চৌধুরী, শামসুল হুদা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Category:বাংলাপিডিয়া]] | [[Category:বাংলাপিডিয়া]] | ||
[[Image:ChaudhuryShamsulHuda.jpg|thumb|right|শামসুল হুদা চৌধুরী]] | |||
'''চৌধুরী, শামসুল হুদা''' (১৯২০-২০০০) রাজনীতিবিদ, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার। তিনি ১৯২০ সালের ১ মে পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমে জন্মগ্রহণ করেন। শামসুল হুদা চৌধুরী ১৯৪১ সালে কলকাতা [[প্রেসিডেন্সি কলেজ|প্রেসিডেন্সি কলেজ]] থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন এবং আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় হতে এম.এ ও এল.এল.বি পাস করেন। ১৯৪৩-৪৪ শিক্ষাবর্ষে তিনি আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি নিখিল বঙ্গ মুসলিম ছাত্রলীগের সভাপতি হন। একজন তার্কিক হিসেবে তিনি পদক লাভ করেন। ১৯৪৩ সালের সর্বভারতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় তিনি স্যার মরিস গোয়্যার ট্রফি অর্জন করেন। | '''চৌধুরী, শামসুল হুদা''' (১৯২০-২০০০) রাজনীতিবিদ, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার। তিনি ১৯২০ সালের ১ মে পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমে জন্মগ্রহণ করেন। শামসুল হুদা চৌধুরী ১৯৪১ সালে কলকাতা [[প্রেসিডেন্সি কলেজ|প্রেসিডেন্সি কলেজ]] থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন এবং আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় হতে এম.এ ও এল.এল.বি পাস করেন। ১৯৪৩-৪৪ শিক্ষাবর্ষে তিনি আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি নিখিল বঙ্গ মুসলিম ছাত্রলীগের সভাপতি হন। একজন তার্কিক হিসেবে তিনি পদক লাভ করেন। ১৯৪৩ সালের সর্বভারতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় তিনি স্যার মরিস গোয়্যার ট্রফি অর্জন করেন। | ||
৫ নং লাইন: | ৬ নং লাইন: | ||
১৯৭৬ সালে তিনি বাংলাদেশ ব্রডকাস্টিং ইনকোয়্যারি কমিশনের চেয়ারম্যান এবং ১৯৭৭-এ তথ্য ও প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নিযুক্ত হন। ১৯৭৯ সালে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং পরবর্তী কয়েক বছর তথ্য ও প্রচার, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি, ধর্ম, রেল ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রিরূপে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৬ সালে তিনি দ্বিতীয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে তৃতীয় সংসদের স্পিকার নির্বাচিত হন। ১৯৮৮ সালের এপ্রিলে দ্বিতীয়বারের মতো স্পীকার নির্বাচিত হয়ে তিনি ১৯৯০ সাল পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করেন। | ১৯৭৬ সালে তিনি বাংলাদেশ ব্রডকাস্টিং ইনকোয়্যারি কমিশনের চেয়ারম্যান এবং ১৯৭৭-এ তথ্য ও প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নিযুক্ত হন। ১৯৭৯ সালে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং পরবর্তী কয়েক বছর তথ্য ও প্রচার, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি, ধর্ম, রেল ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রিরূপে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৬ সালে তিনি দ্বিতীয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে তৃতীয় সংসদের স্পিকার নির্বাচিত হন। ১৯৮৮ সালের এপ্রিলে দ্বিতীয়বারের মতো স্পীকার নির্বাচিত হয়ে তিনি ১৯৯০ সাল পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করেন। | ||
২০০০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি শামসুল হুদা চৌধুরীর মৃত্যু হয় এবং ঢাকায় তাঁর স্ত্রী [[বানু, লায়লা আর্জুমান্দ|লায়লা আর্জুমান্দ বানু]] এর কবরের পাশে সমাহিত হন। [শাহনাজ হুদা] | ২০০০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি শামসুল হুদা চৌধুরীর মৃত্যু হয় এবং ঢাকায় তাঁর স্ত্রী [[বানু, লায়লা আর্জুমান্দ|লায়লা আর্জুমান্দ বানু]] এর কবরের পাশে সমাহিত হন। [শাহনাজ হুদা] | ||
[[en:Chaudhury, Shamsul Huda]] | [[en:Chaudhury, Shamsul Huda]] |
১০:৪৩, ২৬ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
চৌধুরী, শামসুল হুদা (১৯২০-২০০০) রাজনীতিবিদ, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার। তিনি ১৯২০ সালের ১ মে পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমে জন্মগ্রহণ করেন। শামসুল হুদা চৌধুরী ১৯৪১ সালে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন এবং আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় হতে এম.এ ও এল.এল.বি পাস করেন। ১৯৪৩-৪৪ শিক্ষাবর্ষে তিনি আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি নিখিল বঙ্গ মুসলিম ছাত্রলীগের সভাপতি হন। একজন তার্কিক হিসেবে তিনি পদক লাভ করেন। ১৯৪৩ সালের সর্বভারতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় তিনি স্যার মরিস গোয়্যার ট্রফি অর্জন করেন।
গণমাধ্যমের প্রতি আজীবন আগ্রহী শামসুল হুদা চৌধুরী ছিলেন টেলিভিশন ও বেতারের এক সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব। তিনি অল ইন্ডিয়া রেডিও এবং পরবর্তীকালে রেডিও পাকিস্তানের আঞ্চলিক পরিচালক, পর্যটন বিভাগের উপ-পরিচালক, পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস-এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, ইপিআইডিসি-র জনসংযোগ প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জনাব চৌধুরী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক দলের নেতৃত্ব দেন।
১৯৭৬ সালে তিনি বাংলাদেশ ব্রডকাস্টিং ইনকোয়্যারি কমিশনের চেয়ারম্যান এবং ১৯৭৭-এ তথ্য ও প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নিযুক্ত হন। ১৯৭৯ সালে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং পরবর্তী কয়েক বছর তথ্য ও প্রচার, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি, ধর্ম, রেল ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রিরূপে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৬ সালে তিনি দ্বিতীয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে তৃতীয় সংসদের স্পিকার নির্বাচিত হন। ১৯৮৮ সালের এপ্রিলে দ্বিতীয়বারের মতো স্পীকার নির্বাচিত হয়ে তিনি ১৯৯০ সাল পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করেন।
২০০০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি শামসুল হুদা চৌধুরীর মৃত্যু হয় এবং ঢাকায় তাঁর স্ত্রী লায়লা আর্জুমান্দ বানু এর কবরের পাশে সমাহিত হন। [শাহনাজ হুদা]