ব্ল্যাক কোয়ার্টার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
("'''ব্ল্যাক কোয়ার্টার''' (Black Quarter) এ রোগটির সমনাম হলো ব্ল্যাকল..." দিয়ে পাতা তৈরি) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
'''ব্ল্যাক কোয়ার্টার''' (Black Quarter) এ রোগটির সমনাম হলো ব্ল্যাকলেগ এবং বাংলায় বাদলা। বাংলাদেশে বৃষ্টি বাদলার সময় এ রোগটি বেশি দেখা যায় বলে রোগটিকে বাদলা রোগ বলে। এটি একটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ। সাধারণত ৬ মাস থেকে ২ বৎসর বয়স পর্যন্ত গরুতে এ রোগ বেশি দেখা যায়। এ রোগে পা ও গলার মাংসপেশী বেশি আক্রান্ত হয়। সারা পৃথিবীতে এ রোগের প্রার্দূভাব দেখা যায়। | '''ব্ল্যাক কোয়ার্টার''' (Black Quarter) এ রোগটির সমনাম হলো ব্ল্যাকলেগ এবং বাংলায় বাদলা। বাংলাদেশে বৃষ্টি বাদলার সময় এ রোগটি বেশি দেখা যায় বলে রোগটিকে বাদলা রোগ বলে। এটি একটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ। সাধারণত ৬ মাস থেকে ২ বৎসর বয়স পর্যন্ত গরুতে এ রোগ বেশি দেখা যায়। এ রোগে পা ও গলার মাংসপেশী বেশি আক্রান্ত হয়। সারা পৃথিবীতে এ রোগের প্রার্দূভাব দেখা যায়। | ||
''রোগের কারণ'' ক্লসট্রিডিয়াম সোভিয়াই (''Clostridium chauvoei'') নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা গবাদি পশুতে এ রোগের সংক্রমণ হয়ে থাকে। এ রোগের জীবাণু মাটি, পানি এবং জীবিত ও মৃত প্রাণীর অন্ত্রে পাওয়া যায়। এ রোগের জীবাণু অ্যানঅ্যারোবিক, খাদ্য বা ক্ষত স্থানের মাধ্যমে দেহে প্রবেশ করে এবং রোগ বিস্তার করে। বাংলাদেশে গ্রীষ্ম ও বসন্তকালে এ রোগ বেশী দেখা যায়। | |||
''রোগের লক্ষণ'' আক্রান্ত প্রাণী কোনো লক্ষণ ছাড়াই মারা যেতে পারে। এছাড়া আক্রান্ত প্রাণীর ৪১-৪৩<sup>০</sup> সে জ¦র থাকবে। এছাড়া ক্ষুধামন্দা, অবসাদ ও হাঁটাচলা বন্ধ হয়ে যাবে। আক্রান্ত স্থান ফুলে যাবে, চাপ দিলে পচ্পচ্ শব্দ হবে, কিছুটা গরম ও ব্যথা অনুভুত হবে। পেটে গ্যাস জমতে থাকবে এবং শ্বাসকষ্ট হবে। আক্রান্ত ভেড়ার দেহে ক্ষত পাওয়া যাবে। | |||
''রোগনির্ণয়'' রোগের লক্ষণ দেখে, বিশেষ করে আক্রান্ত মাংসপেশীর মধ্যে গ্যাস অনুভব করে সহজে এ রোগ সনাক্ত করা যায়। আক্রান্ত মাংসপেশীর নমুনা গবেষণাগারে পরীক্ষা করে এবং পিসিআর পরীক্ষার মাধ্যমে এ রোগের জীবাণু সনাক্ত করা যায়। চিকিৎসা না পেলে অল্প সময়ে প্রাণীটি মারা যেতে পারে। | ''রোগনির্ণয়'' রোগের লক্ষণ দেখে, বিশেষ করে আক্রান্ত মাংসপেশীর মধ্যে গ্যাস অনুভব করে সহজে এ রোগ সনাক্ত করা যায়। আক্রান্ত মাংসপেশীর নমুনা গবেষণাগারে পরীক্ষা করে এবং পিসিআর পরীক্ষার মাধ্যমে এ রোগের জীবাণু সনাক্ত করা যায়। চিকিৎসা না পেলে অল্প সময়ে প্রাণীটি মারা যেতে পারে। | ||
''চিকিৎসা'' প্রাণী চিকিৎসকের পরামর্শ মতো এন্টিবায়োটিক দ্বারা চিকিৎসা করতে হবে। এ ছাড়া এ্যান্টিসিরা দিয়েও এ রোগের চিকিৎসা করা যেতে পারে। পেটে গ্যাস বেশি জমা হলে রুমেনট্রকার ও ক্যনুলা দিয়ে ছিদ্র করে গ্যাস বের করে দিতে হবে। | |||
''প্রতিরোধ'' সংবেদনশীল প্রাণীকে প্রতি ৬ মাস পরপর এ রোগের টিকা দিতে হবে। সংক্রামিত এলাকার সকল সংবেদনশীল প্রাণীকে টিকা এবং প্রাণীচিকিৎসকের পরামর্শ মতো এন্টিবায়োটিক দেয়া যেতে পারে। সংক্রামিত চারণভূমিতে প্রাণী চারণ বন্ধ করতে হবে। ভেড়ার পশম কাটার ১ মাস আগে এ রোগের টিকা দিলে রোগের সম্ভাবনা কম থাকে। আক্রান্ত মৃত প্রাণী বিজ্ঞানসম্মতভাবে মাটিতে পুঁতে রাখতে হবে। [মো. গিয়াসউদ্দিন] | |||
[[en:Black Quarter]] | [[en:Black Quarter]] |
১৫:০৮, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
ব্ল্যাক কোয়ার্টার (Black Quarter) এ রোগটির সমনাম হলো ব্ল্যাকলেগ এবং বাংলায় বাদলা। বাংলাদেশে বৃষ্টি বাদলার সময় এ রোগটি বেশি দেখা যায় বলে রোগটিকে বাদলা রোগ বলে। এটি একটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ। সাধারণত ৬ মাস থেকে ২ বৎসর বয়স পর্যন্ত গরুতে এ রোগ বেশি দেখা যায়। এ রোগে পা ও গলার মাংসপেশী বেশি আক্রান্ত হয়। সারা পৃথিবীতে এ রোগের প্রার্দূভাব দেখা যায়।
রোগের কারণ ক্লসট্রিডিয়াম সোভিয়াই (Clostridium chauvoei) নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা গবাদি পশুতে এ রোগের সংক্রমণ হয়ে থাকে। এ রোগের জীবাণু মাটি, পানি এবং জীবিত ও মৃত প্রাণীর অন্ত্রে পাওয়া যায়। এ রোগের জীবাণু অ্যানঅ্যারোবিক, খাদ্য বা ক্ষত স্থানের মাধ্যমে দেহে প্রবেশ করে এবং রোগ বিস্তার করে। বাংলাদেশে গ্রীষ্ম ও বসন্তকালে এ রোগ বেশী দেখা যায়।
রোগের লক্ষণ আক্রান্ত প্রাণী কোনো লক্ষণ ছাড়াই মারা যেতে পারে। এছাড়া আক্রান্ত প্রাণীর ৪১-৪৩০ সে জ¦র থাকবে। এছাড়া ক্ষুধামন্দা, অবসাদ ও হাঁটাচলা বন্ধ হয়ে যাবে। আক্রান্ত স্থান ফুলে যাবে, চাপ দিলে পচ্পচ্ শব্দ হবে, কিছুটা গরম ও ব্যথা অনুভুত হবে। পেটে গ্যাস জমতে থাকবে এবং শ্বাসকষ্ট হবে। আক্রান্ত ভেড়ার দেহে ক্ষত পাওয়া যাবে।
রোগনির্ণয় রোগের লক্ষণ দেখে, বিশেষ করে আক্রান্ত মাংসপেশীর মধ্যে গ্যাস অনুভব করে সহজে এ রোগ সনাক্ত করা যায়। আক্রান্ত মাংসপেশীর নমুনা গবেষণাগারে পরীক্ষা করে এবং পিসিআর পরীক্ষার মাধ্যমে এ রোগের জীবাণু সনাক্ত করা যায়। চিকিৎসা না পেলে অল্প সময়ে প্রাণীটি মারা যেতে পারে।
চিকিৎসা প্রাণী চিকিৎসকের পরামর্শ মতো এন্টিবায়োটিক দ্বারা চিকিৎসা করতে হবে। এ ছাড়া এ্যান্টিসিরা দিয়েও এ রোগের চিকিৎসা করা যেতে পারে। পেটে গ্যাস বেশি জমা হলে রুমেনট্রকার ও ক্যনুলা দিয়ে ছিদ্র করে গ্যাস বের করে দিতে হবে।
প্রতিরোধ সংবেদনশীল প্রাণীকে প্রতি ৬ মাস পরপর এ রোগের টিকা দিতে হবে। সংক্রামিত এলাকার সকল সংবেদনশীল প্রাণীকে টিকা এবং প্রাণীচিকিৎসকের পরামর্শ মতো এন্টিবায়োটিক দেয়া যেতে পারে। সংক্রামিত চারণভূমিতে প্রাণী চারণ বন্ধ করতে হবে। ভেড়ার পশম কাটার ১ মাস আগে এ রোগের টিকা দিলে রোগের সম্ভাবনা কম থাকে। আক্রান্ত মৃত প্রাণী বিজ্ঞানসম্মতভাবে মাটিতে পুঁতে রাখতে হবে। [মো. গিয়াসউদ্দিন]