পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Category:বাংলাপিডিয়া]] | [[Category:বাংলাপিডিয়া]] | ||
'''পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান '''(Atomic Energy Research Establishment | '''পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান''' (Atomic Energy Research Establishment-AERE) ঢাকা শহরের ৪০ কিমি উত্তর-পশ্চিমে সাভার থানায় অবস্থিত বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের আওতাভুক্ত একটি নিউক্লিয়ার গবেষণা কমপ্লেক্স। এটি কমিশনের সর্ববৃহৎ গবেষণা প্রতিষ্ঠান। স্বাধীনতার পরপর কমিশনে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জনশক্তি এবং অন্যান্য সম্পদ ছিল যথেষ্ট সীমিত। এসময় দক্ষ লোকবল তৈরির লক্ষ্যে একটি গবেষণা কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করা হয়। এ উদ্দেশ্যে ১৯৭৫ সালে সাভার থানার গণকবাড়ী মৌজায় ২৫৯ একর জমি অধিগ্রহণ করে পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হয়। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠান তার নিজস্ব ক্যাম্পাসে কয়েকটি ইনস্টিটিউট ও বিভাগের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এগুলো হচ্ছে: ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (আইএনএসটি), খাদ্য ও বিকীরণ জীববিজ্ঞান ইনস্টিটিউট (আইএফআরবি), ইলেকট্রনিক্স ও কম্পিউটার বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট (আইইসিএস), তেজস্ক্রিয় খনিজ ইউনিট (এনএমইউ), সেন্ট্রাল ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাসিলিটিজ (সিইএফ); তথ্য, প্রকাশনা ও জনসংযোগ বিভাগ (আইপিপিআরডি); এইআরই ক্লিনিক, কেন্দ্রীয় প্রশাসন বিভাগ (সিএডি) এবং কেন্দ্রীয় অর্থ ও হিসাব বিভাগ (সিএফএডি)। প্রতিষ্ঠান পরিচালিত গবেষণা কর্মসূচির ফলাফলসমূহ ইতোমধ্যে বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক বলে বিবেচিত হয়েছে। কিছু কিছু বেসরকারি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এসকল ফলাফল বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কাজে লাগানোর ব্যাপারে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ১৯৯৭ সালে পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্যায়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল যার আওতায় প্রতিষ্ঠানে একটি এনার্জি ইউনিট, কেন্দ্রীয় প্রকৌশল ওয়ার্কশপ, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ও একটি ক্যাফেটেরিয়া স্থাপনের কাজ ২০০৭ সালে সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা একজন মহাপরিচালকের অধীনে ৩৬৬ জন কর্মকর্তা এবং প্রায় দুই শতাধিক বিজ্ঞানী কাজ করে যাচ্ছেন। [মিয়া মোহাম্মদ সিরাজুল হক] | ||
''আরও দেখুন'' [[বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন|বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন]]। | |||
''আরও দেখুন'' বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি | |||
[[en:Atomic Energy Research Establishment]] | [[en:Atomic Energy Research Establishment]] |
১০:৪৭, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান (Atomic Energy Research Establishment-AERE) ঢাকা শহরের ৪০ কিমি উত্তর-পশ্চিমে সাভার থানায় অবস্থিত বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের আওতাভুক্ত একটি নিউক্লিয়ার গবেষণা কমপ্লেক্স। এটি কমিশনের সর্ববৃহৎ গবেষণা প্রতিষ্ঠান। স্বাধীনতার পরপর কমিশনে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জনশক্তি এবং অন্যান্য সম্পদ ছিল যথেষ্ট সীমিত। এসময় দক্ষ লোকবল তৈরির লক্ষ্যে একটি গবেষণা কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করা হয়। এ উদ্দেশ্যে ১৯৭৫ সালে সাভার থানার গণকবাড়ী মৌজায় ২৫৯ একর জমি অধিগ্রহণ করে পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হয়। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠান তার নিজস্ব ক্যাম্পাসে কয়েকটি ইনস্টিটিউট ও বিভাগের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এগুলো হচ্ছে: ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (আইএনএসটি), খাদ্য ও বিকীরণ জীববিজ্ঞান ইনস্টিটিউট (আইএফআরবি), ইলেকট্রনিক্স ও কম্পিউটার বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট (আইইসিএস), তেজস্ক্রিয় খনিজ ইউনিট (এনএমইউ), সেন্ট্রাল ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাসিলিটিজ (সিইএফ); তথ্য, প্রকাশনা ও জনসংযোগ বিভাগ (আইপিপিআরডি); এইআরই ক্লিনিক, কেন্দ্রীয় প্রশাসন বিভাগ (সিএডি) এবং কেন্দ্রীয় অর্থ ও হিসাব বিভাগ (সিএফএডি)। প্রতিষ্ঠান পরিচালিত গবেষণা কর্মসূচির ফলাফলসমূহ ইতোমধ্যে বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক বলে বিবেচিত হয়েছে। কিছু কিছু বেসরকারি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এসকল ফলাফল বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কাজে লাগানোর ব্যাপারে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ১৯৯৭ সালে পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্যায়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল যার আওতায় প্রতিষ্ঠানে একটি এনার্জি ইউনিট, কেন্দ্রীয় প্রকৌশল ওয়ার্কশপ, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ও একটি ক্যাফেটেরিয়া স্থাপনের কাজ ২০০৭ সালে সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা একজন মহাপরিচালকের অধীনে ৩৬৬ জন কর্মকর্তা এবং প্রায় দুই শতাধিক বিজ্ঞানী কাজ করে যাচ্ছেন। [মিয়া মোহাম্মদ সিরাজুল হক]
আরও দেখুন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন।