বিবি মরিয়ম মসজিদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
অ (Text replacement - "\[মুয়ায্যম হুসায়ন খান\]" to "[মুয়ায্যম হুসায়ন খান]") |
||
৬ নং লাইন: | ৬ নং লাইন: | ||
মসজিদের পূর্বদিকের সদরে আছে তিনটি খিলান প্রবেশপথ। প্রতিটি প্রবেশপথের উপরিভাগ অর্ধ গম্বুজাকৃতির। মধ্যবর্তী প্রবেশপথটি অপেক্ষাকৃত প্রশস্ত। দক্ষিণ ও উত্তর দিকে একটি করে জানালা সম্ভবত পরবর্তী সময়ে নির্মিত। ইমারতের চার কোণে সন্নিহিত বুরুজ অনেকটাই দেয়ালে প্রোথিত এবং ছাদ-পাঁচিল ছাড়িয়ে ঊর্ধ্বে সম্প্রসারিত। মসজিদের প্রধান হলঘরের পার্শ্বে রয়েছে সাদামাটা পার্শ্ব খিলান। পার্শ্ব দেয়াল পুরু করে পার্শ্ববর্তী স্তম্ভপথকে বর্গাকার করা হয়েছে। | মসজিদের পূর্বদিকের সদরে আছে তিনটি খিলান প্রবেশপথ। প্রতিটি প্রবেশপথের উপরিভাগ অর্ধ গম্বুজাকৃতির। মধ্যবর্তী প্রবেশপথটি অপেক্ষাকৃত প্রশস্ত। দক্ষিণ ও উত্তর দিকে একটি করে জানালা সম্ভবত পরবর্তী সময়ে নির্মিত। ইমারতের চার কোণে সন্নিহিত বুরুজ অনেকটাই দেয়ালে প্রোথিত এবং ছাদ-পাঁচিল ছাড়িয়ে ঊর্ধ্বে সম্প্রসারিত। মসজিদের প্রধান হলঘরের পার্শ্বে রয়েছে সাদামাটা পার্শ্ব খিলান। পার্শ্ব দেয়াল পুরু করে পার্শ্ববর্তী স্তম্ভপথকে বর্গাকার করা হয়েছে। | ||
মসজিদটি বেশ কয়েকবার মেরামত ও পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। মেরামতের ফলে অনেকটাই অপসৃত হয়েছে মসজিদের আদি নির্মাণ বৈশিষ্ট্য; বিশেষ করে চারকোণের চারটি সন্নিহিত বুরুজকে সম্পূর্ণ আধুনিক রূপ দেয়া হয়েছে। পূর্বদিকের সদরে ইট নির্মিত স্তম্ভের উপর টিন শেড বারান্দা নির্মাণের ফলে মসজিদের সম্মুখ দিকের অবয়ব সম্পূর্ণ ঢাকা পড়ে গেছে। মসজিদটি এখন জামে মসজিদ রূপে ব্যবহূত হচ্ছে। [ | মসজিদটি বেশ কয়েকবার মেরামত ও পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। মেরামতের ফলে অনেকটাই অপসৃত হয়েছে মসজিদের আদি নির্মাণ বৈশিষ্ট্য; বিশেষ করে চারকোণের চারটি সন্নিহিত বুরুজকে সম্পূর্ণ আধুনিক রূপ দেয়া হয়েছে। পূর্বদিকের সদরে ইট নির্মিত স্তম্ভের উপর টিন শেড বারান্দা নির্মাণের ফলে মসজিদের সম্মুখ দিকের অবয়ব সম্পূর্ণ ঢাকা পড়ে গেছে। মসজিদটি এখন জামে মসজিদ রূপে ব্যবহূত হচ্ছে। [মুয়ায্যম হুসায়ন খান] | ||
[[en:Bibi Mariam Mosque]] | [[en:Bibi Mariam Mosque]] |
১৬:২৫, ১৭ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
বিবি মরিয়ম মসজিদ নারায়ণগঞ্জের হাজীগঞ্জ মহল্লায় অবস্থিত। এটি হাজীগঞ্জ মসজিদ নামেও পরিচিত। মসজিদটি বাংলার মুগল সুবাহদার শায়েস্তা খান (১৬৬৪-১৬৮৮) কর্তৃক নির্মিত বলে কথিত। অনতিদূরে একটি সৌধে সমাহিত এবং নবাব শায়েস্তা খানের কন্যা বিবি মরিয়মের নামে মসজিদটির নামকরণ হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। তিন গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটির মধ্যবর্তী গম্বুজটি অপেক্ষাকৃত বৃহৎ। পার্শ্ব-দেয়াল পুরু করে গম্বুজের ভিত রচনা করে পার্শ্ব-গম্বুজ দুটোকে আকারে ছোট করা হয়েছে। কোনো কোনো মুগল মসজিদে যে মধ্যবর্তী অর্ধ-গম্বুজ বসিয়ে এ কাজটি সম্পন্ন করতে দেখা যায়, এ মসজিদে সে রীতি অনুসরণ করা হয় নি। গম্বুজের নিম্নভাগের পত্রাকার অলঙ্করণ এবং সচ্ছিদ্র মারলন নকশায় প্রচলিত রীতি অনুসৃত হয়েছে। ছাদের উপরিভাগে শুধুমাত্র সম্মুখ দিকের প্যানেলেই পত্রাকার অলঙ্করণ রয়েছে।
মসজিদের পূর্বদিকের সদরে আছে তিনটি খিলান প্রবেশপথ। প্রতিটি প্রবেশপথের উপরিভাগ অর্ধ গম্বুজাকৃতির। মধ্যবর্তী প্রবেশপথটি অপেক্ষাকৃত প্রশস্ত। দক্ষিণ ও উত্তর দিকে একটি করে জানালা সম্ভবত পরবর্তী সময়ে নির্মিত। ইমারতের চার কোণে সন্নিহিত বুরুজ অনেকটাই দেয়ালে প্রোথিত এবং ছাদ-পাঁচিল ছাড়িয়ে ঊর্ধ্বে সম্প্রসারিত। মসজিদের প্রধান হলঘরের পার্শ্বে রয়েছে সাদামাটা পার্শ্ব খিলান। পার্শ্ব দেয়াল পুরু করে পার্শ্ববর্তী স্তম্ভপথকে বর্গাকার করা হয়েছে।
মসজিদটি বেশ কয়েকবার মেরামত ও পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। মেরামতের ফলে অনেকটাই অপসৃত হয়েছে মসজিদের আদি নির্মাণ বৈশিষ্ট্য; বিশেষ করে চারকোণের চারটি সন্নিহিত বুরুজকে সম্পূর্ণ আধুনিক রূপ দেয়া হয়েছে। পূর্বদিকের সদরে ইট নির্মিত স্তম্ভের উপর টিন শেড বারান্দা নির্মাণের ফলে মসজিদের সম্মুখ দিকের অবয়ব সম্পূর্ণ ঢাকা পড়ে গেছে। মসজিদটি এখন জামে মসজিদ রূপে ব্যবহূত হচ্ছে। [মুয়ায্যম হুসায়ন খান]