পেকুয়া উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
২৩ নং লাইন: | ২৩ নং লাইন: | ||
| colspan="9" | ইউনিয়ন | | colspan="9" | ইউনিয়ন | ||
|- | |- | ||
| rowspan="2" | ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড || rowspan="2" | আয়তন(একর) || | | rowspan="2" | ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড || rowspan="2" | আয়তন(একর) || colspan="2" | লোকসংখ্যা || rowspan="2" | শিক্ষার হার (%) | ||
|- | |- | ||
| পুরুষ || মহিলা | | পুরুষ || মহিলা |
০৮:৪৫, ৮ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
পেকুয়া উপজেলা (কক্সবাজার জেলা) আয়তন: ৩৩০.৪৪ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২১°৪৩´ থেকে ২১°৫৪´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°৫৩´ থেকে ৯২°০২´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে বাঁশখালী উপজেলা, দক্ষিণে মহেশখালী ও চকোরিয়া উপজেলা, পূর্বে চকোরিয়া উপজেলা, পশ্চিমে কুতুবদিয়া চ্যানেল।
জনসংখ্যা ১৪৯৬৫৮; পুরুষ ৭৬৭৭২; মহিলা ৭২৮৮৬। মুসলিম ১৪৮০৮০, হিন্দু ১৪৩২, খ্রিস্টান ১৩৩ এবং অন্যান্য ১৩। এ উপজেলায় মগ, রোয়াই প্রভৃতি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে।
জলাশয় কুতুবদিয়া চ্যানেল ও মাতামুহুরী নদী উল্লেখযোগ্য।
প্রশাসন ২০০২ সালের ২৩ এপ্রিল চকোরিয়া উপজেলার ৭ টি ইউনিয়ন (উজানটিয়া, পেকুয়া, টৈটং, মগনামা, রাজাখালী, বড়বাকিয়া, শিলখালী) নিয়ে পেকুয়া উপজেলা গঠিত হয়।
উপজেলা | ||||||||
পৌরসভা | ইউনিয়ন | মৌজা | গ্রাম | জনসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | ||
শহর | গ্রাম | শহর | গ্রাম | |||||
- | ৭ | ১১ | ১৩২ | - | ১৪৯৬৫৮ | ৪৫২ | - | ২৭.৯৩ |
ইউনিয়ন | ||||||||
ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড | আয়তন(একর) | লোকসংখ্যা | শিক্ষার হার (%) | |||||
পুরুষ | মহিলা | |||||||
উজানটিয়া ৭৮ | ৩৫০৩ | ৪৫৭১ | ৪২৩৭ | ৩৮.১৪ | ||||
পেকুয়া ৮৩ | ৭২৬৬ | ১৭৯৬২ | ১৬৫৬৬ | ২৮.৬৪ | ||||
টৈটং ৯৬ | ২৪৭ | ৯৮২৬ | ১০৩৩৪ | ২১.৩৯ | ||||
বড় বাকিয়া ১১ | ৩৪৪১০ | ১৩৬৩২ | ১৩২৬৯ | ২৬.৫৫ | ||||
মগনামা ৭৮ | ৮৮৭২ | ১৪৯৫৯ | ১৩৮৬৭ | ২৬.৫০ | ||||
রাজাখালী ৮৯ | ৪৩৭০ | ১১৯৮৫ | ১০৮৫৫ | ২০.৮২ | ||||
শিলখালী ১১ | ১৯৪৫০ | ৩৮৩৭ | ৩৭৫৮ | ৩৩.৫২ |
সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ২৫৩, মন্দির ৯, কেয়াং ১।
শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ২৭.৯৩%; পুরুষ ৩০.৮৪%, মহিলা ২৪.৯২%। কলেজ ১, কারিগরি কলেজ ১, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১১, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৪০, স্যাটেলাইট স্কুল ৭, কমিউনিটি স্কুল ৪, এতিমখানা ১৩, মাদ্রাসা ২৬৯। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: পেকুয়া জি.এম.সি ইনস্টিটিউশন (১৯৩৮), শিলখালী উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৬৮), পেকুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯১৮)।
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান লাইব্রেরি ১, ক্লাব ৭৮, মহিলা সমিতি ৫৫, খেলার মাঠ ১।
গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা এ উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্ররয়েছে।
জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৬২.০১%, অকৃষি শ্রমিক ৭.৪২%, শিল্প ০.৬৬%, ব্যবসা ১০.১৮%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ১.১৬%, চাকরি ৪.২৭%, নির্মাণ ০.৪৩%, ধর্মীয় সেবা ০.২১%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ১.৭৪% এবং অন্যান্য ১১.৯২%।
কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৩৭.৮১%, ভূমিহীন ৬২.১৯%।
প্রধান কৃষি ফসল ধান, আলু, সরিষা, মরিচ, আখ, গম, চীনাবাদাম, পান, শাকসবজি।
প্রধান ফল-ফলাদি আম, কাঁঠাল, লিচু, কলা, পেঁপে, আনারস, পেয়ারা, লেবু।
মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার মৎস্য ১৫, গবাদিপশু ৩, হাঁস-মুরগি ১৫।
যোগাযোগ বিশেষত্ব পাকারাস্তা ৮২.৭১ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ৮০ কিমি, কাঁচারাস্তা ২০৫ কিমি। ব্রিজ ৩৭, কালভার্ট ১০৮।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি, ঘোড়ার গাড়ি।
শিল্প ও কলকারখানা ধানকল, করাতকল, লবণ শিল্প, মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প, ছাপাখানা, বেকারি।
কুটিরশিল্প স্বর্ণশিল্প, লৌহশিল্প, কাঠের কাজ।
হাটবাজার ও মেলা হাটবাজার ১৭। রাজাখালী আলেক শাহ বাজার ও পেকুয়া হাট উল্লেখযোগ্য।
প্রধান রপ্তানিদ্রব্য চিংড়ি, লবণ, চীনাবাদাম, মাছ, পান, শাকসবজি।
বিদ্যুৎ ব্যবহার এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৭.৬০% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৯৬.৫৫%, ট্যাপ ০.৬৬%, পুকুর ২.১৩% এবং অন্যান্য ০.৬৬%।
স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ উপজেলার ২৩.৮৫% পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৬৮.০৪% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ৮.১১% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ১, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৩, হাসপাতাল ২।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল ঘূর্ণিঝড় ও সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসে উপজেলার বহু লোকের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে এবং গবাদিপশু ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ১৯৯৭ সালের ১৯ মে প্রলয়ংকরী ঘুর্ণিঝড়ে এ এলাকার সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
এনজিও ব্র্যাক, আশা। [নিলুফার ইয়াসমিন]
তথ্যসূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১; পেকুয়া উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।