জগজ্জীবনপুর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১৫ নং লাইন: | ১৫ নং লাইন: | ||
অন্যান্য সব বৌদ্ধ কেন্দ্রগুলির মতো জগজ্জীবনপুরও পোড়ামাটির ফলক সমৃদ্ধ। শুধু তুলা ভিটা থেকেই এ পর্যন্ত ২৫০টি ফলক উদ্ধার করা হয়েছে। সাধারণত লাল রঙের এ ফলকগুলি অসামান্য মসৃণ, কংকরহীন মাটি দিয়ে তৈরী এবং তার সাথে মেশানো ছিল ঔজ্জ্বল্য বর্ধক বস্ত্ত। আয়তাকার ফলকগুলি পরিমাপে ছিল ৩১ × ২৩ × ৬ সেমি থেকে ২৬ × ২৫ × ৫ সেমি মধ্যে। সমসাময়িক [[পাহাড়পুর|পাহাড়পুর]],[[মহাস্থান|মহাস্থান]], [[ময়নামতী|ময়নামতী]] ও এন্টিচক-এর মতো জগজ্জীবনপুরের ফলকগুলির বিষয়বস্ত্ত ব্যাপক - পার্থিব, ধর্মীয় ও আলংকারিক। তবে বর্ণনামূলক বিষয়ের অনুপস্থিতি বিশেষ ভাবে লক্ষণীয়। | অন্যান্য সব বৌদ্ধ কেন্দ্রগুলির মতো জগজ্জীবনপুরও পোড়ামাটির ফলক সমৃদ্ধ। শুধু তুলা ভিটা থেকেই এ পর্যন্ত ২৫০টি ফলক উদ্ধার করা হয়েছে। সাধারণত লাল রঙের এ ফলকগুলি অসামান্য মসৃণ, কংকরহীন মাটি দিয়ে তৈরী এবং তার সাথে মেশানো ছিল ঔজ্জ্বল্য বর্ধক বস্ত্ত। আয়তাকার ফলকগুলি পরিমাপে ছিল ৩১ × ২৩ × ৬ সেমি থেকে ২৬ × ২৫ × ৫ সেমি মধ্যে। সমসাময়িক [[পাহাড়পুর|পাহাড়পুর]],[[মহাস্থান|মহাস্থান]], [[ময়নামতী|ময়নামতী]] ও এন্টিচক-এর মতো জগজ্জীবনপুরের ফলকগুলির বিষয়বস্ত্ত ব্যাপক - পার্থিব, ধর্মীয় ও আলংকারিক। তবে বর্ণনামূলক বিষয়ের অনুপস্থিতি বিশেষ ভাবে লক্ষণীয়। | ||
[[Image:Jagjivanpur2.jpg|thumb|thumb| | [[Image:Jagjivanpur2.jpg|thumb|thumb|left|জগজ্জীবনপুর পোড়ামাটির ফলক]] | ||
জগজ্জীবনপুরের ফলকগুলি বেশ যত্নসহকারে গড়া হয়েছে। মূর্তিগুলির সাবলীল শারীরিক গঠন ফলকগুলিকে স্বাতন্ত্র্য দান করেছে। ফলকে পেশীর ক্ষিপ্রতার মাধ্যমে শারীরিক গতিময়তা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে। বেশ কিছু অভিব্যক্তি মূলক প্রতীক; যেমন নুয়ে পড়া মস্তক, উত্তোলিত হাত, ভাঁজ করা পদযুগল এবং দেহ অক্ষের মোলায়েম বাঁক সবকিছুই যেমন শিল্পীর মানসের গতিশীলতা তুলে ধরেছে, তেমনি গুপ্তযুগের শিল্পকলার সৌম ও নির্বাক অবয়ব থেকে বেরিয়ে আসারও সংকেত দিচ্ছে। অলংকার ও গহনার ব্যবহারে রুচিশীলতার এক দৃঢ় ও স্পষ্ট চিত্র অংকিত হয়েছে শিল্পীর হাতে। সবচেয়ে জনপ্রিয় বিষয়বস্ত্ত হলো ঢাল, তরবারি, গদা, লাঠি প্রভৃতি বহনকারী যোদ্ধা। শরীরের নিম্নাঙ্গে পরিহিত ক্ষুদ্র বস্ত্র (ধুতি) এবং অলংকারের স্পষ্ট উপস্থিতি বস্ত্রহীন উন্মুক্ত পেশিবহুল শরীরের উপরিভাগকে আরও বেশি স্পষ্ট করে তুলেছে। তারা সম্মুখ ও পার্শ্বাভিমুখে আক্রমণরত অবস্থায় প্রতীয়মান হয়েছে। | জগজ্জীবনপুরের ফলকগুলি বেশ যত্নসহকারে গড়া হয়েছে। মূর্তিগুলির সাবলীল শারীরিক গঠন ফলকগুলিকে স্বাতন্ত্র্য দান করেছে। ফলকে পেশীর ক্ষিপ্রতার মাধ্যমে শারীরিক গতিময়তা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে। বেশ কিছু অভিব্যক্তি মূলক প্রতীক; যেমন নুয়ে পড়া মস্তক, উত্তোলিত হাত, ভাঁজ করা পদযুগল এবং দেহ অক্ষের মোলায়েম বাঁক সবকিছুই যেমন শিল্পীর মানসের গতিশীলতা তুলে ধরেছে, তেমনি গুপ্তযুগের শিল্পকলার সৌম ও নির্বাক অবয়ব থেকে বেরিয়ে আসারও সংকেত দিচ্ছে। অলংকার ও গহনার ব্যবহারে রুচিশীলতার এক দৃঢ় ও স্পষ্ট চিত্র অংকিত হয়েছে শিল্পীর হাতে। সবচেয়ে জনপ্রিয় বিষয়বস্ত্ত হলো ঢাল, তরবারি, গদা, লাঠি প্রভৃতি বহনকারী যোদ্ধা। শরীরের নিম্নাঙ্গে পরিহিত ক্ষুদ্র বস্ত্র (ধুতি) এবং অলংকারের স্পষ্ট উপস্থিতি বস্ত্রহীন উন্মুক্ত পেশিবহুল শরীরের উপরিভাগকে আরও বেশি স্পষ্ট করে তুলেছে। তারা সম্মুখ ও পার্শ্বাভিমুখে আক্রমণরত অবস্থায় প্রতীয়মান হয়েছে। | ||
১০:৪৭, ২৭ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
জগজ্জীবনপুর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের অন্তর্গত সাম্প্রতিক উৎখননকৃত প্রত্নস্থল। গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু প্রত্নসামগ্রী ছাড়াও একটি বৌদ্ধ মঠের ধ্বংসাবশেষ এখানে পাওয়া গিয়েছে।
মালদা শহর থেকে ৩৬ কিমি পূর্বে জগজ্জীবনপুর অবস্থিত। বুলবুল চাঁদি, হাবিবপুর ও বাহাদুরপুর গ্রামের মধ্যে দিয়ে যে পাকা সড়ক রয়েছে তা দিয়ে এখানে যাওয়া যায়। বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার কাছেই এর অবস্থান। বেশ কয়েকটি জলাশয় ও ধানক্ষেতে এলাকাটি ভরা। এখানে বেশ কয়েকটি সূতপ বা মাটির ঢিবি আছে, যা স্থানীয়ভাবে ভিটা ও ডাঙ্গা বলে পরিচিত। এগুলির মধ্যে তুলা ভিটা বা শলই ডাঙ্গা (৭৮.৫৮ মি × ৭৮.৩৩ মি), আখরী ডাঙ্গা (৭২.২৯ মি × ২৮.২৮ মি), নিম ডাঙ্গা (৪০.৮৬ মি × ২৮.২৮ মি), মাই ভিটা (১১০.০১ মি × ৭৮.৫৮ মি) এবং নন্দ গড় গুরুত্বপূর্ণ। শেষোক্তটি প্রায় সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। আরও বেশ কিছু উচু-নিচু স্তূপ চোখে পড়ে।
আবিষ্কৃত একটি তাম্রশাসন স্থানটির গুরুত্বের ইঙ্গিত দেয়। তাম্রশাসনটিতে একজন পাল রাজার পরিচয় প্রকাশ পায়। দেবপালের পুত্র ও উত্তরসূরি মহারাজাধিরাজ মহেন্দ্রপাল কর্তৃক তাঁর শাসনের সপ্তম বর্ষে (৮৫৪ খ্রি) পুন্ড্রবর্ধনভুক্তির অন্তর্ভুক্ত কুদ্দাল খাতক, জয়স্কন্ধবার থেকে প্রকাশিত এ তাম্রশাসনে নন্দদীর্ঘিকা উদরঙ্গ-এর মহাসেনাপতি বজ্রদেব-এর পৃ্ষ্ঠপোষকতায় একটি বৌদ্ধ মঠ নির্মাণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ধর্ম চর্চা, পান্ডুলিপির অনুলিপি প্রস্ত্তত ও অনুরূপ অন্যান্য কাজের উদ্দেশ্যে বজ্রদেব তাম্রশাসনে উল্লিখিত ভূমি চেয়ে রাজার কাছে অনুরোধ জানান।
এ অভিলিখন থেকে অনুপ্রেরণা লাভ করে পশ্চিম-বাংলার প্রত্নতত্ত্ব ও জাদুঘর অধিদপ্তর ১৯৯০ সালের আগস্ট মাস থেকে তুলা ভিটায় খনন কার্য শুরু করেন। ভূমিস্পর্শ মুদ্রায় আসীন বুদ্ধের একটি ব্রোঞ্জ মূর্তি উক্ত এলাকাবাসীর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। অনুসন্ধানে জানা যায়, ওই মূর্তিটি তুলা ভিটা থেকে পাওয়া গিয়েছে। এ আবিষ্কারের উৎসাহ থেকেই ১৯৯২ সালে সুশৃংখলভাবে খননকার্য চালানো হয়। ইতোমধ্যে অন্যান্য স্তূপগুলি চিহ্নিত, পরিমাপ এবং এগুলির বিভিন্ন তথ্য নিবন্ধিকৃত করা হয়। ১৯৯৫ সাল থেকে পূর্ণমাত্রায় খননকার্য শুরু হয়।
৯৪৩২ বর্গ কিমি জুড়ে তুলা ভিটা বিস্তৃত, যা ২৫৬টি প্রকোষ্ঠে বিভক্ত (প্রতিটি ৬ মি × ৬ মি)। এপর্যন্ত ৭৮টি প্রকোষ্ঠে খননকার্য পরিচালনা সম্পন্ন হয়েছে। উৎখননে তাম্রশাসনে উল্লিখিত বিশাল মঠেরই বেশ খানিক অংশ উন্মোচিত হয়েছে।
উৎখননে ৬টি স্তরের স্পষ্ট প্রকাশ পাওয়া গিয়েছে এবং দ্বিতীয় ও চতুর্থ স্তরের মধ্যে কর্মতৎপরতার বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ রয়েছে। প্রত্নস্থলটি একক সংস্কৃতির। পাল-পূর্ব সংস্কৃতির কোনো চিহ্ন পাওয়া যায় না। দুটি পর্যায়ের নির্মাণ কর্মকান্ড চিহ্নিত করা যায়, প্রথমটি সম্ভবত কোনো নদীভাঙ্গন দ্বারা ধ্বংসপ্রাপ্ত এবং এর উপরেই ধারাবাহিকতায় কোনোরূপ ছেদ না ঘটিয়েই দ্বিতীয় পর্যায়টি শুরু হয়েছিল।
অন্যান্য সব বৌদ্ধ কেন্দ্রগুলির মতো জগজ্জীবনপুরও পোড়ামাটির ফলক সমৃদ্ধ। শুধু তুলা ভিটা থেকেই এ পর্যন্ত ২৫০টি ফলক উদ্ধার করা হয়েছে। সাধারণত লাল রঙের এ ফলকগুলি অসামান্য মসৃণ, কংকরহীন মাটি দিয়ে তৈরী এবং তার সাথে মেশানো ছিল ঔজ্জ্বল্য বর্ধক বস্ত্ত। আয়তাকার ফলকগুলি পরিমাপে ছিল ৩১ × ২৩ × ৬ সেমি থেকে ২৬ × ২৫ × ৫ সেমি মধ্যে। সমসাময়িক পাহাড়পুর,মহাস্থান, ময়নামতী ও এন্টিচক-এর মতো জগজ্জীবনপুরের ফলকগুলির বিষয়বস্ত্ত ব্যাপক - পার্থিব, ধর্মীয় ও আলংকারিক। তবে বর্ণনামূলক বিষয়ের অনুপস্থিতি বিশেষ ভাবে লক্ষণীয়।
জগজ্জীবনপুরের ফলকগুলি বেশ যত্নসহকারে গড়া হয়েছে। মূর্তিগুলির সাবলীল শারীরিক গঠন ফলকগুলিকে স্বাতন্ত্র্য দান করেছে। ফলকে পেশীর ক্ষিপ্রতার মাধ্যমে শারীরিক গতিময়তা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে। বেশ কিছু অভিব্যক্তি মূলক প্রতীক; যেমন নুয়ে পড়া মস্তক, উত্তোলিত হাত, ভাঁজ করা পদযুগল এবং দেহ অক্ষের মোলায়েম বাঁক সবকিছুই যেমন শিল্পীর মানসের গতিশীলতা তুলে ধরেছে, তেমনি গুপ্তযুগের শিল্পকলার সৌম ও নির্বাক অবয়ব থেকে বেরিয়ে আসারও সংকেত দিচ্ছে। অলংকার ও গহনার ব্যবহারে রুচিশীলতার এক দৃঢ় ও স্পষ্ট চিত্র অংকিত হয়েছে শিল্পীর হাতে। সবচেয়ে জনপ্রিয় বিষয়বস্ত্ত হলো ঢাল, তরবারি, গদা, লাঠি প্রভৃতি বহনকারী যোদ্ধা। শরীরের নিম্নাঙ্গে পরিহিত ক্ষুদ্র বস্ত্র (ধুতি) এবং অলংকারের স্পষ্ট উপস্থিতি বস্ত্রহীন উন্মুক্ত পেশিবহুল শরীরের উপরিভাগকে আরও বেশি স্পষ্ট করে তুলেছে। তারা সম্মুখ ও পার্শ্বাভিমুখে আক্রমণরত অবস্থায় প্রতীয়মান হয়েছে।
ধর্মীয় বিষয়ের একটি ফলক বেশ কৌতূহলোদ্দীপক। প্রস্ফুটিত পদ্মে অধ্যারোপিত একটি পান্ডুলিপি অবশ্যই শ্রদ্ধার বস্ত্ত। উভয় প্রান্তই সুতা দিয়ে বাঁধা, যা লিখিত পান্ডুলিপি বলেই এটিকে চিহ্নিত করে। বৌদ্ধ সংস্কৃতিতে ধর্মীয় গ্রন্থের অনুলিপি প্রস্ত্তত ও তার আরাধনার উপর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। বৌদ্ধ ধর্মের বিদ্যাদেবী মঞ্জুশ্রী এ পবিত্র পান্ডুলিপির সাথে সম্পৃক্ত। এ ফলকটিতে খুব সম্ভবত ‘প্রজ্ঞাপারমিতা’ গ্রন্থটিকে অংকন করা হয়েছে। অন্য একটি ফলকে এক অসাধারণ মর্মস্পর্শী দৃশ্যে দেখা যাচ্ছে - ছোট কিন্তু ঘন শশ্রুমন্ডিত মস্তক একপাশে হেলানো, খোলা মুখ ও চোখে আশার আলো নিয়ে করবদ্ধ বক্ষে প্রগাঢ় শ্রদ্ধাবনত একজন নতজানু প্রার্থনাকারী। দুটি ফলকে আবার জ্যোতিষ রাশি চিহ্নের উপস্থাপনা লক্ষ্য করা যায়।
পোড়ামাটির ফলক ছাড়াও শতাধিক পোড়ামাটির সিল ও সিলিং পাওয়া গিয়েছে। সিলগুলি গোলাকৃতির এবং এক থেকে তিন লাইনের লিপি সম্বলিত। অধিকাংশ সিলই মঠসম্বন্ধীয়। কিছু কিছু আবার ব্যক্তিগত ও কিছু ধর্মীয় শ্র্রদ্ধার্ঘ্য। ধর্মচক্র ও হরিণ অংকিত একটি সিল-এ মঠের নাম উৎকীর্ণ আছে। নয় শতকের পূর্বভারতীয় লিপিতে লিখিত সিলটিতে উৎকীর্ণ রয়েছে শ্রী বজ্রদেব কৃত নন্দদীর্ঘি বিহারীয় আর্য ভিক্ষু সংঘ (স্য), (শ্রী বজ্রদেব কর্তৃক নির্মিত নন্দদীর্ঘি বিহারে বৌদ্ধ অবসাহনরত সম্মানিত আর্য ভিক্ষু সংঘের)।
আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাপ্তবস্ত্ত হলো নয়/দশ শতকের মারীচী-র (১৭৫ সেমি) ব্রোঞ্জ মূর্তি। অন্যান্য নিদর্শনের মধ্যে পোড়ামাটির বা কম-মূল্যের পাথরের গুটিকা, বিভিন্ন নকশায় কারুকার্যময় ইট, লোহার শলাকা, পোড়ামাটির প্রদীপ, ডাবুর এবং অসংখ্য লাল ও ধূসর বর্ণের পাত্র ও ভান্ডের মতো প্রাত্যহিক জীবনে ব্যবহূত দ্রব্যাদি পাওয়া গিয়েছে।
বৌদ্ধ মঠটির ধ্বংসের কারণ এখন পর্যন্তও ব্যাখ্যা করা সম্ভব হয় নি। [গৌতম সেনগুপ্ত]
গ্রন্থপঞ্জি S Iyer and KV Ramesh, Malda District Museum Copper plate of Mahendra Pala Deva yr 7, Epigraphia Indica, 46, 1992; Sudhin De, Excavations at Jagjivanpur – A Preliminary Report, Pratna-Samiksha, 2 and 3, Calcutta, 1993-94; Gautam Sengupta, A General’s Act of Piety: A Newly Discovered Buddhist Monastery of Ancient Bengal, Marg, 50 (4), 1999; অমিতা রায়, সম্প্রতি আবিষ্কৃত বৌদ্ধ বিহার জগজ্জীবনপুর, পুরাবৃত্ত, ১, ১৪০৭।