মাহে নও: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
২ নং লাইন: | ২ নং লাইন: | ||
'''মাহে নও''' একটি সচিত্র মাসিক পত্রিকা। ১৯৪৯ সালের এপ্রিল থেকে ১৯৭১ সালের নভেম্বর পর্যন্ত এটি নিয়মিত প্রকাশিত হয়। আবদুর রশিদ এর প্রথম প্রকাশক ও সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে মিজানুর রহমান, মুহম্মদ মনসুরউদ্দীন, আবদুল কাদির এবং তালিম হোসেন এর সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেন। | '''মাহে নও''' একটি সচিত্র মাসিক পত্রিকা। ১৯৪৯ সালের এপ্রিল থেকে ১৯৭১ সালের নভেম্বর পর্যন্ত এটি নিয়মিত প্রকাশিত হয়। আবদুর রশিদ এর প্রথম প্রকাশক ও সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে মিজানুর রহমান, মুহম্মদ মনসুরউদ্দীন, আবদুল কাদির এবং তালিম হোসেন এর সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেন। | ||
১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির পর পূর্ব বাংলায় যেকটি সাহিত্য পত্রিকা ও সাময়িক পত্র একনিষ্ঠভাবে পাকিস্তানি ভাবধারার প্রসার এবং পাকিস্তানের উভয় অংশের মধ্যে ঐক্য ও সংহতি রক্ষার কাজে নিয়োজিত ছিল, মাহে নও সেগুলির অন্যতম। পত্রিকাটি আদর্শগত দিক থেকে বাঙালি সংস্কৃতির চেয়ে পাকিস্তানি সংস্কৃতি এবং সাম্প্রদায়িক ও ধর্মীয় জাতীয়তাবাদের বিকাশে উৎসাহী ছিল। এতে বাংলা ভাষার প্রচলিত সাহিত্যরীতিকে (সাধু ও চলিত) উপেক্ষা করে উর্দু, ফারসি, আরবি ও তুর্কি মিশ্রিত এক স্বতন্ত্র ধারার মুসলমানি [[বাংলা ভাষা|বাংলা ভাষা]] প্রচলনের চেষ্টা হয়েছিল। মাহে নও-এ যেসব খ্যাতনামা কবি, সাহিত্যিক ও গবেষক লিখতেন তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মুহম্মদ আবদুল হাই, মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্, মুহম্মদ এনামুল হক, মুহম্মদ মনসুরউদ্দীন, জসিমউদ্দীন, সুফিয়া কামাল, আবুল ফজল, আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ, মোহাম্মদ আকরম খাঁ, বন্দে আলী মিয়া, আহমদ শরীফ, সিকান্দার আবু জাফর, গোলাম মোস্তফা, মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী, আবু রুশদ, শামসুর রাহমান, ফররুখ আহমদ, সৈয়দ শামসুল হক প্রমুখ। | ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির পর পূর্ব বাংলায় যেকটি সাহিত্য পত্রিকা ও সাময়িক পত্র একনিষ্ঠভাবে পাকিস্তানি ভাবধারার প্রসার এবং পাকিস্তানের উভয় অংশের মধ্যে ঐক্য ও সংহতি রক্ষার কাজে নিয়োজিত ছিল, মাহে নও সেগুলির অন্যতম। পত্রিকাটি আদর্শগত দিক থেকে বাঙালি সংস্কৃতির চেয়ে পাকিস্তানি সংস্কৃতি এবং সাম্প্রদায়িক ও ধর্মীয় জাতীয়তাবাদের বিকাশে উৎসাহী ছিল। এতে বাংলা ভাষার প্রচলিত সাহিত্যরীতিকে (সাধু ও চলিত) উপেক্ষা করে উর্দু, ফারসি, আরবি ও তুর্কি মিশ্রিত এক স্বতন্ত্র ধারার মুসলমানি [[বাংলা ভাষা|বাংলা ভাষা]] প্রচলনের চেষ্টা হয়েছিল। মাহে নও-এ যেসব খ্যাতনামা কবি, সাহিত্যিক ও গবেষক লিখতেন তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মুহম্মদ আবদুল হাই, মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্, মুহম্মদ এনামুল হক, মুহম্মদ মনসুরউদ্দীন, জসিমউদ্দীন, সুফিয়া কামাল, আবুল ফজল, আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ, মোহাম্মদ আকরম খাঁ, বন্দে আলী মিয়া, আহমদ শরীফ, সিকান্দার আবু জাফর, গোলাম মোস্তফা, মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী, আবু রুশদ, শামসুর রাহমান, ফররুখ আহমদ, সৈয়দ শামসুল হক প্রমুখ। [এ.এইচ.এম শফিকুল মাওলা] | ||
[এ.এইচ.এম শফিকুল মাওলা] | |||
[[en:Mahe-Nao]] | [[en:Mahe-Nao]] |
০৫:৩৭, ৪ মার্চ ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
মাহে নও একটি সচিত্র মাসিক পত্রিকা। ১৯৪৯ সালের এপ্রিল থেকে ১৯৭১ সালের নভেম্বর পর্যন্ত এটি নিয়মিত প্রকাশিত হয়। আবদুর রশিদ এর প্রথম প্রকাশক ও সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে মিজানুর রহমান, মুহম্মদ মনসুরউদ্দীন, আবদুল কাদির এবং তালিম হোসেন এর সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির পর পূর্ব বাংলায় যেকটি সাহিত্য পত্রিকা ও সাময়িক পত্র একনিষ্ঠভাবে পাকিস্তানি ভাবধারার প্রসার এবং পাকিস্তানের উভয় অংশের মধ্যে ঐক্য ও সংহতি রক্ষার কাজে নিয়োজিত ছিল, মাহে নও সেগুলির অন্যতম। পত্রিকাটি আদর্শগত দিক থেকে বাঙালি সংস্কৃতির চেয়ে পাকিস্তানি সংস্কৃতি এবং সাম্প্রদায়িক ও ধর্মীয় জাতীয়তাবাদের বিকাশে উৎসাহী ছিল। এতে বাংলা ভাষার প্রচলিত সাহিত্যরীতিকে (সাধু ও চলিত) উপেক্ষা করে উর্দু, ফারসি, আরবি ও তুর্কি মিশ্রিত এক স্বতন্ত্র ধারার মুসলমানি বাংলা ভাষা প্রচলনের চেষ্টা হয়েছিল। মাহে নও-এ যেসব খ্যাতনামা কবি, সাহিত্যিক ও গবেষক লিখতেন তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মুহম্মদ আবদুল হাই, মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্, মুহম্মদ এনামুল হক, মুহম্মদ মনসুরউদ্দীন, জসিমউদ্দীন, সুফিয়া কামাল, আবুল ফজল, আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ, মোহাম্মদ আকরম খাঁ, বন্দে আলী মিয়া, আহমদ শরীফ, সিকান্দার আবু জাফর, গোলাম মোস্তফা, মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী, আবু রুশদ, শামসুর রাহমান, ফররুখ আহমদ, সৈয়দ শামসুল হক প্রমুখ। [এ.এইচ.এম শফিকুল মাওলা]