সরকার, নাজমুল হক: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Category:বাংলাপিডিয়া]] | [[Category:বাংলাপিডিয়া]] | ||
'''সরকার, নাজমুল হক '''(১৯৩৭-১৯৭১) আইনজীবী, রাজনীতিক, শহীদ বুদ্ধিজীবী। জন্ম ১৯৩৭ সালে রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার হরিরামপুর গ্রামে। পিতা নবীরউদ্দিন সরকার। নাজমুল হকের শিক্ষা জীবন শুরু হয় গ্রামের স্কুলে। ১৯৫২ সালে কালীদাসখালী স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন এবং ১৯৫৫ সালে রাজশাহী কলেজ থেকে আই.কম পাস করেন। পরে | '''সরকার, নাজমুল হক''' (১৯৩৭-১৯৭১) আইনজীবী, রাজনীতিক, শহীদ বুদ্ধিজীবী। জন্ম ১৯৩৭ সালে রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার হরিরামপুর গ্রামে। পিতা নবীরউদ্দিন সরকার। নাজমুল হকের শিক্ষা জীবন শুরু হয় গ্রামের স্কুলে। ১৯৫২ সালে কালীদাসখালী স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন এবং ১৯৫৫ সালে রাজশাহী কলেজ থেকে আই.কম পাস করেন। পরে বি.এল ডিগ্রি লাভ করে রাজশাহী কোর্টে আইন ব্যবসা শুরু করেন। ১৯৬৬ সালে তিনি ঢাকা হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে যোগ দেন। তিনি পর পর দুবার রাজশাহী বারের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। | ||
[[Image:SarkarNazmulHaque.jpg|thumb|right|400px|নাজমুল হক সরকার]] | |||
আইনপেশার পাশাপাশি নাজমুল হক রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলেন। তিনি রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং পরে সভাপতি নির্বাচিত হন। নাজমুল হক সরকার ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন এবং ১৯৬৯ সালের গণআন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে রাজশাহী-৮ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে পাকিস্তান জাতীয় পরষিদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে অসহযোগ আন্দোলনে তিনি রাজশাহীতে সাংগঠনিক তৎপরতা চালান। ২৫ মার্চ ঢাকাসহ সর্বত্র পাকিস্তানি বাহিনী গণহত্যা শুরু করলে তিনি রাজশাহীতে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। কিন্তু ২৫ মার্চ রাতের পর তাঁর আর খোঁজ পাওয়া যায় নি। | আইনপেশার পাশাপাশি নাজমুল হক রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলেন। তিনি রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং পরে সভাপতি নির্বাচিত হন। নাজমুল হক সরকার ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন এবং ১৯৬৯ সালের গণআন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে রাজশাহী-৮ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে পাকিস্তান জাতীয় পরষিদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে অসহযোগ আন্দোলনে তিনি রাজশাহীতে সাংগঠনিক তৎপরতা চালান। ২৫ মার্চ ঢাকাসহ সর্বত্র পাকিস্তানি বাহিনী গণহত্যা শুরু করলে তিনি রাজশাহীতে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। কিন্তু ২৫ মার্চ রাতের পর তাঁর আর খোঁজ পাওয়া যায় নি। | ||
স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সরকার রাজশাহী জেলার কাদিরগঞ্জে তার নামে শহীদ নাজমুল হক উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে। ১৯৯৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বাংলাদেশ সরকারের ডাকবিভাগ শহীদ নাজমুল হক সরকারের নামে স্মারক ডাকটিকিট এবং সংক্ষিপ্ত জীবনী প্রকাশ করে। [আবু মো. দেলোয়ার হোসেন] | |||
স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সরকার রাজশাহী জেলার কাদিরগঞ্জে তার নামে শহীদ নাজমুল হক উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে। ১৯৯৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বাংলাদেশ সরকারের ডাকবিভাগ শহীদ নাজমুল হক সরকারের নামে স্মারক ডাকটিকিট এবং সংক্ষিপ্ত জীবনী প্রকাশ করে। [আবু মো. দেলোয়ার হোসেন] | |||
[[en:Sarkar, Nazmul Hoque]] | [[en:Sarkar, Nazmul Hoque]] |
০৬:২৪, ১৯ মার্চ ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
সরকার, নাজমুল হক (১৯৩৭-১৯৭১) আইনজীবী, রাজনীতিক, শহীদ বুদ্ধিজীবী। জন্ম ১৯৩৭ সালে রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার হরিরামপুর গ্রামে। পিতা নবীরউদ্দিন সরকার। নাজমুল হকের শিক্ষা জীবন শুরু হয় গ্রামের স্কুলে। ১৯৫২ সালে কালীদাসখালী স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন এবং ১৯৫৫ সালে রাজশাহী কলেজ থেকে আই.কম পাস করেন। পরে বি.এল ডিগ্রি লাভ করে রাজশাহী কোর্টে আইন ব্যবসা শুরু করেন। ১৯৬৬ সালে তিনি ঢাকা হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে যোগ দেন। তিনি পর পর দুবার রাজশাহী বারের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
আইনপেশার পাশাপাশি নাজমুল হক রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলেন। তিনি রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং পরে সভাপতি নির্বাচিত হন। নাজমুল হক সরকার ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন এবং ১৯৬৯ সালের গণআন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে রাজশাহী-৮ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে পাকিস্তান জাতীয় পরষিদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে অসহযোগ আন্দোলনে তিনি রাজশাহীতে সাংগঠনিক তৎপরতা চালান। ২৫ মার্চ ঢাকাসহ সর্বত্র পাকিস্তানি বাহিনী গণহত্যা শুরু করলে তিনি রাজশাহীতে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। কিন্তু ২৫ মার্চ রাতের পর তাঁর আর খোঁজ পাওয়া যায় নি।
স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সরকার রাজশাহী জেলার কাদিরগঞ্জে তার নামে শহীদ নাজমুল হক উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে। ১৯৯৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বাংলাদেশ সরকারের ডাকবিভাগ শহীদ নাজমুল হক সরকারের নামে স্মারক ডাকটিকিট এবং সংক্ষিপ্ত জীবনী প্রকাশ করে। [আবু মো. দেলোয়ার হোসেন]