কামরাঙা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Category:বাংলাপিডিয়া]] | [[Category:বাংলাপিডিয়া]] | ||
[[Image:Carambola.jpg|thumb|400px|right|কামরাঙা ফল]] | [[Image:Carambola.jpg|thumb|400px|right|কামরাঙা ফল]] | ||
'''কামরাঙা''' (Carambola) একজাতীয় টক-মিষ্টি, সুস্বাদু [[গীতগোবিন্দম্|ফল]]। কামরাঙা গাছ Averrhoaceae গোত্রের Averihoa carambola প্রজাতির সদস্য। কামরাঙা ও এর ঘনিষ্ঠ বিলিম্বি (A. bilimbi) সম্ভবত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় (মালয় উপদ্বীপ থেকে ইন্দোনেশিয়া) উৎপন্ন। এটি চীন, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া ও ভারতসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির অন্যতম জনপ্রিয় ফল। বাংলাদেশে বেশির ভাগ কামরাঙা বরিশাল বিভাগে ফললেও ইদানিং অন্যান্য এলাকায়ও এর চাষ বাড়ছে। | '''কামরাঙা''' (Carambola) একজাতীয় টক-মিষ্টি, সুস্বাদু [[গীতগোবিন্দম্|ফল]]। কামরাঙা গাছ Averrhoaceae গোত্রের Averihoa carambola প্রজাতির সদস্য। কামরাঙা ও এর ঘনিষ্ঠ বিলিম্বি (''A. bilimbi'') সম্ভবত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় (মালয় উপদ্বীপ থেকে ইন্দোনেশিয়া) উৎপন্ন। এটি চীন, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া ও ভারতসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির অন্যতম জনপ্রিয় ফল। বাংলাদেশে বেশির ভাগ কামরাঙা বরিশাল বিভাগে ফললেও ইদানিং অন্যান্য এলাকায়ও এর চাষ বাড়ছে। | ||
কামরাঙা গাছ মাঝারি আকারের, প্রায় ১২ মিটার উঁচু, চিরসবুজ, লম্বাটে গড়ন, মাথা ঝোপাল, সুশ্রী, শাখা ঝুলন্ত, পাতা পক্ষ-যৌগিক। চারা লাগানোর ৩-৫ বছরের মধ্যে ফলন শুরু হয়। সাধারণত কচি ডালে বা পুরানো ডালে থোকা থোকা ফুল ফোটে। ফুলগুলি অসমপুংদন্ডধর (heterostylous) এবং গাছ আংশিক স্ববিষমধর্মী (self-incompatible)। বাড়ির আঙিনাতেই সাধারণ কামরাঙা গাছ লাগানো হয়। | কামরাঙা গাছ মাঝারি আকারের, প্রায় ১২ মিটার উঁচু, চিরসবুজ, লম্বাটে গড়ন, মাথা ঝোপাল, সুশ্রী, শাখা ঝুলন্ত, পাতা পক্ষ-যৌগিক। চারা লাগানোর ৩-৫ বছরের মধ্যে ফলন শুরু হয়। সাধারণত কচি ডালে বা পুরানো ডালে থোকা থোকা ফুল ফোটে। ফুলগুলি অসমপুংদন্ডধর (heterostylous) এবং গাছ আংশিক স্ববিষমধর্মী (self-incompatible)। বাড়ির আঙিনাতেই সাধারণ কামরাঙা গাছ লাগানো হয়। | ||
৯ নং লাইন: | ৯ নং লাইন: | ||
বাংলাদেশে দুটি জাত রয়েছে, একটি টক, তাতে পর্যাপ্ত অক্সালিক এসিড থাকায় কাঁচা খাওয়ার অযোগ্য, তবে জ্যাম, জেলি, আচার ও শরবৎ তৈরি করা যায়; অন্যটি মিষ্টি বা টক-মিষ্টি, তাজা ফল সুস্বাদু। তারকাকৃতি টুকরাগুলি সৌন্দর্যগুণের জন্য ফলের সালাদে ও কেকে ব্যবহার করা হয়। [মোঃ নুরুল আমিন ও এস.এম মনোয়ার হোসেন] | বাংলাদেশে দুটি জাত রয়েছে, একটি টক, তাতে পর্যাপ্ত অক্সালিক এসিড থাকায় কাঁচা খাওয়ার অযোগ্য, তবে জ্যাম, জেলি, আচার ও শরবৎ তৈরি করা যায়; অন্যটি মিষ্টি বা টক-মিষ্টি, তাজা ফল সুস্বাদু। তারকাকৃতি টুকরাগুলি সৌন্দর্যগুণের জন্য ফলের সালাদে ও কেকে ব্যবহার করা হয়। [মোঃ নুরুল আমিন ও এস.এম মনোয়ার হোসেন] | ||
আরও দেখুন [[ফল|ফল]]। | ''আরও দেখুন'' [[ফল|ফল]]। | ||
[[en:Carambola]] | [[en:Carambola]] |
০৬:৩৭, ১০ আগস্ট ২০১৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
কামরাঙা (Carambola) একজাতীয় টক-মিষ্টি, সুস্বাদু ফল। কামরাঙা গাছ Averrhoaceae গোত্রের Averihoa carambola প্রজাতির সদস্য। কামরাঙা ও এর ঘনিষ্ঠ বিলিম্বি (A. bilimbi) সম্ভবত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় (মালয় উপদ্বীপ থেকে ইন্দোনেশিয়া) উৎপন্ন। এটি চীন, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া ও ভারতসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির অন্যতম জনপ্রিয় ফল। বাংলাদেশে বেশির ভাগ কামরাঙা বরিশাল বিভাগে ফললেও ইদানিং অন্যান্য এলাকায়ও এর চাষ বাড়ছে।
কামরাঙা গাছ মাঝারি আকারের, প্রায় ১২ মিটার উঁচু, চিরসবুজ, লম্বাটে গড়ন, মাথা ঝোপাল, সুশ্রী, শাখা ঝুলন্ত, পাতা পক্ষ-যৌগিক। চারা লাগানোর ৩-৫ বছরের মধ্যে ফলন শুরু হয়। সাধারণত কচি ডালে বা পুরানো ডালে থোকা থোকা ফুল ফোটে। ফুলগুলি অসমপুংদন্ডধর (heterostylous) এবং গাছ আংশিক স্ববিষমধর্মী (self-incompatible)। বাড়ির আঙিনাতেই সাধারণ কামরাঙা গাছ লাগানো হয়।
কামরাঙার ফল ডিম্বাকার (৬-১৩ সেমি), তাতে ৫টি লম্বা শিরা, প্রস্থচ্ছেদ তারকাকৃতি, তাই ইংরেজিতে একে স্টারফ্রুটও (star fruit) বলে। ফল হালকা সবুজ থেকে সোনালি, ওপরটা মোমতুল্য। এটি নানা খনিজ পদার্থ এবং এ, বি, ও সি ভিটামিনসমৃদ্ধ। কামরাঙার নানান জাত (গোল্ডেন স্টার, আর্কিন, বি ১-১০, ফুউঙ টুঙ ইত্যাদি) মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, হাওয়াই, ফ্লোরিডা, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ায় চাষ করা হয়।
বাংলাদেশে দুটি জাত রয়েছে, একটি টক, তাতে পর্যাপ্ত অক্সালিক এসিড থাকায় কাঁচা খাওয়ার অযোগ্য, তবে জ্যাম, জেলি, আচার ও শরবৎ তৈরি করা যায়; অন্যটি মিষ্টি বা টক-মিষ্টি, তাজা ফল সুস্বাদু। তারকাকৃতি টুকরাগুলি সৌন্দর্যগুণের জন্য ফলের সালাদে ও কেকে ব্যবহার করা হয়। [মোঃ নুরুল আমিন ও এস.এম মনোয়ার হোসেন]
আরও দেখুন ফল।