার। একজন পরিচালকের তত্ত্বাবধায়নে এটি পরিচালিত হয়। সহশিক্ষা কার্যক্রম, শারীরিক শিক্ষা, আবাসিক হলগুলির প্রশাসনিক কার্যক্রম, ভর্তিকৃত ছাত্রছাত্রীদের হল বণ্টন, ছাত্রছাত্রীদের চাকুরির উপযোগী করে গড়ে তোলা এবং বিভিন্ন বিভাগের অ্যালামনি অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করার কাজ স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার সেন্টার করে থাকে। | ||
বর্তমানে অর্থাৎ ২০১১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৩১১১, শিক্ষকশিক্ষিকার সংখ্যা ২০২ এবং কর্মকর্তাকর্মচারীর সংখ্যা ২৫৩। আবাসিক হলের সংখ্যা ৬টি (নির্মাণাধীন ১টি)। এর মধ্যে ৫টি ছাত্রদের এবং ১টি ছাত্রীদের। হলগুলি হলো: অমর একুশে হল, ড. এম. এ রশিদ হল, ফজলুল হক হল, খান জাহান আলী হল, লালন শাহ্ হল এবং বেগম রোকেয়া হল। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় [[গ্রন্থাগার|গ্রন্থাগার]]টি বেশ সমৃদ্ধ। গ্রন্থাগারে বইয়ের সংখ্যা ৩৯,৬৬৪ এবং অডিওভিজুয়েল সামগ্রী ২০। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারসহ প্রত্যেক বিভাগে ইন্টারনেট সুবিধা রয়েছে। কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পাশাপাশি প্রত্যেক বিভাগে রয়েছে আলাদা ল্যাব ও সেমিনার হল। এছাড়া রয়েছে অডিটোরিয়াম, ছাত্রশিক্ষক কেন্দ্র, ক্যাফেটেরিয়া, মসজিদ ও খেলার মাঠ। [মো আশিক ইকবাল] | বর্তমানে অর্থাৎ ২০১১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৩১১১, শিক্ষকশিক্ষিকার সংখ্যা ২০২ এবং কর্মকর্তাকর্মচারীর সংখ্যা ২৫৩। আবাসিক হলের সংখ্যা ৬টি (নির্মাণাধীন ১টি)। এর মধ্যে ৫টি ছাত্রদের এবং ১টি ছাত্রীদের। হলগুলি হলো: অমর একুশে হল, ড. এম. এ রশিদ হল, ফজলুল হক হল, খান জাহান আলী হল, লালন শাহ্ হল এবং বেগম রোকেয়া হল। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় [[গ্রন্থাগার|গ্রন্থাগার]]টি বেশ সমৃদ্ধ। গ্রন্থাগারে বইয়ের সংখ্যা ৩৯,৬৬৪ এবং অডিওভিজুয়েল সামগ্রী ২০। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারসহ প্রত্যেক বিভাগে ইন্টারনেট সুবিধা রয়েছে। কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পাশাপাশি প্রত্যেক বিভাগে রয়েছে আলাদা ল্যাব ও সেমিনার হল। এছাড়া রয়েছে অডিটোরিয়াম, ছাত্রশিক্ষক কেন্দ্র, ক্যাফেটেরিয়া, মসজিদ ও খেলার মাঠ। [মো. আশিক ইকবাল] | ||
[[en:Khulna University of Engineering and Technology]] | [[en:Khulna University of Engineering and Technology]] |
০৫:৪৮, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। খুলনা শহর থেকে ১১ কি.মি. দূরে খুলনা-যশোর-ঢাকা মহাসড়কের পশ্চিম পার্শ্বে ফুলবাড়ি গেট নামক স্থানে ১০১ একর জমি নিয়ে প্রতিষ্ঠিত। ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘খুলনা প্রকৌশল কলেজ’ এর পটভূমি। কলেজটি ১৯৮৬ সালে ‘বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (বি.আই.টি)’ নামে সীমিত স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয়। পূর্বেকার বি.আই.টি ২০০৩ সালে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নামে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩টি অনুষদ রয়েছে: সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং। এ তিনটি অনুষদের অধীন ১৪টি বিভাগ রয়েছে। বিভাগগুলি: সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, আরবান অ্যান্ড রিজিউনাল প্লানিং, রসায়ন, গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, মানবিকবিদ্যা, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, এনার্জি টেকনোলজি ও লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে মেধাক্রম অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা পছন্দের বিষয়ে ভর্তির সুযোগ পায়।
বিভাগগুলিতে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ও এমএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চালু রয়েছে। স্নাতকোত্তর শেষে শিক্ষার্থীরা এম.ফিল ও পিএইচ.ডি ডিগ্রি অর্জন এবং বিভিন্ন গবেষণা কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক গবেষণা তদারকির জন্য ‘কমিটি ফর অ্যাডভ্যান্স স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ (সিএএসআর)’ নামে একটি কমিটি রয়েছে। ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে উচ্চ শিক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হয়। আর এজন্য জাপানের সাগা (Saga) ও ফুকুউ (Fukui) বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সহযোগিতামূলক চুক্তি রয়েছে। প্রতিবছর কিছুসংখ্যাক শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পায়। ইনিস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কম্যুনিকেশন টেকনোলজি (আইআইসিটি)-এর সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয় স্বল্পমেয়াদি কোর্স, ডিপ্লোমা, গবেষণা ও প্রশিক্ষণের আয়োজন করে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কুয়েট বুলেটিন নামে একটি ষান্মাসিক পত্রিকা নিয়মিত প্রকাশিত হয়।
ভাইস-চ্যান্সেলর এবং ১৪ জন সিন্ডিকেট সদস্য দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিচালিত হয়। এছাড়া রয়েছে একাডেমিক কাউন্সিল, অর্থ কমিটি, গবেষণা কমিটি এবং পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি।
ছাত্রছাত্রীদের সুযোগসুবিধা তদারকির জন্য রয়েছে একটি স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার সেন্টার। একজন পরিচালকের তত্ত্বাবধায়নে এটি পরিচালিত হয়। সহশিক্ষা কার্যক্রম, শারীরিক শিক্ষা, আবাসিক হলগুলির প্রশাসনিক কার্যক্রম, ভর্তিকৃত ছাত্রছাত্রীদের হল বণ্টন, ছাত্রছাত্রীদের চাকুরির উপযোগী করে গড়ে তোলা এবং বিভিন্ন বিভাগের অ্যালামনি অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করার কাজ স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার সেন্টার করে থাকে।
বর্তমানে অর্থাৎ ২০১১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৩১১১, শিক্ষকশিক্ষিকার সংখ্যা ২০২ এবং কর্মকর্তাকর্মচারীর সংখ্যা ২৫৩। আবাসিক হলের সংখ্যা ৬টি (নির্মাণাধীন ১টি)। এর মধ্যে ৫টি ছাত্রদের এবং ১টি ছাত্রীদের। হলগুলি হলো: অমর একুশে হল, ড. এম. এ রশিদ হল, ফজলুল হক হল, খান জাহান আলী হল, লালন শাহ্ হল এবং বেগম রোকেয়া হল। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারটি বেশ সমৃদ্ধ। গ্রন্থাগারে বইয়ের সংখ্যা ৩৯,৬৬৪ এবং অডিওভিজুয়েল সামগ্রী ২০। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারসহ প্রত্যেক বিভাগে ইন্টারনেট সুবিধা রয়েছে। কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পাশাপাশি প্রত্যেক বিভাগে রয়েছে আলাদা ল্যাব ও সেমিনার হল। এছাড়া রয়েছে অডিটোরিয়াম, ছাত্রশিক্ষক কেন্দ্র, ক্যাফেটেরিয়া, মসজিদ ও খেলার মাঠ। [মো. আশিক ইকবাল]