আলমডাঙ্গা উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১০ নং লাইন: | ১০ নং লাইন: | ||
{| class="table table-bordered table-hover" | {| class="table table-bordered table-hover" | ||
|- | |- | ||
| উপজেলা শহর | | colspan="9" | উপজেলা শহর | ||
|- | |- | ||
| আয়তন(বর্গ কিমি) || মৌজা || লোকসংখ্যা || ঘনত্ব(প্রতি বর্গ কিমি) || শিক্ষার হার (%) | | আয়তন(বর্গ কিমি) || মৌজা || লোকসংখ্যা || ঘনত্ব(প্রতি বর্গ কিমি) || শিক্ষার হার (%) | ||
১৮ নং লাইন: | ১৮ নং লাইন: | ||
{| class="table table-bordered table-hover" | {| class="table table-bordered table-hover" | ||
|- | |- | ||
| ইউনিয়ন | | colspan="9" | ইউনিয়ন | ||
|- | |- | ||
| rowspan="2" | ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড || rowspan="2" | আয়তন (একর) || colspan="2" | লোকসংখ্যা || rowspan="2" | শিক্ষার হার (%) | | rowspan="2" | ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড || rowspan="2" | আয়তন (একর) || colspan="2" | লোকসংখ্যা || rowspan="2" | শিক্ষার হার (%) | ||
৭৪ নং লাইন: | ৭৪ নং লাইন: | ||
''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি'' তিল, সরিষা। | ''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি'' তিল, সরিষা। | ||
''প্রধান ফল- | ''প্রধান ফল-ফলাদি'' আম, কাঁঠাল, পেঁপে, কলা। | ||
''মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার'' মৎস্য ৩, গবাদিপশু ৪, হাঁস-মুরগি ১৭। | ''মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার'' মৎস্য ৩, গবাদিপশু ৪, হাঁস-মুরগি ১৭। |
১১:০৩, ৫ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
আলমডাঙ্গা উপজেলা (চুয়াডাঙ্গা জেলা) আয়তন: ৩৮০.৩৮ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৩°৩৭´ থেকে ২৩°৫০´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮°৪৭´ থেকে ৮৯°০০´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে মিরপুর (কুষ্টিয়া) এবং গাংনী উপজেলা, দক্ষিণে চুয়াডাঙ্গা সদর এবং দামুড়হুদা উপজেলা, পূর্বে হরিণাকুন্ড উপজেলা এবং কুষ্টিয়া সদর উপজেলা, পশ্চিমে মেহেরপুর সদর এবং গাংনী উপজেলা।
জনসংখ্যা ৩০৮৯১৭, পুরুষ ১৫৮৯৫১, মহিলা ১৪৯৯৬৬। মুসলিম ২৯৯৮৭৮, হিন্দু ৮৯১৯, খ্রিস্টান ১১ এবং অন্যান্য ১০৯।
জলাশয় প্রধান নদী: কুমার ও নবগঙ্গা নদী।
প্রশাসন আলমডাঙ্গা থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮২ সালে।
উপজেলা শহর | ||||||||
আয়তন(বর্গ কিমি) | মৌজা | লোকসংখ্যা | ঘনত্ব(প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | ||||
৪৬.৯৭ | ১৪ | ৪২১৪৮ | ৮৯৭ | ৪২.২৬ |
ইউনিয়ন | ||||||||
ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড | আয়তন (একর) | লোকসংখ্যা | শিক্ষার হার (%) | |||||
পুরুষ | মহিলা | |||||||
কালিদাসপুর ৫১ | - | ১০৪৫৮ | ৯৮৮৬ | ৪০.৩৬ | ||||
কুমারী ৮৭ | ৫০১৫ | ৮৮৪১ | ৮২৯০ | ৪২.১৪ | ||||
খাদিমপুর ৭১ | ১২৮৩৯ | ২০২৮৮ | ১৮৫৯৫ | ৪০.৭৬ | ||||
খাসকড়া ৭৯ | ৭১২১ | ১০৮৪৬ | ১০০৭৯ | ৩৫.৫ | ||||
গাংগানি ৩৯ | ৯৯৭৭ | ১০৬২৭ | ১০০৫৩ | ৪০.৯৬ | ||||
জমজমি ৫৫ | ৫৪০৮ | ৮৯০৬ | ৮২২৮ | ৩৭.০৬ | ||||
জেহালা ৬৩ | ৫০৯১ | ৯৬৮৩ | ৮৯৪২ | ৩৯.৩৫ | ||||
ডাউকি ৩১ | ৬০৩১ | ৮৪৭১ | ৮৪৬৫ | ৩৫.৫৮ | ||||
নাগদহ ৯৪ | ১১৮৬৭ | ১৪৬৩৬ | ১৩৮৭২ | ৩২.০১ | ||||
বরাদি ১৫ | ৫৩০৩ | ৮৭২৩ | ৮২৫৭ | ৩৪.২৬ | ||||
বেলগাছি ১৩ | ৪৬৭১ | ৭১৩৪ | ৭১৫২ | ৩৬.৯২ | ||||
ভাঙ্গাবাড়ীয়া ২৩ | ৬৯২৪ | ১২৬৮২ | ১১৭৪৮ | ৩৯.১৬ | ||||
হারদি ৪৭ | ৬৪৩৯ | ১৩৯২২ | ১৩০৯৩ | ৩৭.৭০ |
সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ ঘোলদাড়ি মসজিদ (নাগদহ), তিয়রবিলা মসজিদ (খাসকড়া), জমজমি মসজিদ, বাদেমাজু মসজিদ, সোনাতনপুর মন্দির, ঘোলদাড়ি নীলকুঠি।
ঐতিহাসিক ঘটনাবলি আঠারো শতকে আলমডাঙ্গায় কৃষকরা নীলচাষের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। মহেশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কৃষকদের সংঘবদ্ধ করে সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে নীলকরদের প্রতিহত করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় এ উপজেলার বালিয়াপুর ও বেনাগাড়ি গ্রামের সীমান্তে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পাকবাহিনীর সম্মুখ লড়াইয়ে বেশসংখ্যক পাকসেনা ও রাজাকার হতাহত হয়।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন গণকবর ১ (আলমডাঙ্গা রেলস্টেশনের পাশে জি কে খালের তীরে)।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ২২৮, মন্দির ৪, গির্জা ৪।
শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৩৯.৯৬%; পুরুষ ৪২.৯২%, মহিলা ৩৬.৮৩%। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: আলমডাঙ্গা কলেজ (১৯৬৫), এম এস জোহা ডিগ্রি কলেজ (১৯৯৪), আলমডাঙ্গা বহুমুখী (পাইলট) মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯১৪), হাটবোয়ালিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯২৫), মুন্সিগঞ্জ একাডেমি (১৯৪৪)।
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান লাইব্রেরি ২, ক্লাব ১৮, নাট্যদল ৭, সিনেমা হল ৭।
জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৪১.৭৬%, কৃষি শ্রমিক ২৭.৩৫%, অকৃষি শ্রমিক ২.৮৮%, শিল্প ০.৮৪%, ব্যবসা ১২.৫৪%, চাকরি ৩.৭৮%, মৎস্য ০.৪৮%, নির্মাণ ০.৮৭%, ধর্মীয় সেবা ০.১৭%, রেন্ট আন্ড রেমিটেন্স ০.৪৩%, পরিবহন ও যোগাযোগ ২.৮৯% এবং অন্যান্য ৬.০১%।
কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৬২.৪৪%, ভূমিহীন ৩৭.৫৬%। শহরে ৫০.১২% এবং গ্রামে ৬৫.৯৩% পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে।
প্রধান কৃষি ফসল ধান, পাট, গম, আখ, ডাল, আলু, ভুট্টা, ছোলা, তামাক, সুপারি, পান।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি তিল, সরিষা।
প্রধান ফল-ফলাদি আম, কাঁঠাল, পেঁপে, কলা।
মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার মৎস্য ৩, গবাদিপশু ৪, হাঁস-মুরগি ১৭।
যোগাযোগ বিশেষত্ব পাকারাস্তা ৫৮.৪০ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ৪৫.৫০ কিমি, কাঁচারাস্তা ৩৫৯.৫০ কিমি; রেলপথ ২২ কিমি।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পালকি, ঘোড়ার গাড়ি।
শিল্প ও কলকারখানা চিনিকল, ময়দাকল, ধানকল, চিড়াকল, করাতকল, বরফকল প্রভৃতি।
কুটিরশিল্প তাঁতশিল্প, লৌহশিল্প, মৃৎশিল্প, বাঁশের কাজ, বেতের কাজ প্রভৃতি।
হাটবাজার, মেলা হাটবাজার ২৪, মেলা ২। মুন্সিগঞ্জ হাট, আলমডাঙ্গা হাট, আসমানখালি হাট, গোকুলখালি হাট ও বোয়ালিয়া হাট এবং বাউল মেলা ও পৌষ সংক্রান্তির মেলা উল্লেখযোগ্য।
প্রধান রপ্তানি দ্রব্য তামাক, পান, সুপারি, পাট।
বিদ্যুৎ ব্যবহার এ উপজেলার সবক’টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ২৯.১৫% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৯২.৭৩%, পুকুর ০.০৭%, ট্যাপ ০.৫৬% এবং অন্যান্য ৬.৬৪%। এ উপজেলার নলকুপের পানিতে আর্সেনিকের মাত্রা ৩৪.৯৪%, যা স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে ৩৪.৮৯% বেশি। ফলে এ উপজেলার অনেকে চর্ম রোগসহ অনেক জটিল রোগে ভুগছে।
স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ উপজেলার ২০.৭৬% (গ্রামে ১৬.৪০% এবং শহরে ৩৬.১০%) পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৩৯.৩৭% (গ্রামে ৪০.০৩% এবং শহরে ৩৭.০৪%) পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ৩৯.৮৭% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১,স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ১৪।
এনজিও ব্র্যাক, আশা, কেয়ার, ওয়েভ ফাউন্ডেশন, সজাগ, সৃজনী। [ফয়সাল কিবরিয়া]
তথ্যসূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১,বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; আলমডাঙ্গা উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।