মহকুমা প্রশাসক: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
২ নং লাইন: | ২ নং লাইন: | ||
'''মহকুমা প্রশাসক''' মহকুমায় মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। ১৯৮২ সাল পর্যন্ত ‘মহকুমা’ নামের প্রশাসনিক ইউনিট চালু ছিল। ঐ বছরই সরকার প্রতিটি মহকুমাকে জেলায় উন্নীত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ১৮৫৯ সালে সর্বপ্রথম কয়েকটি থানা সমন্বয়ে মহকুমার সৃষ্টি হয়। এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল জেলা প্রশাসন বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনকে গ্রামীণ জনগণের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়া এবং বিশেষ করে ফৌজদারি মামলাসমূহের দ্রুত নিষ্পত্তি নিশ্চিত করা। মহকুমার প্রধান ছিলেন মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেট, তবে দাপ্তরিক ও সাধারণভাবে এ পদটি মহকুমা প্রশাসক হিসেবে সমধিক পরিচিত ছিল। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির পূর্বে বাংলায় এবং পরে পূর্ববঙ্গ বা পূর্ব পাকিস্তানে প্রচলিত মহকুমা ব্যবস্থাটি ছিল স্বাতন্ত্র্যসূচক, কেননা উপমহাদেশের অন্যান্য প্রদেশে মহকুমা পর্যায়ের ইউনিটসমূহ ‘তহশিল’ এবং/অথবা ‘তালুক’ নামে পরিচিত ছিল। | '''মহকুমা প্রশাসক''' মহকুমায় মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। ১৯৮২ সাল পর্যন্ত ‘মহকুমা’ নামের প্রশাসনিক ইউনিট চালু ছিল। ঐ বছরই সরকার প্রতিটি মহকুমাকে জেলায় উন্নীত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ১৮৫৯ সালে সর্বপ্রথম কয়েকটি থানা সমন্বয়ে মহকুমার সৃষ্টি হয়। এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল জেলা প্রশাসন বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনকে গ্রামীণ জনগণের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়া এবং বিশেষ করে ফৌজদারি মামলাসমূহের দ্রুত নিষ্পত্তি নিশ্চিত করা। মহকুমার প্রধান ছিলেন মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেট, তবে দাপ্তরিক ও সাধারণভাবে এ পদটি মহকুমা প্রশাসক হিসেবে সমধিক পরিচিত ছিল। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির পূর্বে বাংলায় এবং পরে পূর্ববঙ্গ বা পূর্ব পাকিস্তানে প্রচলিত মহকুমা ব্যবস্থাটি ছিল স্বাতন্ত্র্যসূচক, কেননা উপমহাদেশের অন্যান্য প্রদেশে মহকুমা পর্যায়ের ইউনিটসমূহ ‘তহশিল’ এবং/অথবা ‘তালুক’ নামে পরিচিত ছিল। | ||
প্রথমদিকে মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেট বা মহকুমা প্রশাসক কিছুসংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেটের সহায়তায় ফৌজদারি মামলার নিষ্পত্তির দায়িত্বে নিয়োজিত থাকলেও, পরবর্তী সময়ে একজন প্রশাসকের দায়িত্বে নিয়োজিত হওয়ার কারণে তিনি তার বিচারকের ভাবমূর্তি হারিয়ে ফেলেন। এরপর থেকে জেলা প্রশাসকের সার্বিক নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধানে, মহকুমা প্রশাসক মহকুমা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক কর্তৃক জেলা পর্যায়ে সম্পন্নকৃত দায়িত্বের প্রায় অনুরূপ দায়িত্বই পালন করতেন। ১৯৬১ সালের পর মহকুমা প্রশাসক পদাধিকার বলে থানা পরিষদের চেয়ারম্যান হন। ১৯৫৯ সালে [[মৌলিক গণতন্ত্র|মৌলিক গণতন্ত্র]] ব্যবস্থার অধীনে থানাকে ভিত্তি করে স্থানীয় সরকার প্রশাসনের ইউনিট হিসেবে থানা পরিষদের সৃষ্টি হয়। | প্রথমদিকে মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেট বা মহকুমা প্রশাসক কিছুসংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেটের সহায়তায় ফৌজদারি মামলার নিষ্পত্তির দায়িত্বে নিয়োজিত থাকলেও, পরবর্তী সময়ে একজন প্রশাসকের দায়িত্বে নিয়োজিত হওয়ার কারণে তিনি তার বিচারকের ভাবমূর্তি হারিয়ে ফেলেন। এরপর থেকে জেলা প্রশাসকের সার্বিক নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধানে, মহকুমা প্রশাসক মহকুমা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক কর্তৃক জেলা পর্যায়ে সম্পন্নকৃত দায়িত্বের প্রায় অনুরূপ দায়িত্বই পালন করতেন। ১৯৬১ সালের পর মহকুমা প্রশাসক পদাধিকার বলে থানা পরিষদের চেয়ারম্যান হন। ১৯৫৯ সালে [[মৌলিক গণতন্ত্র|মৌলিক গণতন্ত্র]] ব্যবস্থার অধীনে থানাকে ভিত্তি করে স্থানীয় সরকার প্রশাসনের ইউনিট হিসেবে থানা পরিষদের সৃষ্টি হয়। [এ.এম.এম শওকত আলী] | ||
[এ.এম.এম শওকত আলী] | |||
[[en:Sub-divisional Officer]] | [[en:Sub-divisional Officer]] |
০৫:১৯, ৩ মার্চ ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
মহকুমা প্রশাসক মহকুমায় মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। ১৯৮২ সাল পর্যন্ত ‘মহকুমা’ নামের প্রশাসনিক ইউনিট চালু ছিল। ঐ বছরই সরকার প্রতিটি মহকুমাকে জেলায় উন্নীত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ১৮৫৯ সালে সর্বপ্রথম কয়েকটি থানা সমন্বয়ে মহকুমার সৃষ্টি হয়। এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল জেলা প্রশাসন বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনকে গ্রামীণ জনগণের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়া এবং বিশেষ করে ফৌজদারি মামলাসমূহের দ্রুত নিষ্পত্তি নিশ্চিত করা। মহকুমার প্রধান ছিলেন মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেট, তবে দাপ্তরিক ও সাধারণভাবে এ পদটি মহকুমা প্রশাসক হিসেবে সমধিক পরিচিত ছিল। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির পূর্বে বাংলায় এবং পরে পূর্ববঙ্গ বা পূর্ব পাকিস্তানে প্রচলিত মহকুমা ব্যবস্থাটি ছিল স্বাতন্ত্র্যসূচক, কেননা উপমহাদেশের অন্যান্য প্রদেশে মহকুমা পর্যায়ের ইউনিটসমূহ ‘তহশিল’ এবং/অথবা ‘তালুক’ নামে পরিচিত ছিল।
প্রথমদিকে মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেট বা মহকুমা প্রশাসক কিছুসংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেটের সহায়তায় ফৌজদারি মামলার নিষ্পত্তির দায়িত্বে নিয়োজিত থাকলেও, পরবর্তী সময়ে একজন প্রশাসকের দায়িত্বে নিয়োজিত হওয়ার কারণে তিনি তার বিচারকের ভাবমূর্তি হারিয়ে ফেলেন। এরপর থেকে জেলা প্রশাসকের সার্বিক নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধানে, মহকুমা প্রশাসক মহকুমা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক কর্তৃক জেলা পর্যায়ে সম্পন্নকৃত দায়িত্বের প্রায় অনুরূপ দায়িত্বই পালন করতেন। ১৯৬১ সালের পর মহকুমা প্রশাসক পদাধিকার বলে থানা পরিষদের চেয়ারম্যান হন। ১৯৫৯ সালে মৌলিক গণতন্ত্র ব্যবস্থার অধীনে থানাকে ভিত্তি করে স্থানীয় সরকার প্রশাসনের ইউনিট হিসেবে থানা পরিষদের সৃষ্টি হয়। [এ.এম.এম শওকত আলী]