চুন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Category:বাংলাপিডিয়া]] | [[Category:বাংলাপিডিয়া]] | ||
'''চুন''' (Lime) সাধারণত ক্যালসিয়ামের কার্বনেট, অক্সাইড ও হাইড্রো অক্সাইডের যৌগসমূহ চুন হিসেবে পরিচিত। চুনাপাথর, চক ইত্যাদির মতো ক্যালসিয়াম কার্বনেট সমৃদ্ধ শিলা বা মণিকই চুনের প্রধান উৎস। ৮২৫০ সে. তাপ প্রয়োগে রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে ক্যালসিয়াম কার্বনেট হতে ক্যালসিয়াম অক্সাইড বা কুইকলাইম (Quick lime) উৎপাদিত হয়। কুইক লাইম আবার পানি সংযোজন বিক্রিয়ার মাধ্যমে হাইড্রেটেড লাইমে (Hydrated lime) পরিণত হয়। শুষ্ক অবস্থায় এটি সাধারণত সাদা বর্ণের গুড়াজাতীয় পদার্থ। বাড়িঘরে চুনাকরণ, প্লাস্টার এবং ব্লিচিং পাউডার তৈরি ছাড়াও এই চুন কৃষিক্ষেতে কৃষিজমির অম্লত্ব হ্রাস এবং খাবার পানির অস্থায়ী ক্ষারত্ব দূরীকরণে ব্যবহূত হয়। অজৈব ক্যালসিয়াম কার্বনেট ছাড়া বিভিন্ন প্রকার ঝিনুকের খোলস হতেও চুন উৎপাদিত হয়। এক্ষেত্রে চুন উৎপাদনের নিমিত্তে ঝিনুকের খোলস সংগ্রহ করে সেগুলোকে পোড়ানো হয়। গুণগত দিক বিচারে জৈবউৎস হতে উৎপাদিত চুন অধিক মানসম্পন্ন। আমাদের দেশের অনেক মানুষ বিশেষ করে বয়স্কদের মাঝে পানের সাথে এই চুন ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে। | '''চুন''' (Lime) সাধারণত ক্যালসিয়ামের কার্বনেট, অক্সাইড ও হাইড্রো অক্সাইডের যৌগসমূহ চুন হিসেবে পরিচিত। চুনাপাথর, চক ইত্যাদির মতো ক্যালসিয়াম কার্বনেট সমৃদ্ধ শিলা বা মণিকই চুনের প্রধান উৎস। ৮২৫০ সে. তাপ প্রয়োগে রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে ক্যালসিয়াম কার্বনেট হতে ক্যালসিয়াম অক্সাইড বা কুইকলাইম (Quick lime) উৎপাদিত হয়। কুইক লাইম আবার পানি সংযোজন বিক্রিয়ার মাধ্যমে হাইড্রেটেড লাইমে (Hydrated lime) পরিণত হয়। শুষ্ক অবস্থায় এটি সাধারণত সাদা বর্ণের গুড়াজাতীয় পদার্থ। বাড়িঘরে চুনাকরণ, প্লাস্টার এবং ব্লিচিং পাউডার তৈরি ছাড়াও এই চুন কৃষিক্ষেতে কৃষিজমির অম্লত্ব হ্রাস এবং খাবার পানির অস্থায়ী ক্ষারত্ব দূরীকরণে ব্যবহূত হয়। অজৈব ক্যালসিয়াম কার্বনেট ছাড়া বিভিন্ন প্রকার ঝিনুকের খোলস হতেও চুন উৎপাদিত হয়। এক্ষেত্রে চুন উৎপাদনের নিমিত্তে ঝিনুকের খোলস সংগ্রহ করে সেগুলোকে পোড়ানো হয়। গুণগত দিক বিচারে জৈবউৎস হতে উৎপাদিত চুন অধিক মানসম্পন্ন। আমাদের দেশের অনেক মানুষ বিশেষ করে বয়স্কদের মাঝে পানের সাথে এই চুন ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে। [সানজিদা মূর্শেদ] | ||
[সানজিদা মূর্শেদ] | |||
[[en:Lime]] | [[en:Lime]] |
০৫:০০, ১৭ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
চুন (Lime) সাধারণত ক্যালসিয়ামের কার্বনেট, অক্সাইড ও হাইড্রো অক্সাইডের যৌগসমূহ চুন হিসেবে পরিচিত। চুনাপাথর, চক ইত্যাদির মতো ক্যালসিয়াম কার্বনেট সমৃদ্ধ শিলা বা মণিকই চুনের প্রধান উৎস। ৮২৫০ সে. তাপ প্রয়োগে রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে ক্যালসিয়াম কার্বনেট হতে ক্যালসিয়াম অক্সাইড বা কুইকলাইম (Quick lime) উৎপাদিত হয়। কুইক লাইম আবার পানি সংযোজন বিক্রিয়ার মাধ্যমে হাইড্রেটেড লাইমে (Hydrated lime) পরিণত হয়। শুষ্ক অবস্থায় এটি সাধারণত সাদা বর্ণের গুড়াজাতীয় পদার্থ। বাড়িঘরে চুনাকরণ, প্লাস্টার এবং ব্লিচিং পাউডার তৈরি ছাড়াও এই চুন কৃষিক্ষেতে কৃষিজমির অম্লত্ব হ্রাস এবং খাবার পানির অস্থায়ী ক্ষারত্ব দূরীকরণে ব্যবহূত হয়। অজৈব ক্যালসিয়াম কার্বনেট ছাড়া বিভিন্ন প্রকার ঝিনুকের খোলস হতেও চুন উৎপাদিত হয়। এক্ষেত্রে চুন উৎপাদনের নিমিত্তে ঝিনুকের খোলস সংগ্রহ করে সেগুলোকে পোড়ানো হয়। গুণগত দিক বিচারে জৈবউৎস হতে উৎপাদিত চুন অধিক মানসম্পন্ন। আমাদের দেশের অনেক মানুষ বিশেষ করে বয়স্কদের মাঝে পানের সাথে এই চুন ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে। [সানজিদা মূর্শেদ]