জগদ্ধাত্রীপূজা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
'''জগদ্ধাত্রীপূজা'''  হিন্দুদের''' '''অন্যতম''' '''ধর্মীয় অনুষ্ঠান। জগদ্ধাত্রী হচ্ছেন দেবী দুর্গার রূপভেদ। তিনি সিংহবাহিনী, চতুর্ভুজা, নানা আভরণভূষিতা, অরুণকিরণবৎ বর্ণযুক্তা এবং সর্পরূপ যজ্ঞোপবীতধারিণী। তাঁর বাম দিকের দুহাতে থাকে শঙ্খ ও ধনু এবং ডান দিকের দুহাতে থাকে চক্র ও পঞ্চবাণ। রক্তবর্ণের বস্ত্র তাঁর পরিধানে।
'''জগদ্ধাত্রীপূজা'''  হিন্দুদের অন্যতম ধর্মীয় অনুষ্ঠান। জগদ্ধাত্রী হচ্ছেন দেবী দুর্গার রূপভেদ। তিনি সিংহবাহিনী, চতুর্ভুজা, নানা আভরণভূষিতা, অরুণকিরণবৎ বর্ণযুক্তা এবং সর্পরূপ যজ্ঞোপবীতধারিণী। তাঁর বাম দিকের দুহাতে থাকে শঙ্খ ও ধনু এবং ডান দিকের দুহাতে থাকে চক্র ও পঞ্চবাণ। রক্তবর্ণের বস্ত্র তাঁর পরিধানে।


জগদ্ধাত্রীর প্রাচীনতম উল্লেখ পাওয়া যায় মায়াতন্ত্রে, বৃহস্পতি রায়মুকুটের স্মৃতিরত্নহারে (১৫-১৬শ শতক), কৃষ্ণানন্দের তন্ত্রসারে (১৬শ শতক) এবং শ্রীনাথ আচার্যচূড়ামণির কৃত্যতত্ত্বার্ণবে।
জগদ্ধাত্রীর প্রাচীনতম উল্লেখ পাওয়া যায় মায়াতন্ত্রে, বৃহস্পতি রায়মুকুটের স্মৃতিরত্নহারে (১৫-১৬শ শতক), কৃষ্ণানন্দের তন্ত্রসারে (১৬শ শতক) এবং শ্রীনাথ আচার্যচূড়ামণির কৃত্যতত্ত্বার্ণবে।


কার্তিক মাসের শুক্লা নবমী তিথিতে জগদ্ধাত্রীর পূজা হয়। এ সময় চন্ডীপাঠ ও বিসর্জন-পর্ব দুর্গোৎসবের মতোই অনুষ্ঠিত হয়। পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার চন্দননগরে এবং নদীয়ার কৃষ্ণনগরে জাঁকজমক সহকারে এ পূজা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের অঞ্চল বিশেষেও এর পূজা হয়। জগদ্ধাত্রীপূজা''' '''একই দিনে তিনবার অনুষ্ঠিত হয় এবং স্থানবিশেষে তিন দিনও হয়।
কার্তিক মাসের শুক্লা নবমী তিথিতে জগদ্ধাত্রীর পূজা হয়। এ সময় চন্ডীপাঠ ও বিসর্জন-পর্ব দুর্গোৎসবের মতোই অনুষ্ঠিত হয়। পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার চন্দননগরে এবং নদীয়ার কৃষ্ণনগরে জাঁকজমক সহকারে এ পূজা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের অঞ্চল বিশেষেও এর পূজা হয়। জগদ্ধাত্রীপূজা একই দিনে তিনবার অনুষ্ঠিত হয় এবং স্থানবিশেষে তিন দিনও হয়। [সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়]
 
[সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়]


[[en:Jagaddhatri Puja]]
[[en:Jagaddhatri Puja]]

০৫:৪৪, ৩০ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

জগদ্ধাত্রীপূজা  হিন্দুদের অন্যতম ধর্মীয় অনুষ্ঠান। জগদ্ধাত্রী হচ্ছেন দেবী দুর্গার রূপভেদ। তিনি সিংহবাহিনী, চতুর্ভুজা, নানা আভরণভূষিতা, অরুণকিরণবৎ বর্ণযুক্তা এবং সর্পরূপ যজ্ঞোপবীতধারিণী। তাঁর বাম দিকের দুহাতে থাকে শঙ্খ ও ধনু এবং ডান দিকের দুহাতে থাকে চক্র ও পঞ্চবাণ। রক্তবর্ণের বস্ত্র তাঁর পরিধানে।

জগদ্ধাত্রীর প্রাচীনতম উল্লেখ পাওয়া যায় মায়াতন্ত্রে, বৃহস্পতি রায়মুকুটের স্মৃতিরত্নহারে (১৫-১৬শ শতক), কৃষ্ণানন্দের তন্ত্রসারে (১৬শ শতক) এবং শ্রীনাথ আচার্যচূড়ামণির কৃত্যতত্ত্বার্ণবে।

কার্তিক মাসের শুক্লা নবমী তিথিতে জগদ্ধাত্রীর পূজা হয়। এ সময় চন্ডীপাঠ ও বিসর্জন-পর্ব দুর্গোৎসবের মতোই অনুষ্ঠিত হয়। পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার চন্দননগরে এবং নদীয়ার কৃষ্ণনগরে জাঁকজমক সহকারে এ পূজা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের অঞ্চল বিশেষেও এর পূজা হয়। জগদ্ধাত্রীপূজা একই দিনে তিনবার অনুষ্ঠিত হয় এবং স্থানবিশেষে তিন দিনও হয়। [সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়]