শনাক্তকারী ক্ষিতিজ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
৬ নং লাইন: ৬ নং লাইন:
গুরুত্বপূর্ণ অন্তস্তলীয় শনাক্তকারী ক্ষিতিজগুলি হচ্ছে অ্যাগ্রিক, অ্যালবিক, অ্যারজিলিক, ক্যালসিক, ক্যামবিক, গ্লোসিক, জিপসিক, ক্যানডিক, নাট্রিক, অক্সিক, পেট্রোক্যালিক, পেট্রোজিপসিক, প্লাসিক, স্যালিক, সোমব্রিক এবং স্পোডিক  স্তর। শনাক্তকারী ক্ষিতিজ ভেদে বাংলাদেশের সাধারণ মাটি প্রকরণকে কালো টেরাই মাটি (হিওমিক ক্যামবিসল),  চুনহীন বাদামি প­াবনভূমি মাটি (ইউট্রিক ক্যামবিসল), চুনযুক্ত বাদামি প­াবনভূমি মাটি (ক্যালকারিক ক্যামবিসল), চুনহীন পলি মাটি; ধূসর প­াবনভূমি মাটি এবং অম্লঅববাহিকীয় কাদামাটি (ইউট্রিক ফ্লুবিসল); পিট (ডিস্ট্রিক হিসটোসল);  অম্ল সালফেট মাটি (থিউনিক ফ্লুবিসল); ধূসর পাদদেশীয় মাটি ও ধূসর সোপান ও উপত্যকা মাটি (ইউট্রিকগে­সল); গাঢ় লাল-বাদামি সোপান মাটি ও বাদামি বর্ণময় সোপান মাটি (ডিস্ট্রিক নাইটোসল); বাদামি পাহাড়ি মাটি এবং অগভীর লালাভ বাদামি সোপান মাটিতে (ডিস্ট্রিক ক্যামবিসল) শ্রেণীবদ্ধ করা যায়।  [মোহাম্মদ সুলতান হোসেন]
গুরুত্বপূর্ণ অন্তস্তলীয় শনাক্তকারী ক্ষিতিজগুলি হচ্ছে অ্যাগ্রিক, অ্যালবিক, অ্যারজিলিক, ক্যালসিক, ক্যামবিক, গ্লোসিক, জিপসিক, ক্যানডিক, নাট্রিক, অক্সিক, পেট্রোক্যালিক, পেট্রোজিপসিক, প্লাসিক, স্যালিক, সোমব্রিক এবং স্পোডিক  স্তর। শনাক্তকারী ক্ষিতিজ ভেদে বাংলাদেশের সাধারণ মাটি প্রকরণকে কালো টেরাই মাটি (হিওমিক ক্যামবিসল),  চুনহীন বাদামি প­াবনভূমি মাটি (ইউট্রিক ক্যামবিসল), চুনযুক্ত বাদামি প­াবনভূমি মাটি (ক্যালকারিক ক্যামবিসল), চুনহীন পলি মাটি; ধূসর প­াবনভূমি মাটি এবং অম্লঅববাহিকীয় কাদামাটি (ইউট্রিক ফ্লুবিসল); পিট (ডিস্ট্রিক হিসটোসল);  অম্ল সালফেট মাটি (থিউনিক ফ্লুবিসল); ধূসর পাদদেশীয় মাটি ও ধূসর সোপান ও উপত্যকা মাটি (ইউট্রিকগে­সল); গাঢ় লাল-বাদামি সোপান মাটি ও বাদামি বর্ণময় সোপান মাটি (ডিস্ট্রিক নাইটোসল); বাদামি পাহাড়ি মাটি এবং অগভীর লালাভ বাদামি সোপান মাটিতে (ডিস্ট্রিক ক্যামবিসল) শ্রেণীবদ্ধ করা যায়।  [মোহাম্মদ সুলতান হোসেন]


''আরও দেখুন'' [[পলিমাটি|পলিমাটি]]।
''আরও দেখুন'' [[পাললিক মৃত্তিকা|পাললিক মৃত্তিকা]]।


[[en:Diagnostic Horizon]]
[[en:Diagnostic Horizon]]

০৮:৩৮, ১২ মার্চ ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

শনাক্তকারী ক্ষিতিজ (Diagnostic Horizon) মাটির শ্রেণীবিন্যাসে ব্যবহূত সংখ্যাগতভাবে নির্ধারিত গুণাবলি বিশিষ্ট মাটির স্তর। শ্রেণীবিন্যাসে ব্যবহূত মানদন্ডসমূহ হচ্ছে পর্যবেক্ষণমূলক (যেমন বর্ণ, দৃঢ়তা, তাপমাত্রা) অথবা মানগত (যেমন গভীরতা, উপাদান, পরিমাণ, ঘনত্ব) যা পর্যবেক্ষক নিরপেক্ষ পদ্ধতির মাধ্যমে পরিমাপ করা হয়। যেহেতু শনাক্তকারী ক্ষিতিজসমূহের গুণাগুণ মাটির জন্মবৃত্তান্ত উদ্ভূত সেহেতু এই স্তরসমূহের ভিত্তিতে কৃত মাটির শ্রেণীবিন্যাস মূলত জিনগত এবং মৃৎ-প্রাকৃতিকভাবে অর্জিত। মাটির শ্রেণীবিন্যাসের মার্কিন সূত্র অনুযায়ী কয়েকটি শনাক্তকারী ক্ষিতিজ চিহ্নিত করা গেছে। এগুলোকে দুটি প্রধান ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। মাটির উপরিভাগের কাছে গঠিত শনাক্তকারী ক্ষিতিজকে এপিপেডন এবং মাটির উপরিভাগের নিম্নঅঞ্চলে যেগুলো গঠিত সেগুলোকে এন্ডোপেডন বা অন্তস্তল শনাক্তকারী ক্ষিতিজ বলে। আটটি গুরুত্বপূর্ণ এপিপেডন হচ্ছে অ্যানথ্রোপিক, ফোলিস্টিক, হিস্টিক, মেলানিক, মোলিক, ওকরিক, প্লাজেন এবং অ্যামব্রিক এপিপেডন।

বাংলাদেশের মাটিতে ব্যাপক বিস্তৃত এপিপেডন হচ্ছে ওকরিক এপিপেডন; আর সাতটা এপিপেডনের সঙ্গে এই এপিপেডনের সংজ্ঞা মেলে না। কারণ এটি অতি সূক্ষ্ম অথবা অতি শুষ্ক; এর বর্ণগত মূল্য অর্থাৎ ক্রোমা অত্যধিক, ধারণকৃত জৈব অঙ্গারের পরিমাণ খুবই কম, ‘এন’ ভ্যালু বা মেলানিক সূচক অতি উচ্চ এবং শুকনা অবস্থায় যেমন গুরুভার তেমনি শক্ত। হিস্টিক এপিপেডনে জৈব উপাদানের পরিমাণ খুব বেশি (৩০ শতাংশের বেশি)।

গুরুত্বপূর্ণ অন্তস্তলীয় শনাক্তকারী ক্ষিতিজগুলি হচ্ছে অ্যাগ্রিক, অ্যালবিক, অ্যারজিলিক, ক্যালসিক, ক্যামবিক, গ্লোসিক, জিপসিক, ক্যানডিক, নাট্রিক, অক্সিক, পেট্রোক্যালিক, পেট্রোজিপসিক, প্লাসিক, স্যালিক, সোমব্রিক এবং স্পোডিক  স্তর। শনাক্তকারী ক্ষিতিজ ভেদে বাংলাদেশের সাধারণ মাটি প্রকরণকে কালো টেরাই মাটি (হিওমিক ক্যামবিসল),  চুনহীন বাদামি প­াবনভূমি মাটি (ইউট্রিক ক্যামবিসল), চুনযুক্ত বাদামি প­াবনভূমি মাটি (ক্যালকারিক ক্যামবিসল), চুনহীন পলি মাটি; ধূসর প­াবনভূমি মাটি এবং অম্লঅববাহিকীয় কাদামাটি (ইউট্রিক ফ্লুবিসল); পিট (ডিস্ট্রিক হিসটোসল);  অম্ল সালফেট মাটি (থিউনিক ফ্লুবিসল); ধূসর পাদদেশীয় মাটি ও ধূসর সোপান ও উপত্যকা মাটি (ইউট্রিকগে­সল); গাঢ় লাল-বাদামি সোপান মাটি ও বাদামি বর্ণময় সোপান মাটি (ডিস্ট্রিক নাইটোসল); বাদামি পাহাড়ি মাটি এবং অগভীর লালাভ বাদামি সোপান মাটিতে (ডিস্ট্রিক ক্যামবিসল) শ্রেণীবদ্ধ করা যায়।  [মোহাম্মদ সুলতান হোসেন]

আরও দেখুন পাললিক মৃত্তিকা