চাটমোহর উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
৪ নং লাইন: | ৪ নং লাইন: | ||
''জনসংখ্যা'' ২৩৯৯৭৩; পুরুষ ১২১২৬৫, মহিলা ১১৮৭০৮। মুসলিম ২২৭৩৬৬, হিন্দু ১০৫৫৭, বৌদ্ধ ২০৪৬ এবং অন্যান্য ৪। | ''জনসংখ্যা'' ২৩৯৯৭৩; পুরুষ ১২১২৬৫, মহিলা ১১৮৭০৮। মুসলিম ২২৭৩৬৬, হিন্দু ১০৫৫৭, বৌদ্ধ ২০৪৬ এবং অন্যান্য ৪। | ||
''জলাশয়'' প্রধান নদী: বড়াল, চিকনাই ও আত্রাই। ফাইলাম, [[ | ''জলাশয়'' প্রধান নদী: বড়াল, চিকনাই ও আত্রাই। ফাইলাম, [[চলন বিল|চলন বিল]], কুড়াল বিল ও ডিকশাল বিল উল্লেখযোগ্য। | ||
''প্রশাসন'' চাটমোহর থানা গঠিত হয় ১৯০৯ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮২ সালে। | ''প্রশাসন'' চাটমোহর থানা গঠিত হয় ১৯০৯ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮২ সালে। |
০৬:৩৩, ২২ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
চাটমোহর উপজেলা (পাবনা জেলা) আয়তন: ৩০৫.৬৩ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৪°০৬´ থেকে ২৪°২১´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°১২´ থেকে ৮৯°২৪´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে গুরুদাসপুর ও তাড়াস উপজেলা, দক্ষিণে আটঘরিয়া উপজেলা, পূর্বে ফরিদপুর (পাবনা) ও ভাঙ্গুরা উপজেলা, পশ্চিমে বড়াইগ্রাম এবং গুরুদাসপুর উপজেলা।
জনসংখ্যা ২৩৯৯৭৩; পুরুষ ১২১২৬৫, মহিলা ১১৮৭০৮। মুসলিম ২২৭৩৬৬, হিন্দু ১০৫৫৭, বৌদ্ধ ২০৪৬ এবং অন্যান্য ৪।
জলাশয় প্রধান নদী: বড়াল, চিকনাই ও আত্রাই। ফাইলাম, চলন বিল, কুড়াল বিল ও ডিকশাল বিল উল্লেখযোগ্য।
প্রশাসন চাটমোহর থানা গঠিত হয় ১৯০৯ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮২ সালে।
উপজেলা | ||||||||
পৌরসভা | ইউনিয়ন | মৌজা | গ্রাম | জনসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | ||
শহর | গ্রাম | শহর | গ্রাম | |||||
১ | ১১ | ১৭০ | ১৩২ | ২২৫৬২ | ২১৭৪১১ | ৭৮৫ | ৫৬.৭ | ৩৬.৭ |
পৌরসভা | ||||||
আয়তন (বর্গ কিমি) | ওয়ার্ড | মহল্লা | লোকসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার(%) | |
৩.২৮ | ৯ | ১৩ | ১১৬১৪ | ৩৫৪১ | ৭১.২ |
পৌরসভার বাইরে উপজেলা শহর | ||||
আয়তন (বর্গ কিমি) | মৌজা | লোকসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) |
১২.৭৪ | ৬ | ১০৯৪৮ | ৮৫৯ | ৪০.৪ |
ইউনিয়ন | ||||
ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড | আয়তন (একর) | লোকসংখ্যা | শিক্ষার হার (%) | |
পুরুষ | মহিলা | |||
গুনাইগাছা ৪৩ | ৪৯৬০ | ৫০৩৩ | ৪৯৫৮ | ৪৩.৮৬ |
ছাইখোলা ১১ | ৬৪১৩ | ১১৫২০ | ১১৬৮৬ | ৩২.৭০ |
দাঁথিয়া বামনগ্রাম ২৫ | ৯২৭৭ | ১২৭৭২ | ১২৫৫৬ | ৩৪.৯৮ |
পার্শ্বডাঙ্গা ৯৪ | ৭৮০৪ | ৯৫৭৮ | ৮৯৯১ | ৩৫.৮২ |
নিমাইচরা ৮৬ | ৬৫৪৪ | ১১৬৬৭ | ১১৫৮১ | ২৯.৭১ |
ফাইলজানা ৩৪ | ৮৭২৯ | ১৩৫৩৩ | ১২৮১৫ | ৩৯.৯০ |
বিলচলন ১৩ | ৮২২৩ | ৬৯৯৫ | ৭০২২ | ৪৬.২৪ |
মথুরাপুর ৭০ | ৩৮৬২ | ৬৮৯৪ | ৭০৯৬ | ৪২.০৯ |
মূলগ্রাম ৭৭ | ৮০৪২ | ১৩৮২৯ | ১৩১২৩ | ৩৫.৭৭ |
হরিপুর ৬০ | ৮৫৪৬ | ১২১৯৪ | ১২২৪৬ | ৩৮.৬৮ |
হাঁদিয়াল ৫১ | ৯১৩৩ | ১১২৯৪ | ১০৯৭৬ | ৩৫.০২ |
সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
'
'প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ চাটমোহর শাহী মসজিদ (৯৮৯ হিজরি, ১৫৮১ সাল), পাঠানপাড়া খোন্দকারনী মসজিদ, হাঁদিয়ালের জগন্নাথ মন্দির, স্নান মন্দির, শেঠের কুঠি বা শেঠের বাঙ্গালা (১৭৭৯ সাল), এক গম্বুজ মসজিদ (হাঁদিয়াল পাইকপাড়া), হযরত আশরাফ জিদানীর (রাঃ) মাযার।
মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি ১৯৭১ সালের অক্টোবরে চিকনাই নদীর পাড়ে রেলসেতুর কাছে পাকসেনাদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে ৭ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন স্মৃতিস্তম্ভ ১ (গুনাইগাছা মাঠ)।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ৩১৭, মন্দির ৯০, গির্জা ৪, মাযার ৩। উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান: চাটমোহর শাহী মসজিদ, পাঠানপাড়া খোন্দকারনী মসজিদ, শাহাপুরের শাহ চেতনর (রহঃ) মাযার, হযরত আশরাফ জিদানীর (রঃ) মাযার, হাঁদিয়ালের বুড়ো পিরের মাযার, হাঁদিয়ালের জগন্নাথ মন্দির, চাটমোহরের কালীমন্দির ও স্নান মন্দির।
শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৩৮.৬%; পুরুষ ৪২.০%, মহিলা ৩৫.১%। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: চাটমোহর ডিগ্রী কলেজ (১৯৭০), চাটমোহর মহিলা কলেজ (১৯৯৬), প্রফেসর বয়েন উদ্দীন ডিগ্রী কলেজ (১৯৯৫), ময়দান দীঘিয়া কৃষি কলেজ (১৯৯৪), চাটমোহর রাজা চন্দ্রনাথ উচ্চ বিদ্যলয়, বাবু শম্ভুনাথ উচ্চ বিদ্যালয় (১৮৬১), হরিপুর দূর্গাদাস উচ্চ বিদ্যালয় (১৯২৫), হরিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ (১৯৩৫), পার্শ্বডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৬০), কুয়াবাসী দাখিল মাদ্রাসা (১৯৭৪)।
পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকি সাপ্তাহিক চাটমোহর বার্তা; অবলুপ্ত পত্রিকা: সবুজপত্র, সাপ্তাহিক জ্ঞান বিকাশনী (১৮৭৩) ও পল্লী দর্পণ (১৮৭৪)।
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান লাইব্রেরি ৫, ক্লাব ৫৫, কমিউনিটি সেন্টার, সিনেমা হল ৪।
জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৭১.০০%, অকৃষি শ্রমিক ৩.২২%, শিল্প ২.২৪%, ব্যবসা ৯.৭৮%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ২.৬৪%, চাকরি ৪.৪৯%, নির্মাণ ০.৭২%, ধর্মীয় সেবা ০.১৭%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.১৫% অন্যান্য ৫.৫৯%।
কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৫৭.৪৩%, ভূমিহীন ৪২.৫৭%। শহরে ৪৮.৮৫% এবং গ্রামে ৫৮.২৯% পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে।
প্রধান কৃষি ফসল ধান, পাট, গম, আলু, মরিচ, পিয়াজ, রসুন, খেসারি, মসুর, সরিষা, ছোলা, ধনিয়া, সুপারি।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি কাউন, অড়হর, যব, চীনাবাদাম, চিনা, স্থানীয় জাতের আমন ধান।
প্রধান ফল-ফলাদি আম, কাঁঠাল, লিচু, কলা, জাম, পেঁপে, নারিকেল।
মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার মৎস্য ১৭, গবাদিপশু ১১৫, হাঁস-মুরগি ১৫০, হ্যাচারি ২, নার্সারি ১৬।
যোগাযোগ বিশেষত্ব পাকারাস্তা ৬০ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ২০ কিমি, কাঁচারাস্তা ৩৫০ কিমি; নৌপথ ১৭ নটিক্যাল মাইল; রেলপথ ১৬ কিমি; রেলস্টেশন ৩।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি, সোয়ারী, ঘোড়া ও গরুর গাড়ি।
কুটিরশিল্প তাঁতশিল্প, চুনশিল্প, খয়েরশিল্প, বাঁশ ও বেতের কাজ।
হাটবাজার ও মেলা হাটবাজার ২৭, মেলা ২। চাটমোহর রেল বাজার হাট, মির্জাপুর হাট, মথুরাপুর হাট, চাটমোহর নতুন বাজার হাট এবং শাহপুরের মেলা ও বোঁথরের চরক মেলা উল্লেখযোগ্য।
প্রধান রপ্তানিদ্রব্য ধান, পাট, খেসারি, বাঁশ ও বেতশিল্প।
বিদ্যুৎ ব্যবহার এ উপজেলার সবক’টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ১৯.৩৪% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৯১.২৫%, পুকুর ০.২৪%, ট্যাপ ০.২৮% এবং অন্যান্য ৮.২৩%। এ উপজেলার ৩২১৯ টি অগভীর নলকূপের মধ্যে ৩৬ টি নলকূপের পানিতে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিকের উপস্থিতি প্রমাণিত হয়েছে।
স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ উপজেলার ২৭.৯১% (গ্রামে ২৪.৮৫% ও শহরে ৫৮.২৭%) পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৬৩.০৯% (গ্রামে ৬৬.০৬% ও শহরে ৩৩.৬০%) পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ৯.০০% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১, পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ১, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ৮, চক্ষু হাসপাতাল ১, ক্লিনিক ৩, গবাদিপশু প্রজনন কেন্দ্র ১।
এনজিও ব্রাক, আশা উল্লেখযোগ্য। [মোঃ হাবিবুর রহমান]
তথ্যসূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; চাটমোহর উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।