লিটন, লর্ড: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
২ নং লাইন: | ২ নং লাইন: | ||
'''লিটন, লর্ড''' (১৮৭৬-১৯৪৭) বাংলার গভর্নর (১৯২২-১৯২৭) এবং স্বল্প সময়ের জন্য ভারতের অস্থায়ী ভাইসরয়। তাঁর পুরো নাম ভিক্টর আলেক্সান্ডার জর্জ রবার্ট। তিনি লিটনের দ্বিতীয় আর্ল। পিতা লিটনের প্রথম আর্ল এডওয়ার্ড রবার্ট বুলওয়ার লিটন ভারতের গভর্নর জেনারেল থাকাকালে ভিক্টর লিটন সিমলায় ১৮৮৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ভিক্টর লিটন কেমব্রিজের ইটন ও ট্রিনিটি কলেজে শিক্ষালাভ করেন। | '''লিটন, লর্ড''' (১৮৭৬-১৯৪৭) বাংলার গভর্নর (১৯২২-১৯২৭) এবং স্বল্প সময়ের জন্য ভারতের অস্থায়ী ভাইসরয়। তাঁর পুরো নাম ভিক্টর আলেক্সান্ডার জর্জ রবার্ট। তিনি লিটনের দ্বিতীয় আর্ল। পিতা লিটনের প্রথম আর্ল এডওয়ার্ড রবার্ট বুলওয়ার লিটন ভারতের গভর্নর জেনারেল থাকাকালে ভিক্টর লিটন সিমলায় ১৮৮৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ভিক্টর লিটন কেমব্রিজের ইটন ও ট্রিনিটি কলেজে শিক্ষালাভ করেন। | ||
[[Image:LyttonLord.jpg|thumb|right|400px|লর্ড লিটন]] | |||
লর্ড লিটন একটি কঠিন সময়ে বাংলার গভর্নর নিযুক্ত হন। তখন উপনিবেশিক সরকার ১৯১৯ সালের ভারত শাসন আইন বাস্তবায়ন করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিল। অপরপক্ষে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেসও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিল উক্ত অগ্রহণযোগ্য আইনটি অকার্যকর করতে। তাঁর শাসনামলে তিনি সর্বদা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন লাভ করা সত্ত্বেও মন্ত্রিসভা গঠনে অটলভাবে অসম্মত স্বরাজ্য দল থেকে প্রতিরোধের সম্মুখীন হন। তাদের নীতি ছিল শাসনতন্ত্রের ভেতরে থেকেই ১৯১৯ সালের শাসনতন্ত্রকে ব্যর্থ করা। | লর্ড লিটন একটি কঠিন সময়ে বাংলার গভর্নর নিযুক্ত হন। তখন উপনিবেশিক সরকার ১৯১৯ সালের ভারত শাসন আইন বাস্তবায়ন করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিল। অপরপক্ষে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেসও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিল উক্ত অগ্রহণযোগ্য আইনটি অকার্যকর করতে। তাঁর শাসনামলে তিনি সর্বদা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন লাভ করা সত্ত্বেও মন্ত্রিসভা গঠনে অটলভাবে অসম্মত স্বরাজ্য দল থেকে প্রতিরোধের সম্মুখীন হন। তাদের নীতি ছিল শাসনতন্ত্রের ভেতরে থেকেই ১৯১৯ সালের শাসনতন্ত্রকে ব্যর্থ করা। | ||
তাদের অসহযোগিতার কারণে লর্ড লিটনকে বৃহত্তর রাজনৈতিক দল থেকে বিচ্ছিন্ন ক্ষুদ্রতর দল ও গ্রুপসমূহের আগ্রহী সদস্যদের মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য আহবান জানাতে হতো। | তাদের অসহযোগিতার কারণে লর্ড লিটনকে বৃহত্তর রাজনৈতিক দল থেকে বিচ্ছিন্ন ক্ষুদ্রতর দল ও গ্রুপসমূহের আগ্রহী সদস্যদের মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য আহবান জানাতে হতো। | ||
কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ স্বরাজ্য দলের সদস্যদের আনীত অনাস্থা প্রস্তাবে পরাজিত হয়ে ছয় মাসের মধ্যেই এ ধরনের মন্ত্রিসভার পতন ঘটত। তাঁর উদ্যোগে অনেকগুলি পরিষদ-দল গঠিত হয়েছিল। কিন্তু তাঁর বিভেদনীতি স্বরাজ্য দলের সদস্যদেরকে কখনও দুর্বল করতে পারেনি। | কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ স্বরাজ্য দলের সদস্যদের আনীত অনাস্থা প্রস্তাবে পরাজিত হয়ে ছয় মাসের মধ্যেই এ ধরনের মন্ত্রিসভার পতন ঘটত। তাঁর উদ্যোগে অনেকগুলি পরিষদ-দল গঠিত হয়েছিল। কিন্তু তাঁর বিভেদনীতি স্বরাজ্য দলের সদস্যদেরকে কখনও দুর্বল করতে পারেনি। |
০৬:১২, ১১ মার্চ ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
লিটন, লর্ড (১৮৭৬-১৯৪৭) বাংলার গভর্নর (১৯২২-১৯২৭) এবং স্বল্প সময়ের জন্য ভারতের অস্থায়ী ভাইসরয়। তাঁর পুরো নাম ভিক্টর আলেক্সান্ডার জর্জ রবার্ট। তিনি লিটনের দ্বিতীয় আর্ল। পিতা লিটনের প্রথম আর্ল এডওয়ার্ড রবার্ট বুলওয়ার লিটন ভারতের গভর্নর জেনারেল থাকাকালে ভিক্টর লিটন সিমলায় ১৮৮৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ভিক্টর লিটন কেমব্রিজের ইটন ও ট্রিনিটি কলেজে শিক্ষালাভ করেন।
লর্ড লিটন একটি কঠিন সময়ে বাংলার গভর্নর নিযুক্ত হন। তখন উপনিবেশিক সরকার ১৯১৯ সালের ভারত শাসন আইন বাস্তবায়ন করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিল। অপরপক্ষে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেসও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিল উক্ত অগ্রহণযোগ্য আইনটি অকার্যকর করতে। তাঁর শাসনামলে তিনি সর্বদা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন লাভ করা সত্ত্বেও মন্ত্রিসভা গঠনে অটলভাবে অসম্মত স্বরাজ্য দল থেকে প্রতিরোধের সম্মুখীন হন। তাদের নীতি ছিল শাসনতন্ত্রের ভেতরে থেকেই ১৯১৯ সালের শাসনতন্ত্রকে ব্যর্থ করা।
তাদের অসহযোগিতার কারণে লর্ড লিটনকে বৃহত্তর রাজনৈতিক দল থেকে বিচ্ছিন্ন ক্ষুদ্রতর দল ও গ্রুপসমূহের আগ্রহী সদস্যদের মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য আহবান জানাতে হতো।
কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ স্বরাজ্য দলের সদস্যদের আনীত অনাস্থা প্রস্তাবে পরাজিত হয়ে ছয় মাসের মধ্যেই এ ধরনের মন্ত্রিসভার পতন ঘটত। তাঁর উদ্যোগে অনেকগুলি পরিষদ-দল গঠিত হয়েছিল। কিন্তু তাঁর বিভেদনীতি স্বরাজ্য দলের সদস্যদেরকে কখনও দুর্বল করতে পারেনি।
লর্ড লিটন বিশেষভাবে পরিচিত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্যার আশুতোষ মুখার্জীর সঙ্গে তাঁর অপ্রীতিকর প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে। লর্ড লিটনের প্রচেষ্টা ছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যাবলীতে হস্তক্ষেপ করা। কিন্তু স্যার আশুতোষ তাঁকে সতর্ক করে দেন যে, তিনি যদি তাঁকে (স্যার আশুতোষকে) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে অধিষ্ঠিত রাখতে চান তাহলে তিনি যেন এরূপ না করেন। [সিরাজুল ইসলাম]