কুল বা বরই: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
৭ নং লাইন: | ৭ নং লাইন: | ||
''নারিকেলী কুল'' ফল লম্বাটে ও মাকু আকৃতির, অগ্রভাগ বেশ সুঁচালো, বীজ লম্বাটে ও ছোট, শাঁসের পরিমাণ বেশি। শাঁস বেশ মিষ্টি বা অম্লমধুর ও সুস্বাদু। সাতক্ষীরা, রাজশাহী ও তার আশেপাশের এলাকায় এ কুল বেশি জন্মাতে দেখা যায়। | ''নারিকেলী কুল'' ফল লম্বাটে ও মাকু আকৃতির, অগ্রভাগ বেশ সুঁচালো, বীজ লম্বাটে ও ছোট, শাঁসের পরিমাণ বেশি। শাঁস বেশ মিষ্টি বা অম্লমধুর ও সুস্বাদু। সাতক্ষীরা, রাজশাহী ও তার আশেপাশের এলাকায় এ কুল বেশি জন্মাতে দেখা যায়। | ||
[[Image:Jujube1.jpg|thumb|400px|left|এফটিআইপি বাউকুল-১]] | |||
[[Image:Jujube1.jpg|thumb|400px| | [[Image:Jujube2.jpg|thumb|400px|right|এফটিআইপি বাউকুল-২]] | ||
[[Image:Jujube3.jpg|thumb|400px|left|আপেল কুল]] | |||
[[Image:Jujube3.jpg|thumb|400px|right|দেশীয় কুল]] | |||
''কুমিল্লা কুল'' কুমিল্লা জেলায় কচুয়া, বরুড়া ও চান্দিনা উপজেলা ও তার পার্শ্ববতী এলাকায় এ কুল বেশি জন্মে। স্থানীয় ভাষায় একে ডাবা কুলও বলা হয়। এ কুল দেখতে অনেকটা ডাবের মত ডিম্বাকার, মিষ্টি, বেশ আকর্ষণীয়। | ''কুমিল্লা কুল'' কুমিল্লা জেলায় কচুয়া, বরুড়া ও চান্দিনা উপজেলা ও তার পার্শ্ববতী এলাকায় এ কুল বেশি জন্মে। স্থানীয় ভাষায় একে ডাবা কুলও বলা হয়। এ কুল দেখতে অনেকটা ডাবের মত ডিম্বাকার, মিষ্টি, বেশ আকর্ষণীয়। |
১৬:০৭, ১ আগস্ট ২০২১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
কুল বা বরই (Jujube or Ber) কুল বাংলাদেশের একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ফল। আকারে ছোট হলেও অম্লমধুর স্বাদের জন্য প্রায় সব বয়সের মানুষই কুল পছন্দ করে। কুল খাদ্য হিসাবে অত্যন্ত সমৃদ্ধ। বিভিন্ন খনিজদ্রব্য এবং ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি এর একটি ভাল উৎস হচ্ছে কুল। ভারতের উত্তরাঞ্চল, চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও মালয়েশিয়ার মধ্যবর্তী এলাকা কুলের আদি জন্মস্থান। আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার শুষ্ক এলাকায় কুলের চাষ হয।
কুল সাধারণত পাকা ও টাটকা অবস্থায় খাওয়া হয়। কুলের জাত ও পরিপক্কতার বিচারে এর খাদ্যমানের কিছুটা তারতম্য হওয়া অস্বাভাবিক নয়। কুলে সাধারণত শতকরা ৮৫.৯ ভাগ পানি, ০.৮ ভাগ আমিষ, ০.১ ভাগ স্নেহ, ১২.৮ ভাগ শর্করা, ০.০৩ ভাগ ক্যালসিয়াম, ০.০৩ ভাগ ফসফরাস ও ০.৮ ভাগ লৌহ রয়েছে। প্রতি ১০০ গ্রাম শাঁসে ৫৫ ক্যালোরি শক্তি, ৭০ আই.ইউ.ক্যারোটিন ও ৫০-১৫০ মিগ্রা.ভিটামিন সি বিদ্যমান। কুল শুকিয়েও পরবর্তীতে ব্যবহারের জন্য ঘরে রেখে দেয়া যায়। কুলের ফল দিয়ে মুখরোচক চাটনী, আচার, মোরাব্বা, শরবত ও জেলী তৈরি করা যায়। তাছাড়া আয়ুর্বেদ চিকিৎসাশাস্ত্রে কুলের বহুবিধ ব্যবহারের উলেখ রয়েছে। কুল গাছে Tachardia laccad নামক এক প্রকার অতি ক্ষুদ্র পোকা লালন করে গালা (Lac) তৈরি করা যায়।
প্রজাতি ও জাত কুল Zizyphus গণের অন্তর্ভুক্ত। এ গণের প্রায় ৪০টি প্রজাতি রয়েছে, তবে Zizyphus mauritinana ও Z. jujuba প্রজাতি দু’টিই বেশি চাষ হয়। প্রথমটিকে Indian jujube বা ভারতীয় কুল ও দ্বিতীয়টিকে চীনা কুল (Chinese jujube) বলা হয়। বাংলাদেশ যেসব কুলের চাষ হয় তা Z. mauritinana প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত। বাংলাদেশে নামকরা কুলের জাত বাউ কুল ১, ২; বারী কুল ১, ২, ৩ ও স্থানীয় জাত সবজী, আপেল, নারিকেলী কুল ইত্যাদি।
নারিকেলী কুল ফল লম্বাটে ও মাকু আকৃতির, অগ্রভাগ বেশ সুঁচালো, বীজ লম্বাটে ও ছোট, শাঁসের পরিমাণ বেশি। শাঁস বেশ মিষ্টি বা অম্লমধুর ও সুস্বাদু। সাতক্ষীরা, রাজশাহী ও তার আশেপাশের এলাকায় এ কুল বেশি জন্মাতে দেখা যায়।
কুমিল্লা কুল কুমিল্লা জেলায় কচুয়া, বরুড়া ও চান্দিনা উপজেলা ও তার পার্শ্ববতী এলাকায় এ কুল বেশি জন্মে। স্থানীয় ভাষায় একে ডাবা কুলও বলা হয়। এ কুল দেখতে অনেকটা ডাবের মত ডিম্বাকার, মিষ্টি, বেশ আকর্ষণীয়।
এফটিআইপি বাউকুল-১ বর্তমানে সারা জাগানো জাত। বাংলাদেশের সর্বত্র এটার চাষ হচ্ছে। অধিক লবনাক্ত জায়গা যেমন-মংলা, শরনখোলা, মোড়লগঞ্জ সহ দক্ষিণাঞ্চল; বালু জায়গা যেমন- সেন্টমার্টিন ও সোনাদিয়া দ্বীপ, টেকনাফ, কক্সবাজার, মংলা, আবার পাহাড়ী এলাকা যেমন- রাংঙ্গামাটি সর্বত্র এটার চাষ হচ্ছে। বাউ জার্মপ্লাজম সেন্টার, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হতে অবমুক্ত জাত। প্রতিটি ফলের ওজন ৯০-২০০ গ্রাম। সাধারণ কুলের মিষ্টতা সাধারণত ১৫-২০ এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে কিন্তু বাউকুল-১ এর মিষ্টতা ১৮-২১। প্রতি ১০০ গ্রাম বাউকুল-১ এর বীজের ওজন ৩-৫ গ্রাম। ফলে ৯৫-৯৭ ভাগ অংশ আমরা খেতে পারি। গাছ মোটামুটি কন্টকবীহিন। দ্রুত ফলনশীল, লাগানোর ৪-৫ মাসেই কাঙ্খিত ফল উৎপাদন হয়ে থাকে।
’’এফটিআইপি বাউ কুল-২ (শাহ কুল)’’ বাউ জার্মপ্লাজম সেন্টার, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হতে অবমুক্ত জাত। প্রতিটি ফলের ওজন ৯০-২০০ গ্রাম। সাধারন কুলের মিষ্টতা সাধারণত ১৩-১৮ মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। তবে বাউ কুল-২ এর মিষ্টতা ১৯-২৫। বীজ খুব ছোট। এটি একটি বামন জাতের গাছ। এ ফলের শাঁস মচমচে এবং মিষ্টি।
’’আপেল কুল’’ আপেল সদৃশ দৃষ্টিনন্দন সৌন্দর্য সুষমা; খেতে মচমচে ও কষহীন; প্রচুর ফলনশীল ও দ্রুতবর্ধনশীল; বোটা শক্ত তাই সহজে ঝরে পড়ে না। কুলগাছ অত্যন্ত কষ্টসহিষ্ণু এবং এর পরিবেশিক উপযোগীতা খুবই ব্যাপক। সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে ১০০০ মিটার উঁচু জমিতেও কুল জন্মানো যায়। কুল গাছ প্রচন্ড খরাও সহ্য করতে পারে। এর জন্য তেমন বৃষ্টিপাতের প্রয়োজন হয় না। সাধারণত শুষ্ক ও উষ্ণ জলবায়ু কুল চাষের জন্য সর্বোত্তম। এতে কুলের ফলন ও গুনাগুন দুই’ই ভাল হয় অতিরিক্ত আর্দ্রতা কুল চাষের জন্য ভাল নয়। যে কোন ধরনের মাটিতেই কুলের চাষ করা যায় ও সন্তোষজনক ফলন হয়। লবণাক্ততা ও জলাবদ্ধতা উভয়ই সহ্য করতে পারে। তবে ভারী ও সামান্য ক্ষারযুক্ত বেলে দোঁআশ মাটি কুলের জন্য সর্বোত্তম।
যৌন ও অযৌন উভয় পদ্ধতিতেই কুলের বংশবিস্তার করা যায়। বীজের সাহয্যে বংশবিস্তারের জন্য বীজকে ভিজা গরম বালির ভিতর দেড় থেকে দুই মাস রেখে দিলে (stratification) বীজের অঙ্কুরোদগম ত্বরাম্বিত হয়। বীজের আবরণ শক্ত হওয়ায় সাধারণভাবে বীজের অঙ্কুরোদগম হতে ৬-৮ সপ্তাহ সময় লাগে। কুঁড়ি সংযোজন বা জোড় কলমের মাধ্যমে বংশবিস্তার করতে হলে নির্বাচিত স্থানে বীজ বপন ও চারা তৈরি করে তার উপর কুঁড়ি বা শাখা সংযোজন করাই শ্রেয়। বর্তমানে কুলের জন্য সবচেয়ে উপযোগী ও প্রচলিত বংশবিস্তার পদ্ধতি হলো ক্লেফ্ট গ্রাফটিং ও চোখ কলম (রহিম, ২০০৮)।
চাষ পদ্ধতি কুল সারা বছরই লাগানো যায়। তবে বর্ষামৌসুমে লাগানো উত্তম। গভীর দোঁআশ বা উর্বর মাটি কুল চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। জমি ভাল ভাবে চাষ করে ৩ মি. দূরে দূরে ৭৫-১০০ সে.মি আকারে গর্ত করতে হয়।
সার ব্যবস্থাপনা কুল এর কলম চারা রোপন করার ১৫/২০ দিন পূর্বে গর্তে ২০-৩০ কেজি গোবর, ১৫০ গ্রাম টি.এস.পি, ১৫০ গ্রাম পটাশ এবং ১০০ গ্রাম ইউরিয়া সার ও ১০০-২০০ গ্রাম পঁচা খৈল প্রয়োগ করতে হবে। তবে মাটি খুব উর্বর হলে রাসায়নিক সার দেওয়ার দরকার হয় না । রোপনের বছর বর্ষার আগে ও পরে গাছ প্রতি ৫০ গ্রাম করে পটাশ ও টি.এস.পি সার এবং ২০ গ্রাম ইউরিয়া সার ও ১৫-২০ কেজি পচা গোবর এবং ১০০ গ্রাম পচা খৈল প্রয়োগ করতে হবে। তবে গাছের বয়স বাড়ার সাথে সাথে সার প্রয়োগের পরিমানও বাড়াতে হবে। একটি পূর্ণ বয়স্ক গাছে ৩০-৪০ কেজি পচা গোবর সার, ৫০০-৬০০ গ্রাম করে পটাশ ও টি.এস.পি সার এবং ৪০০ গ্রাম ইউরিয়া সার ও ২০০-২৫০ পচা খৈল প্রয়োগ করতে হয়। গাছে সার প্রয়োগের সময় খেয়াল রাখতে হবে যে, দুপুর বেলায় গাছ যে জায়গা জুড়ে ছায়া প্রদান করে সে পরিমান জায়গা কোদাল দিয়ে ভাল করে গাছের গোড়া থেকে ৫০ সে.মি. দূরে সার ছিটিয়ে প্রয়োগ করে কোদাল দিয়ে মাটি কুপিয়ে ভাল ভাবে নাড়াচাড়া করে দিতে হবে।
সেচ ও নিকাশ প্রতিবার সার প্রয়োগের সময় সার মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে দিয়ে সেচ প্রয়োগ করতে হয়। এছাড়া বর্ষাকালে পানি নিকাশ ও খরা মৌসুমে নিয়মিত সেচ প্রদান করা দরকার।
অন্যান্য পরিচর্যা কুলগাছের সাধারণত নতুন গজানো চলতি বছরের প্রশাখায় ফল ধরে, তাই কুলগাছের বৃদ্ধি ও পরিমিত ফল ধারনের জন্য অঙ্গ ছাঁটাই একটি অতীব জরুরী ও অত্যাবশ্যক কাজ। সময়মত ও সঠিক জায়গায় ছাঁটাই না করলে বাগান নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কলম চারা মাটিতে লাগানোর পর লক্ষ্য রাখতে হবে যেন কলম চারার জোড়াকৃত অংশের নীচে কোন ডালপালা না গজায় অর্থাৎ জোড়াকৃত অংশের নীচের অপ্রয়োজনীয় ডাল সবসময় কেটে পরিষ্কার করে রাখতে হবে। মার্চের শেষের দিকে ৪-৫ ফুট উচ্চাতায় মূল কান্ড রেখে বাকী ডাল কেটে ফেলতে হবে। কাটা অংশটিতে আলকাতরা দিয়ে দিতে হবে। এরপর কর্তিত গাছে প্রচুর পরিমান নতুন কুঁশি বের হবে। এরপর মাটি থেকে ২-৩ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত নতুন কুঁশি কেটে দিতে হবে। এতে উপরের অংশের শাখা-প্রশাখা ছাতার মতো আকার ধারণ করবে ও ঝাঁকড়া হবে। ফলন্ত গাছের বেলায় প্রতি বছর মৌসুমী ফল সংগ্রহের পর ফল ধারনকারী ডাল সমূহ গোড়ার দিকে ৪০-৫০ সে.মি. রেখে কেটে ফেলতে হবে। তবে কুলচাষে ভাল ভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে, যেন কুল বাগানের মধ্যে বা আশেপাশে কোন জংলী বরই না থাকে। কেননা এগুলো পাউডারী মিলডিউ রোগের জীবানু ও ফলের মাছি পোকার পোষক হিসাবে কাজ করে।
টব/অর্ধড্রামে বাউকুল চাষ মাটির তৈরী টব অথবা অর্ধ ড্রামে বাউকুল এর চাষ সফল ভাবে করা যেতে পারে। এজন্য সমপরিমান মাটি ও পচা গোবর সার (অর্ধেক মাটি + অর্ধেক পচা গোবর সার) ভালোভাবে মিশিয়ে টব/ অর্ধড্রামে নিয়ে চারা কলম লাগাতে হবে। এ জন্য কোন রাসায়নিক সার দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে গাছের নতুন কচি পাতা বের হয়ে তা পরিপক্ক হওয়ার পর ২-৩টি ট্যাবলেট জাতীয় সার (সিলভার ম্যাক্স/সিলভামিক্স ফোর্ট) গাছের গোড়া থেকে ৫-৭সে.মি. দূরে মাটির ৫-৭সে.মি. গভীরে পুঁতে দিতে হবে। টব/অর্ধ ড্রামকৃত গাছে প্রয়োজন অনুসারে নিয়মিত সেচ ও নিকাশের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
পোকামাকড় ও রোগবালাই কুলগাছে সাধারণত ফলের মাছি পোকা, শুঁয়া কীড়া শাঁসালো ও পাকা কুলের শাঁসের মধ্যে ঢুকে শাঁস খেতে খেতে আঁটি পর্যন্ত পৌছে যায়। অনেক সময় আক্রান্ত ফল পচে যায়। শুঁয়া পোকা কচি পাতা থেকে শুরু করে বয়স্ক পাতা খেয়ে অনেক সময় গাছকে নিস্পত্র করে ফেলে। লাক্ষা পোকা কচি বিটপে প্রথমে আক্রান্ত করে। পরবর্তীতে সাদাটে লাল পোকা (লাক্ষা) গুলো দ্বারা শাখা-প্রশাখা আক্রান্ত হয়ে শুকাতে থাকে। উপরোক্ত এ পোকাগুলো দমনের জন্য ডাইমেক্রন/ডেসিস/সিমবুশ প্রতি ১০ লিটার পানিতে ২৫ মিলি প্রয়োগ করে সহজেই দমন করা যায়।
এছাড়া কুলগাছে সাদা মাছি পোকার আক্রমনও লক্ষ্য করা যায়। এ জন্য ১০ গ্রাম/লিটার হারে ডিটারজেন্ট পাউডার ¯েপ্র করে এ পোকা সহজেই দমন করা যায়। কুল গাছে সাধারণত পাউডারী মিলডিউ ও ফলের পচন রোগ দেখা যায়। এ রোগ দমনের জন্য ১% বোর্দোমিশ্রন বা ডায়থেন এম-৪৫ প্রতি ১০ লিটার পানিতে ৪৫ গ্রাম ভালভাবে মিশিয়ে প্রতি ৭ দিন পরপর ২-৩ বার ¯েপ্র করে এ রোগ দমন করা যায়।
কুলগাছে বর্তমানে যে রোগটি সবচেয়ে মারাত্মক ভাবে আক্রমন লক্ষ্য করা যায়, তা হল- শ্যুটি মোল্ড রোগ অর্থাৎ পাতা ও কান্ডে কালো স্পট পড়ে। এ জন্য ডিটারজেন্ট পাউডার (১০ গ্রাম/লিটার) দিয়ে পাতা ভালো ভাবে ধুয়ে পরিস্কার করে এ রোগ দমন করা যেতে পারে।
আন্তঃফসলের চাষ বাউকুলে সাথে গোল আলু, মিষ্টি আলু, মরিচ, পুইশাক, লাল শাক, রসুন, আদা, হলুদ ইত্যাদি আন্তঃফসল হিসেবে চাষ করা যায়। ফল সংগ্রহের সময় কুলের রং হালকা হলুদ হলে সংগ্রহের উপযোগী হয়। সাধারণত ফুল আসার চার থেকে পাঁচ মাস পর সংগ্রহ করা যায়। এক সঙ্গে সব কুল সংগ্রহ না করে, বেছে বেছে পরিপক্ক ফল সংগ্রহ করতে হবে। গাছের বয়স কম হলে হাত দিয়ে যতœসহকারে ফল সংগ্রহ করা উত্তম। ফলন ভাল যতœ করলে ১ বছরের একটি উন্নত বামন বাউকুল-১ জাতের গাছে প্রতি হেক্টরে ৮ থেকে ১২ টন ফলন পাওয়া যায়।
গ্রন্থপঞ্জি এম.এ. রহিম, বাউকুল-১ ফোল্ডার, ফলগাছ উন্নয়ন প্রকল্প, বাকৃবি, এফটিআইপি, ইন্টারকোঅপারেশন, ২০০৮; এম.এ. রহিম, বাউ জার্মপ্লাজম সেন্টার, ফলগাছ উন্নয়ন প্রকল্প কর্তৃক মুক্তায়িত ফলের জাত এর বৈশিষ্ট্য, বুকলেট, ফলগাছ উন্নয়ন প্রকল্প, বাকৃবি, এফটিআইপি, ইন্টারকোঅপারেশন ২০০৮।